ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিপিএলে ব্যর্থ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ব্যাটাররা?


প্রকাশ: 06/02/2022


Thumbnail

নানা সমালোচনাকে সঙ্গী করেই চলছে বিপিএল। বিপিএলে বল হাতে দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশের বোলাররা। তবে ব্যাট হাতে মলিন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ব্যাটাররা। জাতীয় পুলে থাকা তরুণ এবং নবীন ব্যাটাররা এখনও নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি বিপিএলে। কেউই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না। তরুণ এবং নবীন ব্যাটারদের এমন সাদামাটা পারফরম্যান্স চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচকদের জন্যও। 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দিনে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলছিলেন, ‘টুর্নামেন্টের মাঝ পর্যন্ত (জাতীয় দলের তরুণদের পারফরম্যান্স) সন্তোষজনক নয়। আশা করছি, তারা পরবর্তী রাউন্ডগুলোয় নিজেদের মেলে ধরতে পারবে।’

প্রধান নির্বাচকের আস্থার প্রতিদান এখনো পর্যন্ত দিতে পারেননি জাতীয় পুলে থাকা তরুণ ক্রিকেটাররা। এখন পর্যন্ত বিপিএলে ব্যাট হাতে দাপট দেখাচ্ছে তামিম, রিয়াদ, মুশফিকের মত অভিজ্ঞরাই। ভালো খেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান-লিটন দাসের মতো তারকা ক্রিকেটাররাও। কিন্তু গত এক বছর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে যাঁদের নিয়ে ভবিষ্যতের ছক কষছে টিম ম্যানেজমেন্ট, তাঁদের বেশির ভাগ এখনো আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। তরুণদের এমন ব্যর্থতা চিন্তায় ফেলেছে টিম ম্যানেজমেন্টকেও।

এক বছরের বেশি সময় বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের ওপেনিং জুটিতে তামিমের অনুপস্থিতিতে ধারাবাহিক সুযোগ পাচ্ছেন মোহাম্মদ নাঈম। গত এক বছর সংক্ষিপ্ত সংস্করণে টানা ২৬ ম্যাচ খেলে তরুণ বাঁহাতি ওপেনার বিপিএলে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে ৫ ম্যাচে ১৫ গড়ে করেছেন ৬৭ রান, স্ট্রাইকরেটও বড় মলিন ৬৭। নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, শামীম পাটোয়ারী, মেহেদী হাসানের পারফরম্যান্সও এখনো বলার মতো নয়।

চট্টগ্রামের হয়ে খেলা শামীমের মাঝে অনেকে সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের মিডল, লোয়ার মিডল অর্ডারে উজ্জ্বল সম্ভাবনা খুঁজে পেলেও এই বিপিএলটা তাঁর ভালো যাচ্ছে না, ৬ ম্যাচে করেছেন ৮১ রান। দ্রুত রান তোলার কাজ যাঁর, সেই শামীমের সেখানে স্ট্রাইকরেট ৯২.০৪। আর খুলনার হয়ে খেলা মেহেদী ৪ ম্যাচে করেছেন ৬১। বরিশালের শান্ত ৬ ম্যাচে ২২.৩৩ গড় ও ৯১.৭৮ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১৩৪ রান। তাঁর বিপিএল সতীর্থ সোহান ৫ ম্যাচে করেছেন ৩২ রান।

ছন্দ হারিয়ে ফেলা জাতীয় দলের সতীর্থদের তুলনায় এ বিপিএলে কিছুটা ভালো করেছেন আফিফ হোসেন। চট্টগ্রামের জার্সিতে ৮ ম্যাচে ৫১.৫০ গড়ে করেছেন ১৮৫ রান, স্ট্রাইকরেট ১১৯ হলেও টুর্নামেন্টের রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন পাঁচে।

এই তরুণদের ওপর ভরসা করে টি-টোয়েন্টি থেকে ছয় মাসের বিরতি নিয়েছেন তামিম। অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনারের প্রত্যাশা, আগামী ছয় মাসে তরুণেরা এত ভালো খেলবেন, যেন এই সংস্করণে জাতীয় দলে তাঁকে আর না ফিরতে হয়।

অথচ সেই তামিমই এবারের বিপিএলে গতকাল পর্যন্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটার। একই সঙ্গে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও (৬ ম্যাচে ২৬২ রান)। তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করছেন মাহমুদউল্লাহ-সাকিবও। ভালো করছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয়, রনি তালুকদারের মতো ব্যাটাররা। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞ এবং পুরাতন ক্রিকেটাররা ভালো করলেও শামীম-নাঈম-শান্ত-সোহানদের জ্বলে উঠতে না পারাটা বড় চিন্তার কারণ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের উপর, সেই তারা ই যদি বিপিএলে ভালো করতে না পারে তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কতটুকু নিজেদের মেলে ধরতে পারবে সেই প্রশ্নও থেকে যায়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭