ইনসাইড গ্রাউন্ড

সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/03/2019


Thumbnail

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশকে ভয় পায় না এমন দল খুঁজে পাওয়া যাবে না। সীমিত ওভার ক্রিকেটে নিজেদের সেরা দিনে যেকোন প্রতিপক্ষকে মাটিতে নামাতে জুড়ি নেই টাইগারদের। গত বিশ্বকাপের এর প্রমাণ দিয়েছে মাশরাফির দল। সেবার নিজেদের বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে পক্ষপাত্বিমূলক অ্যাম্পায়ারিংয়ের কারণে, বিদায় নিতে হয় টাইগারদের। এবার সেটা ছাড়িয়ে যাওয়াই মূল লক্ষ্য মাশরাফির দলের।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ: ১৯৯৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। সেবার স্কটল্যান্ডের পাশাপাশি ৯২’র বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। পরের বিশ্বকাপ বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য ছিলো দুঃস্বপ্নের মতো। সেবার অপেক্ষাকৃত দূর্বল দল কেনিয়া এবং কানাডা সহ প্রতিটি ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে মোটামুটি ভালো ছিলো টাইগারদের পারফরম্যান্স। প্রথম ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় জয় পায় টাইগাররা। ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় পরের রাউন্ডে খেলা হয়নি বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে টাইগারদের সেরা সাফল্য ২০১৫ সাল। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। এবার সেটি ছাড়িয়ে যাওয়াই মূল লক্ষ্য টাইগারদের।

যেভাবে ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ: আইসিসির বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিতব্য র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে। সেভাবে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

এবারের বিশ্বকাপের মূলত পাঁচটি কারণে ভালো করার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের।

মাশরাফির অধিনায়কত্ব: ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে হঠাৎ মুশফিকুর রহিমের বদলে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক করা হয় মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। দীর্ঘদিন জয় বঞ্চিত বাংলাদেশ যেন আলোর দীশা। জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যায় বাংলাদেশ। সেখানে ইংল্যান্ডকে হটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় টাইগাররা। এরপর বিশ্বকাপ থেকে অর্জিত আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে বড় বড় দলগুলো বিপক্ষে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। লাল-সবুজদের সফলতার পেছনের অন্যতম কারণ মাশরাফির চৌকষ অধিনায়কত্ব। বিশ্বে সেরা সেরা ক্রিকেট বিশ্লষকরা একবাধ্য স্বীকার করে নিয়েছে এই কথা । এবারও মাশরাফির অধিনায়ক বিশ্বকাপে ভালো করার সাহস যোগাবে টাইগারদের।

পঞ্চপাণ্ডব:  মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, এই পাঁচজনকে বলা হয় বাংলাদেশের পঞ্চপাণ্ডব। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্য নির্ভর করছে এই পাঁচ জনের জ্বলে ওঠার ওপর। গত বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি জয়ে অবদান রয়েছে এই পঞ্চপাণ্ডবের। সুতরাং এবারও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে বিশ্বকাপে ভালো ফল করতে পারবে বাংলাদেশ।

অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল:  অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বেশ কয়েক জন তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে বাংলাদেশ দলে। সাকিব, মুশফিক, তামিমদের সঙ্গে লিটন-সৌম্যের রসায়ণটা যেকোনো দলের হতে পারে ভয়ঙ্কর।

পেসারদের দাপট: ইংল্যান্ডের সিমিং কন্ডিশনে দাপট দেখাতে পারেন পেস বোলাররাই। অন্তত ইতিহাস তাই বলছে। এর আগে চারটি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে ইংলিশরা। সেই ইতিহাস ঘটলে দেখা যায় পেসারদের দাপট ছিলো বেশি। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। টাইগার দলপতির সঙ্গে থাকতে পারেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ এবং রুবেল হোসেন। এই চারজনই বড় রাখতে পারবে দলের জয়ের অবদানে।

ইংলিশ কোচ: চন্ডিকা হাথুরেসিংহে বিদায়ের পর বাংলাদেশের কোচিংয়ের দায়িত্ব পান স্টিভ রোডস। মূলত বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ইংলিশ এই কোচকে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নিজ দেশের কন্ডিশন সর্ম্পকে রোডস থেকে ভালো কে জানতে পারবে। সুতরাং এবারে বিশ্বকাপে ইংলিশ এই কোচের ক্রিকেটীয় জ্ঞান হতে পারে বাংলাদেশের বড় হাতিয়ার।

আগামী ৩০ মে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের বিশ্বকাপের লড়াই। ২ জুন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭