ভারি বৃষ্টিতে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর দিয়ে বলেছে, রাজধানী সান্তো ডোমিংগোতে একটি হাইওয়ে টানেল ধসে ৯ জন নিহত হয়েছেন। ভারী বৃষ্টির পর ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দেশটির ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (সিওই) জানিয়েছে, বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ব্রীজ এবং রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোদের মধ্যে ৩ শিশুও রয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশটির ৩২টি প্রদেশের অধিকাংশ স্থানেই লাল বা হলুদ আবহাওয়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রবল ঝড়ের পর ভারি বৃষ্টির ঘটনাকে দেশের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে ভয়াবহ বৃষ্টিপাতের ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদের।
প্রেসিডেন্ট আবিনাদের জানিয়েছেন, আগামী বুধবার (২২ নভেম্বর) পর্যন্ত সব ধরনের ক্লাস বন্ধ থাকবে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভারি বৃষ্টি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র বাস্তুচ্যুত আকস্মিক বন্যা প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদের
মন্তব্য করুন
বাবা প্রণব মুখার্জির স্মৃতিচারণ করে শর্মিষ্ঠা
মুখার্জি একটি বই লিখেছেন। ‘ইন প্রণব, মাই ফাদার: এ ডটার্স রিমেমবার্স’ নামক বইটি প্রকাশের
অপেক্ষায় রয়েছে। তার এই বইটিতে তিনি তুলে ধরেছেন প্রণব মুখার্জির নানা অজানা তথ্য।
সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাওয়া
পর যখন গুঞ্জন শুরু হয় তাহলে কে হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী- সেই সময়ে প্রণব মুখার্জিকে
এই প্রশ্ন করেন শর্মিষ্ঠা। বইটিতে এ সংক্রান্ত তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রকাশিতব্য এ বইয়ে শর্মিষ্ঠা, বাবা প্রণব
মুখার্জির বর্ণাঢ্য জীবনের অংশবিশেষ তুলে ধরেছেন। শর্মিষ্ঠার কথায়, প্রধানমন্ত্রী না
করায় সোনিয়া গান্ধীর প্রতি কোনো ক্ষোভ ছিল না তার বাবার। তখন প্রধানমন্ত্রী হওয়া মনমোহন
সিংকে নিয়েও প্রণব মুখার্জির কোনো ঈর্ষাও ছিল না।
এ বইয়ে উঠে এসেছে, ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে
একক গরিষ্ঠতা পাওয়া দল কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে সোনিয়া গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার
পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে কংগ্রেস ছাড়াও অংশীদার জোটের সম্পূর্ণ সমর্থন
ছিল। কিন্তু সোনিয়া এই পদে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। সোনিয়ার এই সিদ্ধান্ত নিজ দলের
নেতাকর্মীসহ ভারতের সব মানুষকে অবাক করে দিয়েছিল।
বইটির মধ্যে ‘দ্য পিএম ইন্ডিয়া নেভার হ্যাড’
শিরোনামের অধ্যায়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াতে
সোনিয়ার ঐ সিদ্ধান্তের পরে গণমাধ্যমে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র জল্পনা-কল্পনা শুরু
হয়।
তিনি আরও লিখেছেন, ড. মনমোহন সিং এবং প্রণবের
নাম এই পদের জন্য শীর্ষ প্রতিযোগী হিসেবে আলোচনায়। বাবা প্রচুর ব্যস্ত থাকায় কয়েক দিন
তার সঙ্গে আমার দেখা করার সুযোগ হয়নি। কিন্তু আমি তার সঙ্গে ফোনে কথা বলি।
উচ্ছ্বসিতভাবে তাকে জিজ্ঞাসা করেছি- তিনি
প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিনা। তার জবাব ছিল, না, ‘তিনি আমাকে প্রধানমন্ত্রী করবেন
না। মনমোহন সিং হবেন।‘
তবে ১৯ মে ডায়েরিতে প্রণবকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা যায়। প্রণব লিখেছেন, সমস্যার সমাধান হয়েছে। মনমোহন সিং হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। মনমোহন ও সোনিয়া প্রেসিডেটের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। প্রেসিডেন্ট মনমোহনকে সরকারগঠনের অনুমতি দিয়েছেন।
শর্মিষ্ঠা মুখার্জি উল্লেখ করেছেন, যদিও সেই
সময়ে তার বাবা আর কিছু লেখেননি, ৩১ ডিসেম্বর বছরের বড় ঘটনাগুলো বর্ণনা করার সময়
তিনি লিখেছেন, সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ছিল প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করতে অস্বীকার করে সোনিয়া
গান্ধীর আশ্চর্যজনক আত্মত্যাগ। দলের ভেতরে এবং বাইরের চাপ সত্ত্বেও তিনি রাজি হননি।
তার এই সিদ্ধান্ত বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে তিক্ত সংঘাত থেকে দেশকে বাঁচিয়েছে।
তিনি আরও লিখেছেন, তার বাবা সোনিয়া গান্ধীকে
মনে করতেন বুদ্ধিমতি, পরিশ্রমী এবং শিখতে আগ্রহী একজন ব্যক্তি হিসেবে।
এর আগে প্রণব মুখার্জির একটি ডায়রিতে রাহুল
গান্ধীর ব্যাপারেও কিছু কিছু লেখা পাওয়া যায়। ২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি তিনি কংগ্রেসের
কার্যনির্বাহী কমিটির (সিডব্লিউসি) বৈঠকের আলোচনা নিয়ে লিখেছেন। সেই বৈঠকের অন্যতম
আলোচ্য বিষয় ছিল একই বছরের আসন্ন লোকসভার নির্বাচন।
রাহুল গান্ধী মাঝে মধ্যে দেখা করতে যেত বলে
ডায়রিতে লিখেছেন প্রণব। শর্মিষ্ঠার ভাষ্য, রাহুল গান্ধীকে ‘খুবই বিনয়ী’ ও ‘কৌতূহলী’
মনে করতেন প্রণব। কিন্ত তার মত ছিল, রাহুলের মধ্যে এখনো রাজনৈতিক পরিপক্বতা আসেনি।
রাষ্ট্রপতি ভবনে দেখা করতে গেলে প্রণব রাহুলকে
মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার পরামর্শ দিতেন, যাতে তিনি সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ
পান। শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, রাহুল যে এ পরামর্শ কানে তোলেননি আমরা সবাই সেটা জানি।
২০১৩ সালের ২৫ মার্চ রাহুল তার সঙ্গে দেখা
করতে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রণব লিখেছেন, বহু বিষয় নিয়ে রাহুল আগ্রহী। কিন্ত খুবই
দ্রুত সে একটা বিষয় ছেড়ে আরেকটা বিষয়ে চলে যায়। আমি জানি না সে আসলে কতটা শোনে ও সে
কথা বা পরামর্শ নিজের মধ্যে ধারণের চেষ্টা করে।
প্রসঙ্গত, প্রণব মুখার্জি একসময় ভারতের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে দেশটির পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সবশেষ তিনি ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের ত্রয়োদশ প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট ৮৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
সোনিয়া গান্ধী রাহুল গান্ধী প্রণব মুখার্জি
মন্তব্য করুন
পশ্চিম তীরের সহিংসতাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা
জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন দু পক্ষেরই সহিংসতাকারী হিসেবে চিহ্নিত
ব্যক্তিদের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে যারা বেসামরিক
নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিদ্যমান ভিসা
এবং ভবিষ্যতের আবেদন বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এমনই ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
পশ্চিম তীরে সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী
বা ফিলিস্তিনি দুপক্ষের জন্যই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা।
নতুন ভিসা নীতির এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে,
এক বিবৃতিতে সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন ‘উগ্রপন্থী বসতি স্থাপনকারী
যারা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংস আক্রমণ করেছে, তাদের ওপর এটি কার্যকর হবে’।
শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
'পশ্চিম তীরে শান্তি, নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা নষ্ট করার' সঙ্গে জড়িত যেকোনো ব্যক্তি
বা যারা বেসামরিক নাগরিকদের 'প্রয়োজনীয় পরিষেবা এবং মৌলিক প্রয়োজনগুলো গ্রহণ করতে
অযৌক্তিকভাবে বাধা দেবে, তাদেরকে এই ভিসানীতির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি ফিলিস্তিনিদের কথাও বলেছেন। তার মতে,
যারা ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাবে তাদের জন্যও ভিসা নিষেধাজ্ঞা
কার্যকর হবে।
মিলার বলেন, নতুন ভিসা নীতি চালু হচ্ছে। এটা
অনেকের জন্যই প্রযোজ্য হতে পারে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরও ভিসা প্রত্যাহার করা
হতে পারে।
ভিসানীতি নিয়ে নিজের এক্সে (পূর্বের টুইটার)
একটি পোস্ট করেছেন ব্লিঙ্কেন।
ওই বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, অধিকৃত পশ্চিম
তীরে বসতি স্থাপনকারীদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না ইসরাইল।
যার ফলে যুদ্ধ বেড়েছে বলে দাবি করেছে অধিকার গোষ্ঠীগুলো।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। এখনও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
গাজা-উপত্যকা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-সংঘাত ইসরায়েল ফিলিস্তিন ভিসা যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
বৈশ্বিক জলবায়ুর ভয়াবহ বিপর্যয়ের সাক্ষী হতে
যাচ্ছে রাশিয়া। এ বছর শতাব্দীর সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়ায়।
গত সেপ্টেম্বর থেকেই শীত শুরু হয়েছে দেশটিতে। দেশের অধিকাংশ
অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ঘরে বা তার নিচে বিরাজ করছে। তবে আজ মঙ্গলবার রাশিয়ার সবচেয়ে
বড় ভৌগোলিক অঞ্চল সাইবেরিয়ায় মাইনাস ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সাইবেরিয়ার ইয়াকুৎস শহরের এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
সাইবেরিয়ার আয়তন ১ কোটি ৩১ লাখ বর্গকিলোমিটার।
গত কয়েক দিন ধরেই সাইবেরিয়ার বিভিন্ন শহর ও গ্রামে তাপমাত্রা
মাইনাস ৫৫ ডিগ্রি বা তার আশপাশের ঘরে ওঠানামা করলেও মঙ্গলবার অঞ্চলটির ইয়াকুৎস শহরের
তাপমাত্রা মাইনাস ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল।
ইয়াকুৎস শহরের অবস্থান রাশিয়ার রাজধানী মস্কো
থেকে প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার পূর্বে। শহরটি বিশ্বের শীতলতম শহরের একটি। ফলে প্রতিবছরই
এখানে শীত দেখতে এ সময় পর্যটকরা ভিড় করেন। তাদের একজন ড্যানিলা। তিনি বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে
শীত দেখতে এখানে এসেছি। আমি ভাগ্যবান, আমি তা দেখতে পেয়েছি। কেননা ডিসেম্বরে এখানে
সাধারণত এমন শীত পড়ে না।’
তিনি বলেন, আমি বেশ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে
এসেছি। ফলে আমার তেমন ঠান্ডা লাগছে না। যদি আমি সঠিক জামাকাপড় না পরতাম তাহলে কয়েক
মিনিটের মধ্যে জমে হিম হয়ে যেতাম।’
সাইবেরিয়ার উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত সাখা
প্রজাতন্ত্রের কিছু এলাকার তাপমাত্রা মাইনাস ৫৫ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। সাখার ওয়ম্যাকনে
মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,
এই তাপমাত্রা ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে।
খবর: রয়টার্স।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম–২০২২’ প্রকাশ
করে। ঐ প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে জঙ্গি দমন অব্যাহত
রাখায় ২০২২ সালে এ দেশে এ ধরনের অল্প কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তা প্রায়ই সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের
(শূন্য সহিষ্ণুতা) ওপর জোর দেন। তবে বাংলাদেশ বরাবরই আল–কায়েদা ও আইএসের মতো বৈশ্বিক
জঙ্গিগোষ্ঠীর উপস্থিতি অস্বীকার করে আসছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর
দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই নিয়মিত
ব্রিফিংয়ে তাকে ওই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ তুলে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
জানতে চান এক সাংবাদিক।
মার্কিন প্রতিবেদন কথা উল্লেখ করে ওই সাংবাদিক
বলেন, ‘আপনাকে (ম্যাথিউ মিলার) অসংখ্য ধন্যবাদ— আমার দুটি প্রশ্ন আছে। একটি হলো বাংলাদেশ
নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২২ সালের সন্ত্রাসবাদের প্রতিবেদন নিয়ে।
প্রশ্ন করতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায়, বাংলাদেশ সরকার সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে
লড়াই করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ কমে গেছে। কিন্তু এখন শঙ্কা ওঠছে যে,
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে যে সহিংসতা হচ্ছে— এতে করে সেখানে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর
পুনরুত্থানের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামতা কি? এ ব্যাপারে বাংলাদেশ
সরকারের সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়ে আপনি কী বলবেন?’
এই প্রশ্নের সরাসরি (কোনো) উত্তর না দিয়ে
মিলার বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন
দেখতে চাই এবং আমাদের নীতি এটিই থাকবে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে এটিই
আমাদের মূল বিষয় হিসেবে রয়েছে।’
মিলারের এমন উত্তরের পর অবশ্য ওই সাংবাদিক
বলেন, ‘(প্রশ্নটি) এটি ছিল না— এটি ছিল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে— সন্ত্রাসবাদের উত্থান— নির্বাচন
নিয়ে নয়।’ এরপর মিলার বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি। আমরা গতকাল বা কয়েকদিন আগে একটি প্রতিবেদন
প্রকাশ করেছি। ওই প্রতিবেদনে যা আছে এরচেয়ে বেশি কিছু আমার বলার নেই।’
এরপর ওই সাংবাদিক দ্বিতীয় প্রশ্ন করতে গেলে
তাকে থামিয়ে দেন ম্যাথিউ মিলার। এ সময় অন্য সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘প্রশ্ন
করুন।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আবারও একটি স্কুলে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে।
এ হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হন। দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ওই স্কুলে চালানো এই হামলায়
তারা প্রাণ হারান। হামলার শিকার এই স্কুলটিতেও বহু বাস্তুচ্যুত লোকেরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য
জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খান ইউনিসের
মাআন স্কুলের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে কয়েক ডজন আহত ব্যক্তি এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে শহরের
নাসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খান ইউনিস হচ্ছে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই শহরটিতে তীব্র বোমাবর্ষণ করে চলেছে।
মোহাম্মদ সালো নামে এক ব্যক্তির বোন মঙ্গলবারের
হামলায় নিহত হয়েছেন। তিনি এএফপিকে বলেছেন: ‘আমার চাচাতো ভাই ফোন করে আমাকে আসতে বলে,
কারণ আমার বোনের লাশ স্কুলের উঠানে পড়ে ছিল এবং আমরা তা উদ্ধার করতে পারিনি।’
অবশ্য তিনি শেষ পর্যন্ত লাশ হাসপাতালে নিয়ে
যেতে সক্ষম হন বলে জানান। সালো বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, ‘কেবল স্কুলটি নয়, আশপাশের
এলাকাও ছিল হামলার লক্ষ্যবস্তু’।
এছাড়া মঙ্গলবার খান ইউনিস এবং কেন্দ্রে অবস্থিত
নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় আরও ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আগের
দিন সোমবার উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে দু’টি স্কুলে বোমা বর্ষণ করেছিল ইসরায়েল, সেই অভিযানেও
নিহতের সংখ্যা ছিল ৫০ জন।
সোমবার স্কুলে বোমা বর্ষণের পাশাপাশি গাজার
উত্তরাঞ্চলীয় শরণার্থী কেন্দ্র জাবালিয়া ক্যাম্পেও বোমা ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি
বিমান বাহিনী। এতে অন্তত ১০৮ জন নিহত এবং কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হন। আহতদের শিবিরের
নিকটবর্তী কামাল আদওয়ান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জ্বালানির অভাবে গত বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালটিতে
বিদ্যুৎ নেই। উপরন্তু ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অব্যাহত বোমা ও ড্রোন হামলায় ঘরবাড়ি হারিয়ে
হাসপাতালটির চত্বরে আশ্রয় নিয়েছেন ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলা থেকে বাদ যায়নি গাজার স্কুল, মসজিদ এমনকি হাসপাতালের মতো স্থাপনাও। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও গাজার স্কুলে আবারও ইসরায়েলি হামলার এই ঘটনা ঘটল।
ফিলিস্তিন ইসরায়েল গাজায় হামলা হামাস হামাস ইসরায়েল যুদ্ধ নিহত মধ্যপ্রাচ্য মধ্যপ্রাচ্য সংকট বিশ্ব সংবাদ
মন্তব্য করুন
বাবা প্রণব মুখার্জির স্মৃতিচারণ করে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি একটি বই লিখেছেন। ‘ইন প্রণব, মাই ফাদার: এ ডটার্স রিমেমবার্স’ নামক বইটি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তার এই বইটিতে তিনি তুলে ধরেছেন প্রণব মুখার্জির নানা অজানা তথ্য। সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাওয়া পর যখন গুঞ্জন শুরু হয় তাহলে কে হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী- সেই সময়ে প্রণব মুখার্জিকে এই প্রশ্ন করেন শর্মিষ্ঠা। বইটিতে এ সংক্রান্ত তথ্যও উঠে এসেছে।
পশ্চিম তীরের সহিংসতাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন দু পক্ষেরই সহিংসতাকারী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে যারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিদ্যমান ভিসা এবং ভবিষ্যতের আবেদন বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এমনই ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। পশ্চিম তীরে সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বা ফিলিস্তিনি দুপক্ষের জন্যই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা।
বৈশ্বিক জলবায়ুর ভয়াবহ বিপর্যয়ের সাক্ষী হতে যাচ্ছে রাশিয়া। এ বছর শতাব্দীর সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়ায়। গত সেপ্টেম্বর থেকেই শীত শুরু হয়েছে দেশটিতে। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ঘরে বা তার নিচে বিরাজ করছে। তবে আজ মঙ্গলবার রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ভৌগোলিক অঞ্চল সাইবেরিয়ায় মাইনাস ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সাইবেরিয়ার ইয়াকুৎস শহরের এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম–২০২২’ প্রকাশ করে। ঐ প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে জঙ্গি দমন অব্যাহত রাখায় ২০২২ সালে এ দেশে এ ধরনের অল্প কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তা প্রায়ই সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের (শূন্য সহিষ্ণুতা) ওপর জোর দেন। তবে বাংলাদেশ বরাবরই আল–কায়েদা ও আইএসের মতো বৈশ্বিক জঙ্গিগোষ্ঠীর উপস্থিতি অস্বীকার করে আসছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আবারও একটি স্কুলে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হন। দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ওই স্কুলে চালানো এই হামলায় তারা প্রাণ হারান। হামলার শিকার এই স্কুলটিতেও বহু বাস্তুচ্যুত লোকেরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।