১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সাল হঠাৎই গ্রেপ্তান হন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগাঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। মুহুর্তেই দেশের রাজনৈতিক মহলসহ সারাদেশ জুড়ে বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন। এর কারণ ছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী একটি সংগঠনের একজন নেতা এভাবে প্রেপ্তার হবেন সেটা কারো কল্পনাতে ছিল না, কেউ মেনেও নিতে পারেননি। শুধু খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াই নন। এর দুদিন পরই গ্রেপ্তার হন যুবলীগের আরেক নেতা জিকে শামীম। দেশজুড়ে তোলপাড় আরও তুঙ্গে। সাধারণ মানুষ এতোকিছু বুঝতে না বুঝতেই গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। এরপর একে একে পাপিয়া, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ আরও অনেক গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনেরই নেতা। তবে তারা সবাই অপরাধী এবং প্রতেক্যকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা ঘোষণা করেছিল। সে সন্ত্রাস যে দলেরই হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও একাধিকবার উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই অংশ হিসেবে এই শুদ্ধি অভিযান ছিল বলে ধারণা করা হয়েছিল। আর এই অভিযান চলমান থাকবে বলে শেখ হাসিনা বারবার সতর্ক করেছিলেন। এ ধরনের শুদ্ধি অভিযানকে রাজনৈতিক মহল ছাড়াও সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছিল। এরই মধ্যে বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। মানুষও ভুলে গেছে শুদ্ধি অভিযানের কথা। কিন্তু গত মঙ্গলবার আবারও হঠাৎ আলোচনায় উঠে আসলো সেই শুদ্ধি অভিযানের কথা। আর এই আলোচনা উঠে আসার অন্যতম প্রধান কারণ হলো দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের গ্রেপ্তারের খবর। জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে গত মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য যে, ড. কাজী এরতেজা হাসান সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান। তিনি একাধিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলেন। আর তাই তার গ্রেপ্তারের খবরে আবার আলোচনায় উঠে আসলো শেখ হাসিনা কি ফের শুদ্ধি অভিযান শুরু করলেন?
আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ফের নতুন করে নয়, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আওয়ামী লীগ কোন অপরাধকে প্রশ্রয় দেয় না। সে দলেরই হোক কিংবা অন্য যে কেউ হোক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না এবং সে যে দলেরই হোক না কেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মহলকে নির্দেশনা দেয়া আছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে অনেকে এও বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো আবার শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন।
শুদ্ধি অভিযান শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
বিএনপি আমির খসরু মির্জা ফখরুল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন।