ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

ব্যাংকিং সেক্টরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদন আমলে নিলো ডিবি


প্রকাশ: 09/01/2023


Thumbnail

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং দেশের ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে নানা মিথ্যা ও অপপ্রচার করে আসছে একাধিক গোষ্ঠী। বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে,  প্রথম আলো-ডেইলি স্টার এই অপপ্রচারের মূল হোতা এবং প্রথম উস্কানি দাতা। এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার একাধিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। 


প্রকাশিত প্রতিবেদন গুলো পাঠক মহলে মধ্যে আলোড়ন তৈরি করলে বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নজরে আসে।


আজ সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে অপপ্রচার হওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।



সংবাদ সন্মেলনে মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ বলেন, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কতিপয় ব্যক্তি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মনগড়া তথ্য দিয়ে আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি আমাদের ডিবি সাইবার ইউনিটে আসলে আমরা তদন্ত শুরু করি। তদন্তের পর যারা গুজব রটাচ্ছে এরকম ৪-৫ জনকে আমরা গ্রেফতার করি। তারা বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়ে বিভিন্নভাবে ব্যাংক লুট, ডাকাত, ব্যাংকে টাকা নেই এ ধরনের গুজব ছড়ানোর জন্য আমরা তাদের গ্রেফতার করেছি। 


তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসা করে আমরা জানতে পারি, আসামী দেশের বাহিরে এবং ভিতরে অবস্থানরত, স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতায় তারা এ ধরনের মনগড়া তথ্য দিয়ে যাচ্ছে ব্যাংকিং খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য। 

আপনারা জানেন যে, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। কিন্তু এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠালগ্নে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলী এবং তারা সহযোগীদের দখলে ছিল। যার কারণে এই ব্যাংকটি যখন তাদের কাছ থেকে মুক্ত হয়ে ব্যাংটির ব্যাবস্থাপনা এস আলম গ্রুপসহ অন্যান্যদের হাতে চলে যায় তখনই স্বাধীনতা বিরোধী চক্রটির একটি অংশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে তৎপরতা এবং অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।


ডিবি প্রধান বলেন, এ চক্রের মূল উদ্দেশ্য ছিল, অর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা। তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়ে একদিকে এস আলম গ্রুপকে বলছে ডাকাত, তারা ব্যাংক থেকে সব টাকা তুলে পাচার করে নিয়ে গেছে। কিন্তু পাশাপাশি আমরা লক্ষ্য করলাম, বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে যে, সবকিছু ঠিক আছে। ব্যাংকে কোন সমস্যা নেই। কোন লুট হয়নি। 

যারা এ কাজটি করলেন, তাদের আমরা হাতেনাতে ধরেছি। তারা স্বীকার করেছেন এবং আমরা তাদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে যেটা জেনেছি, তাদের বাহিরেও যারা প্রথমদিকে ইসলামী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনায় ছিল, জামাত-শিবির চক্রের একটি গ্রুপ তারা এবং দেশের বাইরে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাংকিং খাতকে অস্থিতিশীল করা, ব্যাংকে টাকা নেই এবং এমনকি প্রবাসীরা যাতে দেশে রেমিট্যান্স না পাঠায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা সেই অনুরোধও করেন।

ব্যাংকিং সেক্টরের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি গোষ্ঠী উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ব্যাংকিং খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এখন যেহেতু বিষয়টি গোয়েন্দার সংস্থা নজরে এসেছে আমরা আশা করি তারা এর ব্যবস্থা নিবে। পাশাপাশি যারা আসল ষড়যন্ত্রকারী তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে এবং এদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭