প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটির প্রধান আদর্শ হলো নাস্তিকতা প্রচার। পত্রিকা দু’টি প্রতিষ্ঠার
পর থেকেই নানাভাবে বাংলাদেশে নাস্তিক্যবাদকে উস্কে দিয়েছে এবং নাস্তিকতার পক্ষে এক ধরণের নীরব
প্রচারণা করছে। প্রথম আলোর বিভিন্ন লেখা, বুদ্ধিজীবী ও সুশীলদের অবস্থান
এবং নানারকম প্রচারণার মূল লক্ষ্য হলো নাস্তিকতাকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করা। বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ মানুষ
ইসলামী চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাস করে এবং ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। এই মানুষদেরকে আস্তে
আস্তে ইসলামের আদর্শ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করা এবং নাস্তিকতায় বিশ্বাসীদেরকে সামনে নিয়ে আসাই প্রথম
আলো, ডেইলি স্টারের মিশন। আর একারণেই প্রথম
আলো মহানবি (সা.) এর বিকৃত কার্টুন তৈরী করেছিলো তাঁদের পত্রিকায়।
প্রথম আলো তাঁদের অফিস কক্ষে যে টয়লেটগুলো নির্মাণ করেছিলো সেগুলো সব কেবলামুখী করে তৈরী করেছিলো নাস্তিকতার আদর্শ থেকে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করার জন্যই। বিভিন্ন সময় এই পত্রিকাটির বিভিন্ন লেখালেখিতে নাস্তিকতার পৃষ্ঠপোষকতা করতে দেখা গেছে। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান নিজেই একজন নাস্তিক। তিনি একসময় কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন এবং প্রকাশ্যে নাস্তিকতাকে সমর্থন করতেন। অন্যদিকে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামও পশ্চিমা নাস্তিক্যবাদকে ধারণ করেন এবং পশ্চিমা নাস্তিকতা আদর্শের অন্যতম প্রচারক। তাঁর মেয়ে তাহমিনা আনাম লন্ডনে অবস্থান করেন এবং সেখান থেকেই তিনি তাঁর লেখালেখির মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের বিরোধীতা এবং ইসলাম ধর্ম অবমাননা তাঁর লেখালেখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। এই প্রথম আলো, ডেইলি স্টার গ্রুপ সবসময় ইসলামকে বিকৃত করা এবং ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর কাজে ব্যাস্ত থাকে। আর এই নাস্তিকতাকে প্রচারের উদ্দেশেই প্রথম আলো ডেইলি স্টার এখন ইসলামী ব্যাংকিংয়ের বিরোধীতা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংক বিরোধী প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের প্রচারণার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা যেনো ধ্বংস হয়ে যায় সেটি নিশ্চিত করা। কারণ, বাংলাদেশে ৯০ শতাংশের বেশী মানুষ মুসলমান। তাঁরা নানা কারণেই ইসলামী ব্যাংকিং এর ব্যাপারে আগ্রহী। এইজন্য ৮০’র দশকের পর থেকেই বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিকশিত হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, ইসলামী ব্যাংক যখন প্রতিষ্ঠিত হয় সেই সময় থেকেই মতিউর রহমান ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিরোধীতা করেছিলেন। এই সময়ে তিনি ‘সাপ্তাহিক একতা’, ‘ভোরের কাগজ’ এ ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম প্রতিবেদন তৈরী করেছেন। পরবর্তিতে ইসলামি ব্যাংকের যখন হাত বদল হয় এবং এটিকে জামায়েতের রাহুমুক্ত করা হয় তখন মতিউর রহমানরা নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাততে থাকেন। এখন তাঁরা আবার ইসলামী ব্যাংকের বিরোধীতা করছেন।
বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হবার পর এর সাফল্যের ধারায় বেশ কিছু ইসলামী ব্যাংকিং চালু হয়েছে। অনেক মূল ধারার ব্যাংকও ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেছে তাঁদের ব্যাংকে। ফলে, বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা একটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাড়িয়েছে। এই ভিত্তিটিকে নষ্ট করে দেয়ার মিশনে নেমেছে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার। যদি তাঁরা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে তবে জনগণ ইসলামী ব্যাংকের উপর আস্থা হারাবে। এবং এই আস্থা হারানোর ফলে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা অকেজো এটি প্রচার করা সহজ হবে। একই সাথে এর মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে। এরকম একটি মিশন থেকেই প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার এখন ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংসের মিশনে নেমেছে। আর একারণেই একের পর এক অসত্য, মিথ্যা, বানোয়াট প্রতিবেদন তৈরী করছে যেনো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়। যে আটটি ব্যাংক নিয়ে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার ধারাবাহীকভাবে প্রতিবেদন তৈরী করছে সবগুলোই ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আলোচিত এবং প্রশংসিত। আর একারণেই প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার তাঁদের মূল লক্ষ্য নাস্তিকতাকে প্রচারের লক্ষ্যেই ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংসের মিশনে নেমেছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন আলেম এবং ইসলামী চিন্তাবিদরা।
মন্তব্য করুন
বিডিনিউজ দুদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী
মন্তব্য করুন
বিটিভি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার প্রতিনিধি মোঃ মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে।
এর আগে ক্লাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যসহ জেলার প্রায় পৌনে দুইশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ইতিপূর্বে সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও ব্যর্থতার অভিযোগে ক্লাবের সদস্যদের দাবীর মুখে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এতে ক্লাবের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সর্বসম্মত সমর্থন প্রদান করেন।
এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের প্রবীন সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপ নেতা ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-১ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন, শেরপুর-৩ আসনের এমপি এডিএম শহিদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা জাসদের সভাপতি শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাসানসহ আরো অনেকে।
এসময় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করে আসছে। আমরা শেরপুরের সাংবাদিকদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমি নতুন নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই।’
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সদস্যরা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। পরে সর্বসম্মতিক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করা হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার জন্য। উপদেষ্টা পরিষদ সভাপতি হিসেবে বিটিভি ও দৈনিক সমকালের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
প্রথম আলো স্কয়ার গ্রুপ মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ একাত্তর টিভি মিডিয়া স্টার লিমিটেড
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেনে, সাংবাদিকদের
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনের বাইরে থাকা অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধ করে
দেওয়া হবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট
দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন
নিউজ পোর্টাল আছে। এর বাইরে শুধু অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন আছে ২১৩টির। এই ৪২৬টির
পাশাপাশি আরও কতগুলো নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, ছাড়পত্রও হয়েছে। সেগুলোর একটি তালিকা
আছে। এর বাইরে আরও কতগুলো আছে, যেগুলো আবেদন করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে, তবে ছাড়পত্র
হয়নি। সব কটির তালিকা করতে বলা হয়েছে। এগুলো বিটিআরসিতে পাঠাতে বলা হয়েছে। এর বাইরে
যতগুলো অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, যেগুলো অনিবন্ধিত, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার দাবি ছিল
সাংবাদিকদের। অনলাইন গণমাধ্যমের কমিটি, প্রেসক্লাবসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনও একই
দাবি করেছে। সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে’।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারপর নতুন করে যারা আবেদন করবে,
তখন তা চালু হবে। আবেদন না করলে চালু হবে না। আবেদন করলে নিবন্ধন পাওয়ার আগপর্যন্ত
চালু থাকবে। কারণ, তাকে চলতে হবে, দেখতে হবে যে কেমন হচ্ছে। তারপর যদি ছাড়পত্র না হয়,
তখন আবার বন্ধ। কিন্তু আবেদন করল না, কোনো প্রক্রিয়ায় যায়নি, সেগুলো যদি চলে, সেখানে
যদি অসত্য ও অপতথ্যের মাধ্যমের চকটদার খবর দেওয়া হয়, তাহলে সেই ধরনের সাংবাদিকতা পেশাদারির
সঙ্গে যারা সাংবাদিকতা করছেন, তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই সাংবাদিকদের সুরক্ষার স্বার্থে,
সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’।
এছাড়াও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জায়গাটি সমুন্নত রেখে অপতথ্য রোধ
করতে চান বলে জানান মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ
তৈরি করতে চাই। তথ্যপ্রবাহকে অবারিত করতে চাই।’
গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন
দ্রুত সময়ের মধ্যে পাস করার প্রত্যাশার কথা জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ
শুকুর আলী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
প্রথম আলো কর্ণফুলী গ্রুপ ট্রান্সকম গ্রুপ
মন্তব্য করুন
মিডিয়া স্টার লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রথম আলো বিক্রির জন্য মালিকপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা প্রথম আলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের সাথে কথাবার্তা বলছেন। প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান নিজেই দু একটি শিল্প গ্রুপের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও মালিকপক্ষের অন্যরা সিমিন রহমান শাজরেহ হক দুজনই প্রথম আলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করছেন বলে জানা গেছে।
প্রথম আলো বিক্রির গুঞ্জন সত্য হিসেবে পল্লবিত হতে শুরু করেছে। প্রথম আলো বিক্রির জন্য দু’টি প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ অনানুষ্ঠানিকভাবে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। ট্রান্সকম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘মিডিয়া স্টার লিমিটেড’ বিক্রির বিষয়টি নিয়ে পর্দার আড়ালে আলাপ-আলোচনা এবং দর কষাকষি শুরু হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।