দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১৬ বছর পর জার্মানিতে রাজনৈতিক পালাবদল হচ্ছে। এঞ্জেলা মার্কেল জমানার অবসান ঘটিয়ে চ্যান্সেলর হচ্ছেন ওলাফ শলৎস। করোনা সংকটসহ একাধিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে চায় নতুন জোট।
সপ্তাহান্তে এসপিডি ও এফডিপি দল নতুন জোট গড়ার লক্ষ্যে কোয়ালিশন চুক্তি অনুমোদন করেছে। সোমবার সবুজ দলও ভোটাভুটির মাধ্যমে সেই আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলছে। ফলে তিন দলের ‘ট্রাফিক লাইট কোয়ালিশ’ বুধবারই ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে দিন জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগ এসপিডি নেতা ওলাফ শলৎসকে চ্যান্সেলর হিসেবে নির্বাচিত করবে। নতুন মন্ত্রিসভাও সে দিন শপথ নিতে পারে।
তার আগে আগামীকাল মঙ্গলবার তিন দল ১৭৭ পাতার কোয়ালিশন চুক্তি স্বাক্ষর করবে। বুধবার শপথ গ্রহণ করে শলৎস বৃহস্পতিবারই সংসদে চ্যান্সেলর হিসেবে প্রথম ভাষণ দিতে পারেন।প্রথা অনুযায়ী সরকারের প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পর্কে বিবৃতিও দিতে পারেন তিনি। শুক্রবার শলৎস চ্যান্সেলর হিসেবে তার প্রথম বিদেশ সফরে সম্ভবত প্যারিস যাচ্ছেন।জার্মানিতে করোনা সংকটের মাঝে রাজনৈতিক পালাবদলকে ঘিরে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার সুযোগ কম। ক্ষমতায় এসেই নতুন সরকারকে অবিলম্বে সংকট মোকাবিলার কাজে নামতে হবে। বিশেষ করে হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটের উপর বেড়ে চলা চাপের কারণে গোটা গণস্বাস্থ্য পরিষেবা হুমকির মুখে পড়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বিদায়ী সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আগামী সরকার ইতোমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ চূড়ান্ত করেছে বটে, কিন্তু তাতে কাজ না হলে আরো জোরালো উদ্যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না শলৎস।
সোমবারই এসপিডি দল মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করলে আগামী স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম জানা যাবে। বলা বাহুল্য মহামারির মাঝে এই পদটির গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। শলৎস তার মন্ত্রিসভায় সমান সংখ্যক নারী ও পুরুষ রাখার অঙ্গীকার করায় এসপিডি দলের প্রাপ্য সাতটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পাঁচটিতেই নারী প্রার্থীর নাম স্থির করতে হবে। এফডিপি ও সবুজ দলের মন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশের পর এসপিডি দলকেই সেই ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
করোনা সংকট সামলানোর পাশাপাশি কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে চায় নতুন সরকার। শলৎসের নেতৃত্বে তিন দলের জোট পুরোপুরি পুনর্বব্যহারযোগ্য জ্বালানির পথে দ্রত এগোতে চায়। ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে জার্মানির বিশাল ঘাটতি দূর করতেও দ্রুত পদক্ষেপ নেবার অঙ্গীকার করেছে এই জোট। তবে তিন দলের স্বার্থের সংঘাত দূরে রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সব ঘোষিত উদ্যোগ রূপায়ন করা কঠিন হতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। তবে শলৎস নিজে এই জোটের সাফল্যের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ইরান ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।
পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।'
তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।
অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়।
আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩ আসনও।
ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে।
পশ্চিমবঙ্গের যে তিন আসনে ভোট শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়।
জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ।
আলিপুরদুয়ারে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজারের বেশি। রাজ্যে আরও রয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার ১ হাজার ৮৩৭ ভোটারও।
আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৮৩৭টি।
এবারের ভোটকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলো। নিয়োগ করা হয়েছে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছেন ১২ হাজার ৩১০ রাজ্য পুলিশ সদস্য। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
অন্য আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নীতিন গড়করি, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সেনেওয়াল, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সঞ্জীব বালিওয়ান এবং এল মুরুগান।
লোকসভা নির্বাচন ভোট লোকসভা পশ্চিমবঙ্গ
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।