ইনসাইড বাংলাদেশ

একক নির্বাচনের সড়কে এরশাদের জাপা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 01/02/2018


Thumbnail

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি একক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ হযরত শাহজালাল (র.) এবং হযরত শাহ পরান (র.) এর রওজা জিয়ারতের মাধ্যমে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন। এরশাদের এ নির্বাচনী প্রচারণায় সঙ্গে থাকবেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি, দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, দলের কো-চেয়ারম্যান সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদেরসহ দলের সিনিয়র নেতারা।

জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ৯টি বিভাগে বিভাগীয় সমাবেশ করবে জাতীয় পার্টি। এছাড়া গোটা মাস জুড়েই নির্বাচনী প্রচারণায় থাকবে দলটি। জাপা সূত্র জানায়, ২ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ বিভাগ,৩ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও জেলা,৪ ফেব্রুয়ারি রংপুর এবং এর পরদিন ৫ ফ্রেবুয়ারি ঢাকায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম বৈঠক। ওই বৈঠক থেকেই আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। জাপার এক প্রেসিডিয়াম সদস্য সদস্য জানান, আগামী নির্বাচনে উত্তরাঞ্চলের ২২টি আসন ফিরে পেতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। যদি কোনো কারণবশত জোটবদ্ধ নির্বাচন হয় তাহলে উত্তরাঞ্চলের ২২ আসনে কোনো ছাড় দিবে না জাতীয় পার্টি। তবে জাতীয় পার্টির নীতি-নির্ধারকেরা জানিয়েছেন, একক নির্বাচনের পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে ৩০০ আসনেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে রেখেছে জাতীয় পার্টি।

এদিকে, বিকল্প হিসেবে ৭৫ আসনের চূড়ান্ত টার্গেট হাতে রেখেছে জাতীয় পার্টি। যদি কোনো কারণে জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে হয় তাহলে তারা সারাদেশে ৭৫টি আসন চাইবে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের জন্য। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন। ওই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় অংশ নিয়েছেন।

জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে থাকা জাতীয় পার্টি ক্ষমতাসীন সরকারের অন্যতম অংশীদার। দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দুত হিসেবে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। পাশাপাশি দলের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। আগামী নির্বাচনে দলের একটি বৃহৎ অংশ একক নির্বাচনের জন্য পার্টি চেয়ারম্যানকে চাপ দিয়ে আসছেন। বিশেষকরে এরশাদের ছোট ভাই দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের একক নির্বাচনের পক্ষে। সরকারের সঙ্গে বর্তমানে জিএম কাদেরের সাপে-নেউলে সর্ম্পক। দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মনোভাব নিয়েই এগুচ্ছেন। দলের মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অবশ্য এরশাদের মনোভাবের প্রতি আস্থাশীল। তাদের ধারণা এরশাদ অন্তত রাজনীতির দাবা-খেলায় ভূল সিদ্ধান্ত নেবেন না। পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ সরকারের অংশীদার হয়েই থাকতে স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ জানান, আগামী সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা নির্ভর করছে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর। যদি বিএনপি নির্বাচনে যায় তাহলে আমাদের কৌশল পাল্টাতে পারে। আর যদি বিএনপি নির্বাচনের মাঠে না থাকে তাহলে আমাদের জোটবদ্ধ নির্বাচন করার সম্ভাবনাই বেশি। তবে তিনি জানান, সবকিছুই নির্ভর করছে পার্টি চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের উপর।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির বৃহৎ একটি অংশ সরকারের সদিচ্ছার উপর নির্ভরশীল। সরকারের বাইরে গিয়ে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হতে ইচ্ছুক নন। মন্ত্রিসভার তিন সদস্য সরকারের অন্যতম পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। তারা মনে করেন, পার্টি চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্তই নেক না কেন শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাথেই জাতীয় পার্টির পথ চলতে হবে।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭