সময় ১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর। স্বাধীন রাজ্য কাশ্মীরের দখল নেওয়ার জন্য মেজর জেনারেল আকবর খানের নেতৃত্বে ‘অপারেশন গুলমার্গ’ নামে নৃশংস অভিযান পরিচালনা করে পাকিস্তান। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে উপজাতীয় জঙ্গিদের সেই আগ্রাসনের সময় হানাদারদের কাশ্মীরের লাখ লাখ হিন্দু-মুসলিম-শিখ রুখে দাঁড়িয়েছিল। হত্যা-ধর্ষণ আর বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছিল। বিসর্জন দিয়েছিল জানমাল। জীবন দিয়ে যারা সেই আগ্রাসন ব্যর্থ করে দেয়, তাদের স্মরণে কালো দিবস পালিত হয় কাশ্মীরে।
১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ যখন স্বাধীনতা লাভ করে তখন কাশ্মীরের মহারাজা ছিলেন হরি সিং। তিনি কাশ্মীরকে একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ২০-২১ অক্টোবরে, প্রায় ২০,০০০ উপজাতি মুজফফরাবাদ এবং অ্যাবোটাবাদ (বর্তমান, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর) -কে সংযুক্ত করা হাজারা সড়কের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নীলম নদীর উপর থাকা সেতু দখল করে এবং ২১ অক্টোবরের মধ্যে মুজাফফরাবাদ প্রথম প্রধান শহর দখল করে নেয়। প্রথমে তারা মুজাফফরাবাদে রাষ্ট্রীয় অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করেছিল, বাজারে আগুন ধরিয়েছিল এবং লুটপাট চালিয়েছিল।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে, একজন প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয় যে, সেই সময় যেন ধ্বংসযজ্ঞের ছবি এঁকেছিল তারা। রাস্তাঘাট ভাঙা, ভবন এবং আসবাবপত্র, পোড়া জিনিসপত্রের ছাই এবং মৃতদেহ দিয়ে ভরে গিয়েছিল। নদীতে শত শত "লাশ ভাসছিল।" হানাদাররা তারপর উরি এবং বারামুল্লায় নেমে যায় যেখানে মৃত্যু এবং ধ্বংসের আরেকটি পর্ব চালানো হয়। বারামুল্লায় এই ঘটনা অনেকেই মনে রেখেছেন। বারামুল্লায় হাসপাতাল ও চার্চকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে পাকিস্তানি বাহিনী। ৩৫০ জন স্থানীয় হিন্দুকে একটি ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। বারামুলা আক্রান্তের ২৪ ঘণ্টা পরই ভারতীয় সেনা পৌঁছায় শহরে। কিন্তু তার আগেই শহরটির ১৪ হাজারের জনবসতি কমে দাঁড়ায় ১ হাজারে। পাকিস্তানি হানাদাররা শহরটাকেই জনমানবশূন্য করে তোলে।
এপির ফটোগ্রাফার ম্যাক্স ডসপটের বর্ণনা অনুযায়ী, ২ নভেম্বর ২০টির বেশি গ্রাম তিনি জ্বলতে দেখেছেন। বারামুলা থেকে ২০ মাইল দূরে শ্রীনগরে বসেও সেই ভয়ঙ্কর আগুন দেখা গেছে। হানাদাররা ব্যাপক সন্ত্রাস ও ধ্বংসপ্রক্রিয়া চালাতে চালাতেই শ্রীনগরের উদ্দেশে অগ্রসর হতে থাকে। আক্রমণকারীদের হাতে প্রাণ হারানো শহরের মানুষ ছাড়াও ৪ জন ইউরোপীয় নাগরিকও মারা গিয়েছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ আর্মি অফিসার কর্নেল ডিক এবং তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীকেও কাশ্মীর দখল করার জন্য উন্মাদ জঙ্গিদের হাতে হত্যা করা হয়েছিল। ইসলামাবাদের নির্দেশে হানাদাররা শ্রীনগরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা বিশাল সন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। লন্ডনের ডেইলি এক্সপ্রেস পত্রিকার সিডনি স্মিথ ক্রাশের পরে ১০ দিনের জন্য বারামুল্লা হাসপাতালে ছিলেন। তিনি পাকিস্তানি আগ্রাসনকারীদের সম্পর্কে প্রতিবেদনে ধ্বংসের চিত্রও এঁকেছিলেন লিখেছিলেন, পাহাড়ের চূড়া থেকে গুলি চালানোর সাথে সাথে তারা সমতলের দিকে এগিয়ে এল।
পাকিস্তানি বর্বরতার কারণে হিন্দু ও শিখরা পালাতে বাধ্য হয়েছিল। তারপরে তাদের বাড়িঘর লুট করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় সকল মহিলা অপহরণ বা ধর্ষণ করা হয়। প্রথমে আক্রমণকারীরা মুসলমানদের সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা করেছিল। তবে দু-একদিন পরেই মুসলমানদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অত্যাচার শুরু হয়েছিল। সমস্ত হিন্দু-মুসলিম-শিখ সম্প্রদায়ের লোকেরা উপজাতিদের দ্বারা আক্রমণ করা হয়েছিল। তাদের সামনে যারা এসেছিল তাদের তিনি হত্যা করলো। কোনও শিশু, বৃদ্ধ মানুষ বা মহিলাকে বাঁচানো হয়নি। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রত্যেক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে বলা যেতে পারে। অভিযানকারীরা সোনা-রূপা থেকে শুরু করে কাপড় পর্যন্ত সব লুট করে নিয়ে যায়। বারমুলার উজির-ই-ওয়াজত চৌধুরী ফয়জুল্লাহর বক্তব্য অনুসারে হামলাকারীরা ৩০ থেকে ৪০ জনের দলে হামলা করত। পনেরো হাজার হানাদার একই সাথে ধ্বংস প্রক্রিয়াতে নিযুক্ত হয়েছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনী শ্রীনগরে অবতরণ করার আগে হানাদার বাহিনী ও উপজাতিদের আক্রমণে প্রতিটি জীবন্ত প্রাণীসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল। তবে, বারামুল্লায় তারা অমানবিকতার সমস্ত নীতি অতিক্রম করেছিল। বারামুল্লা চার দিন ধরে লুট করা হয়েছিল। সেদিন থেকেই মূলত প্রথম ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল আকবর খান, যিনি এই হামলার পরিচালনা করেছিলেন, পরে করাচিতে প্রকাশিত `রেইডারস ইন কাশ্মীর` বইয়ে তার কৃতিত্বের বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
জেনারেল আকবর খান ছাড়াও ‘অপারেশন গুলমার্গের’ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী শওকত হায়াত খান। রাষ্ট্রীয়ভাবে সে সময় আক্রমণের তারিখ হিসেবে ১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবরকে বেছে নেয়। শওকত খান তার ‘দ্য নেশন দ্যাট লস্ট ইট সোল’ বইয়ে স্বীকার করেছেন যে তাকে কাশ্মীর অভিযানের তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করা হয়েছিল।
হানাদাররা যখন মিরপুর, মুজাফফরাবাদ, উরি এবং বারামুল্লা দখল করে নেয় তখন শ্রীনগরের আসন্ন পতন অবশ্যম্ভাবী দেখাচ্ছিল। আসন্ন বিপদ বুঝতে পেরে ২৪ অক্টোবর, মহারাজা হরি সিং আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য ভারতের কাছে সামরিক সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। তিনি শ্রীনগর হারানোর ভয় পেয়েছিলেন। ২৫ অক্টোবর মাউন্টব্যাটেনের নেতৃত্বে ভারতের প্রতিরক্ষা কমিটির বৈঠকে তার অনুরোধ বিবেচনা করা হয়েছিল এবং এতে জওহরলাল নেহেরু, সর্দার প্যাটেল, বলদেব সিং, বিনা পোর্টফোলিও মন্ত্রী গোপালস্বামী আয়ঙ্গার এবং সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর ব্রিটিশ কমান্ডার-ইন-চিফ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে.কে. নন্দার বই `ওয়ার উইথ নো লাভ`-এ এই বৈঠক নিয়ে সিদ্ধান্তের কথায় উল্লেখ আছে, “সবচেয়ে তাৎক্ষণিক প্রয়োজন হল কাশ্মীর সরকারের অনুরোধ বিবেচনা করা এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ ও সেনা দিয়ে সহযোগিতার জন্য ছুটে যাওয়া। যা শ্রীনগরের স্থানীয় জনগণকে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কিছু প্রতিরক্ষা করতে সক্ষম করবে।"
প্রতিরক্ষা কমিটি ভি.পি. মেনন, সেক্রেটারি, রাজ্য মন্ত্রণালয়কে শ্রীনগরে পাঠায় একই দিনে "অন-দ্য-স্পট স্টাডি" করার জন্য। তিনি পরের দিন নয়াদিল্লিতে ফিরে আসেন, এবং কাশ্মীরে সেনা পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, "কাশ্মীরকে আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয়তা" নির্দেশ করে।
অধিগ্রহণের পর, ভারত লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেওয়ান রঞ্জিত রাইয়ের নেতৃত্বে সৈন্য ও সরঞ্জাম শ্রীনগরে পাঠায়। যেখানে তারা কাশ্মীরি বাহিনীকে শক্তিশালী করেছিল, প্রতিরক্ষা পরিধি স্থাপন করেছিল এবং শহরের উপকণ্ঠে (শালতেং) আক্রমণকারীদের পরাজিত করেছিল। বিমানবন্দরের কাছাকাছি বুদগামেও যুদ্ধ হয়েছিল। ৮ই নভেম্বরের মধ্যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী শ্রীনগর, ৯ই নভেম্বর বারামুল্লা এবং ১৩ নভেম্বরের মধ্যে উরি দখল করে নেয়। কাশ্মীর অঞ্চলে সহিংসতার চক্র শুরু হয়েছিল মুসলিম, শিখ এবং হিন্দু সহ হাজার হাজার কাশ্মীরিকে হত্যা করে। হাজার হাজার হিন্দু, শিখ নারী এই হামলার পর এখনও নিখোঁজ।
উপত্যকায় সহিংসতা ও সন্ত্রাসকে উস্কে দেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবং এর ভূমিকার প্রতিবাদে ভারত প্রতি বছর ২২ অক্টোবরকে `কালো দিবস` হিসেবে পালন করে। ২২ অক্টোবর, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী লুণ্ঠন এবং হিংস্রতা ‘জে এন্ড কে’-র মানুষকে হতবাক করে দেয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধারে আসে এবং হানাদারদের পিছনে ঠেলে দেয়।
মন্তব্য করুন
ইউক্রেন পশ্চিমা এফ-১৬ বিমান ভ্লাদিমির পুতিন
মন্তব্য করুন
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু দিন দিন হামলার ধরন নৃশংসতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনীর। ইসরায়েলি নৃশংশতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরীহ মানুষ থেকে শুরু করে শিশুরাও।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার হাতে এসেছে এক এক্সক্লুসিভ ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে গুলি করে হত্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেন তারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এই ঘটনা ঘটে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। একপর্যায়ে তাদের একজনকে বারবার একটি সাদা কাপড় নাড়তে দেখা যায়। কোনো হুমকি সৃষ্টি না করা সত্ত্বেও ওই দু'জনকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার এনে লাশ দুটি বালুচাপা দেন তারা।
এদিকে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলছে, এই ঘটনা ইসরায়েলি ফ্যাসিবাদ ও অপরাধের মাত্রার আরও প্রমাণ হাজির করে। এটাই জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।
আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) বলেছে, গাজার সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে হত্যা এবং বুলডোজার দিয়ে লাশ দুটি বালুর নিচে চাপা দেয়ার ঘটনার অবশ্যই জাতিসংঘকে তদন্ত করতে হবে।
ফিলিস্তিন হত্যা বুলডোজার ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলে বসতি স্থাপনকারীরা গাজার সমুদ্র উপকূলে প্লট কিনছে। তারা অবরুদ্ধ উপত্যাকাটিও গ্রাস করতে চাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে ড্যানিয়েলা ওয়েইসিস (৭৮) নামের ইসরাইলি এক নারী জানিয়েছেন, গাজায় বসতি স্থাপন করতে যাওয়া ৫০০ ব্যক্তির তালিকা তার কাছে আছে।
তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজায় একতরফাভাবে বসতি স্থাপনকারীদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। তখন ২১টি বসতি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং বসতির প্রায় ৯ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইসরায়েলের সেনারা। এরপর থেকেই বসতি স্থাপনকারী আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই গাজায় ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করে আসছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন ৩২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহদের সংখ্যাও লাখ ছোঁয়ার পথে। এদিকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অবরুদ্ধ উপত্যাকাটির ২০ লাখের মতো বাসিন্দা।
গাজা সমুদ্র তীর প্লট বুকিং ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের রকফোর্ডের উত্তর ইলিনয়ে ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৭ জন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিচয় জানা না গেলেও পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী তরুণী, ৬৩ বছর বয়সী এক নারী, ৪৯ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং ২২ বছর বয়সী একজন তরুণ রয়েছেন।
রকফোর্ড পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইউএসএটুডে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইলিনয়ে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৭ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি।
পুলিশ বলেছে, যে এলাকার বাসিন্দাদের ওপর হামলা হয়েছে, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ওই এলাকা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরও অর্থনৈতিক তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, এর ওপরই নির্ভর করে সুদের হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এর আগে ইউএস ট্রেজারি বন্ড ইল্ড নিম্নগামী হয়েছে। ফলে বুলিয়ন বাজার আরও চাঙা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে প্রায় ২১৯৫ ডলারে। গত ২২ মার্চ যা ছিল ২১৬৭ ডলার। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্যবান ধাতুটির দাম ঊর্ধ্বগামী হয়েছে ২৮ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০৭৪ টাকা।
বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান টেস্টিলাইভের বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান ইলিয়া স্পিভাক বলেন, সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। তবে বিশ্বব্যাপী এখনও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিদ্যমান। তাতে স্বর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মূল্য বাড়তি রয়েছে।
গত সপ্তাহে ফেড সংকেত দেয়, ২০২৪ সালে তিনবার সুদের হার কমাতে পারে তারা। এরপর থেকেই প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার চাপে পড়েছে। একই সঙ্গে স্বর্ণের বিশ্ববাজারে ঔজ্জ্বলতা বেড়েছে।
বিশ্ববাজার স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্র মুদ্রা ডলার
মন্তব্য করুন
তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।