ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সারা বিশ্বে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে 'ওমিক্রন'

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail ওমিক্রন: যেসব দেশ সতর্ক অবস্থানে

সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন 'ওমিক্রন' নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এছাড়া ভ্রমণে কড়াকড়িও আরোপ করেছে কিছু দেশ। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, বসতোয়ানা, ইসরায়েল ও হংকংয়ে করোনার নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়েছে। বেলজিয়ামেও একজনের শরীরে 'ওমিক্রন'-এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি দেশের ওপর ফ্লাইট চলাচলে জরুরিভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা এনেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যও। এদিকে, যেসব দেশ তাড়াহুড়া করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ইউরোপিয়ান কমিশন প্রধান আরসালা ফর ডার লেয়েন বলেছেন, দ্রুততার সঙ্গে এবং একত্রিতভাবে পুরো ইউরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। ইউরোপিয়ান কমিশনের মুখপাত্র এরিক মেমার জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান জরুরি এক বৈঠক শেষে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তে পৌঁছান। বেলজিয়ামে করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত এক রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেন তারা।

 

জাপানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার থেকে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল থেকে জাপানে আসা অধিকাংশ দেশের নাগরিকদের ১০ দিন কোয়ারেন্টিন করতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাদের মোট ৪ বার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা ও হংকং থেকে আসা ভ্রমণকারীদের আরো কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করবে ভারত, এমন খবর প্রকাশ করেছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম। এর পাশাপাশি ইরানও দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলের ছয়টি দেশ থেকে আসা ভ্রমণকারীদের তাদের দেশে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবর অনুযায়ী, ওই অঞ্চল থেকে আসা ইরানি নাগরিকরা দুইবার পরীক্ষার পর নেগেটিভ ফল আসলে দেশে প্রবেশ করতে পারবে।

এদিকে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি দেশের ওপর ফ্লাইট চলাচলে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কিছু দেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিকে অন্যায় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহলা। তিনি বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে কিছু দেশ যেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত বিধির সম্পূর্ণ বিপরীত।

সম্প্রতি এক গবেষণা শেষে করোনাভাইরাসে নতুন এই ধরন শনাক্ত করার কথা জানান দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, ভাইরাসের নতুন ধরনটির বিস্তৃতি ঘটলে দেশটিতে করোনার চতুর্থ ঢেউ দেখা দিতে পারে। তাদের আশঙ্কা, খুব দ্রুত ধরনটি বিশ্বজুড়েও ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনকে উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, ওমিক্রনকে এখন পর্যন্ত পাওয়া করোনার ভয়াবহ ধরনগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ধরা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করলো ভারত

প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখবে ভারত। আনুষ্ঠানিকভাবেই এই রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। শুক্রবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসে। এই সিদ্ধান্ত আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের এই নির্দেশনা দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে— ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

এই নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এই নোটিশ জারির আগে পেঁয়াজের গাড়ি লোড হয়ে থাকলে সেটি সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছে যাবে। অথবা পেঁয়াজ ভর্তি গাড়ি বা জাহাজ ভারতীয় পোর্ট অতিক্রম করলে সেটি এই নির্দেশনার আওতায় পড়বে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো দেশের সরকারের অনুরোধে ভারত সরকার চাইলে পেঁয়াজ রপ্তানির নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারবে। 

ভারত থেকে মূলত দেশে সাতক্ষীরার ভোমরা, দিনাজপুরের হিলি ও যশোরের বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়।

উল্লেখ্য, আবহাওয়াজনিত কারণে চলতি বছর দেশে পেঁয়াজ চাষ দেরিতে হয়েছে। ফলে পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী। ভারতীয় পেঁয়াজ আসায় কিছুটা স্বস্তি ছিল ক্রেতাসাধারণের মধ্যে। এখন সেটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারে এর বেশ ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ভারতে সংরক্ষিত রবিশস্যের পেঁয়াজের স্টক কমে আসছে। ফলে সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে সেই সমস্যা দূর করতে ভারত সরকার ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে।


ভারত   পেয়াজ   রপ্তানী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি আজ

প্রকাশ: ১২:৩৭ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কিছুদিন যুদ্ধবিরতির পর আবারও শুরু হয়েছে তীব্র যুদ্ধ। চলছে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চেষ্টা। এ উদ্দেশ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোট হবে। সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ফ্রান্স ২৪ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বসংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের পর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আজ ভোটাভুটি হবে।

ইসরায়েলের হামলায় অবরুদ্ধ গাজায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। পাশাপাশি একটি মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে এখনো বোঝা যাচ্ছে না কি সিদ্ধান্ত আসতে পারে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক থেকে।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে বুধবার গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদকে যুদ্ধবিরতির জন্য বৈঠকের আহ্বান জানান। এ অনুচ্ছেদ অনুসারে, নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত যেকোনো বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে বৈঠকের আহ্বান জানাতে পারেন।

জাতিসংঘের ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। কারণ গত কয়েক দশকের মধ্যে কোন মহাসচিব এমন পদক্ষেপ নেয়নি। এছাড়াও, যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই গাজায় মানবিক বিপর্যয় রোধে সকল পক্ষকে আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন গুতেরেস।

এদিকে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক আশা প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি মনে করেন নিরাপত্তা পরিষদ গুতেরেসের আহ্বানকে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করবে এবং ভোটের মাধ্যমে যুদ্ধ বিরতিতে একমত হবে।

ডুজারিক আরও জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ নিজেদের মধ্যেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করছে।

প্রসঙ্গত, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ১৭০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৬ হাজার মানুষ। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু।


গাজা   যুদ্ধবিরতি   নিরাপত্তা পরিষদ   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ভানুয়াতু

প্রকাশ: ১০:৪৮ এএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির দক্ষিণাঞ্চল ভানুয়াতুতে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সংবাদ মাধ্যম এপি জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে এই ভূমিকম্প হয়। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এর জেরে সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়। তবে এ ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, মাটির ৩৫ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানা ভূমিকম্পটি গ্রিনিচ সময় দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিটে আঘাত হানে। রাজধানী পোর্ট ভিলা থেকে ৩৩৮ কিলোমিটার এবং ইসানগেল শহর থেকে ১২৩ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রতীরের দুরবর্তী একটি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

যদিও তিন লাখ ২০ হাজার মানুষের দেশ ভানুয়াতুর জন্য ভূমিকম্প খুবই সাধারণ ঘটনা। এটি মূলত একটি নিচু দ্বীপপুঞ্জ, যা সিসমিক রিং অব ফায়ারে অবস্থিত।

রিং অব ফায়ার হলো তীব্র টেকটোনিক কার্যকলাপের একটি চাপ, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকাজুড়ে বিস্তৃত।

এর আগে নভেম্বরে উত্তর ভানুয়াতুতে একটি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। বার্ষিক বিশ্ব ঝুঁকি প্রতিবেদন অনুসারে, ভানুয়াতু ভূমিকম্প, ঝড়ের ক্ষতি, বন্যা ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সবচেয়ে সংবেদনশীল দেশগুলোর মধ্যে একটি।


ভূমিকম্প   নিহত   ভানুয়াতু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা তহবিল পাস হলো না মার্কিন সিনেটে

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্যরা ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য প্রস্তাবিত নতুন সহায়তা তহবিলের ওপর আনা বিল আটকে দিয়েছেন। এ তহবিলে অর্থের পরিমাণ ১০৬ বিলিয়ন (১০ হাজার ৬০০ কোটি) মার্কিন ডলার। এর আগে বিলটি পাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিনেটরদের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।

চলতি শীত মৌসুমে ইউক্রেন বরফে জমে গেলে অর্থের অভাবে সেখানকার লোকজন ভীষণ কষ্টে থাকবেন। প্রস্তাবিত অর্থের মধ্যে বাইডেন ৬১ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য। বাকি অর্থ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজাকে সহায়তায়।

ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য নতুন এ তহবিলের প্রস্তাবে সায় দিতে জো বাইডেনের যুক্তি ছিল, এ অর্থ বরাদ্দ না দিলে তা হবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘উপহার’।

ইউক্রেনকে অর্থ দেওয়ার বিষয়ে জো বাইডেনের আরও যুক্তি ছিল, যদি যুক্তরাষ্ট্র দেশটির পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে মস্কোর কাছে নতজানু হয়ে পড়বে কিয়েভ, যা ওয়াশিংটনের নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

এই বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৯ জন রিপাবলিকান সিনেটর। ১০০ আসনের সিনেটে এই বিলটি পাসের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬০টি ভোট। এর বাইরে স্বতন্ত্র সিনেটর হিসেবে পরিচিত বার্নি স্যান্ডার্স (ডেমোক্র্যাট সদস্য) ইসরায়েলকে সহায়তার তহবিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

এদিকে রিপাবলিকান সিনেটররা মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন শত শত অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার নীতিরও বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের মতে, এ সীমান্ত দিয়ে দিনে ১০ হাজারের মতো মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে থাকেন। জাতীয় অর্থনৈতিক স্বার্থে এখনই এ নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সময়ের দাবি বলে জানান রিপাবলিকান সিনেটর জেমস ল্যাঙ্কফোর্ড। তাঁর মতে, তাঁদের দক্ষিণের সীমান্ত সমস্যা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের পক্ষে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ ও নিম্নকক্ষের রিপাবলিকান সদস্যরা। রিপাবলিকান দলীয় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তা সামাল দেওয়ার বিষয়টি ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তার ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সতর্ক করে বলা হয়, ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল চলতি বছরের শেষ নাগাদ শেষ হয়ে যাবে।


ফিলিস্তিন   ইউক্রেন   ইসরায়েল   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করে আইন পাস

প্রকাশ: ০৯:১৬ এএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করতে আইন পাস করেছে ডেনমার্ক। ওই আইনে ডেনমার্কের পার্লামেন্ট ধর্মীয় গ্রন্থের প্রতি ‘অনুপযুক্ত আচরণ’ নিষিদ্ধ করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টে এ বিষয়ক একটি বিল পাস হয়। সম্প্রতি সুইডেন, ডেনমার্কসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে জনসমক্ষে কুরআন পোড়ানো ও অবমাননার ঘটনায় মুসলিম দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মূলত এই আইন বা বিলটি ইউরোপের দেশটিতে কোরআন আইন হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিত।

বিবিসি জানিয়েছে, পবিত্র কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার এই আইনের পক্ষে ডেনমার্কের পার্লামেন্টে ভোট পড়ে ৯৪টি। বিপক্ষেও ভোট পড়ে। আর এই ভোটের সংখ্যা ৭৭টি।

এতেই এই বিলটি পাস হয় এবং এই বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর কেউ পবিত্র কুরআন পোড়ালে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। আর অপরাধীকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজা ভোগ করতে হবে। পাশাপাশি জরিমানাও গুণতে হবে তাকে ।

বিবিসি বলছে, ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর একের পর এক ঘটনার পর ডেনমার্কে এই আইন পাস করা হলো। মূলত একের পর এক কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মুসলিম দেশগুলোতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।

এর আগে গত আগস্টে ডেনমার্কের সরকার জানায়, আগুনে পুড়িয়ে বা অন্য কোনও উপায়ে কেউ যেন পবিত্র কোরআন অবমাননা না করতে পারেন— সেজন্য একটি আইন প্রস্তাব করতে যাচ্ছে তারা। এরমাধ্যমে কথিত বাকস্বাধীনতার নামে প্রকাশ্যে কেউ কোরআন পোড়াতে পারবে না।

এদিকে আইন পাসের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক মন্ত্রী ইনগার স্টোইবার্গ বলেন, এই আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে। তবে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেন বলেন, এই বিলটি আইনে পরিণত হলেও খুব বেশি কঠোর হবে না। এই আইনে ধর্ম নিয়ে সমালোচনা সম্পূর্ণ অপরাধ বলে গণ্য নাও হতে পারে।

ডেনমার্ক এবং প্রতিবেশী সুইডেনে সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কিত এই ধরনের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। আর এটি ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলে নিরাপত্তা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়।

বিবিসি বলছে, পবিত্র কোরআন পোড়ানো বা অবমাননা বন্ধে ডেনমার্কের মতো সুইডেনের সরকারও একই ধরনের আইনের কথা বিবেচনা করছে। এছাড়া ডেনমার্ক এবং সুইডেন উভয়েই ব্লাসফেমি আইন বাতিল করেছে।


কোরআন   ইসলাম   ইউরোপ   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন