ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতিসংঘের বিশেষ দূতদের মন্তব্যকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলল সরকার


প্রকাশ: 21/11/2023


Thumbnail

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের তিন বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটির প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার। 

প্রতিবাদে সরকার বলেছে, জাতিসংঘের স্বতন্ত্র তিনজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের বিবৃতি একপেশে ও অসৎ উদ্দেশ্যে  দেওয়া। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতিসংঘের বিবৃতির প্রতিক্রিয়া জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর আগে ১৪ নভেম্বর জাতিসংঘের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রচার ও সুরক্ষাবিষয়ক স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠনের অধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ক্লিমেন্ট ভোলে ও মানবাধিকারকর্মীদের পরিস্থিতিবিষয়ক স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ার মেরি ললর যৌথ বিবৃতি দেন। 

ওই তিন বিশেষজ্ঞ জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধি, বিরোধী জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার ও কয়েক হাজার রাজনৈতিক কর্মী গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ, বিক্ষোভ দমনে ইন্টারনেটসেবা বন্ধ, দমনপীড়ন ও বেআইনি আটকের বিষয়েও উদ্বেগ জানান তারা। 

এছাড়া ন্যূনতম মজুরির দাবি করা শ্রমিক এবং আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের দাবি করা রাজনৈতিক কর্মীদের ব্যাপকহারে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেন। বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, নাগরিক সমাজের নেতাদের হয়রানি এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এমন আইন সংস্কার করতে না পারার ব্যর্থতায় উদ্বেগ জানান তারা। তারা বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অবনতিশীল হিসেবে অভিহিত করেন। 

একই সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনাকে সুযোগ হিসেবে নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘মনে হচ্ছে, জাতিসংঘ নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সরকারকে হেয় করার ইচ্ছার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। বিশেষকরে  তাদের সঙ্গে সরকারের সক্রিয় সম্পৃক্ততার প্রেক্ষাপটে বিবৃতিতে উল্লিখিত একতরফা পর্যবেক্ষণগুলো অসৎ উদ্দেশ্যমূলক হিসেবে প্রতীয়মান হয়।’

প্রতিবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য ও সম্ভাব্য উদ্দেশ্যপূর্ণ ওই বিবৃতির সময়টি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তারা যেদিন বিবৃতি দেন, তার আগের দিন– অর্থাৎ ১৩ নভেম্বর জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের সর্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা (ইউপিআর) হয়েছে। সেখানে অধিকাংশ দেশ আইন ও নীতির জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।’



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭