ইনসাইড গ্রাউন্ড

যে ৭ কারণে বিশ্বকাপ জিতবে ব্রাজিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/05/2018


Thumbnail

সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাজিলের ফর্ম এবং বাজে সময় থেকে বেরিয়ে আসার গল্পটা স্বপ্নের মত। লাতিন আমেরিকার বাছাই পর্বে বেশ বিপাকেই পড়ে গিয়েছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ২০১৪ সালের বাজে সময় থেকে কিছুতেই বের হতে পাড়ছিলো না সেলেসাওরা। কার্লোস দুঙ্গার অধীনে ব্রাজিল যেন গভীর অন্ধকারেই নিমজ্জিত হচ্ছিল। এমন অবস্থায় দলকে খাঁদের কিনারা থেকে সেরা অবস্থানে নিয়ে আসেন তিতে।

সাম্বা ফুটবলের রোমান্টিক ভিশন তিতের মাঝে ভরপুর। ‘জিঙ্গা’ স্টাইলটাকেই আরোও আধুনিক রুপ দিয়েছেন ব্রাজিলীয় কোচ। ‘জোগো বোনিতো’ কে বিসর্জন না দিয়ে আধুনিক ফুটবলের সংমিশ্রন ঘটিয়েছেন তিনি। ব্রাজিল দলে তিনি মিশ্রণ ঘটিয়েছেন নানা উপাদানের। জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলের হারের আবেগকে তিনি পুরোপুরি সরিয়ে দিয়েছেন খেলোয়াড়দের মানসিকতা থেকে। দলটাকে গড়ে তুললেন সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে। যে রূপটি সব সময়ই ব্রাজিল ফুটবলকে ঘিরে থাকে। তার সঙ্গে মিশ্রণ ঘটালেন নতুনের। আর যাতে সবার আগে বিশ্বকাপে নাম লেখানো তিতের ব্রাজিল হয়ে উঠেছে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ফেবারিট। আসুন দেখে নেই ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের ৭ কারণ-

সেরা গোলরক্ষক: এই ব্রাজিলে আছে বিশ্বমানের গোলরক্ষক অ্যালিসন, এডারসন ও ক্যাসিও। এদের মধ্যে অ্যালিসন নিজের জাত চিনিয়েছেন। রোমাকে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে নিয়ে যেতে বেশ গুরুত্বপূরণ ভমিকা পালন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তার বিকল্প হিসেবে ক্যাসিও ও এডারসনও কম যান না।

জমাটবাঁধা রক্ষণভাগ: ব্রাজিলের রক্ষনভাগ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা। এতে কোনো সন্দেহ নেই। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা সেন্টারব্যাক থিয়াগো সিলভা আছেন দলে। এছাড়া রয়েছেন বর্তমান সময়ে ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুলব্যাক মার্সেলো। যদিও আলভেজ এর ছিটকে পড়া কিছুটা দুশ্চিন্তার। তবে যারা আছেন- দানিলো, মিরান্ডা, মার্কুইনহোসদের টেকনিক, বল কাড়া ও ট্যাকল দক্ষতা নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রশ্ন তোলার কোনো উপায় নেই।

মিডফিল্ড: ব্রাজিলের মিডফিল্ডের দিকে তাকালে যে কেউ ভড়কে যেতে পারেন। ক্যাসেমিরো, ফার্নান্দিনহো, উইলিয়ান, পৌলিনহোদের যে সংমিশ্রন- তা সত্যি ভয়ঙ্কর এবং অনেক বেশি শক্তিশালী। তারা যেমন গোল করতে পারেন, তেমনি গোল করাতে পারেন।

নেইমারের একাই সব নয়: আর্জেন্টিনার দিকে তাকালে মেসি নির্ভরতা বেশ স্পষ্ট বোঝা যায়। এই তিতের ব্রাজিল কোনো একক খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর নয়। নেইমার অবশ্যই ব্রাজিলের প্রাণভোমরা। কিন্তু নেইমারের পাশাপাশি গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ডগলাস কস্তারাও কম যান না। বিকল্প হিসেবে আছে রবার্তো ফিরমিনো ও টাইসনের মতো গোলমেশিন।

কোচ ম্যাজিকাল তিতে: ব্রাজিলের আগের দুই কোচের চেয়ে তিতে বেশ আলাদা। সে জানে কিভাবে খেলোয়াড়দের থেকে সেরাটা বের করে আনতে হয়। সেই সঙ্গে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সামলান মিডিয়া। দলের প্রত্যেকই সম্মান করেন তিতেকে। ব্রাজিল দলে তিনি মিশ্রণ ঘটিয়েছেন নানা উপাদানের। জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলের হারের আবেগকে তিনি পুরোপুরি সরিয়ে দিয়েছেন খেলোয়াড়দের মানসিকতা থেকে। দলটাকে গড়ে তুললেন সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে। যে রূপটি সব সময়ই ব্রাজিল ফুটবলকে ঘিরে থাকে। তার সঙ্গে মিশ্রণ ঘটালেন নতুনের।

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স: ব্রাজিলের সাম্প্রতিক ফর্মই তাদের হেক্সা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। লাতিন আমেরিকা থেকে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছেন নেইমাররা। সেই সঙ্গে কিছুদিন আগে জার্মানিকে তাদের মাটিতেই নেইমারকে ছাড়া নাস্তানাবুদ করেছে ব্রাজিল।

জোগো বোনিতো: ১৯৫৮ সালের ব্রাজিল দলের সঙ্গে কেউ চাইলে এই ব্রাজিল দলকে তুলনা করতে পারেন। যারা ইউরোপের মাটি থেকে বিশ্বকাপ জয় করে নিয়ে গিয়েছিল। এমনটা মনে করার সবচেয়ে বড় কারণ সেই দলটাও তাদের ‘জোগো বোনিতো’ কে প্রায় ভুলতে বসেছিল। আর এই দলটাও অনেকটা তাই, আর যেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে এনেছেন কোচ তিতে।

বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ২৩ সদস্যের দল

গোলকিপার: অ্যালিসন, এদারসন, কাসিও

ডিফেন্ডার: ফ্যাগনার, দানিলো, মার্সেলো, ফিলিপে লুইস, মারকুইনস, মিরান্দা, থিয়াগো সিলভা, জেরোমেল।

মিডফিল্ডার: কাসেমিরো, ফার্নান্দিনহো, ফ্রেড, পৌলিনহো, ফিলিপে কৌটিনহো, রেনাতো আগুস্তো, উইলিয়ান।

ফরোয়ার্ড: ডগলাস কস্তা, ফিরমিনো, গ্যাব্রিয়েল হেসুস, নেইমার, টাইসন।


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭