ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তালেবান কি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে পারবে?

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ৩১ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

দীর্ঘ ২০ বছর! ২০০১ সাল থেকে যাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের পরাশক্তি যুদ্ধ ঘোষণা করে সেই তালেবানরাই আবারো পুরো বীর দর্পে ২০২১ সালে এসে নিজ ভূমির দখল নিয়ে নিলো। অনেকটা লজ্জায় এখন কত দ্রুত দেশ ত্যাগ করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত মার্কিনী পরাশক্তি।

১৫ আগস্ট কাবুলের পরিবেশটা আর আট-দশ দিনের মতই হতে পারতো যদি না বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে গড়ে তোলা আফগান সামরিক বাহিনী বিনা বাঁধায় তালেবান যোদ্ধাদের হাতে রাজধানীর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে পলায়ন না করতো। কোন রক্তপাত ছাড়াই বিনা যুদ্ধে যখন রাজধানীর দখল নিচ্ছিলো তালেবান ঠিক তখন হেলিকপ্টার আর গাড়ি ভর্তি করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলো দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি, যা কিনা দেশটির সাধারণ মানুষের মাঝে তালেবানের প্রতি ভীতি আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে।

১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানরা সরকার পরিচালনা করে আফগানিস্তানে। আফগান ইতিহাসে অন্যতম ভয়ানক একটি অধ্যায় ছিলো এই পাঁচ বছর। শরিয়া আইনের কথা বলে তালেবান অত্যাচারের শিকার হয় হাজার হাজার মানুষ। বিশেষ করে নারীদের প্রতি তালেবানের অত্যাচার শুধু যে স্থানীয় নারীদের জন্যই আতঙ্কের ছিলো তা নয়, বিশ্ববাসীর কাছেও এক আতঙ্কের নাম। তালেবানরা এই পাঁচ বছর দেশটিতে নারীদের শিক্ষা, ঘরের বাহিরে বের হওয়া তো দূরের কথা তাদেরকে ঘরের ভিতর পর্যন্ত বোরখা পরে থাকতে বাধ্য করত। ছেলেদের ক্ষেত্রে দাঁড়ি না রাখলে ছিলো কঠোরতম শাস্তির বিধান। গান শোনা কিংবা গান শেখা, ছবি দেখা, বিভিন্ন বিনোদন ছিলো একেবারেই নিষিদ্ধ।

ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তাদের আয়ের অন্যতম উৎস ছিলো মাদক ব্যবসা। এমনকি ক্ষমতা ছাড়ার পর মার্কিন বাহিনীর সাথে যুদ্ধে অর্থের চালানে অন্যতম যোগান আসতো এই মাদক থেকেই। যদিও মার্কিন বাহিনী পপি (কোকেন বানানোর ফুল) চাষিদের বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেছে এই খাত থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার জন্য কিন্তু দিন শেষে তালেবানের ভয়ে অনেকেই পপি উৎপাদন থেকে সরে আসতে পারেনি। যদিও এখন ক্ষমতা গ্রহণের পর তারা পপির উৎপাদন বন্ধের কথা বললেও কতটা আদৌ বন্ধ হবে কিনা তা সময়-ই বলে দিবে।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির না পাওয়ার পিছনে:


১. আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া কিংবা দেরি হওয়ার পেছনে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অন্তরায় হিসেবে ধরা দিবে তার মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নারী শিক্ষা।
২. সমন্বিত সরকার ব্যবস্থা গঠন না করতে পারলে।
৩. মাদক ব্যবসা থেকে অর্থ উপার্জন অব্যাহত থাকলে।
৪. বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী গুলোকে প্রশ্রয় এবং পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া।
৫. সাবেক সরকারের বিভিন্ন আমলা কিংবা সেনা সদস্য, সরকারী লোক ও পশ্চিমাদের সহযোগিতাকারি দো’ভাষীদের ওপর অত্যাচার অব্যাহত থাকলে।

এই বিষয় গুলো তালেবানকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে ফেলেছে। যদিও তারা বারবার বলে আসছে যে, তারা আর পুরনো তালেবান নয়। তবুও তাদের আচরণের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে সমগ্র বিশ্ব।

তালেবানকে আজকের এই পর্যায়ে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে যে দেশটি সবচেয়ে নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে তা হচ্ছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে পশ্চিমা বিশ্ব এবং পাকিস্তানের চিরশত্রু ভারত বারবার পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসলেও দেশটি কোন সময় এই বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেনি। তালেবানরা গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী দখলে নেওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-ই সবার আগে তালেবান ও আফগানিস্তানের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আফগানিস্তানের জনগণ আজ দাসত্বের শিকল ভেঙ্গেছে। তার এমন মন্তব্যর পর তালেবানের প্রতি পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর পরোক্ষ সমর্থনের বিষয়টি সবার কাছে সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরেই তালেবানের একটি প্রতিনিধি দল ও তালেবান বিরোধী একটি জোট পাকিস্তানে এসে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ কোরেশীর সাথে দেখা করেছে, যাতে আফগানিস্তানে একটি সমন্বিত সরকার ব্যবস্থা গঠনে পাকিস্তানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকে।

এছাড়া তালেবানের সাথে সাবেক আফগান সরকারের মীমাংসার জন্য কাতারের রাজধানী দোহায় যে আন্তর্জাতিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিলো সেখানেও তালেবানের উপর পাকিস্তানের প্রভাবের কথা সুস্পষ্টভাবে উঠে আসে।

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী যদিও তালেবানের বিজয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কিন্তু তার সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় তালেবানকে স্বীকৃতির বিষয়ে দেশটি তার আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত জানাবে। এটি তালেবানের জন্য এক বিশাল ধাক্কা বলা চলে। কারণ, ১৯৯৬ সালে যে তিনটি দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছিলো তার একটি ছিলো পাকিস্তান এবং দেশটি সবার আগে তালেবানকে স্বীকৃতি প্রদান করে। তবে এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন বলেই মনে হচ্ছে।

তাছাড়া তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুরোপুরি ভাবে গ্রহণের পর মাত্র তিনটি দেশ- রাশিয়া, পাকিস্তান ও চীন দেশটিতে তাদের দূতাবাস চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। পাকিস্তানের মতো বাকি দুটো দেশ চীন ও রাশিয়াও এখন পর্যন্ত তালেবানকে সম্পূর্ণ স্বীকৃতির বিষয়ে এখনো একমত হতে পারেনি।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া এখনও তালেবান গোষ্ঠীকে স্বীকৃতি বা এই গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসেনি। তালেবান আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে কতটুকু সক্ষম তা দেখার পরই কেবল তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

এছাড়া তালেবানের প্রতিনিধি দল আফগান ক্ষমতা দখলের কিছুদিন আগে চীন ভ্রমণে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। সেখানে চীনের পূর্ণ সমর্থন আদায়ে তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয় উইঘুরদেরকে তালেবানের পক্ষ থেকে কোন রকমের সমর্থন জানানো হবে না।
তাছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তালেবানদের সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও এখনি কোন রকমের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানে আগ্রহ নয় তারা।

কিভাবে তালেবানের পক্ষে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া সম্ভব:

তালেবানই শাসনের ভয়াবহ পাঁচ বছরের কথা এত সহজে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। আর এই কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তালেবানের মিষ্টি কথায় এবার এত তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করবে না, এটা খুব স্বাভাবিক। তালেবানকে নিজেদের কিছু বিষয় দিয়ে খুব দ্রুত প্রমাণ করতে হবে যে তারা আর আগের মত অবস্থায় নেই। তারা এখন অনেক বেশি শৃঙ্খল এবং দেশ পরিচালনায় যোগ্য। তবে যে বিষয়গুলোকে সবার আগে পরিষ্কার করতে হবে তা হল-
১. নারীদের প্রতি নমনীয়তা। তাদের সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং পুরুষের সাথে শরিয়া মোতাবেক-ই কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
২. আরেকটি বেশ ভয়াবহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠী গুলোকে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না দেওয়া। 
৩. মাদক ব্যবসায় লাগাম টেনে ধরা এবং
৪. একটি সমন্বিত সরকার ব্যবস্থা গঠন করা।

এই বিষয়গুলোর প্রতি তালেবানদের জোরের উপর নির্ভর করছে তালেবানের পক্ষে কত দ্রুত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করা সম্ভব। দেশটির ৩ কোটি ৬০ লাখ জনগোষ্ঠীর মাঝে থাকা পশতুন, তাজিক, হাজারা, উজবেক, আইমাক, তুর্কমেন, বালুচ, পাশাই, নুরস্তিনি, গুজ্জর, আরব, ব্রাহুই, কিজিলবাশ, পামিরি, কিরগিজ, সাদাত মত জনগোষ্ঠী নিয়ে যদি তালেবান একটি সমন্বিত সরকার ব্যবস্থা গঠন করতে সক্ষম হয় তবে ধরেই নেওয়া যায় দেশটিতে চলে আসা এত দিনের যুদ্ধ অবস্থার কিছুটা উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।

এক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকা হবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তালেবানকে ক্ষমতায় বসাতে দেশটি বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করলেও এখন তাদের উপর দেশটিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্যও বেশ কষ্ট পোহাতে হবে তা আর বলে না দিলেও চলবে। কারণ আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার সাথে পাকিস্তানের স্থিতিশীলতাও অনেকাংশে নির্ভরশীল। 

বেজিন-সাদ্দাত সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সামরিক বিশেষজ্ঞ ড. ইয়াদো হেখট বলেন, তালেবানকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া দেশ হতে পারে চীন ও পাকিস্তান। কারণ আফগানিস্তানের সঙ্গে তাদের সীমান্ত রয়েছে এবং সরাসরি প্রভাবিত হবে।

হেখট আরও বলেন, অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে আমি মনে করি বিষয়টি তালেবানের আচরণের ওপর নির্ভর করছে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় ও অনানুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পার্থক্য রয়েছে। তালেবান যদি স্থিতিশীল শাসন জারি করতে পারে তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে অনাগ্রহী দেশগুলো নিজেদের স্বার্থে অনানুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পথে হাঁটতে পারে।


তালেবান   যুক্তরাষ্ট্র   আফগানিস্তান   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরব আমিরাতে ফের বৃষ্টির আভাস

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সংযুক্ত আরব আমিরাতে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের পর চলছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তবে এর মাঝে আবার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দেশটিতে এই সপ্তাহে আবার বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজির (এনসিএম) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৩ এপ্রিল আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যা কিছু কিছু এলাকায় তীব্র হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এনসিএম বলেছে, উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ এলাকায়, কুয়াশা বা কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাস হালকা থেকে মাঝারি হবে। উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হবে। গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে, মাঝে মাঝে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাবে।

এদিকে শনিবার আবহাওয়া আর্দ্র থাকবে। বিশেষ করে উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ এলাকায় মেঘ এবং কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। বিকেল নাগাদ আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে পরিষ্কার হবে। এছাড়া পাহাড়ি এলাকায় মেঘলা পরিবেশ এবং হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানানো হয় আবহাওয়া বার্তায়।

বলা হচ্ছে, দেশটিতে এক বছরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয় তা একদিনে (১৬ এপ্রিল) হয়েছে। এতে বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। রাস্তায় এতই পানি জমে যায় যে অনেক গাড়ি ভাসা শুরু করে। এছাড়া পানির লেভেল বাড়ার কারণে অনেকে গাড়ির ভেতর আটকা পড়ে যান। তেমনই একটি গাড়ির ভেতর আটকে দুই ফিলিপিনোর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

বন্যা ও বৃষ্টির কারণে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যদিও বৃহস্পতিবার থেকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়া শুরু করেছে।

আমিরাত মূলত একটি শুষ্ক অঞ্চল। ফলে এখানে বৃষ্টিপাত কম হয়। কিন্তু এ সপ্তাহে যে পরিমাণ বৃষ্টি ঝরেছে তার সঙ্গে সেখানকার মানুষ পরিচিত নয়।


আরব আমিরাত   বৃষ্টির আভাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরাকে ইরানপন্থী মিলিশিয়া বাহিনীর ঘাঁটিতে বিমান হামলা

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে এবার হামলা হলো ইরাকের রাষ্ট্রায়ত্ত প্যারা মিলিশিয়া বাহিনীর ওপর। পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস নামে ওই প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী ইরানের মদদপুষ্ট এবং প্রধানত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে গঠিত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কালসো নামের একটি সেনাঘাঁটিতে অবস্থানরত পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের সেনাদের ওপর আকাশ থেকে বোমা হামলা হয়। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গভীর রাতে সেখানে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বিমান থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে। এতে পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেসের এক সেনা নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হিলা শহরের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস বলেছে, 'বিস্ফোরণে বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।' তবে ওই বিবৃতিতে হতাহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।  

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্র জানিয়েছে, কারা এই বিমান হামলার জন্য দায়ী তা জানা যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে। ইরাকে অবস্থানরত এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, 'ইরাকে কোনো মার্কিন সামরিক তৎপরতা ছিল না।'


ইরাক   মিলিশিয়া বাহিনী   বিমান হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ওমরাহকারীদের ফেরার তারিখ জানালো সৌদি

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৬ জুনের মধ্যে বাইরে থেকে আসা সকল ওমরাহকারীকে সৌদি আরব ছাড়তে হবে বলে জানিয়েছে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। ওইদিন আরবি বর্ষপঞ্জিকার ১১তম মাস জিলকদের ২৯তম দিন থাকবে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, সৌদি আরব ওমরাহর জন্য যে ভিসা দিয়ে থাকে সেটির মেয়াদ থাকে ৯০ দিন। যাদের কাছে ওমরাহর ভিসা আছে তারা আগামী ১৫ জিলকদ পর্যন্ত সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পবিত্র হজের প্রস্তুতি শুরুর অংশ হিসেবে ওমরাহকারীদের সৌদি আরব ছাড়ার তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

দেশটি জানিয়েছে, ভিসা যেদিন ইস্যু করা হয় সেদিন থেকে ৯০ দিনের হিসাব শুরু হয়। যদিও অনেকে মনে করেন যেদিন সৌদিতে প্রবেশ করবেন সেদিন থেকে ভিসার মেয়াদ শুরু হয়। তাদের এ ধারণাটি ভুল। এছাড়া ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৯০ দিনের বেশি কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না। এই ভিসা অন্য ভিসা হিসেবেও পরিবর্তন করা হবে না।

জিলক্বদ মাসের পরের মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে হজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৩ তারিখ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মুসলমান হজ করার জন্য সৌদিতে সমবেত হন।

হজযাত্রীদের একটা বড় অংশ আসা শুরু করেন জিলক্বদ মাস থেকে। হজের সময় যেন হজ যাত্রীরা নির্বিঘ্নে মক্কা ও মদিনায় পৌঁছাতে পারেন এবং সেখানে অবস্থান করতে পারেন সেজন্য ওমরাহকারীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সৌদি ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


সৌদি আরব   ভিসা   হজ   জিলক্বদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রবাসী শ্রমিকদের সুখবর দিল কুয়েত

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য সুখবর দিল কুয়েত।  শ্রমিক সংকট দূরীকরণ এবং শ্রমিক নিয়োগের খরচ কমাতে বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে দেশটি। 

কুয়েতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কুয়েতের শ্রম বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে আগের পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন নিয়ম কার্যকর হবে আগামী ১ জুন থেকে।

আগের নিয়ম অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নিয়োগ দিত, বিদেশ থেকে তারা যদি কোনো শ্রমিক আনতে চাইত তাহলে কুয়েতে থাকা শ্রমিকদের মধ্য থেকেই শ্রমিক নেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। এছাড়া চাহিদার একটি নির্দিষ্ট অংশে শুধু নতুন বিদেশি শ্রমিক নিতে পারত।

এতে শ্রম ব্যয় অনেক বেড়ে যায় দেশটিতে। যার প্রভাব পড়ে ভোক্তা পর্যায়েও। এমন পরিস্থিতিতে শ্রম ব্যয় এবং শ্রমিক সংকট কমাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার।


প্রবাসী   শ্রমিক   কুয়েত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: প্রথম দফায় ভোট দিলেন ৬০ শতাংশ ভোটার

প্রকাশ: ০৮:৩৩ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দেশটির লোকসভার ৫৪৩টি আসনে মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি ও সিকিমের বিধানসভার ৩২টি আসনে ভোট হয়।

এদিন এসব অঞ্চলের ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তবে মণিপুর ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। এদিকে প্রথম দফার নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। 


লোকসভা নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন