নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৬ এএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২১
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার উপনির্বাচনে জয় পেয়ে বেশ কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার আবারও পাকাপোক্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতার ভাগীদার হতে বিজেপি থেকে অনেক নেতাই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে, এমনকি যারা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির ডেরায় ভিড়েছিল তারাও ফিরছেন প্রাক্তন টিএমসি শিবিরে। এক সময় মমতার পর তৃণমূলের সব চেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। পরে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে, কিছুদিন আগে তিনিও পুত্রসহ আবার তৃণমূলে ফিরেছেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া সব্যসাচী দত্তর আবারও তৃণমূলে ফেরার আভাসও পাওয়া যাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে মনে হতেই পারে, মমতা বুঝি ভাঙছেন বিজেপির ঘর। তবে একটু গভীরভাবে লক্ষ্য কেরলে দেখা যাবে এ দৃশ্য কেবল পশ্চিমবঙ্গের জন্যই প্রযোজ্য। অন্য রাজ্যগুলোতে বিজেপি নয়, মূলত কংগ্রেসকে ভাঙছে তৃণমূল। আসামের বাঙালি–অধ্যুষিত তিন জেলায় কংগ্রেসের প্রধান মুখ সুস্মিতা দেব ছিলেন জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের মহিলা সংগঠনের প্রধান। তাঁকে তৃণমূল শুধু নিয়েই আসেনি, রাজ্যসভাতেও পাঠিয়েছে। সুস্মিতার সঙ্গে বেশ কিছু সংগঠকও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রায় পুরো নেতৃত্বটাই কংগ্রেস থেকে এসেছে।
পশ্চিম ভারতের গোয়ায় কংগ্রেসের দুবারের মুখ্যমন্ত্রী (মেয়াদ পূর্ণ করেননি) লুইজিনহো ফেলেইরো ও তাঁর সঙ্গী–সাথিদের দলে নিয়েছে তৃণমূল। আগামী নির্বাচনে গোয়ায় কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনাও আছে। সেখানে কংগ্রেসকে ভেঙে দেওয়ার অর্থ বিজেপিবিরোধী ভোট ভাগ করে দেওয়া। এতে লাভ বিজেপিরই।
তবে কংগ্রেস ভাঙার দায় যে কেবল মমতার একার তা কিন্তু নয়, বরং কংগ্রেস ভাঙার জন্য কংগ্রেসের নেতারা প্রধান ভূমিকা পালন করছে। অনেক রাজ্যেই কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দল চরমে। রাজস্থান কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটের সঙ্গে রাজ্যটির আরেক নেতা শচীন পাইলটের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব চলছে। পাঞ্জাবে দল ছেড়ে দিয়েছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায় রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য থেকে। উত্তর প্রদেশে কৃষক হত্যার পর তৃণমূলসহ অন্যান্য দলকে বিজেপি সরকার কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে দিলেও কংগ্রেসকে বাধা দিয়েছে। এমনকি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে গ্রেফতারের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
তবে কংগ্রেস-তৃণমূল রেষারেষিতে আখেরে লাভ যে বিজেপির হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে ভারতের রাজনীতির মাঠে। কংগ্রেস এখনো ভারতে ২৮টির মধ্যে অন্তত অর্ধেক রাজ্যে ক্ষমতাসীন বা প্রধান বিরোধী দল। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে ভেঙে বিজেপির আবারও ক্ষমতায় যাবার রাস্তা পাকাপোক্ত করছেন এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে রাহুল গান্ধীর এখনো কোনো বড় রাজনৈতিক সাফল্য নেই। অথচ মমতা ৩৪ বছরের কমিউনিস্ট সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। দুবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়েছেন। তাই সবার কাছেই দিনকে দিন মমতার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। স্থানীয় রাজনীতি থেকে বেড়িয়ে ধীরে ধীরে মমতা প্রবেশ করছেন জাতীয় রাজনীতিতে। মমতার এবারের নির্বাচনের স্লোগান ‘খেলা হবে” জাতীয় রাজনীতিতে খেলতে নামছেন দিদি, এমনটাই ধারনা সবার।
ভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপি ও কংগ্রেসের পরে তৃতীয় স্থানে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মমতাকে ভারতের মসনদে বসতে হলে আগে কংগ্রেনসকে সরাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার মতো জাতীয় পর্যায়ে তাই মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি নয়, কংগ্রেস। তাই কংগ্রেসকে সরাতে মমতার বিজেপির সাথে হাত মেলানো তার রাজনৈতিক কৌশলে হিসেবেই দেখছেন সবাই। আর তা সত্যি হলে, মমতার এই উত্থানে আপাতত যে বিজেপিই লাভবান হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘পিঙ্ক মুন’ বা ‘গোলাপি চাঁদ’ নামে ডাকা হয়। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতের আকাশে এই চাঁদের দেখা মিলবে। এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই চাঁদ দেখা যাবে।
এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের আরও নাম রয়েছে। যেমন- ‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ), ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে পূর্ণ গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে। অন্যদিকে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝবরাবর অবস্থান করে, তখনই পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়। তবে নাম গোলাপি হলেও এপ্রিলের এই পূর্ণ চাঁদের রং কিন্তু পুরোপুরি গোলাপি নয়। কোথাও কোথাও কমলা রঙেও চাঁদটি দেখা যেতে পারে। রাত বাড়ার একপর্যায়ে চাঁদটি উজ্জ্বল সাদা রং ধারণ করবে। এছাড়া ধোঁয়াসহ আবহাওয়াগত নানা কারণে এই চাঁদ চোখে গোলাপি রঙে দেখা দেবে না। সাধারণত সোনালি রঙেই তা দেখা যাবে।
বিশ্বজুড়ে পূর্ণিমার চাঁদের বিভিন্ন নাম রয়েছে। আর এসব নাম এসেছে বিভিন্ন ঋতু, ঐতিহাসিক ফসল, এমনকি কোনো প্রাণীর বিচিত্র আচরণ থেকে। গোলাপি চাঁদ নাম এসেছে আমেরিকা অঞ্চলে বসন্তের শুরুতে ফোটা একটি বুনো ফুল থেকে।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন।
এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুকেশের এই জয়ের পরই গুজরাট রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সি.আর পাতিল তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রবিবার এই কেন্দ্রে মুকেশের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রিটার্নিং অফিসার সৌরভ পারধি। কারণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিন প্রস্তাবকের কেউই নির্বাচনী কর্মকর্তার সামনে উপস্থিত ছিলেন না ফলে প্রার্থীর সমর্থনে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষরও করতে পারেননি। পরবর্তীতে সুরাত কেন্দ্রে নীলেশের পরিবর্তিত প্রার্থী হিসেবে সুরেশ পাডশালাকে মনোনয়ন দেয় কংগ্রেস। কিন্তু তার মনোনয়নপত্রও অবৈধ বলে গণ্য হয়। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দান থেকে বেরিয়ে যায় কংগ্রেস।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন। এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়।