নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 10/04/2018
বিএনপি গায়ে পড়েই ভিসির বাসভবনে হামলার দায় নিয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি সমর্থক শিক্ষক এবং বুদ্ধিজীবীরা। তাঁরা বলেছেন, ‘দলের মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। সংবাদ সম্মেলনে ‘সাদা’ প্যানেলের কয়েকজন শিক্ষককেও রাখতে পারতেন।’ বিএনপিপন্থী একাধিক শীর্ষ এবং বুদ্ধিজীবী বলেছেন, ‘বিএনপি ইস্যুটাকে মিস হ্যান্ডেল করেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা প্যানেলের অন্যতম একজন শিক্ষক নেতা বলেছেন, ‘উপাচার্যের বাসভবনে হামলা সরকারের ব্যর্থতা। সরকার তাঁকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই বিষয়টি মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে অনুপস্থিত।’
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিব তাঁর বিবেচনা বোধ থেকে কথা বলেছেন। যেহেতু বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, তাই এখানে তিনি শিক্ষকদের মতামত নিতে পারতেন।’ প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ মনে করেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবি যৌক্তিক, কিন্তু এই দাবী সমর্থনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া উচিৎ ছিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহাবুব উল্লাহ বলেছেন ‘বিএনপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলার ঘটনাকে কম গুরুত্ব দিয়েছে। অথচ, উপাচার্যের বাড়িতে যদি এরকম তাণ্ডব হয় তাহলে দেশের মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এই প্রশ্নটি উত্থাপন করা হয়নি। অনেকের মধ্যে ধারণা হতে পারে, এই হামলায় বিএনপি কি তাহলে খুশি?
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি ডা. জাফর উল্লাহ বলেন, ‘বিএনপির পরগাছা হয়ে গেছে। অন্যের উপর ভর করে কিছু করতে চায়। এজন্যই কোটা সংস্কারে আন্দোলন দেখে খুশি হয়েছিল। আসলে অন্য আন্দোলনে ভর করে নয়, নিজের শক্তিতে আন্দোলন করতে হবে বিএনপিকে। অন্যের আশায় বসে থাকলে হতাশাই বাড়বে।’ এই প্রবীণ চিকিৎসক বলেন, ‘সরকার স্মার্টলি আন্দোলন থামাল আর উপাচার্যের বাড়িতে হামলার দায় বিএনপির উপর চাপিয়ে দিলো। আমি বার বার বলছি, বিএনপি কৌশলের কাছে মার খাচ্ছে।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭