ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২০২৩ সালে বিশ্ব পরিস্থিতির সম্ভাবনা


প্রকাশ: 01/01/2023


Thumbnail

২০২০ সালে বিশ্বের অধিকাংশ অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শুরু হয়। অনেক দেশই সে বছর ঘুরে দাঁড়ায়। ধারণা করা হয়েছিল, ২০২২ সালে এই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অনেকটাই গতি পাবে। কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে বিশ্ব পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয়। শুরু হয় নানা ধরনের সংকট, ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘পলিক্রাইসিস’। ইতিহাসবিদ অ্যাডাম টুজ এই শব্দবন্ধটি জনপ্রিয় করে তোলেন। বাস্তবতা হলো, ২০২৩ সালে যুদ্ধজনিত সংকট অবসানের লক্ষণ তো নেই, বরং পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রোয়েল বিটসমা এএফপিকে বলেন, এই শতকের শুরু থেকেই সংকট বাড়তে শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে আর কখনো পরিস্থিতির এতটা অবনতি হয়নি।

২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ কোভিডজনিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়। তখন হঠাৎ করেই মানুষের চাহিদা বেড়ে যায়। এত দিন নানা ধরনের বিধিনিষেধের কারণে মানুষ প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেনি। অনিশ্চয়তার মধ্যে সেটাই স্বাভাবিক। হঠাৎ করে কেনাকাটা বেড়ে গেলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে শুরু করে। সেই বাস্তবতায় বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে, অর্থনীতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, ফলে এই মূল্যস্ফীতি সাময়িক। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করলে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম আকাশ স্পর্শ করে। এরপর তো ইতিহাস-বিশ্বের দেশে দেশে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি।

এই পরিস্থিতিতে অনেক দেশের মানুষ বিপাকে পড়েছে, কারণ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে একই হারে মজুরি বাড়েনি। এতে মানুষকে পারিবারিক ব্যয় কমাতে হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। উচ্চ মূল্যস্ফীতির জমানায় তারাও বসে থাকেনি। ধাপে ধাপে নীতি সুদহার বাড়াতে থাকে তারা। এতে সমাজে অর্থপ্রবাহ কমে যায়। যাদের নিতান্ত প্রয়োজন আছে, কেবল তারাই ঋণ নেয় তখন। মানুষের হাতে ব্যয় করার মতো অর্থের টান পড়ে। চাহিদা কমে যায়।

নীতি সুদ বৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতির হার কমে এসেছে। কিন্তু পূর্বাভাস হচ্ছে, আগামী বছর এসব দেশ মন্দার কবলে পড়বে। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) বলছে, জি-২০ ভুক্ত ও উদীয়মান দেশগুলোতে ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতির হার ৮ শতাংশে উঠবে, যদিও আগামী বছর তার গড় হার দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এই বাস্তবতায় দেশে দেশে সরকারের প্রতি ওইসিডির আহ্বান, পারিবারিক সহায়তা দেওয়া হোক।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশ জনগণকে উচ্চ জ্বালানির হাত থেকে বাঁচাতে ৭০৪ বিলিয়ন বা ৭০ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দিয়েছে জার্মানি। তারা এযাবৎ ২৬৪ বিলিয়ন বা ২৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। জার্মান নাগরিকেরা এক জরিপের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, তাঁরা এখন মূলত প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতেই অর্থ ব্যয় করছেন। এ ছাড়া নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণেও জার্মানির ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তবে মূল্যস্ফীতি ও নীতি সুদহার—উভয়ই চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে নীতি সুদ বৃদ্ধির হার হ্রাস করেছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এখনই নীতি সুদহার হ্রাসের পক্ষে নয় তারা। এমনকি প্রয়োজনে তা আরও বাড়াতে হতে পারে বলে মনে করে তারা। তবে বৃদ্ধির হার কমে আসবে।

অর্থনীতিবিদেরা ধারণা করছেন, জার্মানি ও ইতালি মন্দার কবলে পড়বে। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ইতিমধ্যে সংকুচিত হতে শুরু করেছে। ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মনে করছে, ইউরো অঞ্চল ২০২৩ সালে স্থবিরতার কবলে পড়বে।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এত কিছুর পরও মনে করছে, বিশ্ব অর্থনীতি ২০২৩ সালে সম্প্রসারিত হবে। প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, আর ওইসিডির পূর্বাভাস, প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ।

গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত চীন একভাবে শূন্য কোভিড নীতি অনুসরণ করেছে। সম্প্রতি শ্রমিক ও জন বিক্ষোভের মুখে তারা শূন্য কোভিড নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়। ফলে সেখানে চাহিদা বাড়বে। এ ছাড়া তারা ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে বিদেশ থেকে এলে আর নির্জন আবাসে থাকতে হবে না। ফলে চীন আরও উন্মুক্ত হচ্ছে।

রোয়েল বিটসমা মনে করেন, আগামী পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। এএফপির সংবাদে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। আর পুনবিমা কোম্পানি সুইস রির তথ্যানুসারে, কেবল হারিকেন ইয়ানের কারণে ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। পাকিস্তানের বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার কোটি ডলার।

এবারের কপ ২৭-এ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত দেশগুলোর সাহায্যার্থে তহবিল গঠনের অঙ্গীকার করেছে দেশগুলো। কিন্তু জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি। এই বাস্তবতায় ভবিষ্যৎ ভালো নয় বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
বিটসমার মতে, জলবায়ু পরিবর্তন এখন সবচেয়ে বড় সংকট, যা অনেকটা স্লো মোশনের মতো করে মানবসভ্যতার দিকে ধেয়ে আসছে।

২০২৩ সালে অর্থনীতি

সামগ্রিকভাবে, বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হতাশাবোধ করছে মানুষ। গড়ে মাত্র ৪৬% বিশ্বাস করে যে বৈশ্বিক অর্থনীতি পরের বছর শক্তিশালী হবে, গত দুই বছরের তুলনায়। উন্নতি, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৮% এবং ৭৬% যথাক্রমে ভাল সময়ের প্রত্যাশা করে, তারা সবচেয়ে আশাবাদী।

এই হতাশাবাদের কারণগুলো স্পষ্ট। বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠরা জীবনযাত্রার ব্যয় আশা করে (৭৯% দাম বৃদ্ধির আশা করে, ৭৫% উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার দেখার আশা করে), বেকারত্বের মাত্রা (৬৮%), এবং সুদের হার (৭৪%) বৃদ্ধি পাবে।

আরও উদ্বেগজনকভাবে, প্রায় অর্ধেক (৪৬%) মনে করে যে তাদের দেশকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে জরুরি তহবিল দিয়ে জামিন দিতে হবে, দক্ষিণ আফ্রিকা (৭৮%) এবং আর্জেন্টিনা (৭০%) বিশেষভাবে চিন্তিত। বিশ্বের প্রধান স্টক মার্কেটগুলি ক্র্যাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের ১৫% লোক মনে করে যে এটি ঘটতে পারে।

২০২৩ সালে বিশ্ব নিরাপত্তা

২০২২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সক্রিয় সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল এবং অন্যান্য অঞ্চলে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব নিরাপত্তা নিয়ে সবার মনেই উদ্বেগ ছিল।

এই ধরনের সংঘাত উদ্বেগ বাড়িয়েছে যে বিশ্বের কোথাও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। প্রায় অর্ধেক (৪৮%) এখন মনে করে যে এটি নিছক সম্ভাবনার পরিবর্তে একটি সম্ভাব্য দৃশ্য, যা আমরা গত বছর এই সময় দেখেছি । এই উদ্বেগ ইন্দোনেশিয়া (৬৯%) পাশাপাশি পেরু এবং কলম্বিয়াতে (উভয় ৬২%) বেশি।

বিদেশী সরকারের হ্যাকাররা বিশ্বব্যাপী আইটি বন্ধ করে দেবে। প্রায় অর্ধেক মনে করে যে একটি দুর্বৃত্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রোগ্রাম যা বন্ধ করা যাবে না তা তাদের দেশে উল্লেখযোগ্য বিপর্যয় ঘটাবে যদিও, উত্সাহজনকভাবে, এই অনুপাতটি গত বছর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে (১৫ শতাংশ পয়েন্ট নীচে)।

অনেকেই মনে করছেন ২০২৩ সালে পৃথিবীতে গ্রহাণু হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে  আবার অনেকের ধারণা যে এলিয়েন পৃথিবীতে আসবে।

২০২৩ সালে পরিবেশ

বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে যে আমরা২০২৩ সালে আরও জলবায়ু পরিবর্তনের আরও খারাপ পরিণতি দেখতে পাব। আগামী বছর বিভিন্ন দেশেরআরও চরম আবহাওয়ার ঘটনা ঘটবে। অনেক দেশ - বিশেষ করে ইউরোপ জুড়ে - জলবায়ু পরিবর্তন রোধে প্রযুক্তির ভূমিকা সম্পর্কে হতাশাবাদী৷ গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং রোমানিয়ার ২০% এরও কম লোক মনে করে যে এটি সম্ভবত একটি যুগান্তকারী প্রযুক্তি তৈরি হবে যা জলবায়ু পরিবর্তনকে থামিয়ে দেবে। জাপানিরাও এই এই বিষয়ে  হতাশাবাদী।

২০২৩ সম্ভবত রেকর্ডের সবচেয়ে উষ্ণ বছর হবে এবং দেশের কিছু অংশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে কারণ আসন্ন বছর একটি চরম আবহাওয়া ঘটনা.

দশজনের মধ্যে চারজনের বেশি (গত বছরের ৩৯% থেকে ৪৫% বেশি) তাদের দেশের একটি বড় শহরে একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশা করছে। এই ইস্যুতে দেশের বৈচিত্র্যের একটি বিশেষভাবে বিস্তৃত  রয়েছে, উদ্বেগের সাথে ইন্দোনেশিয়ায় উচ্চ ৭%, তুরস্কে ৬৬% এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫% আয়ারল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং ইস্রায়েলে ২৫%এর নিচে।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বড় অগ্রগতির প্রত্যাশা তুলনামূলকভাবে কম: কোভিড-১৯ মহামারীর আগে ২০১৯ সালের তুলনায় যারা কম উড়তে দেখেন এমন লোকের সংখ্যা গত বছরের ৪৫%থেকে কমে এখন ৪২% হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি বিদেশী ভ্রমণের অভ্যাস পুনরায় শুরু করার ইচ্ছা দ্বারা চালিত কারণ কোভিডের বিস্তার সীমিত করার চেষ্টা করার জন্য প্রবর্তিত নিয়ম এবং বিধিনিষেধগুলি বিশ্বজুড়ে শিথিল করা হয়েছে। মাত্র এক-তৃতীয়াংশ মনে করেন যে সাইকেলের সংখ্যা তাদের রাজধানী শহরে গাড়ির সংখ্যার চেয়ে বেশি হবে (34%) অথবা এমন একটি যুগান্তকারী প্রযুক্তি তৈরি হবে যা জলবায়ু পরিবর্তনকে থামিয়ে দেবে (৩২%)।

২০২৩ সালে সমাজ

প্রতি দশজনের মধ্যে ছয়জন পরের বছর তাদের দেশে আর কোন কোভিড-১৯ লকডাউনের প্রত্যাশা করেন না কারণ লোকেরা কিছুটা স্বাভাবিকতায় ফিরে আসে। চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায়, জরিপকৃত প্রায় অর্ধেক লোক (যথাক্রমে ৪৩% এবং ৪৪%) মনে করে যে এটিই হবে। যেখানে ইন্দোনেশিয়ায়, বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ (৮২%) খুব আত্মবিশ্বাসী যে তারা ২০২৩ সালে আর লকডাউনের অভিজ্ঞতা পাবে না।

কোভিড দ্বারা প্রয়োগ করা কাজের ধরণগুলির পরিবর্তনগুলি কী মাত্রায় থাকবে তা এখনও স্পষ্ট নয় - তিনজনের মধ্যে মাত্র একজন (৩৭%) বিশ্বাস করেন যে তাদের দেশে ব্যবসার জন্য চারটি বাস্তবায়ন করা স্বাভাবিক হয়ে উঠবে- ২০২৩-এ দিনের কর্ম সপ্তাহ। ভার্চুয়াল জগতে আরও অনেক মানুষ তাদের জীবন যাপন করবে এমন ধারণার অনুপাত গত বছরের থেকে কার্যত অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬%।

বিশ্বব্যাপী, প্রায় তিনজনের মধ্যে একজন বলে যে তাদের দেশের লোকেরা একে অপরের প্রতি আরও সহনশীল হয়ে উঠবে তবে একটি দেশ থেকে অন্য দেশে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। ভারতে, এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে (এখনও ৬৫% যেখানে গতবছর তা ছিলো ৬০%), এবং, যদিও এটি এখনও কম, ফ্রান্সে শতাংশটি গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২২ সালে ৯% থেকে ২০২৩ সালে ১৭%। জাপান এখন কেবলমাত্র ১২% মানুষ মনে করে যে লোকেরা একে অপরের প্রতি আরও সহনশীল হয়ে উঠবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭