গাজা উপত্যকায় চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে কাজ করতে চায় চীন। সোমবার (২০ নভেম্বর) চীনে সফররত আরব ও মুসলিম বিশ্বের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছে এ আগ্রহের কথা জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
আরব ও মুসলিম বিশ্বের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশে ওয়াং বলেন, আসুন, আমরা গাজার পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত করতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে একসঙ্গে কাজ করি।
তিনি আরও বলেন, গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই বিপর্যয় বিশ্বের সব দেশকে প্রভাবিত করছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিশ্বে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। তবে তা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েলে ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। ফলে গাজায় মানুষের নিহতের ঝুঁকি বাড়ছে।
ইসরায়েল ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের ওপর চাপ বাড়াতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার অংশ হিসেবে চীন সফর করছেন আরব ও মুসলিম বিশ্বের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
মূলত এই যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের এমন অবস্থান পরিবর্তনে এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করেছে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, জর্ডান, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার প্রধান।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেছেন, আমরা এখানে এসেছি একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে। তা হলো আমাদের অবিলম্বে (গাজায়) যুদ্ধ ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। আমাদের অবিলম্বে গাজায় মানবিক ত্রাণসহায়তা সরবরাহ করতে হবে। এ সময় ইসরায়েলকে রুখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অবরুদ্ধ গাজা গাজা উপত্যকা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরব মুসলিম বিশ্ব
মন্তব্য করুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন ট্রাম্প নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে হয়তো তিনিও নির্বাচনে অংশ নেবেন না। ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী বোস্টনে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ প্রচারণায় এ কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সমর্থকদের এক বক্তৃতায় বাইডেন বলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করে, তবে তিনিও হয়তো ২০২৪ সালে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন না। বাইডেনের এ আকস্মিক মন্তব্যে দলের অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তবে বাইডেন আরও বলেন, দেশের স্বার্থে ও গণতন্ত্রের
স্বার্থে কোন ভাবেই ট্রাম্পকে জিততে দেয়া যাবে না। এর আগেও ২০২০ এর নির্বাচনী প্রচারণায়
বাইডেনের প্রধান অস্ত্র ছিল 'ট্রাম্প দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি'।
এই মন্তব্যের পর বাইডেন তাঁর বিরোধী দলের
পক্ষ থেকেও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন, যার মধ্যে মিনেসোটার রিপাবলিক ডিন ফিলিপস অন্যতম।
তিনি বলেছেন, বাইডেনের বয়স হয়েছে এবং তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে দিতে তাঁর সরে যাওয়া
উচিত। তবে বয়সের ভার থাকার পরও বাইডেন আগামী নির্বাচনে লড়াইয়ের পণ করেছেন এবং তিনি
বিশ্বাস করেন তিনিই একমাত্র ডেমোক্র্যাট প্রার্থী, যিনি ট্রাম্পকে আবারও পরাজিত করতে
পারবেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
ক্যাপিটাল হিলের হামলা, বিগত নির্বাচনে কারচুপির চেষ্টা, দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির
একাধিক মামলা চলমান। এসব মামলায় দণ্ডিত হলে ট্রাম্প নির্বাচন করতে পারবেন কি না, তা
এখনো নিশ্চিত নয়।
সূত্র: ফক্স নিউজ
মন্তব্য করুন
বাবা প্রণব মুখার্জির স্মৃতিচারণ করে শর্মিষ্ঠা
মুখার্জি একটি বই লিখেছেন। ‘ইন প্রণব, মাই ফাদার: এ ডটার্স রিমেমবার্স’ নামক বইটি প্রকাশের
অপেক্ষায় রয়েছে। তার এই বইটিতে তিনি তুলে ধরেছেন প্রণব মুখার্জির নানা অজানা তথ্য।
সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাওয়া
পর যখন গুঞ্জন শুরু হয় তাহলে কে হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী- সেই সময়ে প্রণব মুখার্জিকে
এই প্রশ্ন করেন শর্মিষ্ঠা। বইটিতে এ সংক্রান্ত তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রকাশিতব্য এ বইয়ে শর্মিষ্ঠা, বাবা প্রণব
মুখার্জির বর্ণাঢ্য জীবনের অংশবিশেষ তুলে ধরেছেন। শর্মিষ্ঠার কথায়, প্রধানমন্ত্রী না
করায় সোনিয়া গান্ধীর প্রতি কোনো ক্ষোভ ছিল না তার বাবার। তখন প্রধানমন্ত্রী হওয়া মনমোহন
সিংকে নিয়েও প্রণব মুখার্জির কোনো ঈর্ষাও ছিল না।
এ বইয়ে উঠে এসেছে, ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে
একক গরিষ্ঠতা পাওয়া দল কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে সোনিয়া গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার
পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে কংগ্রেস ছাড়াও অংশীদার জোটের সম্পূর্ণ সমর্থন
ছিল। কিন্তু সোনিয়া এই পদে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। সোনিয়ার এই সিদ্ধান্ত নিজ দলের
নেতাকর্মীসহ ভারতের সব মানুষকে অবাক করে দিয়েছিল।
বইটির মধ্যে ‘দ্য পিএম ইন্ডিয়া নেভার হ্যাড’
শিরোনামের অধ্যায়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াতে
সোনিয়ার ঐ সিদ্ধান্তের পরে গণমাধ্যমে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র জল্পনা-কল্পনা শুরু
হয়।
তিনি আরও লিখেছেন, ড. মনমোহন সিং এবং প্রণবের
নাম এই পদের জন্য শীর্ষ প্রতিযোগী হিসেবে আলোচনায়। বাবা প্রচুর ব্যস্ত থাকায় কয়েক দিন
তার সঙ্গে আমার দেখা করার সুযোগ হয়নি। কিন্তু আমি তার সঙ্গে ফোনে কথা বলি।
উচ্ছ্বসিতভাবে তাকে জিজ্ঞাসা করেছি- তিনি
প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিনা। তার জবাব ছিল, না, ‘তিনি আমাকে প্রধানমন্ত্রী করবেন
না। মনমোহন সিং হবেন।‘
তবে ১৯ মে ডায়েরিতে প্রণবকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা যায়। প্রণব লিখেছেন, সমস্যার সমাধান হয়েছে। মনমোহন সিং হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। মনমোহন ও সোনিয়া প্রেসিডেটের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। প্রেসিডেন্ট মনমোহনকে সরকারগঠনের অনুমতি দিয়েছেন।
শর্মিষ্ঠা মুখার্জি উল্লেখ করেছেন, যদিও সেই
সময়ে তার বাবা আর কিছু লেখেননি, ৩১ ডিসেম্বর বছরের বড় ঘটনাগুলো বর্ণনা করার সময়
তিনি লিখেছেন, সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ছিল প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করতে অস্বীকার করে সোনিয়া
গান্ধীর আশ্চর্যজনক আত্মত্যাগ। দলের ভেতরে এবং বাইরের চাপ সত্ত্বেও তিনি রাজি হননি।
তার এই সিদ্ধান্ত বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে তিক্ত সংঘাত থেকে দেশকে বাঁচিয়েছে।
তিনি আরও লিখেছেন, তার বাবা সোনিয়া গান্ধীকে
মনে করতেন বুদ্ধিমতি, পরিশ্রমী এবং শিখতে আগ্রহী একজন ব্যক্তি হিসেবে।
এর আগে প্রণব মুখার্জির একটি ডায়রিতে রাহুল
গান্ধীর ব্যাপারেও কিছু কিছু লেখা পাওয়া যায়। ২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি তিনি কংগ্রেসের
কার্যনির্বাহী কমিটির (সিডব্লিউসি) বৈঠকের আলোচনা নিয়ে লিখেছেন। সেই বৈঠকের অন্যতম
আলোচ্য বিষয় ছিল একই বছরের আসন্ন লোকসভার নির্বাচন।
রাহুল গান্ধী মাঝে মধ্যে দেখা করতে যেত বলে
ডায়রিতে লিখেছেন প্রণব। শর্মিষ্ঠার ভাষ্য, রাহুল গান্ধীকে ‘খুবই বিনয়ী’ ও ‘কৌতূহলী’
মনে করতেন প্রণব। কিন্ত তার মত ছিল, রাহুলের মধ্যে এখনো রাজনৈতিক পরিপক্বতা আসেনি।
রাষ্ট্রপতি ভবনে দেখা করতে গেলে প্রণব রাহুলকে
মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার পরামর্শ দিতেন, যাতে তিনি সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ
পান। শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, রাহুল যে এ পরামর্শ কানে তোলেননি আমরা সবাই সেটা জানি।
২০১৩ সালের ২৫ মার্চ রাহুল তার সঙ্গে দেখা
করতে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রণব লিখেছেন, বহু বিষয় নিয়ে রাহুল আগ্রহী। কিন্ত খুবই
দ্রুত সে একটা বিষয় ছেড়ে আরেকটা বিষয়ে চলে যায়। আমি জানি না সে আসলে কতটা শোনে ও সে
কথা বা পরামর্শ নিজের মধ্যে ধারণের চেষ্টা করে।
প্রসঙ্গত, প্রণব মুখার্জি একসময় ভারতের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে দেশটির পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সবশেষ তিনি ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের ত্রয়োদশ প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট ৮৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
সোনিয়া গান্ধী রাহুল গান্ধী প্রণব মুখার্জি
মন্তব্য করুন
পশ্চিম তীরের সহিংসতাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা
জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন দু পক্ষেরই সহিংসতাকারী হিসেবে চিহ্নিত
ব্যক্তিদের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে যারা বেসামরিক
নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিদ্যমান ভিসা
এবং ভবিষ্যতের আবেদন বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এমনই ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
পশ্চিম তীরে সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী
বা ফিলিস্তিনি দুপক্ষের জন্যই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা।
নতুন ভিসা নীতির এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে,
এক বিবৃতিতে সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন ‘উগ্রপন্থী বসতি স্থাপনকারী
যারা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংস আক্রমণ করেছে, তাদের ওপর এটি কার্যকর হবে’।
শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
'পশ্চিম তীরে শান্তি, নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা নষ্ট করার' সঙ্গে জড়িত যেকোনো ব্যক্তি
বা যারা বেসামরিক নাগরিকদের 'প্রয়োজনীয় পরিষেবা এবং মৌলিক প্রয়োজনগুলো গ্রহণ করতে
অযৌক্তিকভাবে বাধা দেবে, তাদেরকে এই ভিসানীতির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি ফিলিস্তিনিদের কথাও বলেছেন। তার মতে,
যারা ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাবে তাদের জন্যও ভিসা নিষেধাজ্ঞা
কার্যকর হবে।
মিলার বলেন, নতুন ভিসা নীতি চালু হচ্ছে। এটা
অনেকের জন্যই প্রযোজ্য হতে পারে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরও ভিসা প্রত্যাহার করা
হতে পারে।
ভিসানীতি নিয়ে নিজের এক্সে (পূর্বের টুইটার)
একটি পোস্ট করেছেন ব্লিঙ্কেন।
ওই বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, অধিকৃত পশ্চিম
তীরে বসতি স্থাপনকারীদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না ইসরাইল।
যার ফলে যুদ্ধ বেড়েছে বলে দাবি করেছে অধিকার গোষ্ঠীগুলো।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। এখনও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
গাজা-উপত্যকা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-সংঘাত ইসরায়েল ফিলিস্তিন ভিসা যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
বৈশ্বিক জলবায়ুর ভয়াবহ বিপর্যয়ের সাক্ষী হতে
যাচ্ছে রাশিয়া। এ বছর শতাব্দীর সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়ায়।
গত সেপ্টেম্বর থেকেই শীত শুরু হয়েছে দেশটিতে। দেশের অধিকাংশ
অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ঘরে বা তার নিচে বিরাজ করছে। তবে আজ মঙ্গলবার রাশিয়ার সবচেয়ে
বড় ভৌগোলিক অঞ্চল সাইবেরিয়ায় মাইনাস ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সাইবেরিয়ার ইয়াকুৎস শহরের এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
সাইবেরিয়ার আয়তন ১ কোটি ৩১ লাখ বর্গকিলোমিটার।
গত কয়েক দিন ধরেই সাইবেরিয়ার বিভিন্ন শহর ও গ্রামে তাপমাত্রা
মাইনাস ৫৫ ডিগ্রি বা তার আশপাশের ঘরে ওঠানামা করলেও মঙ্গলবার অঞ্চলটির ইয়াকুৎস শহরের
তাপমাত্রা মাইনাস ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল।
ইয়াকুৎস শহরের অবস্থান রাশিয়ার রাজধানী মস্কো
থেকে প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার পূর্বে। শহরটি বিশ্বের শীতলতম শহরের একটি। ফলে প্রতিবছরই
এখানে শীত দেখতে এ সময় পর্যটকরা ভিড় করেন। তাদের একজন ড্যানিলা। তিনি বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে
শীত দেখতে এখানে এসেছি। আমি ভাগ্যবান, আমি তা দেখতে পেয়েছি। কেননা ডিসেম্বরে এখানে
সাধারণত এমন শীত পড়ে না।’
তিনি বলেন, আমি বেশ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে
এসেছি। ফলে আমার তেমন ঠান্ডা লাগছে না। যদি আমি সঠিক জামাকাপড় না পরতাম তাহলে কয়েক
মিনিটের মধ্যে জমে হিম হয়ে যেতাম।’
সাইবেরিয়ার উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত সাখা
প্রজাতন্ত্রের কিছু এলাকার তাপমাত্রা মাইনাস ৫৫ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। সাখার ওয়ম্যাকনে
মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,
এই তাপমাত্রা ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে।
খবর: রয়টার্স।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম–২০২২’ প্রকাশ
করে। ঐ প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে জঙ্গি দমন অব্যাহত
রাখায় ২০২২ সালে এ দেশে এ ধরনের অল্প কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তা প্রায়ই সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের
(শূন্য সহিষ্ণুতা) ওপর জোর দেন। তবে বাংলাদেশ বরাবরই আল–কায়েদা ও আইএসের মতো বৈশ্বিক
জঙ্গিগোষ্ঠীর উপস্থিতি অস্বীকার করে আসছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর
দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই নিয়মিত
ব্রিফিংয়ে তাকে ওই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ তুলে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
জানতে চান এক সাংবাদিক।
মার্কিন প্রতিবেদন কথা উল্লেখ করে ওই সাংবাদিক
বলেন, ‘আপনাকে (ম্যাথিউ মিলার) অসংখ্য ধন্যবাদ— আমার দুটি প্রশ্ন আছে। একটি হলো বাংলাদেশ
নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২২ সালের সন্ত্রাসবাদের প্রতিবেদন নিয়ে।
প্রশ্ন করতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায়, বাংলাদেশ সরকার সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে
লড়াই করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ কমে গেছে। কিন্তু এখন শঙ্কা ওঠছে যে,
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে যে সহিংসতা হচ্ছে— এতে করে সেখানে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর
পুনরুত্থানের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামতা কি? এ ব্যাপারে বাংলাদেশ
সরকারের সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়ে আপনি কী বলবেন?’
এই প্রশ্নের সরাসরি (কোনো) উত্তর না দিয়ে
মিলার বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন
দেখতে চাই এবং আমাদের নীতি এটিই থাকবে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে এটিই
আমাদের মূল বিষয় হিসেবে রয়েছে।’
মিলারের এমন উত্তরের পর অবশ্য ওই সাংবাদিক
বলেন, ‘(প্রশ্নটি) এটি ছিল না— এটি ছিল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে— সন্ত্রাসবাদের উত্থান— নির্বাচন
নিয়ে নয়।’ এরপর মিলার বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি। আমরা গতকাল বা কয়েকদিন আগে একটি প্রতিবেদন
প্রকাশ করেছি। ওই প্রতিবেদনে যা আছে এরচেয়ে বেশি কিছু আমার বলার নেই।’
এরপর ওই সাংবাদিক দ্বিতীয় প্রশ্ন করতে গেলে
তাকে থামিয়ে দেন ম্যাথিউ মিলার। এ সময় অন্য সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘প্রশ্ন
করুন।
মন্তব্য করুন
বাবা প্রণব মুখার্জির স্মৃতিচারণ করে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি একটি বই লিখেছেন। ‘ইন প্রণব, মাই ফাদার: এ ডটার্স রিমেমবার্স’ নামক বইটি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তার এই বইটিতে তিনি তুলে ধরেছেন প্রণব মুখার্জির নানা অজানা তথ্য। সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাওয়া পর যখন গুঞ্জন শুরু হয় তাহলে কে হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী- সেই সময়ে প্রণব মুখার্জিকে এই প্রশ্ন করেন শর্মিষ্ঠা। বইটিতে এ সংক্রান্ত তথ্যও উঠে এসেছে।
পশ্চিম তীরের সহিংসতাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন দু পক্ষেরই সহিংসতাকারী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে যারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিদ্যমান ভিসা এবং ভবিষ্যতের আবেদন বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এমনই ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। পশ্চিম তীরে সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বা ফিলিস্তিনি দুপক্ষের জন্যই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা।
বৈশ্বিক জলবায়ুর ভয়াবহ বিপর্যয়ের সাক্ষী হতে যাচ্ছে রাশিয়া। এ বছর শতাব্দীর সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়ায়। গত সেপ্টেম্বর থেকেই শীত শুরু হয়েছে দেশটিতে। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ঘরে বা তার নিচে বিরাজ করছে। তবে আজ মঙ্গলবার রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ভৌগোলিক অঞ্চল সাইবেরিয়ায় মাইনাস ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সাইবেরিয়ার ইয়াকুৎস শহরের এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম–২০২২’ প্রকাশ করে। ঐ প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে জঙ্গি দমন অব্যাহত রাখায় ২০২২ সালে এ দেশে এ ধরনের অল্প কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তা প্রায়ই সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের (শূন্য সহিষ্ণুতা) ওপর জোর দেন। তবে বাংলাদেশ বরাবরই আল–কায়েদা ও আইএসের মতো বৈশ্বিক জঙ্গিগোষ্ঠীর উপস্থিতি অস্বীকার করে আসছে।