ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ডনবাসে রাশিয়ার জয় এখনও অনিশ্চিত


প্রকাশ: 18/05/2022


Thumbnail

মারিওপোলের নিয়ন্ত্রন হাতে নিলেও পূর্বাঞ্চলের ডনবাস হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে রাশিয়ান সেনারা। অঞ্চলটি দখলের লড়াইয়ে তীব্র প্রতিরোধের মুখে রুশবাহিনীর পরাজয়ের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। সূত্র: রয়টার্স 

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অঞ্চলটি পুরোপুরি জয়ের লক্ষ্যে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জনে লড়াইয়ের জন্য পর্যাপ্ত জনবল রুশ বাহিনীর নেই। কারণ, তারা এরই মধ্যে ইউক্রেনে বহু সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে।  

পশ্চিমা দেশগুলোর পাঠানো আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে ইউক্রেনের যুদ্ধ সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। এমতাবস্থায় নাটকীয়ভাবে রুশবাহিনীর অভিযান দূর্বল হয়ে পড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনে নতুন করে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র পাঠাবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিতে হবে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকগণ। তবে এত দ্রুত রাশিয়ার পরাজয়ের সম্ভাবনাও নেই সে কথাও বলা হচ্ছে। ডনবাস অঞ্চলে চার সপ্তাহের লড়াই যে আরো দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে তা আরো স্পষ্ট। 

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেন অভিযানে অংশ নেওয়া রুশ বাহিনী বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। তারা অনেক সেনা ও সরঞ্জাম হারিয়েছে। ইউক্রেন এখন পশ্চিমা ভারী অস্ত্রশস্ত্র হাতে পাচ্ছে। ফলে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বড় অগ্রগতি অর্জনের সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে।  

পোল্যান্ডভিত্তিক স্বাধীন প্রতিরক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রোচান কনসালটিংয়ের পরিচালক কনরাড মুজায়কা ইউক্রেনে লড়াইরত রুশ বাহিনীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলেন, ‘আমি মনে করি, বর্তমানে যে সেনাশক্তি আছে, তাতে হয় তারা পরাজিত হবে, নয়তো সৈন্য সংযোজন করতে হবে। আমি মনে করি না, এখানে মধ্যবর্তী কোনো অবস্থা আছে।’  

যুদ্ধে রাশিয়ার রসদ দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে আর অন্যদিকে ইউক্রেন তার সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। তাই রাশিয়া এই মুহূর্তে ব্যাকফুটে, এমনটা বলছেন লন্ডনভিত্তিক চিন্তন প্রতিষ্ঠান আরইউএসআইয়ের নিল মেলভিন। 

তবে মঙ্গলবার (১৭ মে) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ দাবি করেন, ‘সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চলছে। সব লক্ষ্য যে অর্জিত হবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’ 

কিন্তু চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার প্রধান টিভি চ্যানেলে এক অস্বাভাবিক সমালোচনামূলক মন্তব্য করেন একজন খ্যাতিমান সামরিক বিশ্লেষক। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন যেটিকে বিশেষ সামরিক অভিযান বলছেন, সে সম্পর্কে ‘তথ্যমূলক ঘুমের ওষুধ’ গেলা রাশিয়ানদের বন্ধ করা উচিত। 

রাশিয়ার অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিখাইল খোদারেনক বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর কাছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় অস্ত্রের সরবরাহ বাড়ছে। ফলে খোলাখুলিভাবে বলতে গেলে, রুশ বাহিনীর জন্য পরিস্থিতি খারাপ হবে। রুশ বাহিনীর অবস্থা বর্তমানে নাজুক বলেই তিনি মনে করেন। 

রুশ বাহিনীর হামলার আগে ডনবাসের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দনবাসের  লুহানস্কের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে মস্কো। কিন্তু দোনেৎস্ক পুরো নিয়ন্ত্রণে নিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। দোনেৎস্কের প্রধান শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি রুশ বাহিনী।  

ডনবাসের উত্তরে ইউক্রেনীয় বাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে। খারকিভ শহরের কাছেও রুশ বাহিনী পাল্টা আক্রমণের মুখে পড়েছে। ফলে রুশ বাহিনী দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি এক স্থানে রুশ বাহিনী সীমান্ত পর্যন্ত সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

কোফম্যান বলেন, আক্রমণের ক্ষেত্রে রুশ বাহিনী ভালো করতে পারেনি। তবে তারা সহজে পরাজিত বা আত্মসমর্পণও করবে না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭