নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৬ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০১৮
বিএনপি গায়ে পড়েই ভিসির বাসভবনে হামলার দায় নিয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি সমর্থক শিক্ষক এবং বুদ্ধিজীবীরা। তাঁরা বলেছেন, ‘দলের মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। সংবাদ সম্মেলনে ‘সাদা’ প্যানেলের কয়েকজন শিক্ষককেও রাখতে পারতেন।’ বিএনপিপন্থী একাধিক শীর্ষ এবং বুদ্ধিজীবী বলেছেন, ‘বিএনপি ইস্যুটাকে মিস হ্যান্ডেল করেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা প্যানেলের অন্যতম একজন শিক্ষক নেতা বলেছেন, ‘উপাচার্যের বাসভবনে হামলা সরকারের ব্যর্থতা। সরকার তাঁকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই বিষয়টি মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে অনুপস্থিত।’
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিব তাঁর বিবেচনা বোধ থেকে কথা বলেছেন। যেহেতু বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, তাই এখানে তিনি শিক্ষকদের মতামত নিতে পারতেন।’ প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ মনে করেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবি যৌক্তিক, কিন্তু এই দাবী সমর্থনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া উচিৎ ছিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহাবুব উল্লাহ বলেছেন ‘বিএনপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলার ঘটনাকে কম গুরুত্ব দিয়েছে। অথচ, উপাচার্যের বাড়িতে যদি এরকম তাণ্ডব হয় তাহলে দেশের মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এই প্রশ্নটি উত্থাপন করা হয়নি। অনেকের মধ্যে ধারণা হতে পারে, এই হামলায় বিএনপি কি তাহলে খুশি?
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি ডা. জাফর উল্লাহ বলেন, ‘বিএনপির পরগাছা হয়ে গেছে। অন্যের উপর ভর করে কিছু করতে চায়। এজন্যই কোটা সংস্কারে আন্দোলন দেখে খুশি হয়েছিল। আসলে অন্য আন্দোলনে ভর করে নয়, নিজের শক্তিতে আন্দোলন করতে হবে বিএনপিকে। অন্যের আশায় বসে থাকলে হতাশাই বাড়বে।’ এই প্রবীণ চিকিৎসক বলেন, ‘সরকার স্মার্টলি আন্দোলন থামাল আর উপাচার্যের বাড়িতে হামলার দায় বিএনপির উপর চাপিয়ে দিলো। আমি বার বার বলছি, বিএনপি কৌশলের কাছে মার খাচ্ছে।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন