ইনসাইড পলিটিক্স

ফের শুদ্ধি অভিযানে নামলেন শেখ হাসিনা?


প্রকাশ: 03/11/2022


Thumbnail

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সাল হঠাৎই গ্রেপ্তান হন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগাঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। মুহুর্তেই দেশের রাজনৈতিক মহলসহ সারাদেশ জুড়ে বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন। এর কারণ ছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী একটি সংগঠনের একজন নেতা এভাবে প্রেপ্তার হবেন সেটা কারো কল্পনাতে ছিল না, কেউ মেনেও নিতে পারেননি। শুধু খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াই নন। এর দুদিন পরই গ্রেপ্তার হন যুবলীগের আরেক নেতা জিকে শামীম। দেশজুড়ে তোলপাড় আরও তুঙ্গে। সাধারণ মানুষ এতোকিছু বুঝতে না বুঝতেই গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। এরপর একে একে পাপিয়া, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ আরও অনেক গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনেরই নেতা। তবে তারা সবাই অপরাধী এবং প্রতেক্যকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা ঘোষণা করেছিল। সে সন্ত্রাস যে দলেরই হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও একাধিকবার উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই অংশ হিসেবে এই শুদ্ধি অভিযান ছিল বলে ধারণা করা হয়েছিল। আর এই অভিযান চলমান থাকবে বলে শেখ হাসিনা বারবার সতর্ক করেছিলেন। এ ধরনের শুদ্ধি অভিযানকে রাজনৈতিক মহল ছাড়াও সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছিল। এরই মধ্যে বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। মানুষও ভুলে গেছে শুদ্ধি অভিযানের কথা। কিন্তু গত মঙ্গলবার আবারও হঠাৎ আলোচনায় উঠে আসলো সেই শুদ্ধি অভিযানের কথা। আর এই আলোচনা উঠে আসার অন্যতম প্রধান কারণ হলো দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের গ্রেপ্তারের খবর। জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে গত মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য যে, ড. কাজী এরতেজা হাসান সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান। তিনি একাধিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলেন। আর তাই তার গ্রেপ্তারের খবরে আবার আলোচনায় উঠে আসলো শেখ হাসিনা কি ফের শুদ্ধি অভিযান শুরু করলেন?

আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ফের নতুন করে নয়, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আওয়ামী লীগ কোন অপরাধকে প্রশ্রয় দেয় না। সে দলেরই হোক কিংবা অন্য যে কেউ হোক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না এবং সে যে দলেরই হোক না কেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মহলকে নির্দেশনা দেয়া আছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে অনেকে এও বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো আবার শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭