ইনসাইড গ্রাউন্ড

যে ৭ কারণে বিশ্বকাপ জিতবে ব্রাজিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:১২ এএম, ২০ মে, ২০১৮


Thumbnail

সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাজিলের ফর্ম এবং বাজে সময় থেকে বেরিয়ে আসার গল্পটা স্বপ্নের মত। লাতিন আমেরিকার বাছাই পর্বে বেশ বিপাকেই পড়ে গিয়েছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ২০১৪ সালের বাজে সময় থেকে কিছুতেই বের হতে পাড়ছিলো না সেলেসাওরা। কার্লোস দুঙ্গার অধীনে ব্রাজিল যেন গভীর অন্ধকারেই নিমজ্জিত হচ্ছিল। এমন অবস্থায় দলকে খাঁদের কিনারা থেকে সেরা অবস্থানে নিয়ে আসেন তিতে।

সাম্বা ফুটবলের রোমান্টিক ভিশন তিতের মাঝে ভরপুর। ‘জিঙ্গা’ স্টাইলটাকেই আরোও আধুনিক রুপ দিয়েছেন ব্রাজিলীয় কোচ। ‘জোগো বোনিতো’ কে বিসর্জন না দিয়ে আধুনিক ফুটবলের সংমিশ্রন ঘটিয়েছেন তিনি। ব্রাজিল দলে তিনি মিশ্রণ ঘটিয়েছেন নানা উপাদানের। জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলের হারের আবেগকে তিনি পুরোপুরি সরিয়ে দিয়েছেন খেলোয়াড়দের মানসিকতা থেকে। দলটাকে গড়ে তুললেন সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে। যে রূপটি সব সময়ই ব্রাজিল ফুটবলকে ঘিরে থাকে। তার সঙ্গে মিশ্রণ ঘটালেন নতুনের। আর যাতে সবার আগে বিশ্বকাপে নাম লেখানো তিতের ব্রাজিল হয়ে উঠেছে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ফেবারিট। আসুন দেখে নেই ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের ৭ কারণ-

সেরা গোলরক্ষক: এই ব্রাজিলে আছে বিশ্বমানের গোলরক্ষক অ্যালিসন, এডারসন ও ক্যাসিও। এদের মধ্যে অ্যালিসন নিজের জাত চিনিয়েছেন। রোমাকে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে নিয়ে যেতে বেশ গুরুত্বপূরণ ভমিকা পালন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তার বিকল্প হিসেবে ক্যাসিও ও এডারসনও কম যান না।

জমাটবাঁধা রক্ষণভাগ: ব্রাজিলের রক্ষনভাগ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা। এতে কোনো সন্দেহ নেই। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা সেন্টারব্যাক থিয়াগো সিলভা আছেন দলে। এছাড়া রয়েছেন বর্তমান সময়ে ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুলব্যাক মার্সেলো। যদিও আলভেজ এর ছিটকে পড়া কিছুটা দুশ্চিন্তার। তবে যারা আছেন- দানিলো, মিরান্ডা, মার্কুইনহোসদের টেকনিক, বল কাড়া ও ট্যাকল দক্ষতা নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রশ্ন তোলার কোনো উপায় নেই।

মিডফিল্ড: ব্রাজিলের মিডফিল্ডের দিকে তাকালে যে কেউ ভড়কে যেতে পারেন। ক্যাসেমিরো, ফার্নান্দিনহো, উইলিয়ান, পৌলিনহোদের যে সংমিশ্রন- তা সত্যি ভয়ঙ্কর এবং অনেক বেশি শক্তিশালী। তারা যেমন গোল করতে পারেন, তেমনি গোল করাতে পারেন।

নেইমারের একাই সব নয়: আর্জেন্টিনার দিকে তাকালে মেসি নির্ভরতা বেশ স্পষ্ট বোঝা যায়। এই তিতের ব্রাজিল কোনো একক খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর নয়। নেইমার অবশ্যই ব্রাজিলের প্রাণভোমরা। কিন্তু নেইমারের পাশাপাশি গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ডগলাস কস্তারাও কম যান না। বিকল্প হিসেবে আছে রবার্তো ফিরমিনো ও টাইসনের মতো গোলমেশিন।

কোচ ম্যাজিকাল তিতে: ব্রাজিলের আগের দুই কোচের চেয়ে তিতে বেশ আলাদা। সে জানে কিভাবে খেলোয়াড়দের থেকে সেরাটা বের করে আনতে হয়। সেই সঙ্গে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সামলান মিডিয়া। দলের প্রত্যেকই সম্মান করেন তিতেকে। ব্রাজিল দলে তিনি মিশ্রণ ঘটিয়েছেন নানা উপাদানের। জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলের হারের আবেগকে তিনি পুরোপুরি সরিয়ে দিয়েছেন খেলোয়াড়দের মানসিকতা থেকে। দলটাকে গড়ে তুললেন সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে। যে রূপটি সব সময়ই ব্রাজিল ফুটবলকে ঘিরে থাকে। তার সঙ্গে মিশ্রণ ঘটালেন নতুনের।

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স: ব্রাজিলের সাম্প্রতিক ফর্মই তাদের হেক্সা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। লাতিন আমেরিকা থেকে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছেন নেইমাররা। সেই সঙ্গে কিছুদিন আগে জার্মানিকে তাদের মাটিতেই নেইমারকে ছাড়া নাস্তানাবুদ করেছে ব্রাজিল।

জোগো বোনিতো: ১৯৫৮ সালের ব্রাজিল দলের সঙ্গে কেউ চাইলে এই ব্রাজিল দলকে তুলনা করতে পারেন। যারা ইউরোপের মাটি থেকে বিশ্বকাপ জয় করে নিয়ে গিয়েছিল। এমনটা মনে করার সবচেয়ে বড় কারণ সেই দলটাও তাদের ‘জোগো বোনিতো’ কে প্রায় ভুলতে বসেছিল। আর এই দলটাও অনেকটা তাই, আর যেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে এনেছেন কোচ তিতে।

বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ২৩ সদস্যের দল

গোলকিপার: অ্যালিসন, এদারসন, কাসিও

ডিফেন্ডার: ফ্যাগনার, দানিলো, মার্সেলো, ফিলিপে লুইস, মারকুইনস, মিরান্দা, থিয়াগো সিলভা, জেরোমেল।

মিডফিল্ডার: কাসেমিরো, ফার্নান্দিনহো, ফ্রেড, পৌলিনহো, ফিলিপে কৌটিনহো, রেনাতো আগুস্তো, উইলিয়ান।

ফরোয়ার্ড: ডগলাস কস্তা, ফিরমিনো, গ্যাব্রিয়েল হেসুস, নেইমার, টাইসন।


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এলপিএলে ৫৮ লাখ টাকায় দল পেলেন তাসকিন

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেট জীবনের নিজের সেরা সময় কাটাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত সহ-অধিনায়ক হিসেবে দলে আছেন। এরই মাঝে নতুন আরেক সুখবর পেলেন তাসকিন।

চলতি বছরের জুলাইয়ে মাঠে গড়াবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল)। শ্রীলংকায় লিগটি শুরু হওয়ার আগে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে নিলাম। যেখানে চড়া মূল্যে দল পেয়েছেন জাতীয় দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ।

আসন্ন এলপিএলে তাসকিনকে দেখা যাবে কলম্বো স্টাইকার্সের জার্সিতে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তাকে ভিত্তিমূল্য ৫০ হাজার ডলারে দলে ভিড়িয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রা মানে যা প্রায় ৫৮ লাখ টাকা।

এলপিএলে তাসকিন দল পেলেও অবিক্রিত রয়ে গেছেন বাকি দুই টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম। বিরতির আগে ভিত্তিমূল্য ৫০ হাজার ডলারে নিলামে ওঠে মুশফিকের নাম। কিন্তু অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।

অপরদিকে এলপিএলে এবারের নিলামে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নাম উঠেছিল লিটনের। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ৩০ হাজার ডলার। কিন্তু তার প্রতিও কোনো আগ্রহ ছিল না লিগে অংশ নেয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর।

এর আগে একাধিকবার আইপিএলসহ বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ এসেছিল তাসকিনের। কিন্তু বোর্ডের অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় খেলা হয়নি তার। যদিও জিম্বাবুয়ের টি-১০ টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন। সেবার বল হাতে আগুন ঝরিয়েছিলেন এই টাইগার পেসার।


তাসকিন আহমেদ   বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে দল ঘোষণার পর অন্যান্য দলের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। কারণ দেশটির মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। আর সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামছে টাইগাররা।

সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে- ২৩ ও ২৫ মে। একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের সব ম্যাচ। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শেষে ২৮ মে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে আবারও মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ একই ভেন্যুতে চারবার মুখোমুখি হবে দু’দল।

প্রথম ম্যাচটি দু’দলের কাছে ঐতিহাসিক হতে যাচ্ছে। কারণ প্রথমবারের মত টি-২০ ফরম্যাটে দেখা হবে দু’দলের। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম টি-২০ খেলার পর এরই মধ্যে এই ফরম্যাটে ২০টি দলের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র হবে বাংলাদেশের ২১তম প্রতিপক্ষ।

মূলত অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়দের নিয়ে দল সাজিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের আধিপত্যই বেশি। এর মধ্যে একজনের নাম স্পটলাইটে রয়েছে। তিনি নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার কোরি অ্যান্ডারসন।

২০১৪ সালে ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন অ্যান্ডারসন। ২০১৫ সালে তাের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙ্গে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলেছিলেন এ অলরাউন্ডার। পরবর্তীতে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অ্যান্ডারসনের অভিষেক হয়। সাত বছর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪১ বলে ২টি চার ও ১০টি ছক্কায় অপরাজিত ৯৪ রান করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০তে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড তার। পাশাপাশি ৭৫ বা তার বেশি রানের ইনিংসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট।

এছাড়া ডান-হাতি পেসার আলি খানের চেয়ে অন্যরা খুব বেশি পরিচিত নয়। আইপিএল, পিএসএল এবং বিশ্বজুড়ে আরো কয়েকটি টি-২০ লিগ খেলেছেন তিনি। বিপিএলে খুলনা টাইটান্সের হয়ে খেলেছিলেন আলি খান। তার মতো আরো কিছু খেলোয়াড় আছেন, যারা বিশ্বের বেশ কিছু জনপ্রিয় টি-২০ লিগে খেলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে বাংলাদেশ। সব ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-২০ সিরিজে হওয়া কিছু ভুল সমাধানের চেষ্টাও করবে দল। যদিও ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দল:
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, তানভির ইসলাম, মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ।

যুক্তরাষ্ট্র দল: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স, অ্যান্ড্রিস গাউস, কোরি অ্যান্ডারসন, আলি খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, মিলিন্দ কুমার, নিসার্গ প্যাটেল, নীতিশ কুমার, নশতুশ কেনজিগে, সৌরভ নেথ্রালভাকার, শ্যাডলি ভ্যান শালকউইক, স্টিভেন টেলর, শায়ান জাহাঙ্গীর। রিজার্ভ: গজানন্দ সিং, জুয়ানয় ড্রাইসডেল, ইয়াসির মোহাম্মদ।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্লপের বিদায়ে কী বললেন সালাহ?

প্রকাশ: ০৩:২১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

লিভারপুলের ডাগআউট থেকে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমেই সরে দাঁড়িয়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। এরই মধ্যে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডাচ কোচ আর্নে স্লট। জানা গেছে, তার সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছে অল রেডরা।

এদিকে ক্লপ যুগেই বিশ্ব দরবারে নিজেকে চিনিয়েছেন মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহ। অথচ সেই ক্লপের শেষ সময়ে তার টানাপোড়েন! গত মাসের শেষ দিকে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নামার আগমুহূর্তে সাইডলাইনে ক্লপের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান সালাহ। সেই তর্কের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।

সেই ম্যাচ শেষে সালাহ বলেছিলেন, ‘আজ আমি কথা বললে আগুন লেগে যাবে।’ তবে লিভারপুলের বিদায়ী কোচ ক্লপ জানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে সব কিছু ঠিক আছে।

মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিনে ক্লপকে সম্মাননা দেওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সালাহ। এবার ক্লপকে শুভ কামনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন মিশরীয় এই ফুটবলার।

ক্লপের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে লিভারপুল তারকা লিখেছেন, ‘গত সাত বছর ধরে ঐসব ট্রফি ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করা ছিল দারুণ ব্যাপার। ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে শুভ কামনা জানাচ্ছি এবং আশা করি, আবার দেখা হবে আমাদের।’

গেল মৌসুম শুরুর আগে সৌদি আরবের ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন সালাহ। বেতনের অর্থও ছিল চড়া কিন্তু সালাহ থেকে যান লিভারপুলে। আসছে মৌসুমেও লিভারপুলে থাকার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

সালাহ বলেন, ‘আমরা জানি যে, ট্রফি জয় করাকেই গোণায় ধরা হয় এবং পরের মৌসুমে তা সম্ভব করে তুলতে সম্ভাব্য সবকিছুই আমরা করব। আমাদের সমর্থকদের এটা প্রাপ্য এবং আমরা তীব্র লড়াই করে যাব।’


ইয়ুর্গেন ক্লপ   মোহাম্মদ সালাহ   লিভারপুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নরমাল ম্যান বিং দ্যা স্পেশাল ওয়ান

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সব যুগেরই অবসান আছে, সব ভালোরই শেষ আছে। তা হোক রাজনীতিতে বা ক্রিয়াঙ্গনে। ঠিক তেমনি অবসান হয়েছে লিভারপুলে ক্লপ অধ্যায়ের। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মৌসুম পর লিভারপুল ছেড়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। রোববার (১৯ মে) ওলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজের অ্যানফিল্ড অধ্যায় শেষ করে ক্লপ।

২০১৫ সালের অক্টোবরে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে লিভারপুলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সেসময় লিভারপুলের অবস্থা কি নাজুক ছিল তা সবারই জানা। লিগ শিরোপা জেতাতো দূরের কথা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও জায়গা করে নেয়া ছিল একসময়ের ঐতিহ্যবাহী দলটির স্বপ্ন। এর পর ক্লপের ৯ বছরে ইউরোপের সম্ভাব্য সব ট্রফিই জেতে লিভারপুল।

এর আগে ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘বিগ সিক্স’ এর খেতাব পাওয়া দলটির ট্রফি কেবিনেটে এক প্রকার ধুলোর আস্তরণ পড়েগেছিল। কেননা, ৩০ বছর ধরে তারা জিততে পারেনি ইপিএল শিরোপা, ১০ বছর আগে জিতেছিল সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এমনকি ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবল লিগ এফএ কাপের শিরোপাও জিততে পারেনি ৯ বছর ধরে।

কিন্তু যে শহরে ‘বিটলস’ এর জন্ম সে শহরে ‘হেভি মেটাল’এ কখনো মরচে ধরবে! তারা ফিরে আসবে বারবার ফিনিক্স পাখি হয়ে। আর ক্লপের মতোই কেউ তাদেরকে ফেরাবে। যেমনটি ফিরেছে লিভারপুল ক্লপের জামানায়।

২০১৫ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ক্লপ তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন ‘I am the normal one, not the special one.’ কতটা সাধাসিধে ভাবে তিনি এ কথাটা বলেছিলেন তা ঐ সংবাদ সম্মেলনটি যারা দেখেছে তারাই জানেন। অথচ কালের বিবর্তনে সেই ‘নরমাল ওয়ান’ পরিণত হয়েছে লিভারপুলের স্পেশাল ওয়ানে। তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন রয় ইভায়নস, বিল শ্যাঙ্কলি, টম ওয়াটসনদের তালিকায়।

আরও পড়ুন: ছন্দপতন থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, ইপিএলের শ্রেষ্ঠত্বে সিটিজেনরাই

ইপিএলে পেপ গার্দিওয়ালা ২০১৫ সালে সিটিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হতো ইয়ুর্গেন ক্লপকে। কারণ তার ফুটবলীয় দর্শন ছিল অনন্য। আধুনিক ফুটবলে বল দখলের লড়াই মাঠের লড়াইকে খুব প্রভাবিত করে। আর এই বল দখলের লড়াইয়ের সবচেয়ে কঠিন ট্যাকটিস হলো ‘গেগেন প্রেসিং’। আর ইয়ুর্গেন ক্লপের সাফল্যের মূল মন্ত্রটি ছিল এই ‘গেগেন প্রেসিং’। স্বয়ং পেপ গার্দিওয়ালার গ্যাম প্লান, ট্যাকটিসকে ক্লপ তার ফুটবলীয় দর্শনের মধ্যে দিয়ে নাকানি-চুবানি দিয়েছেন বহুবার। গত নয় বছরে সিটি-লিভারপুল লড়াইয়ে তা স্পষ্টই দেখা গেছে।

ক্লপ একবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘মেশিনের মতো দল তৈরিতে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়েছি। আমি সবসময় সেরাদের বিপক্ষে খেলার মতো এমন একজন কোচ হতে চেয়েছি। সবসময় নিজের সেরা একটা দল করতে চেয়েছি, তখন নিজের সেরাটা দিতে সবসময় প্রস্তুত ছিলাম। আমি এমন এক দল চেয়েছি যাদের সঙ্গে খেলতে সবাই ভয় পাবে।’

নিজের খেলোয়ারী জীবনে ক্লপ ছিলেন ম্লান। মাইঞ্জের হয়ে খেলার সময়ই ক্লাবের বয়স ভিত্তিক দলের কোচ হিসেবে নিজের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে অবসরের পর দলটির মূল দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এরপর ২০০৬-০৭ মৌসুমে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলে পরবর্তী কয়েকদিন সিনেমার রিল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। তারপর ২০০৮ সালে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান পান তিনি। দলটির হয়ে কোন লিগ শিরোপা না জিততে পারলেও তিনি দলকে ২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু বিধি বাম। সেইবার আরেক জার্মান প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হতে হয়েছিল তাকে। এরপর ২০১৫ সালের অক্টোবরে লিভারপুলে যোগ দেন। এবং লিভারপুলের হয়ে ইউরোপের সম্ভাব্য সকল ট্রফি জেতেন।

একনজরে লিভারপুলে ক্লপের অর্জন:

২০১৯-২০

প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন,

২০১৯-২০

ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন

২০১৯-২০

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ

২০২১-২২

এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন

২০২১-২২, ২০২৩-২৪

ইএফএল চ্যাম্পিয়ন

 

সবশেষ একটি কথায় বলা যায়, ক্লপ তুলনাহীন। কয়েকটি ট্রফি আর অর্জন দিয়ে তার ফুটবলের দর্শন আর ফুটবলের প্রতি ভালোবাসাকে ছোট করাটা বোকামি। লিভারপুলের পর হয়তো তিনি অন্য কোন ক্লাবে যোগ দেবেন কিংবা নিজের ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত হয়ে যাবেন। কিন্তু আধুনিক ফুটবলে তার গ্যাম প্ল্যান, ট্যাক্টিস ফুটবল ভক্তদের কাছে রয়ে যাবে আজীবন। কারণ লিভারপুলকে তিনি জিততে শিখিয়েছেন, ফিনিক্স পাখির মতো ফিরিয়েছেন। অ্যানফিল্ডের প্রতিটি ঘাস, ড্রেসিংরুম, স্টোডিয়ামের গ্যালারি সবকিছুই তাকে স্মরণ করবে লিভারপুলকে দেয়া স্মৃতির জন্য।


ইয়ুর্গেন ক্লপ   লিভারপুল   ইংলিশ লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ভাল কিছু করতে পারিনি: লিটন

প্রকাশ: ০২:৫৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই রানের দেখা পেতেন এই ওপেনার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে রান খরায় ভুগছেন তিনি।

চলতি বছরটাতে এখন পর্যন্ত বলার মতো কোনো ইনিংস উপহার দিতে পারেননি। সামর্থ্য বিবেচনায় স্রেফ নিজের ছায়া হয়ে আছেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের আগেই চেনা ছন্দে ফিরতে চান এই টাইগার ওপেনার। মঙ্গলবার বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’-তে লিটনের একটি সাক্ষাৎকার শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন, নিজের প্রতিভা ও সামর্থ্য অনুযায়ী বিশ্বকাপে এখনও ভাল কিছু করতে পারেননি।

 বলেই মনে করেন লিটন কুমার দাস। আগের চেয়ে তাই এবারের বিশ্বকাপে একটু হলেও উন্নতি করতে চান তিনি। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারলে বাংলাদেশ দলও বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে বলে বিশ্বাস তার।

এই টাইগার ওপেনার বলেন, ‘আমার (পারফরম্যান্সের) কথা বললে, ‘নট আপ টু দা মার্ক।’ আমি যে লেভেলের খেলোয়াড় বা যে পারফর্ম করা উচিত আমার, সেটা করতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জিনিসটা যদি এভাবে বলি যে, আগের দুটি বিশ্বকাপে যদি ১০০ রান না করি, এবারের বিশ্বকাপে যদি ১০১ করতে পারি, তাহলে আরো ভালো করেছি। যা করিনি, চেষ্টা করব তার থেকে ভালো কিছু করার।’

লিটনের যা সাম্প্রতিক ফর্ম, তাকে অবশ্য সেঞ্চুরির চিন্তা বহুদূর, আগে ছন্দে ফেরা জরুরি। সবশেষ ১০টি টি-২০তে তার ফিফটি নেই। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন সংস্করণ মিলিয়ে টানা ২১ ইনিংসে পঞ্চাশের মুখ দেখেননি তিনি।

লিটন বলেন, ‘খারাপ সময়ে অতি বেশি চিন্তার কিছু থাকে না। কারণ, আপনি ব্যাডপ্যাচে যখন থাকেন, যত বেশি চিন্তা করবেন, যত কিছু নিয়ে ভাববেন, তত আপনার জন্য খারাপই হয়ে আসবে। আপনার কাছে একটা বিকল্পই থাকে, কতটুকু কঠোর পরিশ্রম করছেন অনুশীলনে, অনুশীলনকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে নিচ্ছেন, সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’


লিটন দাস   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন