ইনসাইড হেলথ

যক্ষ্মা সম্পর্কে ৫ ভ্রান্ত ধারণা


প্রকাশ: 24/03/2023


Thumbnail

১৮৮২ সালে প্রথম ডা. রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার করেন। যার ফলে উন্মোচিত হয় যক্ষ্মার রোগনির্ণয় ও নিরাময়ের পথ। ১৯৯৩ সালে পৃথিবীতে যক্ষ্মা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মাকে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেন। সেই বছর থেকে মানুষের মধ্যে যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার বাড়াতে ২৪ মার্চ পালিত হচ্ছে এই দিবসটি।

এখনো যক্ষ্মা বিশ্বের অন্যতম ১০টি মৃত্যুজনিতের মধ্যে একটি। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকের কাছে যক্ষ্মা টিবি হিসেবেও পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

যক্ষ্মা একটি ব্যাক্টেরিয়া বাহিত রোগ। মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামক ব্যাক্টেরিয়া শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রমিত করে। যার ফলে এই যক্ষা রোগ হয়। করোনাভাইরাসের মতো এই ব্যাক্টেরিয়াও বাতাসে ভেসে বেড়ানো ড্রপলেটের মধ্যে দিয়ে শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। একজনের হাঁচি-কাশি থেকে দ্রুত এটি অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।  তবে যক্ষ্মা রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে

১. যক্ষ্মা শুধু ফুসফুসে দেখা দেয়

যক্ষ্মা রোগ ফুসফুস থেকে শুরু হলেও শরীরের অন্যান্য অংশেও (যেমন কিডনি, মস্তিষ্ক, লসিকা গ্রন্থি) প্রভাব ফেলতে পারে। ফুসফুসের রাইরে যে যক্ষ্মা হয় তাকে ফুসফুসবহির্ভূত যক্ষ্মা বলা হয়।

২. যক্ষ্মা একটি জন্মগত রোগ

আসলে যক্ষ্মা কোনো জন্মগত বা জেনেটিক রোগ নয়। যক্ষ্মা জীবনের যেকোনো সময় যে কাউকে সংক্রমিত করতে পারে। এটি মাইকোব্যাকটেরিয়াম যক্ষ্মা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয় এবং এটি একটি সংক্রমক রোগ।

৩. ধূমপান না করলে যক্ষ্মা হয় না

একজন অধূমপায়ী ব্যক্তিও যক্ষ্মায় আক্রান্ত হতে পারেন। কাজেই ধূমপান করা বা না করার সঙ্গে যক্ষ্মার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে অথবা অন্যান্য কারণ যেমন ডায়াবেটিস, এইডস, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের জন্য রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

৪. যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই

আজও অনেকের মনেই এই ভীতি রয়েছে যে একবার যক্ষ্মা হলে নিরাময়ের কোনো উপায় নেই, অর্থাৎ এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। সত্য হলো যক্ষ্মা নিরাময়ের জন্য প্রাথমিক রোগনির্ণয় খুবই জরুরি। যদি একজন রোগী সঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান, নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন, তাহলে যক্ষ্মা থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় লাভ সম্ভব। চিকিৎসা সম্পন্ন করে স্বাভাবিক জীবনেও ফিরে যাওয়া যায়।

৫. টিকা নিলে কখনো যক্ষ্মা হবে না

জন্মের পরই এখন শিশুদের বিসিজি টিকা (যক্ষ্মার টিকা) দিয়ে দেওয়া হয়। টিকা দেওয়া থাকলে যক্ষ্মা মারাত্মক আকার ধারণ করার আশঙ্কা কমে যায়। তবে এটি কিন্তু যক্ষ্মাকে সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম নয়। তাই যক্ষ্মা প্রতিরোধে সচেতনতা আবশ্যক।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭