ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে কোন খাতে একশ একানব্বই লক্ষ কোটি টাকা খরচ করলো মার্কিনীরা

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

আমেরিকার ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘ, বিশৃঙ্খল ও অবমাননাকর হলো আফগান যুদ্ধ। তালেবান ও আল-কায়দার মত গোষ্ঠীগুলোকে নির্মূলের জন্য দেশটিতে ২০০১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় ২.২৬ ট্রিলিয়ন (একশ একানব্বই লক্ষ সাতানব্বই হাজার নয়শ নব্বই কোটি ছত্রিশ লক্ষ টাকা) ডলারের সামরিক ব্যয় করেছে মার্কিনীরা। যদিও তাদের এই বিশাল অংকের সামরিক ব্যয় আদতে কোন ফল বয়ে আনতে পারে নি আফগানিস্তান তথা বিশ্ববাসীর জন্য। আসলে এই ব্যয় কিংবা পেশি শক্তির খেলায় আমেরিকা পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ হিসেবে নিজ দেশের মানুষের করের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার শুধু নষ্ট করেছে মাত্র।

২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার পর তড়িৎ গতিতে আল-কায়েদা নির্মূলের নামে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে মার্কিন প্রশাসন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গত বিশ বছরে দেশটিতে আমেরিকান সরকারের প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলারের উপর খরচ হয়েছে, যা দৈনিক হিসেব করলে দাঁড়ায় প্রায় ৩০০ মিলিয়ন (দুই হাজার পাঁচশ আটচল্লিশ কোটি টাকা) মার্কিন ডলার। এই মোট ডলার যদি আফগানিস্তানের ৪০ মিলিয়ন মানুষকে দেয়া হয় তাহলে মাথাপিছু ৫০,০০০ হাজার (বিয়াল্লিশ লক্ষ টাকা) ডলার করে দেয়া যাবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের নামে আফগানিস্তানে জেফ বোজেস, ইলন মাস্ক, বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ-এর মত ৩০ জন সম্মিলিত আমেরিকান ধনীর মোট সম্পদের চেয়েও বেশি অর্থ খরচ করেছে।

আমেরিকার ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটিতে আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধ বাবদ প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। এছাড়া আফগান সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং প্রশিক্ষণ বাবদ খরচের পরিমাণ প্রায় ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাছাড়া আরেকটি মজার বিষয় হল, প্রতি বছর আফগান সেনাদের বেতন-ভাতা বাবদ আমেরিকান করদাতারা প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন (পাঁচ হাজার নয়শ ছিচল্লিশ কোটি আটাশ লক্ষ টাকা) ডলার খরচ করেছে।

প্রাণ হারানোর ক্ষেত্রে মার্কিনীদের আরো বেশি মূল্য চুকাতে হয়েছে গত ২০ বছরে। দেশটিতে চালানো আগ্রাসনে ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৫০০ জন ন্যাটো সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন যাদের মাঝে ২৩০০ জন মার্কিন সেনা। আরো ২০,৬৬০ জন মার্কিন সেনা এই যুদ্ধে আহত কিংবা গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মাঝে অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এছাড়াও এই যুদ্ধে ৪ হাজারের বেশি মার্কিন বেসামরিক কন্ট্রাক্টর নিহত হন। অপরদিকে অনুমানিক ৬৯ হাজার আফগান পুলিশ, ৪৭ হাজার বেসামরিক আফগান ও ৫১ হাজারের অধিক আমেরিকান বিরোধী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন সেনা সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার পরেও আরো অনেকটা সময় মার্কিন জনগণকে এই যুদ্ধের ব্যয়ভার বহন করতে হবে। এই যুদ্ধ পরিচালনা করতে বেশির ভাগ অর্থই মার্কিন প্রশাসন ধার নিয়ে পরিচালনা করে গেছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মার্কিন প্রশাসন ইতিমধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের সুদ পরিশোধ করেছে (২.২৬ ট্রিলিয়ন ডলারের অন্তর্ভুক্ত) এবং ২০৫০ সালের মাঝে এই ঋণের সুদ পরিশোধ করে যুদ্ধ ব্যয় গিয়ে দাঁড়াবে ৬.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মার্কিন জনগণের মাথাপিছু ঋণ ২০ হাজার ডলার।

আফগান যুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মাঝে। তখন দেশটিতে মার্কিন সেনা সদস্যর পরিমাণ ছিলো সবচেয়ে বেশি প্রায় ১ লক্ষ। এই সময়কালে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিশাল ব্যয়ভার বহন করতে হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরকে। তবে আস্তে আস্তে মার্কিন সেনা বহর কমিয়ে আনার ফলে ২০১৮ সালে এই ব্যয়ভার নেমে আসে বছরে ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

আমেরিকার সরকারী তথ্য থেকে জানা যায় যে, ২০০২ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে পুনর্গঠন কার্যক্রমের জন্য প্রায় ১৪৩.২৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। আফগান ন্যাশনাল আর্মি এবং পুলিশ বাহিনী সহ আফগান নিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তুলতেই অর্ধেকেরও বেশি (৮৮.৩২ বিলিয়ন ডলার) অর্থ ব্যয় হয় মার্কিনীদের। দেশটির সরকার ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা করে আমেরিকানরা। এছাড়া মাদক বিরোধী প্রচেষ্টা ও মানবিক সহায়তার জন্যও বেশ কিছু প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরে মার্কিন কংগ্রেসের আফগানিস্তানের পুনর্গঠন প্রচেষ্টার তত্ত্বাবধানের জন্য দায়িত্বে থাকা সংস্থার প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০০৯ সালের মে মাস থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আনুমানিক ১৯ বিলিয়ন ডলার দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনায় হারিয়ে গেছে।

এছাড়া আফগানিস্তানে মার্কিন প্রশাসন প্রতিরক্ষা দপ্তরের বাজেট, আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন ও রাজ্য বিভাগের যুদ্ধ বাজেট সংযোজন মিলিয়ে গত ২০ বছরে আরো ৮০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ খরচ করেছে।

বছরের পর বছর এই অর্থের বেশিরভাগ অপচয়, প্রতারণা এবং অপব্যবহারের জন্য নষ্ট হয়ে গেছে যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ তালেবানদের হাওয়ার বেগে কাবুলের ক্ষমতা দখল। মার্কিনদের আফগান যুদ্ধে ২.২৬ ট্রিলিয়ন (একশ একানব্বই লক্ষ সাতানব্বই হাজার নয়শ নব্বই কোটি ছত্রিশ লক্ষ টাকা) ডলারের সামরিক ব্যয় এক প্রকার প্রহসনে পরিণত করেছে তালেবানরা।


তালেবান   যুক্তরাষ্ট্র   আফগানিস্তান   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনে পশ্চিমাদের সব এফ-১৬ বিমান ধ্বংস করার হুমকি পুতিনের

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ন্যাটোর কোনো দেশ নিয়ে রাশিয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই এবং তারা পোল্যান্ড, বাল্টিক দেশগুলো বা চেক রিপাবলিকে আক্রমণ করবে না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেইনে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান পাঠালে রুশ বাহিনীগুলো তা গুলি করে ভূপাতিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

বুধবার রাশিয়ার স্থানীয় সময় রাতে দেশটির বিমান বাহিনীর পাইলটদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন প্রকাশিত ভাষণের অনুলিপি থেকে এমনটি জানা গেছে।

পুতিন বলেন, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো পূর্বে রাশিয়ার দিকে সম্প্রসারিত হয়েছে, কিন্তু কোনো ন্যাটো দেশে আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা মস্কোর নেই।

তিনি বলেন, এসব রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের কোনো আক্রমণাত্মক অভিপ্রায় নেই। আমরা আরও কিছু দেশে আক্রমণ করতে পারি- এমন ধারণায় পোল্যান্ড, বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোর বাসিন্দারা ও চেকরাও ভয়ে আছে, কিন্তু এসব সম্পূর্ণ বাজে কথা, অর্থহীন প্রলাপ।

ইউক্রেনকে অস্ত্র, অর্থ ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে বলে অভিযোগ ক্রেমলিনের। তারা বলছে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক সম্ভবত কখনই এতটা খারাপ ছিল না।

পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত এফ-১৬ জঙ্গি বিমান সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে পুতিন বলেন, এসব বিমান ইউক্রেনের পরিস্থিতি পাল্টাতে পারবে না। যদি তারা এফ-১৬ সরবরাহ করে আর তারা এ নিয়ে কথা বলছে, সম্ভবত পাইলটদেরও প্রশিক্ষণ দেবে; এগুলোতে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পাল্টাবে না। আজ যেমন আমরা ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান ও মাল্টিপল রকেট লঞ্চারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করছি তেমনি এসব আকাশযানগুলোও ধ্বংস করবো। এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পারমাণবিক অস্ত্র বহনও করতে পারে।

পুতিন বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের বিমানক্ষেত্র থেকে যদি এগুলোকে ব্যবহার করা হয় তাহলে অবশ্যই তারা আমাদের বৈধ লক্ষ্য হয়ে উঠবে, সেগুলো যেখানেই হোক না কেন।

বুধবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের চালান ইউক্রেনে পৌঁছতে পারে। তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান পুতিন।

ইউক্রেন দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সঙ্গে সর্বাত্মক এক যুদ্ধে লড়াই করছে। দেশটি অনেক দিন ধরেই পশ্চিমা দাতাদের কাছে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান চেয়ে আসছে। বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডস দেশটিকে এফ-১৬ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আর ন্যাটো জোটের অনেকগুলো দেশ ইউক্রেনীয় পাইলটদের এসব যুদ্ধবিমান ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেবে বলে জানিয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে প্রতিবেশী ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। এর ফলে ১৯৬২ সালের কিউবা মিসাইল সংকটের পর থেকে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে সংকট সবচেয়ে গভীর পর্যায়ে রয়েছে।
 

ইউক্রেন   পশ্চিমা   এফ-১৬ বিমান   ভ্লাদিমির পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিরস্ত্র দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা

প্রকাশ: ০৭:৫৫ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু দিন দিন হামলার ধরন নৃশংসতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনীর। ইসরায়েলি নৃশংশতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরীহ মানুষ থেকে শুরু করে শিশুরাও। 

কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার হাতে এসেছে এক এক্সক্লুসিভ ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে গুলি করে হত্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেন তারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এই ঘটনা ঘটে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। একপর্যায়ে তাদের একজনকে বারবার একটি সাদা কাপড় নাড়তে দেখা যায়। কোনো হুমকি সৃষ্টি না করা সত্ত্বেও ওই দু'জনকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার এনে লাশ দুটি বালুচাপা দেন তারা।

এদিকে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলছে, এই ঘটনা ইসরায়েলি ফ্যাসিবাদ ও অপরাধের মাত্রার আরও প্রমাণ হাজির করে। এটাই জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।

আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) বলেছে, গাজার সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে হত্যা এবং বুলডোজার দিয়ে লাশ দুটি বালুর নিচে চাপা দেয়ার ঘটনার অবশ্যই জাতিসংঘকে তদন্ত করতে হবে।


ফিলিস্তিন   হত্যা   বুলডোজার   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার সমুদ্র তীরে প্লট বুকিং দিচ্ছে ইসরায়েলিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৯ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলে বসতি স্থাপনকারীরা গাজার সমুদ্র উপকূলে প্লট কিনছে। তারা অবরুদ্ধ উপত্যাকাটিও গ্রাস করতে চাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে ড্যানিয়েলা ওয়েইসিস (৭৮) নামের ইসরাইলি এক নারী জানিয়েছেন, গাজায় বসতি স্থাপন করতে যাওয়া ৫০০ ব্যক্তির তালিকা তার কাছে আছে।

তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‌‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। 

২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজায় একতরফাভাবে বসতি স্থাপনকারীদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। তখন ২১টি বসতি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং বসতির প্রায় ৯ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইসরায়েলের সেনারা। এরপর থেকেই বসতি স্থাপনকারী আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই গাজায় ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করে আসছে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন ৩২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহদের সংখ্যাও লাখ ছোঁয়ার পথে। এদিকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অবরুদ্ধ উপত্যাকাটির ২০ লাখের মতো বাসিন্দা।


গাজা   সমুদ্র তীর   প্লট   বুকিং   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত, আহত ৭

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের রকফোর্ডের উত্তর ইলিনয়ে ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৭ জন।  এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

নিহতের পরিচয় জানা না গেলেও পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী তরুণী, ৬৩ বছর বয়সী এক নারী, ৪৯ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং ২২ বছর বয়সী একজন তরুণ রয়েছেন।

রকফোর্ড পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইউএসএটুডে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইলিনয়ে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন।  এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৭ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি। 

পুলিশ বলেছে, যে এলাকার বাসিন্দাদের ওপর হামলা হয়েছে, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ওই এলাকা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র   নিহত   আহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্ববাজারে আবারো বাড়লো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৭:৩৩ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।   

খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরও অর্থনৈতিক তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, এর ওপরই নির্ভর করে সুদের হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এর আগে ইউএস ট্রেজারি বন্ড ইল্ড নিম্নগামী হয়েছে। ফলে বুলিয়ন বাজার আরও চাঙা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে প্রায় ২১৯৫ ডলারে। গত ২২ মার্চ যা ছিল ২১৬৭ ডলার। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্যবান ধাতুটির দাম ঊর্ধ্বগামী হয়েছে ২৮ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০৭৪ টাকা।

বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান টেস্টিলাইভের বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান ইলিয়া স্পিভাক বলেন, সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। তবে বিশ্বব্যাপী এখনও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিদ্যমান। তাতে স্বর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মূল্য বাড়তি রয়েছে।   

গত সপ্তাহে ফেড সংকেত দেয়, ২০২৪ সালে তিনবার সুদের হার কমাতে পারে তারা। এরপর থেকেই প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার চাপে পড়েছে। একই সঙ্গে স্বর্ণের বিশ্ববাজারে ঔজ্জ্বলতা বেড়েছে।    


বিশ্ববাজার   স্বর্ণ   যুক্তরাষ্ট্র   মুদ্রা   ডলার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন