কালার ইনসাইড

আদনান সামি কীভাবে ওজন কমালেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/06/2018


Thumbnail

দিনকে দিন স্থুলতা, ওজন বেড়ে যাওয়া বড় একটি সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যেই স্থুলতার সমস্যা তীব্র হতে পারে। এর থেকে পরিত্রাণে ডায়েট করা, ব্যায়াম, চিকিৎসকের কাছে ছোটা, অপারেশন কতকিছুই না করছে মানুষ। এতে পিছিয়ে থাকেন না আমাদের তারকা জগতের সেলিব্রেটিরা।

স্থুলতার উদাহরণ যদি দিতেই হয় তাহলে আমাদের সামনে সবার আগে বোধহয় বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক আদনান সামি’র কথা চোখে ভেসে ওঠে। তিনিও তাঁর স্থুলতা কমানোর জন্য কম চেষ্টা করেননি। সেই চেষ্টার হাত ধরে ২০০ কিলোগ্রাম থেকে ১৫৫ কিলোগ্রাম ঝরিয়ে ফেলে তিনি এখন স্বাভাবিক দৈহিক গঠনে ফিরেছেন। ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে।

শরীরের ৪ ভাগের ৩ ভাগ কমিয়ে ফেলকে তাকে তো কম সাধনা আর চেষ্টা করতে হয়নি। তাঁর ওজন কমানোর বিশাল এই প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি নিজেই জানিয়েছেন বিস্তারিত। আদনান সামির চেহারা আর স্থুলতা নিয়ে নানাভাবে ট্রোলড হতে হতো। একটা সময়ে গিয়ে অসম্ভব মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাকে। তার ‘তেরা চেহেরা’, ‘উড়ি উড়ি’, ‘ইসক হোতা নেহি’ গানগুলো তখন সেই সময়গুলোতে বিপুল জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কিন্তু, তার অতিরিক্ত ওজন তাকে কোনোদিক থেকেই শান্তি দিচ্ছে না। ক্যারিয়ারের অসামান্য সাফল্যও তার জীবনকে পরিপূর্ণ করতে পারেনি। কাছের মানুষও তাকে আঘাত দেয়। ‘বলিউড হাঙ্গামা’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আদনান বলেছিলেন, ‘আমি ওবেসিটিতে (স্থুলতা) আক্রান্ত মানে এই নয় আমার একটা সুন্দর মন নেই। শুধু পর্দায় আমাকে সুন্দর দেখায় না।’

এরপরেই ২০০৫-০৬ সালে পর্দায় আর তাঁর উপস্থিতি দেখা যেত না। সবাই বলাবলি শুরু করে যে তিনি নাকি লাইপোসাকশন করাতেই উধাও হয়ে গেছেন। তিনি নিজেই জানান যে, তিনি চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। অতিরিক্ত মেদ হওয়াতে তাঁর শ্বাসকষ্ট হতো। এমনকি চিকিৎসরা বলেন, দ্রুত ওজন না কমালে ছয়মাসের বেশি তিনি বাঁচবেন না। আর তাদের পরামর্শনুযায়ী মেদ কমানো শুরু করেন। সঠিক ডায়েট ও ব্যায়ামের জন্য বিখ্যাত পুষ্টিবিদের শরনাপন্ন করেন। এরপর হিউস্টন চলে যান। এসময় তাঁর পরিবারের সদস্য আর বন্ধুরাও তাকে যথেষ্ট সহযোগীতা করেন।

এই কঠিন কাজটি করতে তাঁর বেশ বেগ পোহাতে হয়। মানসিক শক্তি আর ইচ্ছাকে তাঁর বেশি প্রাধান্য দিতে হয়। তাঁর পুষ্টিবিদও তাকে এমনটা পরামর্শ দেন। তিনি শুরু করেন লো-ক্যালরি এবং হাই-প্রোটিন ডায়েট। ভাত, রুটি এবং জাঙ্কফুড বাদ দিয়ে দেন। সালাদ, মাছ আর সিদ্ধ ডাল শুরু করেন। আদনান সামির নাস্তায় থাকতো চিনি ছাড়া এক কাপ চা। দুপুরে সবজির সালাদ এবং মাছ। রাতে শুধু সিদ্ধ ডাল বা সামান্য মুরগি। আর টুকটাক খাবারের জন্য পপকর্ন, চিনি ছাড়া পানীয় খেতেন।

এই ডায়েট মেনে ৪০ কিলোগ্রাম ওজন কমানোর পরে জিমে যাওয়া শুরু। সেখানে ট্রেডমিল এবং হালকা ফ্রি-হ্যান্ড দিয়ে শুরু হয় তাঁর শারীরিক কসরৎ, এরপর আসে ওয়েট ট্রেনিং-এর রুটিন। সপ্তাহে ছয়দিন ফিটনেস ট্রেনিং শুরু হয়। প্রতি মাসে ১০ কিলোগ্রাম করে ওজন ঝরতে থাকে। ১৬ মাসের মধ্যে ১৫৫ কিলো থেকে কমে এখন তাঁর ৬৫ কিলোগ্রাম। শারীরিক সুস্থতা তো পেয়েছেনই, সেই সঙ্গে মানসিকভাবে এখন তিনি দারুণ উজ্জ্বীবিত।

সূত্র: আনন্দবাজার

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭