এডিটর’স মাইন্ড

ঘরের শত্রুদের হারাতে পারবে আ.লীগ?


প্রকাশ: 13/11/2023


Thumbnail

দেশ নির্বাচনের পথে যাত্রা শুরু করেছে। যে কোনো সময় নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করবে। অন্যদিকে নির্বাচন ঘিরে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। আওয়ামী লীগ সভাপতি গত বৃহস্পতিবার দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই নির্বাচন করতে হবে।’ নির্বাচনের পথে আনুষ্ঠানিক প্রধান বাধা বিএনপি। দলটি নির্বাচন ঠেকাতে সহিংস রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। নির্বাচন বানচালের শেষ পর্যন্ত তৎপর থাকবে দলটি, এমন আশঙ্কা আওয়ামী লীগের। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নাশকতা কঠোরভাবে মোকাবিলা করছে আওয়ামী লীগ। সহিংস রাজনীতির ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটি। ২৮ অক্টোবর বিএনপির তাণ্ডব মোকাবিলায় বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের বিএনপির আন্দোলন তাই মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি পর্দার আড়ালে চলছে নানারকম খেলা। এসব খেলায় বিএনপি এবং পশ্চিমা কিছু দেশের কূটনীতিকরাই শুধু জড়িত নয়, আওয়ামী লীগেরও কেউ কেউ যুক্ত, এমন কথা কান পাতলেই শোনা যায়। বিএনপি যেমন আত্মঘাতী আন্দোলনে খাদের কিনারে গেছে, তেমনি আওয়ামী লীগেরও কারও কারও মধ্যে আত্মঘাতী তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকে আবার অতি আত্মবিশ্বাসী। আবার ক্ষমতায় এসে গেছে, এমন একটা আবেশে তারা আক্রান্ত। যারা আওয়ামী লীগের মধ্যে এসব তৎপরতায় জড়িত, তারা আসলে আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছেন। এরা আওয়ামী লীগের শত্রু। বাইরের শত্রু মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ যতটা দক্ষ, ঘরের শত্রু মোকাবিলায় ততটাই অপ্রস্তুত। ঘরের শত্রুদের কী করবে আওয়ামী লীগ? ইতিহাস বলে, বাইরের শক্তি আওয়ামী লীগকে কখনো হারাতে পারেনি। অতীতে ঘরের বিভীষণদের হাতেই ঘটেছে আওয়ামী লীগের সর্বনাশ।

২০০৬ সালেও নির্বাচন নিয়ে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন বিএনপি ছিল ক্ষমতায়, আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে। এবারের মতো সে সময়ও নির্বাচন নিয়ে সরব ছিল কূটনীতিকপাড়া। সে সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন প্যাট্রিসিয়া বিউটিনেস। গোপনে পরীবাগে আওয়ামী লীগের এক নেতার বাসায় গিয়েছিলেন। গোপন বৈঠক করেছিলেন। তখনই রোপিত হয়েছিল মাইনাস ফর্মুলার বীজ। ঠিক ১৮ বছর পর সেই একই বাড়িতে গেলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এবার পিটার হাস। কী আলোচনা হয়েছে, তা গোপন করা হলো। জলবায়ু নিয়ে হঠাৎ কী এমন তুলকালাম হলো যে, পিটার হাসকে অবরোধ ঠেলে পরীবাগে আসতে হলো? পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যখন রাষ্ট্রদূতদের বাড়াবাড়িতে বিরক্তি প্রকাশ করছেন প্রকাশ্যে, ঠিক তখন আওয়ামী লীগের অনেকে পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে গোপন অভিসারে। এসব কীসের আলামত। এক-এগারোতে আওয়ামী লীগে যারা সরব ছিলেন, তাদের অনেকে এখন তৎপর। তাদের লক্ষ্য কী? তারা কী চান? এসব প্রশ্ন আজ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন আড্ডায় আলোচনা হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে ছুটিতে পাঠিয়ে নির্বাচনী ফর্মুলার কোন মন্ত্রী ‘মৃদু সম্মতি’ দিয়েছিলেন, তা নিয়ে নানা আলোচনা কান পাতলেই শোনা যায়। বিএনপির আটক এক নেতা আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট দুই নেতার সঙ্গে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যোগাযোগের এক্সক্লুসিভ তথ্য এখন আকাশে-বাতাসে ঘুরে বেড়ায়। তাদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ কঠোর হতে পারে না কেন? ২০০৭ সালের এক-এগারোর সময় আওয়ামী লীগে যারা সংস্কারপন্থি ছিলেন, তাদের অনেকেই এখনো বহাল তবিয়তে। কয়েকজন আওয়ামী লীগ ছেড়েছেন বটে, কিন্তু বাকিদের কারও পদোন্নতি হয়েছে, কেউ মন্ত্রী হয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সংস্কারপন্থিদের সংখ্যা কম নয়। ২০০৭ সালে যারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন, তারাই কি এখন প্রধানমন্ত্রীকে ছুটিতে পাঠানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত? এ ষড়যন্ত্রকারীদের আওয়ামী লীগ মোকাবিলা করবে কীভাবে? অবশ্য ২০০৭ সালের আওয়ামী লীগ আর এখনকার আওয়ামী লীগের পার্থক্য অনেক। ২০০৭ সালে অনেক আওয়ামী নেতা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রকাশ্য বিরোধিতা করতেন। চ্যালেঞ্জ করতেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি এক-এগারোর সময় যখন প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমালোচনা করলেন, দ্রুত নির্বাচন দাবি করলেন, তখন কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাকে সমালোচনা শুনতে হয়েছিল। আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রয়াত মুকুল বোস কেন্দ্রীয় কমিটিতে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এখন আর সেই দিন নেই। এক-এগারো শেখ হাসিনাকে আরও শক্তিশালী করেছে। দলের তৃণমূল পর্যন্ত তার একক নেতৃত্ব সমর্থন করে। কর্মীদের ভালোবাসায় তিনি এখন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ষড়যন্ত্রকারীরা এখন বাঘ থেকে বিড়ালে রূপান্তরিত হয়েছেন। মিউ মিউ করা ছাড়া এদের কোনো ক্ষমতা নেই। তবে রাজনীতিতে দুটি শিক্ষা চিরন্তন। প্রথমত, একবারের বিশ্বাসঘাতক সারাজীবনই বিশ্বাসঘাতক হয়। বিশ্বাসঘাতকের চরিত্র কখনো বদলায় না। সুযোগ পেলেই এরা ছোবল মারে। খুনি মোশতাক ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করতে চেয়েছিল। ৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যা করে আবার বিশ্বাসঘাতক হিসেবে তার ঘৃণ্য চেহারা উন্মোচন করেছে। মোশতাকরা বদলায় না। এরা ভালো হয় না।

রাজনীতির দ্বিতীয় শিক্ষা হলো, কোনো শত্রুকেই খাটো করে দেখতে নেই। ষড়যন্ত্রকারীরা যে কোনো সময়ই ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। এজন্য বিশ্বাসঘাতকদের ব্যাপারে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়। একজন বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি রাজনৈতিক দল বিপন্ন হতে পারে। আর শত্রুদের উপেক্ষা করার জন্য সুযোগ রাজনীতিতে নেই।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কী চায় তা স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্বস্তি দূর করতে হবে দক্ষ কূটনীতি দিয়ে। প্রকাশ্যে হুমকি নয়। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। কোনো রাষ্ট্রদূত সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য না করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এক যুবলীগ কর্মী মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা ধৃষ্টতাপূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য। আশার কথা, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে যখন ভারতে আলোচনা হচ্ছে, সরকার যখন নানামুখী তৎপরতায় লিপ্ত, তখন আওয়ামী লীগের কারও কারও দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বিপদের কারণ হতে পারে। এরাই ঘরের শত্রু। এরাই ষড়যন্ত্রকারী।

ষড়যন্ত্র নানভাবে হয়। এই যেমন লক্ষ্মীপুর-৩ এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের কথাই ধরা যাক। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র দুই মাস আগে এ নির্বাচন ছিল স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। যারা এতে নির্বাচিত হবেন, তারা জাতীয় সংসদে একদিন বসারও সুযোগ পাবেন না। তবে ওই উপনির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন, তারা একদিক দিয়ে মহা ভাগ্যবান। কারণ তারা দুজনই নিশ্চিত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন। তাই তাদের দায়িত্ব ছিল উপনির্বাচনে দৃষ্টান্ত স্থাপন। একটি সুষ্ঠু, অবাধ এবং সুন্দর নির্বাচন করে সব সমালোচনার জবাব দেওয়া। বিএনপি যখন বলছে, তারা অংশ না নিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে না। বিএনপির অভিযোগ হলো, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তখন বিএনপির এ অভিযোগ খণ্ডনের এক চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, এ দুটি উপনির্বাচনে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ উপনির্বাচন দুটি সুষ্ঠু হলে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে আওয়ামী লীগের মান রক্ষা হতো। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে আওয়ামী লীগ বলতে পারত, এই দেখো আমরাও পারি। বিএনপি ছাড়াও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। এই নির্বাচন যদি ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনের মতো মাত্র ১৩ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি হতো, তাহলেও সমস্যা ছিল না। সবাই জানে শেষ মুহূর্তেই এরকম উপনির্বাচনের ব্যাপারে ভোটারদের আগ্রহ থাকে না। প্রার্থীদের দায়িত্ব ছিল শুধু সুষ্ঠু এবং সুন্দর ভোট নিশ্চিত করা। কিন্তু ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে এ দুই আসনে লজ্জাজনক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। গণহারে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরানোর দৃশ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভোট জালিয়াতির অকাট্য প্রমাণ পেয়ে নির্বাচন কমিশন ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে। কী ভয়াবহ লজ্জার ঘটনা। আওয়ামী লীগ সারা জীবন ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছে। আওয়ামী লীগই এ দেশে গণতন্ত্রের সংগ্রাম করেছে, সেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী (দুজন) কী করে এরকম ন্যক্কারজনক কাণ্ড করতে পারেন। বিশেষ করে, যে সময় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কড়া নজরদারি। এ দুই আসনের উপনির্বাচন আওয়ামী লীগ সভাপতিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এক বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড় করাল। প্রধানমন্ত্রী সব আন্তর্জাতিক ফোরামে, বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। নির্বাচনে কোনো কারচুপি প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। নির্বাচনে সরকার প্রভাব বিস্তার করবে না।’ শুধু আন্তর্জাতিক ফোরামে নয়, দলীয় ফোরামেও প্রধানমন্ত্রী একই কথা বলছেন বারবার। প্রধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকার প্রশ্নবিদ্ধ করল দুই অর্বাচীন প্রার্থী। জাতীয়, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিবেচনা না করে গুরুত্বহীন উপনির্বাচনে যারা এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ড করে, তারা একালের মোশতাক। জাল ভোটে ব্যালট বাক্স ভরিয়ে তারা কী প্রমাণ করল? তারা কি এটাই প্রমাণ করল না যে, এটা তো জাতীয় নির্বাচনের একটি মহড়া মাত্র। জাতীয় নির্বাচনেও তারা এমনটাই করবে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র কিংবা পশ্চিমারা কি বিশ্বাস করবে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে? অতি উৎসাহীরা কি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দেবে? অর্থহীন দুই উপনির্বাচনে অতি উৎসাহী প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের কত বড় ক্ষতি করেছে, তা বোঝার সামর্থ্য কি তাদের আছে? তারা জেনেবুঝেই আওয়ামী লীগকে বিব্রত এবং বিতর্কিত করার জন্য এসব করেনি, তা কে বলবে?

আওয়ামী লীগের ভেতর অনেক মোশতাক। তারা নানা সর্বনাশের খেলা শুরু করে দিয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এরকম বহু আত্মঘাতী তৎপরতা হয়তো আমরা দেখব। এসব ঘরের শত্রুদের মোকাবিলা করতে হবে আওয়ামী লীগকে। সন্ত্রাসী, অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে সরকার যেভাবে কঠোর হয়েছে, এসব নব্য মোশতাক দুর্বৃত্ত, ছদ্মবেশীদেরও প্রতিহত করতে হবে এখনই। না হলে ঘরের শত্রুদের হাতেই আওয়ামী লীগ বিপর্যস্ত হবে আরও একবার।


লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ইমেইল : poriprekkhit@yahoo.com



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭