নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ২২ অগাস্ট, ২০২০
‘রোজ রাতেই আমার ছেলে আমার স্বপ্নে আসে। মনে হয় যেন সত্যিই এসেছে। আর ঘুমাতে পারিনা। ছেলের স্মৃতিগুলো মনে করতে করতেই সকাল হয়ে যায়।’ এ যেন এক রূপকথা। কিন্তু না। আবার যেন রূপকথার চেয়েও কোনো অংশে কম না। ছেলেহারা এক মায়ের কথার কাছে রূপকথার গল্প যেন অর্থহীন। ‘মা’ এমন একটি শব্দ যার কাছে পৃথিবীর সকল সুখ হার মেনে যাবে। সুখের রানী সেই মা তখনই হার মেনে নেয় যখন তার স্বপ্ন দেখা সেই সন্তান, যে কিনা ভবিষ্যতে আর্মি অফিসার হবে- সে তার স্বপ্নেই হারিয়ে যায়। মায়ের সেই স্বপ্নের রাজা তার ছেলের স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে আর্মি অফিসার হবে। ধীরে ধীরে স্বপ্নপূরণের জন্য এগিয়েও যাচ্ছিলো। কিন্তু ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই যেন কাল হয়ে আসে তার জীবনে।
ঘাতক বাস জাবালে নূর কেড়ে নিলো মায়ের বুক থেকে তার মানিককে। বাসের চাকার নিচে চাপা পড়ে গেলো মা- ছেলের সেই স্বপ্ন। অধরাই রয়ে গেলো সেই স্বপ্ন। হেরে গেলো এক মা। একজন নয়, রাজীবের মৃত্যুসঙ্গী ছিলো আরও একজন। আর তার নাম দিয়া খানম মিম। ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় নিহত হয়েছিল শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ২ শিক্ষার্থী আব্দুল করিম রাজ্বী ও দিয়া খানম মিম। বলছিলাম নিহত সেই রাজীবের মায়ের কথা।
ঘাতক জাবালে নূরের বাসের চাপায় মা ছেলের সেই স্বপ্ন চাপা পড়ে গেছে। হেরে যাওয়া সেই মা আজও জেতার প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে। কবে আসবে সেই দিন। নাকি আসবে না?
মিম ও রাজীবের মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের জন্য সারা দেশব্যাপী যে আন্দোলন হয়েছিল তা ছিল বিশ্বকে জানান দেওয়ার জন্য এক আন্দোলন। সেই আন্দোলনে বিশ্ব জেনেছিল রাজীব-মিমের কথা। এখন হয়ত ভুলেও গেছে। হয়তবা কোনো পরশপাথরে খোদাই করা হয়নি তাদের নাম। কিন্তু খোদাই করা রয়েছে যেন তার মায়ের হৃদয়ের সেই রক্তিম হৃদপিণ্ডে। এখনো ছেলের কথা মনে করলে চোখের জলে ভেসে যায় রাজীবের মায়ের আঁচলের সেই স্নিগ্ধ সুবাস। সবাই সেই রাজীবকে ভুলে গেলেও ভোলেনি সেই মমতাময়ী মা। হয়ত যতদিন বেঁচে থাকবে, এভাবেই মনে রাখবে তার ছেলেকে। প্রতি মুহূর্তে ছেলের অভাবে কষ্ট পাবে সে।
কিন্তু এমন ছিল না তাদের দিন। ছেলের জন্য আজ সে যতটা কষ্ট পাচ্ছে একসময় ঠিক ততটাই আনন্দ পেতো। কাউকে কষ্ট পেতে দিতো না। রাজীব সকলকে মাতিয়ে রাখতো আনন্দে। আজ সে সকলকে কষ্টের এক বিশাল বহর উপহার দিয়ে চলে গেছে অচেনা পৃথিবীতে। যেই পৃথিবীতে খুব ছোটবেলায় তার বাবা চলে গেছেন। বাবা চলে যাওয়ার পর রাজীবের সব আবদার ছিল বড়বোন কুলসুমকে ঘিরে। ভাইয়ের স্বপ্নটি পূরণ করার জন্য ঢাকায় এনেছিল তাকে। স্বপ্ন ছিল আর্মি অফিসার হবে। আর স্বপ্নপূরণ হলে ভাই পরিবারের সবাইকে খুব সুখে রাখবে। তাই সেই স্বপ্নের ছোঁয়া বাস্তবে রূপান্তর করতে বোনের কাছে আসা। কিন্তু সেই বোনও জানতো না আদরের রাজীব তার স্বপ্নের বিনিময়ে রাঙিয়ে দিয়ে যাবে বিমানবন্দর সড়কটি। যেই সড়কের প্রতিটি ইট সাক্ষী ছিল রাজীবের পথচলার।
রাজীবের পথচলার নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল তার বন্ধু মাহফুজ হাসান রাহাত। একে অপরের গানেরও সঙ্গী তারা। কাকতালীয়ভাবে তাদের বন্ধুত্বটা তৈরি হয়েছিল, তেমনি চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেছে সব। বন্ধুর ফোন নাম্বারটি আজও তার ফোনে সেইভ করা, কিন্তু আর কোনো ফোন আসেনা। হয়ত আর কখনো দুইবন্ধুর হাঁটা হবে না ওই রাস্তাটিতে। এটাই হয়ত নিয়তি!
সবার এই অদ্ভুত অপেক্ষা দেখে রাজীবেরও ভালো লাগছে। যে কখনো কাউকে কষ্ট দিতো না, সে এখন সবাইকে কষ্টের এক বিশাল সাগরে ভাসিয়ে পরপারে সুখেই দিন কাটাচ্ছে। রাজীব ও মিমের পরিবারের মতো না জানি আর কত পরিবার কষ্ট পেয়ে যাচ্ছে।
মীম, রাজিবের সাথে সেদিন আর যেই ৬জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছিল, তারা আজও সেই ভয়াবহ দৃশ্য ভুলতে পারেনি। রাজীব-মীমের জীবনের বিনিময়ে পাশ হয়েছিল সড়ক আইন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শহীদ বীর বিক্রম রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজকে ৫টি বাস উপহার দিয়েছেন। তাদের জীবনের বিনিময়ে যে সড়ক আইন পাশ হয়েছে তার প্রভাব জনজীবনে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জীবনে কতটুকু প্রভাব ফেলেছে তা জানার জন্য শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী শান্তা মনিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সড়ক আইন পাশ হলেও তা কার্যকর এবং বাস্তবায়নে এখনো ঘাটতি রয়েছে। তারা এখনো নিরাপদ সড়ক পায়নি। এক্ষেত্রে সরকারের যেমন যথাযথ আইন প্রয়োগের ঘাটতি রয়েছে, তেমনি সাধারণ মানুষের অসচেতনতাও দায়ী। ভালো নেই রাজীবমীমের পরিবার। কষ্টকে নিত্যদিনের সঙ্গী করেই তাদের দিন কাটছে।
আমরা আর কোনো রাজীব-মীমকে হারাতে চাই না। জনগণ চায় না আর কোনো রাজীব-মীম বেলাশেষে এভাবে ঝরে পড়ুক। ঘাতক পরিবহনগুলোর জন্য ঝরে পড়ছে হাজারো রাজীব-মীম। প্রতিনিয়তই কাড়ছে প্রাণ, মেরে ফেলছে স্বপ্ন। হয়ত রাজীব তার মায়ের স্বপ্নে এসে হাতছানি দেয় এই বলে যে, ‘মা, তোমার আর কোনো সন্তান যেন অকালে ঝরে না পড়ে। তাদের স্বপ্ন যেন পূর্ণ হয়। দেশবাসী যেন বেলাশেষে অধরা এক স্বপ্নের রূপকথা আর না শোনে।
লেখক: সাদিয়া খাতুন ইলমা
বয়স: ১৮
উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষ, শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল
ফাহিম মুনতাসির জিহাদ
বয়স: ১৬
দশম শ্রেণী, বাউনিয়াবাঁধ আইডিয়াল হাই স্কুল
মন্তব্য করুন
৩৫
দশমিক ৪ শতাংশ তরুণ
দেশের নেতৃত্ব নিতে আগ্রহী। আর
নীতি পরিবর্তন হলেই কেবল ৪৬
দশমিক ৬ শতাংশ তরুণ
দেশের নেতৃত্বে অংশ নিতে চান।
বর্তমান
জাতীয় প্রেক্ষাপটে ‘তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক এক জরিপের ফলাফলে
উঠে এসেছে এ তথ্য। এসডিজি
বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আয়োজন শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে
যুব সম্মেলনে এ তথ্য জানানো
হয়।
ফলাফল
উপস্থাপন করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম
খান।
জরিপের
জন্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বর
ও অক্টোবর- এই দুই মাসে
পাঁচ হাজার ৭৫ জনের মতামত
নেওয়া হয়। এরমধ্যে ৫৩
শতাংশ শিক্ষার্থী, ৩৮ দশমিক ৩
শতাংশ চাকরিজীবী ও ২৮ শতাংশ
বেকার। এছাড়া ৭৮ দশমিক ৩
শতাংশ পুরুষ, ২১ দশমিক নারী
ও শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ তৃতীয়
লিঙ্গের জনগোষ্ঠী। এই পাঁচ হাজার
জনের মধ্যে ৫৯ দশমিক ২
শতাংশের বাস শহরে আর
৪০ দশমিক ৮ শতাংশের বসবাস
গ্রামে।
জরিপের ফলাফলে
জানানো হয়, ৬৭ শতাংশ
তরুণ কোনো রাজনৈতিক প্রতিনিধির
সঙ্গে কথা বলেননি। ৭৯
দশমিক ১ শতাংশ তরুণ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ও রাজনীতি
সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারেন।
৪৮ দশমিক ১ শতাংশ খবরের
কাগজের মাধ্যমে ও রাজনৈতিক আলাপ
সম্পর্কে জানতে পারেন। একইভাবে ৪১ দশমিক ৭
শতাংশ টেলিভিশন ও রেডিওর মাধ্যমে
এবং ৭ দশমিক ৭
দশমিক ৩ শতাংশ তরুণ
খবর সম্পর্কে জানতে আগ্রহী নন।
জরিপে
উল্লেখ করা হয়, ৫৩
দশমিক ৮ শতাংশ তরুণ
এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পারেননি।
যাদের মধ্যে ১৮-২৫ বয়সীর
সংখ্যা ৭৬ দশমিক ৪
শতাংশ, ২৫-২৯ বয়সীর
সংখ্যা ৩৪ দশমিক ৫
শতাংশ ও ৩০-৩৫
বয়সীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ। ৪৬
শতাংশ তরুণ কোনো স্থানীয়
নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি।
৩৫ দশমিক ২ শতাংশ তরুণ
রাজনীতি ও ছাত্র রাজনীতিতে
আগ্রহী নন।
জরিপে
অংশ নেওয়া ৮৯ দশমিক ৪
শতাংশ ভোটার হয়েছেন। ৩৬ দশমিক ৪
শতাংশ তরুণ তাদের মতামত
প্রকাশের জন্য নিগ্রহের স্বীকার।
অপরদিকে
৫১ দশমিক ৫ শতাংশ তরুণ,
যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তারা মত
প্রকাশের জন্য নিগ্রহের স্বীকার
হয়েছেন। ১৯ দশমিক ৩
শতাংশ তরুণ মনে করেন
সিদ্ধান্ত গ্রহণে তরুণদের মতামত নেওয়া হয় না।
৫৬
দশমিক ২ শতাংশ তরুণ
মনে করেন দুর্নীতি ও
মত প্রকাশের স্বাধীনতার অভাব উন্নয়নে বড়
চ্যালেঞ্জ। ৫৫ দশমিক ৪
শতাংশ তরুণ মনে করেন
মানসম্মত শিক্ষা ও দক্ষতার অভাব
রয়েছে।
এছাড়া
১৮ দশমিক ৭ শতাংশ তরুণ
বিদেশে পুরোপুরিভাবে চলে যেতে চান।
তবে ৫৩ দশমিক ২
শতাংশ তরুণ দেশেই থাকতে
চান। ৩৫ শতাংশ তরুণ
দেশের নেতৃত্বে অংশ নিতে চান।
আর নীতি পরিবর্তন হলে
৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণ
দেশের নেতৃত্বে অংশ নিতে চান।
সেন্টার
ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও নাগরিক
প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
বলেন, দ্রুততার সঙ্গে আমাদের সমাজে যুবদের সংখ্যা ও অনুপাত বেড়ে
চলেছে। এই যুব সমাজের
আশা আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা কার্যকর
করার ক্ষেত্রে আমরা কতটা সফল।
এই জিজ্ঞাসা বার বার আসছে।
সামনে নির্বাচন। সেখানে আমরা যুব সমাজের
অংশগ্রহণ দেখতে চাই।
তরুণ সিপিডি জরিপ দায়িত্ব নেতৃত্ব দৃষ্টিভঙ্গি
মন্তব্য করুন
দেশের নদী দখলদারদের উচ্ছেদ ও নদীর প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করে তালিকা প্রনয়ণের দাবিতে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেছেন রাকিব হাসান (২৪)। রাকিব হাসান কক্সবাজারের মহেশখালীর শাপলাপুরের ষাইটমারা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। "দুরত্ব ও সীমাবদ্ধতাকে পরাজিত কর" শিরোনামে গত ২০ এপ্রিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বাংলাবান্দা জিরোপয়েন্ট থেকে তিনি এ যাত্রা শুরু করেন। শেষ করবেন টেকনাফ জিরো পয়েন্টে গিয়ে। আগামী ১০ মে তিনি পর্যন নগরী কক্সবাজারে পৌঁছবেন। ১১ মে ভোর ৬ টায় টেকনাফের উদ্দেশ্যে মেরিন ড্রাইভ সড়ক পথে যাত্রা করবেন। ১২ মে অর্থাৎ ২৪ তম দিনে তিনি টেকনাফ গিয়ে যাত্রা বিরতি শেষ করবেন।
এই প্রতিবেদন লেখা অব্দি তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় উপজেলা ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়া সীমান্তবর্তী আজিজ নগরে অবস্থান করছেন। পায়ে হেটে এখন পর্যন্ত সে পথ অতিক্রম করেন ৮৪৫ কিলোমিটার। ভোর ৬টা থেকে শুরু করে রাত ৮/৯টা পর্যন্ত হাঁটেন তিনি। রাতে যেখানে হাঁটা বন্ধ হয়ে যেত, ওই এলাকায় পরিচিত কারও বাসায় পরিচিত না থাকলে হোটেলে, মসজিদে, পেট্রোল পাম্প এর রেস্ট হাউজে রাতযাপন করেন। দূরত্ব ভীতির কারনে কেউ সঙ্গী না হওয়ায় একাকী সে পদযাত্রা শুরু করে বলে জানায় তিনি। রাকিব আরও জানান, এটাই তার প্রথম দীর্ঘ একাকী পদযাত্রা। দুরত্ব ও দিনের হিসেব করে তিনি ২৪ দিনে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন বলে আশা করেন। এবং তিনি একাই ১০০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাকিব জানান, তিনি একাকী পদযাত্রায় বিচলিত নন। বরং তিনি দেশের নদীর দখল ও নদীর বিলীন হয়ে যাওয়া নিয়ে বিচলিত। তিনি আরও জানান,, নদী আমাদের দেশের রক্তনালীর মত। দেশে প্রবাহমান সমস্ত নদী এখন শুকিয়ে গেছে। আগামি দশকের মধ্যে অনেক নদী হয়তো মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাবে। যদি এই সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নদী রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে দেশের প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। এতে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর বিপর্যয় নেমে আসবে। যা তাকে উদ্ধিগ্ন করেছে। তাই তিনি সরকার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েই পদযাত্রার পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি আরো জানান, ঐক্যবদ্ধ হয়ে নদী রক্ষায় জনসচেতনতা বাড়ানোর ও চেষ্টা করছেন তিনি।
পদযাত্রার সীমাবদ্ধতার প্রশ্নে রাকিব জানান, প্রথম কয়েকদিন হাটার পর পা ব্যথা ও ফুলে গেলেও এখন তা সুস্থ হয়ে গেছে। এবং তিনি মনোবলের উপর জোর দিচ্ছেন। এতে করে তিনি তার গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
বাঁচতে হলে মহাশয়, রক্ষা করুন জলাশয়। বাঁচলে নদী বাঁচবে দেশ,আলোর হবে পরিবেশ। দখল দূষণ বন্ধ করি/নদীর মতন জীবন গড়ি। এ স্লোগানকে সামনে রেখে নদী রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান সচেনতন মহলের প্রতি।
বাংলাদেচ পরিবেশ আন্দোলন (বাপার) কক্সবাজার শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, নদী, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য বাঁচাতে রাকিবের একক আন্দোলন ও প্রতিবাদ অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য যে বার্তা দিচ্ছেন এতে নদী ও পরিবেশ বাঁচাতে নতুন প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবেন।তার এই কাজে সবার সম্পৃক্ত হওয়া প্রয়োজন। সেই সাথে নদী রক্ষায় দেশবাসীকে সচেতন করেছেন তিনি। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, নদী,পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারীদের কঠোর আইনের আওতায় আনতে তাঁর এ পদ যাত্রা যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ২৪ বছরের এ যুবক একজন শিক্ষার্থী। তাঁর দেশপ্রেম, অদম্য সাহস ও নদী বাঁচাও আন্দোলনের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন স্মরণে রাখবে।
মন্তব্য করুন
(পর্ব-১)
স্বপ্নের নেপাল। হিমালয়ের কন্যা সে। সাদা সুউচ্চ পর্বত একে তুষারের শুভ্রতা দিয়ে আচ্ছন্ন করে রাখে গভীর আর মৌন সৌন্দর্যে। আর তাই যারা পাহাড় ভালোবাসেন, উচ্চতাকে ভালোবাসেন তাদের কাছে হিমালয় হলো স্বর্গ
এক একটা পাহাড় জয় করা যেনো পাহাড়প্রেমীদের কাছেও স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্নপূরণ করতে বাংলাদেশের থেকে যাত্রা করেন মোহাম্মদ তানভীর আলম। ছুয়ে আসেন ইয়ালা পিকের শিখর। ল্যাংটাং রিজিয়নের ইয়ালা পাহাড়ের উচ্চতা ৫৫২০ মিটার বা প্রায় ১৯ হাজার ফুট। সেই গল্প ও নেপাল পৌছানোর পর তার দিনলিপি নিয়ে লিখেছেন আমাদের কাছে। তার গল্প আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো দুইটি ভিন্ন পর্বে। আজকের পর্বে থাকছে সেই গল্পের একাংশ।
৩০.১০.২২, দিন ১
সকাল ৬ টায় বাসা থেকে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার মাধ্যমে অভিযানের যাত্রা শুরু। কোন গাইড ছাড়া নিজের প্রচেষ্টায় নেপালের লাংটাং রিজিওনে ৫,৫০০ মিটার উচ্চতার ট্রেকিং চূড়া ইয়ালা পিক সামিট এই অভিযানের উদ্দেশ্য।
১২:৩০: ত্রিভূবন এয়ারপোর্ট, কাঠমান্ডু থেকে বের হয়ে হোটেল এর উদ্দেশ্যে ট্যাক্সি নিলাম। হোটেল ফ্লোরিড আজকের অস্থায়ী ঠিকানা। হাতে সময় না থাকায় ঢাকা থেকেই হোটেল বুকিং করে এসেছিলাম।যদিও রূম পছন্দ হয়নি কিন্তু ওদের নীচতলায় যে রেষ্টুরেন্ট তার জন্য হোটেল এর পিছনে খোলা উঠানে বসার ব্যবস্থাটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ওদের রিসেপশনে ছোট্ট একটা লাইব্রেরী বা বইয়ের সংগ্রহ আছে। হোটেল এর লোকেশনটা অবশ্য অনেক ভালো, কাঠমান্ডুর প্রাণকেন্দ্র থামেলের জেড স্ট্রীটে এটির অবস্থান। এবং হোটেল মালিক মিঃ দিপক খুবই আন্তরিক। বাজেট হোটেল হিসেবে হোটেলটি ভালো।
সন্ধ্যায় কিছু প্রয়োজনীয় কেনাকাটা শেষ করে ও স্লিপিং ব্যাগ ভাড়া নিয়ে রূমে ফিরে ব্যাকপ্যাক গোছানো শুরু করলাম। কালকে সকালে বাস ধরতে হবে।
৩১.১০.২২, ২য় দিন
গন্তব্য সায়াব্রুবেসি