সুবাহ'র বিরুদ্ধে ইলিয়াসের জিডি, বিচ্ছেদ হচ্ছে শীঘ্রই

সম্প্রতি বিয়ে করছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেনের সাবেক প্রেমিকা সুবাহ ও সংগীত শিল্পী ইলিয়াস হুসেন। এই শিল্পীকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন এমন সংবাদ বাংলা ইনসাইডারে প্রকাশ হলে তখন খবরটি ভিত্তিহীন বলেছিলেন ইলিয়াস। তবে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।

বিয়ের দুই মাস না যেতেই সুবাহ'কে ডিভোর্স দিচ্ছেন ইলিয়াস। বিয়ে, বিচ্ছেদ সহ নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হয় ইলিয়াসের। 

বেশ কয়েকদিন ধরে আমি এক প্রকার বন্দী ছিলাম জানিয়ে এই শিল্পী বলেন, আমাকে বেশ কয়েকদিন ধরে এক প্রকার বন্দী করে রাখা হয়েছিলো। কিছু হলেই লাইভে এসে সে নানা ভাবে আমাকে নিয়ে নানা মন্তব্য করতো। এমনকি বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করার হুমকিও দিতো। পাশাপাশি আমাকে নামা ভাবে শারীরিক ভাবেও আঘাত করে। কিন্তু পরে সে আবার নিজেই আমার উপর দোষ দিতো। সব কিছু মিলেই বেশ আতংকে ছিলাম আমি। 

ইতোমধ্যে থানায় জিডি করেছি উল্লেখ করে ইলিয়াস বলেন, আমি গতকাল ২৮ ডিসেম্বর রাতে তার বিরুদ্ধে জিডি করেছি। কেননা তার ব্লাকমেইলিং মাত্রা এত বেড়ে যাচ্ছিলো যে, যে কোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতো। 

বিয়ের পর সুবাহ'র সাথে অন্য ব্যক্তিদের খারাপ সম্পর্ক আছে তা টের পেয়েছিলেন এই তরুণ সংগীত শিল্পী। এ নিয়ে বেশ হতাশ হয়েই ইলিয়াস বলেন, বিয়ের পর আমি বেশকিছু স্কিনশট পেয়েছি যেগুলো আমাকে অনেকেই পাঠিয়েছেন। সেগুলো দেখে আমি বিব্রত। সেখানে সুবাহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে ৪/৫ লাখ করে টাকা চেয়েছে। সেই ব্যক্তিদের নাম বলতে পারব না। টাকার বিনিময়ের জন্য অশ্লীল ছবি পাঠিয়েছে তাদের। মানুষের বদনাম করতে পছন্দ করি না। কিন্তু এসব এখন বলতে বাধ্য হলাম। সবার জানা উচিত সুবাহ কেমন মেয়ে। 

এদিকে, বিএনপি নেতা তারেক জিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে সুবাহর বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান ইলিয়াস।

ইলিয়াস বলেন,  যেদিন জানতে পারি তারেক জিয়ার স্ত্রীর সাথে তার সুসম্পর্ক সেদিনই ওর বাসা থেকে চলে এসেছি৷ কারণ আমি মনেপ্রাণে আওয়ামী লীগ করি। আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি  করার জন্য ভিবি নূর, হেফাজতের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিলাম। যখন এসব বলেছেন তখন আমার মাথা নষ্ট হয়ে যায়। তখনই বুঝতে পারি আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেবে। ওইদিনের লাইভের ভিডিও বিএনপির পেজ থেকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমার দলীয় লোকজন যাতে আমাকে ভুল বুঝে সে জন্য সে এগুলো করতেছে। এমনও হুমকি দিয়েছে যে, আমি যদি সুবাহর কথা না শুনি তাহলে বাহিরে সবাইকে বলবে সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে আমি টাকা হাতাই। যেগুলো সবই ভিত্তিহীন।

ডিভোর্স কবে দিচ্ছেন জানতে চাইলে ইলিয়াস বলেন, খুব শীঘ্রই ওকে ডিভোর্স দিবো। আমি এতোটাই চাপে ছিলাম যে কারো সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারিনি। কেননা সব সময় আমার ফোন ওর কাছে থাকতো। আমি আমার ফ্রেন্ডের সাথে যদি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাইতাম তখন আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দিতো।