ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিপিএলে ব্যর্থ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ব্যাটাররা?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail বিপিএলে ব্যর্থ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ব্যাটাররা?

নানা সমালোচনাকে সঙ্গী করেই চলছে বিপিএল। বিপিএলে বল হাতে দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশের বোলাররা। তবে ব্যাট হাতে মলিন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ব্যাটাররা। জাতীয় পুলে থাকা তরুণ এবং নবীন ব্যাটাররা এখনও নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি বিপিএলে। কেউই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না। তরুণ এবং নবীন ব্যাটারদের এমন সাদামাটা পারফরম্যান্স চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচকদের জন্যও। 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দিনে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলছিলেন, ‘টুর্নামেন্টের মাঝ পর্যন্ত (জাতীয় দলের তরুণদের পারফরম্যান্স) সন্তোষজনক নয়। আশা করছি, তারা পরবর্তী রাউন্ডগুলোয় নিজেদের মেলে ধরতে পারবে।’

প্রধান নির্বাচকের আস্থার প্রতিদান এখনো পর্যন্ত দিতে পারেননি জাতীয় পুলে থাকা তরুণ ক্রিকেটাররা। এখন পর্যন্ত বিপিএলে ব্যাট হাতে দাপট দেখাচ্ছে তামিম, রিয়াদ, মুশফিকের মত অভিজ্ঞরাই। ভালো খেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান-লিটন দাসের মতো তারকা ক্রিকেটাররাও। কিন্তু গত এক বছর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে যাঁদের নিয়ে ভবিষ্যতের ছক কষছে টিম ম্যানেজমেন্ট, তাঁদের বেশির ভাগ এখনো আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। তরুণদের এমন ব্যর্থতা চিন্তায় ফেলেছে টিম ম্যানেজমেন্টকেও।

এক বছরের বেশি সময় বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের ওপেনিং জুটিতে তামিমের অনুপস্থিতিতে ধারাবাহিক সুযোগ পাচ্ছেন মোহাম্মদ নাঈম। গত এক বছর সংক্ষিপ্ত সংস্করণে টানা ২৬ ম্যাচ খেলে তরুণ বাঁহাতি ওপেনার বিপিএলে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে ৫ ম্যাচে ১৫ গড়ে করেছেন ৬৭ রান, স্ট্রাইকরেটও বড় মলিন ৬৭। নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, শামীম পাটোয়ারী, মেহেদী হাসানের পারফরম্যান্সও এখনো বলার মতো নয়।

চট্টগ্রামের হয়ে খেলা শামীমের মাঝে অনেকে সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের মিডল, লোয়ার মিডল অর্ডারে উজ্জ্বল সম্ভাবনা খুঁজে পেলেও এই বিপিএলটা তাঁর ভালো যাচ্ছে না, ৬ ম্যাচে করেছেন ৮১ রান। দ্রুত রান তোলার কাজ যাঁর, সেই শামীমের সেখানে স্ট্রাইকরেট ৯২.০৪। আর খুলনার হয়ে খেলা মেহেদী ৪ ম্যাচে করেছেন ৬১। বরিশালের শান্ত ৬ ম্যাচে ২২.৩৩ গড় ও ৯১.৭৮ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১৩৪ রান। তাঁর বিপিএল সতীর্থ সোহান ৫ ম্যাচে করেছেন ৩২ রান।

ছন্দ হারিয়ে ফেলা জাতীয় দলের সতীর্থদের তুলনায় এ বিপিএলে কিছুটা ভালো করেছেন আফিফ হোসেন। চট্টগ্রামের জার্সিতে ৮ ম্যাচে ৫১.৫০ গড়ে করেছেন ১৮৫ রান, স্ট্রাইকরেট ১১৯ হলেও টুর্নামেন্টের রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন পাঁচে।

এই তরুণদের ওপর ভরসা করে টি-টোয়েন্টি থেকে ছয় মাসের বিরতি নিয়েছেন তামিম। অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনারের প্রত্যাশা, আগামী ছয় মাসে তরুণেরা এত ভালো খেলবেন, যেন এই সংস্করণে জাতীয় দলে তাঁকে আর না ফিরতে হয়।

অথচ সেই তামিমই এবারের বিপিএলে গতকাল পর্যন্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটার। একই সঙ্গে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও (৬ ম্যাচে ২৬২ রান)। তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করছেন মাহমুদউল্লাহ-সাকিবও। ভালো করছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয়, রনি তালুকদারের মতো ব্যাটাররা। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞ এবং পুরাতন ক্রিকেটাররা ভালো করলেও শামীম-নাঈম-শান্ত-সোহানদের জ্বলে উঠতে না পারাটা বড় চিন্তার কারণ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের উপর, সেই তারা ই যদি বিপিএলে ভালো করতে না পারে তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কতটুকু নিজেদের মেলে ধরতে পারবে সেই প্রশ্নও থেকে যায়।

বিপিএল   নাঈম শেখ   শামীম পাটোয়ারী   শান্ত   আফিফ   ভবিষ্যৎ তারকা   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শিরোপার লড়াইয়ের মীমাংসায় মাঠে নামছে ম্যানসিটি ও আর্সেনাল

প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রিমিয়ার লিগ শেষ মুহূর্তে এসে জমে উঠলেও শিরোপার সমীকরণ এখনও মেলাতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল। একে অপরকে রীতিমতো টেক্কা দিয়েই চলেছে এই দুই ক্লাব। যদিও গানারদের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়েই আছে সিটিজেনরা।

তবে আজ রাতেই এই লড়াইয়ের মীমাংসা হয়ে যাবে। শিরোপার লড়াইয়ে রাতে আলাদা আলাদা ম্যাচে মাঠে নামবে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। আজ (রোববার) রাত ৯টায় ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। আর অন্য ম্যাচে এভারটনকে চ্যালেঞ্জ জানাবে আর্সেনাল।

লিগে এখন ৩৭ ম্যাচে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে ম্যানসিটি। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট আর্সেনালের। ৭৯ পয়েন্টের অধিকারী লিভারপুল শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকে গেছে আগেই।

প্রায় দুই দশক পর লিগ শিরোপার স্বাদ নিতে এভারটনের বিপক্ষে আর্সেনালের জিততেই হবে, পাশাপাশি ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে হারতে হবে ম্যানচেস্টার সিটিকে। সে তুলনায় ম্যানসিটির সমীকরণটা সহজ, ৩৮তম ম্যাচে জিতলেই আর কিছুর হিসাব মেলাতে হবে না গার্দিওলার শিষ্যদের।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন যেই হোক, কত টাকা পাবে তারা? রানার্সআপদের জন্যই বা বরাদ্দ কত? মার্কার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চ্যাম্পিয়নরা পাবে ৫৭ মিলিয়ন ইউরো, টাকার হিসাবে যা প্রায় ৭২৩ কোটি।

অপরদিকে আর্সেনাল যদি হোঁচট খায়, তবে তারা পাবে ৫২ মিলিয়ন ইউরো। লিভারপুল এরই মধ্যে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করে ফেলেছে। তারা পাবে ৫০ মিলিয়ন ইউরো। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলা পাবে ৪৭ মিলিয়ন ইউরো।


ম্যানচেস্টার সিটি   আর্সেনাল   প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিরল মেসি, জিতল মায়ামি

প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত ম্যাচে চোটের কারণে দলের সাথে ছিলেন না লিও মেসি। যার জন্য হেরেছিল তার দল। তবে পরের ম্যাচে যেমনি তিনি দলে ফিরলেন তেমনই জিতল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ১৪ তম ম্যাচডে তে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে মেসির দল।

রোববার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় (বাংলাদেশ সময়) নিজেদের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ডিসি ইউনাইটেডকে আতিথ্য দেয় মায়ামি। ইস্টার্ন কনফারেন্স স্লটের এই ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে মেসি-সুয়ারেজরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই দলগতভাবে ইন্টার মায়ামি দাপট দেখালেও জালে বল পাঠাতে পারছিলেন না কেউই। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হয়তো গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের শেষে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে গোল করে চমক দেখান কাম্পানা। মাঝমাঠ থেকে বুসকেতসের বাড়ানো বলকে দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়ান ইকুয়েডরিয়ান এ ফরোয়ার্ড।

উল্লেখ্য, লিগে ১৫ ম্যাচে ৯ জয় ৪ ড্র ও ২ হারে মায়ামির পয়েন্ট ৩১। এক ম্যাচ কম খেলা সিনসিনাটির পয়েন্ট ৩০। মায়ামির পরবর্তী ম্যাচ আগামী রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায়। সেই ম্যাচে ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে মাঠে নামবে মেসিরা।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মে রোহিতের মত কোহলিরও ‘না’

প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম। এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো।

তবে এখন  প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় দলে এই নিয়মের কোন প্রভাব পড়ছে কি না, সেই নিয়ম কি বিপদে ফেলছে ভারতীয় দলকেই, নাকি হচ্ছে সুবিধা? আইপিএলের এই নিয়মটা পছন্দ না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার। সম্প্রতি রোহিত ক্লাব ফ্রেইরে পডকাস্টে বলেছিলেন তার ভাবনার কথা। এবার রোহিতের সঙ্গেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ইস্যুতে নিজের সুর মিলিয়েছেন ভিরাট কোহলি।

কোহলি বলেন, চার-ছক্কা হলেই ম্যাচ জমে না। ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা থাকলেই ক্রিকেট হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক। জিও সিনেমায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ভিরাট। রোহিতের কথায় সমর্থন জানিয়ে কোহলি বলেন, আমি রোহিতের সঙ্গে একমত। খেলার একটা দিক হচ্ছে বিনোদন, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কোনো সমতা থাকছে না। এ অবস্থায় বোলারদের খারাপ লাগারই কথা। আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতি দেখিনি, যেখানে একজন বোলারকে প্রতিটি বলে চার বা ছয় হজমের কথা ভাবতে হচ্ছে। সব দলে তো আর বুমরাহ কিংবা রশিদ খান নেই।

কোহলি আরও বলেন, একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিয়মটা আমি ভালো বলতে পারি। কিন্তু ম্যাচ তো জমজমাট হতে হবে। ক্রিকেটে চার-ছক্কা হলেই যে ম্যাচ জমে ব্যাপারটা এমন না। ১৬০ রান ডিফেন্ড করতে পারলেও কিন্তু ম্যাচ জমে, সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আবহ দর্শকরা উপভোগ করতে পারে।

উল্লেখ্য, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মে আছে, কোনো খেলোয়াড় আউট হয়ে গেলে তার পরিবর্তে নামা কেউ ব্যাট করতে পারবেন। তবে ১১ জনের বেশি ব্যাট করতে পারবেন না। আবার বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও যদি কোনো প্লেয়ারের কোটা শেষ হয়ে যায়, তাহলে বদলি হিসেবে নামা একজন পূর্ণ ৪ ওভার বল করতে পারবেন। মূলত, এই সিস্টেমে ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা কমছে। সুবিধামত সময়ে অতিরিক্ত একজন পূর্ণ ব্যাটার কিংবা বোলার ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন অধিনায়করা।


ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার   আইপিএল   রোহিত শর্মা   ভিরাট কোহলি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

একবছরেই অনুষ্ঠিত হবে দুই বিপিএল!

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। প্রতিবারই বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টটির। শুধু তাই নয়, নানা জটিলতা ও নানা কারণে প্রতি আসরেই টুর্নামেন্টটির সময়-সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়।

২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের কারণে বিপিএল পিছিয়ে শুরু হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি। টুর্নামেন্টটির আগামী আসর শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক হয়ে আছে ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তবে এবারও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে পূর্বে নির্ধারিত তারিখে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কারণে ২০২৫ সালের বিপিএলের সময় এগিয়ে আনতে হতে পারে। এতে বিপিএলের একাদশ আসর মাঠে গড়াতে পারে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। যদি তাই হয় তবে এক বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি।

অবশ্য এর জন্য আয়োজক কমিটি দায়ী নয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। জানা গেছে, আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ আইসিসির এই ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সময় ঠিক হয়ে আছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের প্রস্তুতির জন্য হলেও বাংলাদেশ দলের কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে।

এ কারণে ২৫ ডিসেম্বর থেকে টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক সূচির সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী।

সাত দলের বিপিএল ডাবল লিগ ভিত্তিতে ৪৪টি ম্যাচ খেলা হয়। টুর্নামেন্ট শেষ করতে সময় লাগে ৪০ দিনেরও বেশি। একাদশ আসর ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে শুরু হলে শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। সে ক্ষেত্রে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ওয়ানডে প্রস্তুতি নেয়ার সময় থাকবে না।

এ অবস্থায় টুর্নামেন্ট শেষ করেই পাকিস্তানের বিমান ধরতে হবে। ৫০ ওভারের ম্যাচের প্রস্তুতি নেয়ারও সুযোগ পাবে না খুব একটা। এই বিষয়ে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির সময় ধরে আমরা বিপিএল স্লট ঠিক করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা কবে থেকে অনুশীলন শুরু করতে চায়। আমার মনে হয় না যে স্লট দেওয়া আছে, সেখানে খুব একটা পরিবর্তন করতে হবে। এক-দুই দিন এদিক-ওদিক করতে হতে পারে।’

ডিসেম্বরের শেষদিকে বিপিএলের একাদশ আসর শুরু হলে আসরকে বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য তিনটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট- আরব আমিরাতের আইএল, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএটি২০ ও বিগ ব্যাশের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে।


বিপিএল   বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্লে-অফের দৌঁড় থেকে ছিটকে মুস্তাফিজের জন্য চেন্নাইয়ের আক্ষেপ

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেশ জাকজমকপূর্ণভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল আইপিএলের ১৭তম আসরের। যেখানে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। আসরের শুরু থেকেই নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচে চার জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ওপরের দিকেই ছিল তারা। তবে শেষ দিকে এসে যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলে ঋতুরাজ গায়কোয়াডের দল। যার জন্য প্লে-অফের দৌড় থেকেও ছিটকে গেছে তারা।

শনিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে শেষ ওভারে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৩৫ রান। তবে রান রেটের হিসেবে ১৭ রান তুলতে পারলে প্লে-অফে জায়গা হতো চেন্নাইয়ের। কিন্তু সেটি করতে পারেনি তারা। মার্ক দয়ালের সে ওভার থেকে তোলে মোটে ৭ রান। এতে হারের পাশাপাশি রান রেটের হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচ হেরে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো মৌসুম না পাওয়ার আক্ষেপ ঝরল চেন্নাইয়ের অধিনায়কের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। পাথিরানার ইনজুরি, তারপর ফিজের না থাকাটা। এরপর পাথিরানা আসলো, দেশে ফিরে গেল, ফিজকেও আমরা হারিয়েছি। এরকম চলতে থাকলে স্কোয়াডে ভারসাম্য আনাটা কষ্ট। ম্যাচের জন্য একাদশ বাছাইও কঠিন হয়ে যায়। পুরো আসরে যেভাবে চোট, ক্রিকেটারদের না পাওয়ার সঙ্গে আমরা লড়েছি তাতে ১৪ ম্যাচে ৭ জয় খারাপ কিছু নয়।’

মুস্তাফিজ আর পাথিরানাকে চেন্নাইয়ের সম্পদ উল্লেখ করে রুতুরাজ বলেন, ‘আমাদের সামনের সারির দুজন বোলার ছিল না। যারা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্পদ ছিল। কনওয়েকে আমরা শুরুতে পাইনি। তিন জন মূল ক্রিকেটারের না থাকাটা বড় ধরনের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। চেন্নাইয়ের ম্যানেজমেন্ট, স্টাফরা সবাই পুরো আসর জুড়ে আমাদের অনেক সমর্থন করেছে।’

প্রসঙ্গত, এবারের আসরে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে দেশে ফিরতে হয় তাকে। অন্যদিকে ইনজুরির কারণে নিজ দেশ শ্রীলংকায় ফিরতে হয় মাথিশা পাথিরানাকেও।


Indian Premier League   IPL T20   আইপিএল   মুস্তাফিজুর রহমান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন