ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনে উইঘুর গণহত্যা ও পূর্ব তুর্কিস্তানের স্বাধীনতা দিবস

প্রকাশ: ০৬:৩৮ পিএম, ১২ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail

চীনের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ জিংজিয়াং বা শিনচিয়াং। ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট চীন সরকার প্রদেশটিকে শিনচিয়াং প্রদেশ নামে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এটি চীনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রদেশটির মূল জনগোষ্ঠী হল উইঘুর মুসলিমরা। উইঘুররা প্রধানত তারিম অববাহিকা এবং তাকলামাকান মরুভু্মির নানা মরূদ্যানে বসবাসকারী তুর্কি বংশোদ্ভূত কৃষিজীবী মানুষ। যারা এই অঞ্চলটিতে প্রায় ৪০০০ হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসছে। কিন্তু কমিউনিস্ট শাসিত গণচীন সরকার প্রদেশটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে উইঘুর মুসলমানদের উপর যেনো এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। 

প্রদেশটিতে বর্তমানে ৪৫শতাংশ উইঘুর ও ৪০শতাংশ চীনের প্রধান ভাষাভাষী সম্প্রদায় হানগোষ্ঠীর বসবাস। চীন সরকার প্রদেশটিতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে আস্তে আস্তে চীনের অন্যান্য অঞ্চল থেকে হান গোষ্ঠীর মানুষদের এই অঞ্চলে স্থানান্তরের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। হানদেরকে ভালো কাজ ও বেশি বেতন দিয়ে এই অঞ্চলে স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। যার ফলে দিন দিন এই অঞ্চলের প্রধান জনগোষ্ঠী উইঘুররা সংখ্যা লঘিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। 

উইঘুর সংস্কৃতির সাথে মূলত টার্কিশ সংস্কৃতি দৃঢ় মিল বন্ধন রয়েছে। চীনারা মনে করে ইসলামের ছায়া তলে এসে উইঘুররা নিজেদের কলুষিত করে ফেলেছে। অনেক ঐতিহাসিকদের মতে খ্রিষ্টাব্দ নবম-দশম শতক থেকে উইঘুররা ইসলাম ধর্মে দীক্ষায়িত হওয়া শুরু করে। বর্তমান চীনা শাসকদের আগে থেকে চীনা রাজবংশের সাথে উইঘুরদের দ্বন্দ্ব বিদ্যমান ছিলো। চীনা রাজবংশও উইঘুরদের উপর জোর পূর্বক নিজেদের শাসন ব্যবস্থা জারি করে রেখেছিলো যা বর্তমানে এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। 

পূর্ব তুর্কিস্তান

পূর্ব তুর্কিস্তান স্বাধীনতা আন্দোলন অথবা উইঘুর স্বাধীনতা আন্দোলন এমন একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন যার প্রধান লক্ষ্য চীনের শিংচিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে উইঘুর জাতির জন্য এক স্বাধীন দেশে পরিণত করা যার নাম হবে "পূর্ব তুর্কিস্তান"। তবে চীন সরকার পূর্ব তুর্কিস্তান স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে যেকোনো সমর্থনকে "জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের" অংশ বলে মনে করে। যারা এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত হতে ইচ্ছুক কিংবা যুক্ত তাদের চীন সরকারের পক্ষ থেকে ‘ডিটেনশন সেন্টারে’ পাঠিয়ে শুদ্ধি করণ করার নামে ভয়ানক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের আন্দোলন উইঘুররা বিংশ শতকের শুরু থেকেই চালিয়ে আসছে। উইঘুরদের এই আন্দোলনকে মোট দুটি সময়ের নিরিখে ভাগ করা যায়। 
১. চীন প্রজাতন্ত্রের অধীনে: এই সময়টা বিংশ শতকের শুরুর দিকের। তবে উইঘুরদের এই প্রচেষ্টা খুব বেশি দিন স্থায়ী রূপ পায় নি। `প্রথম পূর্ব তুর্কিস্তান প্রজাতন্ত্র` (বা তুর্কি ইসলামি পূর্ব তুর্কিস্তান প্রজাতন্ত্র) যার স্থায়ীত্ব ছিল ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৪ পর্যন্ত। কাশগরের বেশ কিছু অঞ্চল উইঘুররা দখলে নিলে চীন সেনাবাহিনী কাশগারের প্রথম যুদ্ধ(১৯৩৩) ও কাশগারের দ্বিতীয় যুদ্ধে(১৯৩৪) জয়ী হবার পর এই প্রজাতন্ত্রকে পুনরায় চীনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। 

২. দ্বিতীয় তুর্কিস্তান প্রজাতন্ত্র: নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্রের আন্দোলন আবারো বেগ পায় যখন চীন প্রজাতন্ত্র নিজেদের শেষ সময়ে  চাইনিজ কমিউনিস্ট দের সাথে গৃহযুদ্ধে ব্যস্ত ছিল। ঠিক সেই সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন শিনচিয়াং আক্রমণ করে এবং ইনিং শহর বিদ্রোহ ঘটাতে সাহায্য করে। এই বিদ্রোহের ফলে `দ্বিতীয় তুর্কিস্তান প্রজাতন্ত্রের` (১৯৪৪-১৯৪৯) সৃষ্টি হয় যা শিনচিয়াং এর উত্তরের তিনটি জেলায় সীমাবদ্ধ ছিল (ইলি,তারবাগাতাই,আলতাই)। নতুন গঠিত রাষ্ট্রটি গোপনে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্য পেত। তবে ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধে জয়ের পর গণচীনের `লিবারেশন আর্মি`,শিনচিয়াংকে পুনরায় চীনে অন্তর্ভুক্ত করে।

জিংজিয়াংর বর্তমান পরিস্থিতি 

গণচীন জিংজিয়াংর পূর্ণ দখল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রদেশটিতে এক অমানবিক পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে চীন সরকার। জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ততা ও নানা ঠুনকো অভিযোগে উইঘুর মুসলিমদের আটক করছে চীনা সরকার। তবে এই পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নেয় যখন চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং ২০১৩ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হান সম্প্রদায়ের মানুষদের জিংজিয়াং্যে প্রবেশ আরো তীব্র থেকে তীব্র করা হয়। উইঘুর মুসলিম নারী ও পুরুষদের সংশোধনের নামে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তাদের উপর তীব্র শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে। প্রদেশটিতে বিদেশি লোক বিশেষ করে কোন ধরণের সংবাদ কর্মীদের প্রবেশে কড়া বিধি নিষেধ আরোপ করা আছে। যদিও কিছু কিছু পশ্চিমা গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে প্রবেশের সুযোগ পেলেও তাদের প্রতিনিয়ত নজরদারির আওয়ায় রাখা হয়। 

গণমাধ্যম কর্মীরা চীনের প্রদেশটিতে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে না পারলেও তারা সেখানে চীনা সরকারের অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে উইঘুর মুসলমানদের উপর নজর রাখার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। প্রদেশটির প্রতিটি রাস্তায় পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি সিসি টিভি ক্যামেরার ব্যবহার, উইঘুর মুসলিমদের বাড়িতে বাড়িতে নজর রাখার জন্য কিউআর কোড স্ক্যান ও নানা অবৈধ কার্যক্রমের চিত্র সারা বিশ্বের কাছে সামনে নিয়ে আসতে সক্ষম হন।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে, অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউট (এএসপিআই) তার জিনজিয়াং ডেটা প্রজেক্ট প্রকাশ করে। যেখানে প্রদেশটিতে ৩৮০টির বেশি উইঘুর মুসলিমদের জন্য ডিটেনশন সেন্টার বা বন্দি শিবির এবং আটক কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে আর এমন দাবি করা সত্ত্বেও ক্যাম্প নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। 

এইসব ক্যাম্পে নারীদের উপর ভয়াবহ রকমের শারীরিক নির্যাতনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। কোন কারণ ছাড়াই উইঘুরদের আটক করে ক্যাম্পে সংশোধনের নামে আটকে রাখা হচ্ছে। বন্দি শালা গুলো থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক উইঘুর বাসিন্দা তাদের উপর ভয়াবহ নির্যাতনের কথা পশ্চিমা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতে শুরু করেছে। তাদের মতে চীন সরকারের হাতে ঐসব বন্দি শিবিরে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার উইঘুর জনগোষ্ঠী মৃত্যু বরণ করেছে যা একপ্রকার গণহত্যার শামিল বলছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর এমন অভিযোগ প্রতি মুহূর্তে মিথ্যা বলে নাকচ করে দিচ্ছে চীন সরকার। তাদের মতে এইসব ক্যাম্পে শুধু মাত্র অভিযুক্ত অপরাধীদের কেই নিয়ে গিয়ে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার কার্যক্রম তারা পরিচালনা করে আসছে। অনেক পশ্চিমা দেশের মতে প্রায় ৪০০মত বন্দি শিবিরে কম পক্ষে ১০ লক্ষের উপর উইঘুর মুসলিমদের বন্দি করে রেখেছে শির সরকার। 

আর এই প্রেক্ষিতে চীনের বিরুদ্ধে শিনচিয়াং এর উইঘুরদের আটকে রাখা ও "পুনঃশিক্ষাদান" এর নামে উইঘুর সম্প্রদায়ের ধর্ম,সংস্কৃতি,ভাষা এবং পরিচিতিকে মুছে ফেলার অভিযোগ ওঠায় পূর্ব তুর্কিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্বের সাথে আলোচিত হচ্ছে। নিজেদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের যে চিন্তা উইঘুর মুসলিমরা শতাব্দী ধরে লালন করছে তা যেন নতুন রূপ পাচ্ছে চীন সরকারের এমন আচরণে। পূর্ব তুর্কিস্তান আন্দোলনের সবচেয়ে বড় সংহতিটি প্রকাশ পায় যখন ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৪ তারিখে ওয়াশিংটন ডিসি-তে বিশ্বজুড়ে উইঘুর, কাজাখ এবং উজবেক পূর্ব তুর্কিস্তানই স্বাধীনতা কর্মীদের একটি দল দ্বারা নির্বাসিত পূর্ব তুর্কিস্তান সরকার প্রতিষ্ঠা করে। এর ফলে সারা বিশ্বব্যাপী এই আন্দোলন একটি ভিন্ন মাত্রা পায়। তবে প্রথম পূর্ব তুর্কিস্তান প্রথম সরকার গঠিত হয় ১২ নভেম্বর ১৯৪৪ সালে। সেই সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আলিহান তরে। সেই দিনটি হিসেবে সারা বিশ্বে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করার জন্য প্রতি বছরের ১২ নভেম্বর পালন করা হয় পূর্ব তুর্কিস্তান স্বাধীনতা দিবস।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিবিড় পর্যবেক্ষণ

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ ভারতের বিভিন্ন ইস্যু যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।  

নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার অভিযোগ সম্পর্কেও অবহিত যুক্তরাষ্ট্র। 

সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিককে তলব করেছে ভারত। এর প্রেক্ষিতে আপনার প্রতিক্রিয়া কী এবং বিরোধী দলের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করাসহ ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখেন? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সেখানকার পরিস্থিতিকে 'জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন একটি সঙ্কটজনক পয়েন্টে এসে পৌঁছেছে' বলে অভিহিত করেছে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলছি- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ এসব বিষয়ে আমরা অব্যাহতভাবে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট আয়কর বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে বলে অভিযোগের বিষয়েও আমরা অবহিত। এটা করার ফলে আসন্ন নির্বাচনে কার্যকর প্রচারণা চালানো তাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। এর প্রতিটি ইস্যুতে সময়মতো অবাধ, স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি আমরা। আর প্রথম প্রশ্নের জবাবে বলতে হয়, কূটনৈতিক কোনও প্রাইভেট আলোচনা নিয়ে আমি কথা বলব না। তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে আমি যেটা বলব তা হল, আমরা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং সময়মতো আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি। আশা করি এতে কারও কোনও আপত্তি থাকা উচিত নয়। একই বিষয় আমরা প্রাইভেটলিও ক্লিয়ার করব।


ভারত   ইস্যু   যুক্তরাষ্ট্র   ম্যাথিউ মিলার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অর্থ নেই ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০২:১০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিজের পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি তাকে অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা তামিলনাড়ু থেকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে, এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।  

বুধবার(২৭, মার্চ) এক সম্মেলনে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সপ্তাহ বা ১০ দিন ভাবার পর তিনি ফিরে গিয়ে জানান 'খুব সম্ভবত না'। নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তার নেই।    এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ নাকি তামিলনাড়ু; এটি নিয়েও তার সমস্যা আছে। নির্বাচনে জয় পাওয়ার যে কয়েকটি নির্ণায়ক রয়েছে, সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে...আপনি কি এই গোত্রের অথবা এই ধর্মের? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, না, তিনি মনে করেন না তিনি এটা করতে পারবেন।  

এছাড়াও, নির্মলা বলেন, 'তিনি খুবই খুশি, কারণ, বিজেপি তার যুক্তিটি গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।'

সম্মেলনে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় অর্থমন্ত্রীর কেন নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। জবাবে তিনি জানান, ভারতের অর্থসম্পদ তার নয়। তিনি বলেন, আমার বেতন, আমার আয় এবং আমার সঞ্চয় আমার এবং এগুলো ভারতের সম্পদ নয়।

নির্মলা সীতারামণ ভারতের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য। মূলত এমএলএ-রা রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচন করে থাকেন। এ বছর রাজ্যসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে, যা সাত ধাপে ২ জুন পর্যন্ত চলবে। নিজে নির্বাচন না করলেও বিজেপির অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেবেন নির্মলা।


নির্বাচন   লোকসভা নির্বাচন   রাজ্যসভা   ভারত   অর্থমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘গাজায় দেখা দিচ্ছে দুর্ভিক্ষ’

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অনাহার ও অসুস্থতা গাজার অধিবাসীদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাৎক্ষণিক ও সমন্বিত পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুস বলেছেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ তরান্বিত করাসহ গাজায় স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান ব্যবস্থাকে রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন।

গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে গাজা সিটি এবং শাতি ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজা শহরের আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকাগুলোতে কামানের গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।   

অন্যদিকে, কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরে দুজন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে এবং পরে তাদের মরদেহ বুলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দেয়। উপকূল ধরে হেঁটে যাবার সময় একজন ফিলিস্তিনিকে সাদা কাপড় নাড়তেও দেখা যায় ভিডিওটিতে।

গাজায় আকাশ থেকে ফেলা সাহায্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া সাগর থেকে আরও ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। ৮ অক্টোবরের পর হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষে এটিই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির সংখ্যা।   

অন্যদিকে, গাজায় দক্ষিণাঞ্চরের রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েল মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে নতুন সূচি নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা বাতিল করে দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এই নতুন প্রস্তাবটি পাওয়া গেল।

গতকাল বুধবার রাতে চতুর্থ দিনের মতো গাজায় ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের প্রতিবাদে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে শত শত বিক্ষোভকারী অবস্থান বজায় রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় গাজার অধিবাসীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ায়। বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে জর্ডানকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি বাতিলেরও আহ্বান জানায়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা   ডব্লিউএইচও   গাজা   দুর্ভিক্ষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে সেতু ধস: ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় জনের মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ( ২৭ মার্চ) তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫) এবং ডোরিয়ান রনিয়াল ক্যাস্টিলো ক্যাব্রেরা (২৬)। এই দুই ব্যক্তিই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি ধসে পড়ার সময় তারা একটি ট্রাকের মধ্যে ছিলেন।  মেরিল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, কিছু যানবাহন সেতুর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে। এগুলো সরানো হলে ডুবুরিরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে আবারও অভিযান শুরু করবে।   

এদিকে আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসের ঘটনায় ধাক্কা খাওয়া পণ্যবাহী জাহাজ থেকে ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের আশা, কী কারণে জাহাজটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে, তার কারণ জানা যাবে রেকর্ডার থেকে।

মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থার প্রাথমিক ধারণা, বাল্টিমোরের হারবার ছেড়ে যাওয়ার সময় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হলো সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ ডালি সেতুতে ধাক্কা দেওয়ার আগে সেটির বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। এমনকি ইঞ্জিনেও কোনো শক্তি ছিল না।

সমস্যা সমাধানে বারবার অ্যালার্ম বাজানো হয়। ক্রুরা মরিয়া হয়ে জাহাজটিতে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। যদিও ডালির একটি জরুরি জেনারেটর ছিল। কিন্তু ইঞ্জিনগুলোর শক্তি ফিরিয়ে আনতে পারেনি সেই জেনারেটর।

গত মঙ্গলবার ( ২৬ মার্চ) রাতে আমেরিকার অন্যতম বন্দর বাল্টিমোর থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে যাওয়ার সময় সেতুটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে সিঙ্গাপুরের পণ্যবাহী জাহাজ ডালির। এতে সেতুটির একাংশ ধসে পড়ে। পরের দিন দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।


যুক্তরাষ্ট্র   বাল্টিমোর   সেতু   ধস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসবেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূ্ত্রে জানা যায়, আমিরের সফরের প্রস্তুতি নিয়ে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র জানায়, এই সফরে জ্বালানি নিরাপত্তা, শ্রমবাজার, বৈদেশিক বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে গতবছর দোহায় কাতার এনার্জির সদরদপ্তরে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) এবং কাতার এনার্জির এলএনজি ট্রেডিং শাখার মধ্যে কাতার থেকে বছরে ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটি) করে ১৫ বছর পর্যন্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই হয়।

চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতি বছর অতিরিক্ত ১ দশমিক ৮ এমএমটি এলএনজি পাবে, যা ২০২৬ সালে শুরু হবে।

বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদার বড় অংশই পূরণ করছে কাতার৷ আমিরের বাংলাদেশ সফরের ফলে এলএনজি আমদানির দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

জীবীকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাস করছেন প্রায় চার লাখ বাংলাদেশী। আমিরের সফরের খবরে প্রাবসীদের মধ্যেও এক ধরনের স্বস্তি কাজ করছে। প্রবাসীরা মনে করছেন এই সফরের মাধ্যমে দেশটিতে নতুন করে বাংলাদেশী শ্রমবাজারের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।

এই বিষয়ে কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। তারা বলেন, আমির যেহেতু বাংলাদেশে যাবেন সেখানে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, কথা হবে। আমরা চাই আমাদের যেসব চাহিদা রয়েছে, দৈনন্দিন সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলেচনা হোক।


কাতার   আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি   বাংলাদেশ   সফর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন