গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এ হামলার বেশিরভাগই আকাশপথে পরিচালিত হয়েছে। এ সময় হাজারবার বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের বসতি, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন, হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা ইত্যাদি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।
সম্প্রতি, কয়েকটি পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর হামাস ও ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
তবে হামাস জানিয়েছে, একটি শর্ত অবশ্যই পালন না করা হলে এ সমঝোতা আলোর মুখ দেখবে না। আর তা হলো গাজার ওপর দিয়ে বিমান চলাচল বন্ধ করতে হবে।
এ চুক্তি মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার জানিয়েছে, চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। তবে চুক্তিতে একটি বিশেষ শর্ত অত্যাবশ্যক করতে চায় ফিলিস্তিন। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যে কোনো যুদ্ধবিরতির জন্য গাজার ওপর দিয়ে বিমান চলাচল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে হামাস।
গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধবিমান ছাড়াও স্থল অভিযানের লক্ষ্যবস্তু ও হুমকি শনাক্তকরণ, আক্রমণ এবং নজরদারির জন্য অসংখ্য ড্রোন পরিচালনা করে আসছে। ফিলিস্তিনের এ শর্ত মানলে গাজায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। বিমান পরিচালনা ও ড্রোনের মাধ্যমে তারা জিম্মিদের মুক্তির ওপরও নজরদারি করে আসছে।
সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা হামাসের নেতা ইয়াহইয়া সিনওয়ারের বরাতে জানিয়েছে, গাজার ওপর সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ চায় হামাস। অন্যদিকে ওয়াইনেট জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দৈনিক ছয় ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ চায় হামাস।
অন্যদিকে এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতি ও কারাগারে বন্দি থাকা ৩০০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এ সময় ইসরায়েলের স্থল অভিযান বন্ধ থাকবে এবং দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলা সীমিত থাকবে। এসবের বিনিময়ে ৫০ থেকে ১০০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।
হামাসের কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশক আলজাজিরাকে বলেছেন, কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তির মধ্যে যুদ্ধবিরতি, গাজার সব এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ এবং আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয় থাকবে। জিম্মি ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তির বিষয় থাকবে বলেও জানান তিনি।
যুদ্ধবিরতি হামাস ইসরায়েল গাজা জিম্মি বিনিময় চুক্তি
মন্তব্য করুন
আগামী বছর ভারতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোরেশোরে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে বিজেপি সরকারকে। এ জন্য ব্যতিক্রমধর্মী প্রাচারণার পদ্ধতি বেছে নিয়েছে বিজেপি সরকার। যা নিয়ে শুরু হয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
মোদি সরকারের নির্দেশ, সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে সেলফি তোলার বুথ বানাতে হবে। সেখানে প্রধানমন্দ্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন ছবি থাকবে। শিক্ষার্থীদের মোদির সাথে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে হবে। শিক্ষক–শিক্ষার্থী–দর্শনার্থীদেরও এ কাজে উৎসাহিত করতে হবে।
ভারতের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কলেজের অধ্যক্ষদের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের থেকে ক্যাম্পাসে সেলফি বুথ বানানোর এমনই একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য গতকাল শুক্রবার কমিশনের পক্ষ থেকে উপাচার্য–অধ্যক্ষদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
উপাচার্য–অধ্যক্ষদের কাছে লেখা চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব মনীশ জোশি বলেন, তরুণ প্রজন্মের শক্তি ও উদ্দীপনাকে কাজে লাগানোর অনন্য সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তাঁদের মনকে উদ্দীপ্ত করে তুলতে হবে।
আগামী বছর ভারতে জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন নির্দেশনায় বিতর্ক ছড়িয়েছে। সমালোচকেরা মনে করছেন, নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসগুলোকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রচারের অনানুষ্ঠানিক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে ক্ষমতাসীন মোদি সরকার।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের নানান অর্জন রয়েছে। সেলফি বুথে থাকবে সেসবের আলোকচিত্রের প্রদর্শন। সেখানে তোলা সেলফি ভারতীয়দের সম্মিলিত গর্ববোধকে উত্সাহিত করবে। সেই সঙ্গে ভারতের অর্জন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হবে তরুণ প্রজন্ম।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সেলফি বুথে থ্রিডি ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শিক্ষা খাতের আন্তর্জাতিকীকরণ, স্মার্ট ভারত হ্যাকাথন, উচ্চশিক্ষায় ভারতের অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে বুথগুলো বানাতে হবে।
এ আগেও এ ধরণের প্রচারণার সাক্ষী হয়েছে ভারতবাসী। করোনা টিকার সনদের ওপর বা মেলায় মোদির ছবিসহ সেলফি বুথ স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রচারণা পদ্ধতি অবলম্বন করেছে দেশটির সরকার।
বিভিন্ন শিক্ষাবিদ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির ছবি এর আগেও নানাভাবে প্রচারে ব্যবহৃত হয়েছে। এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
আলোচিত জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষক বলেন, সেলফি বুথগুলো প্রচারের কৌশলকে উৎসাহ দেবে, বিতর্ক ছড়াবে এবং জনগণের সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ এনে দেবে।
ওই শিক্ষক আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো বহু মত লালনের জায়গা। সেলফি বুথ বানানোর ধারণা যদি শুধু একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির মত প্রচারের জায়গা হয়, তাহলে তা দীর্ঘ মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার পরিপন্থী হবে।
সমালোচকদের মতে, এ ধরনের প্রচার চালাতে সরকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে এমন স্থাপনা নির্মাণ করতে বলার কোনো আইনি কোনো বিধান নেই। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে খুব সূক্ষ্মভাবে একটা ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, আর তা হলো—ভারতের অভাবনীয় এসব অর্জনের পেছনে মাত্র একজন ব্যক্তির (মোদি) ভূমিকা রয়েছে।
ভারত ক্যাম্পাস মোদির ছবি সেলফি বুথ বিজেপি বিশ্ব সংবাদ
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি প্রথমবারের মতো মহাকাশে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। উৎক্ষেপণের পরপরই এই স্যাটেলাইট দিয়ে মার্কিন হোয়াইট হাউস, সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার ছবি তুলে নিয়ে আসে কিম জং উনের দেশ। এবার তারা জানিয়ে দিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইটে হস্তক্ষেপ করা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না। খবর রয়টার্সের।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তরের স্যাটেলাইট চলাচলে বাধা দেয় তাহলে মার্কিন গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের কার্যকারিতা বিনষ্ট করে পাল্টা জবাব দেবে উত্তর কোরিয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, অবৈধ ও অন্যায়ভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র যদি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের বৈধ সীমা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে তাহলে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে উত্তর কোরিয়া। অথবা মার্কিন গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের কার্যকারিতা ধ্বংস করে দেবে দেশটি।
গত ২১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। এরপর কেসিএনএ জানায়, তাদের উৎক্ষেপণ করা স্যাটেলাইট দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলসহ বেশ কয়েকটি শহর ও সেনাঘাঁটির ছবি পাঠিয়েছে। এ ছাড়া স্যাটেলাইট থেকে হোয়াইট হাউসসহ পেন্টাগনের ছবি পাঠানোর দাবি করেছে দেশটি। এসব ছবি পর্যালোচনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।
উত্তরের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞা মূলত সাইবার গ্রুপ কিমসুকির ওপর আরোপ করা হয়েছে। এ গ্রুপটিকে দেশটির কৌশলগত এবং পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের এ নিষেধাজ্ঞা অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে সমন্বয় করে আরোপ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
অনিয়ম এবং নৈতিকতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত রিপাবলিকান জর্জ সান্তোসের কংগ্রেস সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটে সদস্যপদ হারিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ভোটাভুটিতে হাউসে সান্তোসের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ চার নেতাসহ ১১২ জন সদস্য তাকে রাখার পক্ষে ভোট দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সান্তোসকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির ১০৫ জন সদস্য। এর সঙ্গে ডেমোক্রেটিক পার্টির ২০৬ ভোট মিলিয়ে প্রস্তাবের পক্ষে দুই–তৃতীয়াংশ ভোট পড়েছে।
এর আগে নিউইয়র্কের রিপাবলিকান নেতা সান্তোসকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩১১ জন সদস্য। আর প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১১৪ জন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ষষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হলেন সান্তোস।
আগেও একবার সান্তোসকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাবের ওপর প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয়েছিল। তবে সেবার ডেমোক্রেটিক পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি প্রতিনিধি পরিষদের নৈতিকতাবিষয়ক কমিটির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, সান্তোস নির্বাচনী প্রচারের জন্য সংগৃহীত তহবিলের অর্থ নিজের জন্য ব্যবহার করেছিলেন। সান্তোস কীভাবে ভ্রমণ, সৌন্দর্য বৃদ্ধির চিকিৎসা ও বিলাসী পণ্য কেনায় এসব অর্থ ব্যয় করেছিলেন, সেগুলো বিস্তারিত উঠে আসে এই প্রতিবেদনে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সান্তোষের সংকট বাড়ে। চাপের মুখে তিনি আর পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না বলে ঘোষণা দেন। তবে তাতে সন্তুষ্ট হননি কংগ্রেস সদস্যরা।
গত মে মাসে প্রতারণা,
সরকারি তহবিল তছরুপ, মুদ্রা পাচার এবং কংগ্রেসে মিথ্যা
বক্তব্য দেওয়াসহ ১৩টি অভিযোগে সান্তোসকে
অভিযুক্ত করেন আদালত। এরপর
অক্টোবরে তাঁর বিরুদ্ধে আরও
১০টি অভিযোগ তোলা হয় আদালতে।
এসব অভিযোগে আগামী বছর তাঁর বিচারপ্রক্রিয়া
শুরু হবে বলে ধারণা
করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র জর্জ সান্তোস কংগ্রেস
মন্তব্য করুন
যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই ফিলিস্তিনের গাজায় আবার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শেষ বেলা পর্যন্ত এই হামলা চালানো হয়। আল-জাজিরার খবরে গাজার স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তাদের বরাতে জানানো হয়েছে, হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার
স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি
হামলায় আহত হয়েছেন ৫৮৯
জন। কমপক্ষে ২০টি ঘরবাড়িতে হামলা
চালানো হয়েছে।
এদিকে
ইসরায়েলি হামলার জবাবে হামাস ও ইসলামিক জিহাদসহ
গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকা লক্ষ্য করে রকেট ও
মর্টার হামলা চালিয়েছে। এ সময় ইসরায়েলের
পাঁচ সেনা আহত হয়েছেন
বলে জানা গেছে।
গাজায়
গত ২৪ নভেম্বর শুরু
হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি
দুই দফা বাড়িয়ে সাত
দিন করা হয়। মেয়াদ
বাড়াতে আন্তর্জাতিক চাপ ও হামাসের
পক্ষ থেকে নতুন করে
প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাজি হয়নি
ইসরায়েল।
ইসরায়েল
সেনাবাহিনী গতকাল দাবি করেছে, ‘হামাস
যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেছে।
পাশাপাশি তারা ইসরায়েলি ভূখণ্ড
লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
পরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের
বিরুদ্ধে আবারও হামলা শুরু করেছে।’
তবে
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা শুরুর
জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস।
সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ নেতা খলিল আল-হায়া আল-জাজিরাকে
বলেন, জিম্মি মুক্তি নিয়ে সমঝোতায় তিনটি
প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস। তবে ইসরায়েল এতে
রাজি হয়নি।
গাজা
নগরীতে অবস্থানরত এএফপির একজন সাংবাদিক বলেন,
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে এখানে বেশ
কয়েকটি হামলা চালানো হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি ড্রোনের শব্দ পাওয়া গেছে।
গাজার
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, অবরুদ্ধ
এ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ১৫
হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত
হয়েছেন, যাঁদের ৭০ ভাগই নারী
ও শিশু। এ ছাড়া গাজার
২৩ লাখ বাসিন্দার ১৭
লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
গাজায়
ইসরায়েলের টানা ৪৭ দিনের
হামলার পর ২৪ নভেম্বর
প্রথম দফায় চার দিনের
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে
মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর
ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায়
মোট তিন দিন বাড়ানো
হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।
সর্বসাকল্যে
সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালে হামাস ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি
দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮০ জন ইসরায়েলি
নাগরিক ও অন্যরা বিদেশি।
বিনিময়ে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে
মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির
আওতায় ত্রাণবাহী গাড়িগুলোকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ঢুকতে
দিয়েছে।
অন্যদিকে, গাজায়
আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, এমন আশা
ব্যক্ত করে জাতিসংঘ মহাসচিব
আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘গাজায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু হওয়ায় আমি
অত্যন্ত মর্মাহত।’
আর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে মানবিক
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানোর
খবরই পছন্দ করব।’ একই সঙ্গে জিম্মি
রুশ নাগরিকদের মুক্তির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি হামলা
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতায় জড়িত উগ্র ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে বিষয়টি ইসরায়েলকে জানিয়ে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটনের দাবি ছিল ইসরায়েল যেন অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতায় জড়িত ইসরায়েলিদের বিচারের আওতায় আনে। তবে নেতানিয়াহু সরকার এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই এই নিষেধাজ্ঞা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আসতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক উপসম্পাদকীয়তে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বন্ধ না করলে ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন বাইডেন।
বাইডেন লেখেন, আমি ইসরায়েলের নেতাদের জোর দিয়েছি বলেছে যে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। যারা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ নিজস্ব পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও লেখেন, এটা অনেকটাই স্পষ্ট যে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয় জনগণের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হলো দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। এর আগেও ফিলিস্তিন ইস্যু সমাধানে বেশ কয়েকবার দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বলেছেন বাইডেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে সমান তালে হামলা করে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলি এসব হামলায় গাজায় ১৫ হাজারের বেশি এবং পশ্চিম তীরে কয়েকশ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আগামী বছর ভারতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোরেশোরে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে বিজেপি সরকারকে। এ জন্য ব্যতিক্রমধর্মী প্রাচারণার পদ্ধতি বেছে নিয়েছে বিজেপি সরকার। যা নিয়ে শুরু হয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা। মোদি সরকারের নির্দেশ, সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে সেলফি তোলার বুথ বানাতে হবে। সেখানে প্রধানমন্দ্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন ছবি থাকবে। শিক্ষার্থীদের মোদির সাথে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে হবে। শিক্ষক–শিক্ষার্থী–দর্শনার্থীদেরও এ কাজে উৎসাহিত করতে হবে।
সম্প্রতি প্রথমবারের মতো মহাকাশে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। উৎক্ষেপণের পরপরই এই স্যাটেলাইট দিয়ে মার্কিন হোয়াইট হাউস, সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার ছবি তুলে নিয়ে আসে কিম জং উনের দেশ। এবার তারা জানিয়ে দিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইটে হস্তক্ষেপ করা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না। খবর রয়টার্সের।
অনিয়ম এবং নৈতিকতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত রিপাবলিকান জর্জ সান্তোসের কংগ্রেস সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটে সদস্যপদ হারিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ভোটাভুটিতে হাউসে সান্তোসের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ চার নেতাসহ ১১২ জন সদস্য তাকে রাখার পক্ষে ভোট দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সান্তোসকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির ১০৫ জন সদস্য। এর সঙ্গে ডেমোক্রেটিক পার্টির ২০৬ ভোট মিলিয়ে প্রস্তাবের পক্ষে দুই–তৃতীয়াংশ ভোট পড়েছে।
যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই ফিলিস্তিনের গাজায় আবার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালেও এ হামলা শুরু হয়। আল-জাজিরার খবরে গাজার স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তাদের বরাতে জানানো হয়েছে, হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৫৮৯ জন। কমপক্ষে ২০টি ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের ওপর সহিংসতায় জড়িত উগ্র ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে বিষয়টি ইসরায়েলকে জানিয়ে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।