প্রকাশ: 25/05/2023
টুর্নামেন্টের শুরুতে এক জোড়া ম্যাচে হারের ধাক্কা। ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে ২০২৩ আইপিএলের প্রথম জয় পেয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এরপর লিগ পর্বে হার-জিতের মধ্য দিয়ে গিয়েছে মুম্বাই। পয়েন্ট টেবলে ক্রমাগত ওঠানামা। ধারাবাহিকতা না থাকলেও শেষমেশ প্লে অফে জায়গা করে নেয় রোহিত শর্মার দল।
মুম্বাইয়ের
খেলা শেষ দুটি ম্যাচই
ছিল মরণ বাঁচন। লিগ
পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততেই হত। ক্যামেরুন গ্রিনের
অনবদ্য শতরানে সেদিন জয় পেয়েছিল নীল
বাহিনী। সেই আত্মবিশ্বাসকে সম্বল
করে লখনউ সুপার জায়ান্টসের
বিরুদ্ধে এলিমিনেটর ম্যাচে নেমেছিলেন রোহিতরা। হারলেই ছিটকে যাওয়ার ভয়। সেই ম্যাচেও
অনবদ্য রোহিতরা। ১৮২ রানের পুঁজি
ছিল হাতে। আকাশ মাধওয়াল একাই
ধস নামালেন। ৫ রানের বিনিময়ে
৫ উইকেট। প্লে অফের সেরা
বোলিং ফিগার। আকাশ’ছোঁয়া এই
সাফল্যে এলিমিনেটরের চ্যালেঞ্জ উতরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে
গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নদের
চোখে ষষ্ঠ ট্রফি জয়ের
স্বপ্ন। অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার আইপিএল জয়ের রেকর্ড আরও
মজবুত করার পালা।
লাগাতার
দ্বিতীয় মরসুমে এলিমিনেটর পর্ব থেকে বিদায়
লখনউ সুপার জায়ান্টসের। সে বার সামনে
ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এ বার মুম্বাই
ইন্ডিয়ান্স। ২০২২ সালের আইপিএল
মোটেও সুখের ছিল না মুম্বাইয়ের
জন্য। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা
প্লে অফে পা রাখতে
পারেনি। টানা ছয় ম্যাচে
হেরে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মারা। ব্যর্থতা ভুলে নতুন মরসুমে
নতুনভাবে শুরু করতে চেয়েও
মনের মতো সূচনা হয়নি।
তবে সামলে নেন রোহিতরা। প্রথমদিকে
বেশ কয়েকটি ম্যাচে হোঁচট খাওয়ার পর গিয়ার বদলে
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পৌঁছে গেল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার
পর্যন্ত।
নরেন্দ্র
মোদী স্টেডিয়ামে ২৭ মে-র
ওই ম্যাচটি মুম্বইয়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
একে গুজরাটের ঘরের মাঠে ম্যাচ,
তার উপর কোয়ালিফায়ার ১
ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে খোঁচা
খাওয়া বাঘ হয়ে রয়েছেন
শুভমন গিল, হার্দিক পান্ডিয়ারা।
সুযোগ পেলেই প্রতিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার
অপেক্ষা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের আটকাতে পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করেছে মুম্বাই
শিবির।
আইপিএলের
সবচেয়ে সফল টিম হলেও
এই নিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
চার বার এলিমিনেটর ম্যাচ
খেলে ফেলল। ২০১১ সালে কলকাতা
নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে প্রথম এলিমিনেটর খেলেছিলেন রোহিত শর্মারা। ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতে
নেয় মুম্বাই। এরপর ২০১২ সালে
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেলে ৩৮ রানে
হেরেছিল মুম্বাই। ২০১৪ সালে ফের
এলিমিনেটর ম্যাচ খেলে মুম্বাই। সে
বার সিএসকের কাছে ৭ উইকেটে
পরাজিত হয়েছিল। ২০২৩ সালে আবার
একটা এলিমিনেটর। এ বার জয়ধ্বজা
উড়িয়ে ছয় নম্বর আইপিএল
ট্রফির লক্ষ্যে এক পা বাড়িয়ে
রাখল রোহিত শর্মার দল।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭