ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতির মাঠে ইমরান খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 27/07/2018


Thumbnail

ক্রিকেট ইতিহাসের নায়ক ও পিটিআই নেতা ইমরান খানই পাকিস্তানের পরবর্তী কর্ণধার। দেশটির একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বৃহৎ দুটি দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী ইমরান।

পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডার ইমরান খানের অবদান ও সাফল্য নি:সন্দেহে অসাধারণ। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৯২ সালে ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মর্যাদা লাভ করে পাকিস্তান। সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ৬৫ বছর বয়সী ইমরান খান ক্রিকেটার থাকাকালীন সময়েই নানা রকম সামাজিক উন্নয়নের অংশীদার ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনবার বিয়ে এবং বিবাহ বহির্ভূত বহু সম্পর্কের কারণে প্লেবয় হিসেবে খ্যাতি পান ইমরান খান। প্রথম স্ত্রী ব্রিটিশ সাংবাদিক জেমিমা গোল্ডস্মিথকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার পরও পরকীয়ার কারণে সেই সংসার ভেঙ্গে যায় ২০০৪ সালে। এরপর আরেক সাংবাদিক রেহাম খানকে বিয়ে করলে সেই সংসার টিকে মাত্র ১০ মাস। চলতি বছর পাঁচ সন্তানের জননী বুশরা মানিকাকে বিয়ে করেও সমালোচিত হন তিনি।

ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকেই ইমরান সামাজিক উন্নয়নে মনোযোগ দেন। অবশেষে সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান সমাজ সেবা থেকে রাজনীতির মাঠে নামেন ১৯৯৬ সালে। নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন নতুন রাজনৈতিক দল তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

তবে ১৯৯৭ সালে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে ইমরানের দল অংশগ্রহণ করলে, নিজ জেলা মিয়াওয়ালি থেকে হেরে যান ইমরান নিজেই। এরপর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ইমরান খানকে পাকিস্তান মুসলিম লিগে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে, তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

পরবর্তী নির্বাচনে নিজ দলকে প্রতিষ্ঠা করতে আবার এককভাবেই নির্বাচন করেন তিনি। দলের ভাগ্য বদলের শুরুটা হয় ২০০২ সালের নির্বাচনে। এই নির্বাচনে ইমরান খান নিজ আসনে জয় লাভ করেন। তবে ব্যর্থ হন দলের অন্য প্রার্থীদের জিতিয়ে আনতে।

এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনকে পাতানো নির্বাচন আখ্যায়িত করে, নির্বাচন থেকে নিজের দলকে দূরে রাখেন ইমরান খান। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও, তাঁর দল সবসময়ই দুর্নীতিবিরোধী প্রতিবাদে সরব ছিল।কয়েকজন শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতা তেহরিক-ই-ইনসাফে যোগদান করলে ইমরান খানের দল আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

আনুষ্ঠানিকভাবে, ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর লাহোরে বিশাল জনসভায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পাকিস্তানের রাজনীতিতে গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের। পাকিস্তানের সামাজিক ও গণমাধ্যম গুলোতে নতুন করে পরিচিতি লাভ করে ইমরান খান ও তাঁর দল।

শুরু থেকেই তাঁর দল তরুণ সমাজের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এর প্রভাবটা লক্ষ্য করা যায় ২০১৩ সালের নির্বাচনে, যেখানে পিটিআই প্রার্থীদের প্রায় ৮০ শতাংশই ছিল তরুণ।

এদিকে পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতিতে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ইমরানের খানের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় বহুগুণে। যদিও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ইমরান খানের দলকেই সমর্থন করছে বলে অভিযোগ আছে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭