লিভিং ইনসাইড

আপনার সন্তান কি স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 16/07/2019


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে চলছে স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার জয়জয়কার। গ্রীক ও রোমান রূপকথায় হাইড্রা (Hydra) নামক একপ্রকার পা-বিহীন জলজ অথবা উভচর প্রাণীর কথা বলা হয়েছে। এই প্রাণী গ্রীসের উপকূলীয় অঞ্চলে পানির নিচে এবং এবং উপকূলীয় ঝোপঝাড়ে বাস করতো। অক্টোপাসের মতো হাইড্রার অনেকগুলো বাহু ছিল এবং প্রত্যেক বাহুর শেষে একটি করে মাথা ছিল। তাই কেউই জানতো না হাইড্রার ঠিক কয়টি মাথা। তবে সবাই জানতো, হাইড্রার একটি মাথা কাটলে সেখান থেকে দুইটি মাথা গজাতো। সেই দুটি কাটলে আবার মাথা গজাতো চারটি। এভাবে ক্রমেই বাড়তো হাইড্রার মাথা, যা একসময় সবার মাথাব্যথার কারণে পরিণত হয়।

স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার হাইড্রার মাথার মতো ক্রমেই বাড়ছে বলে সব তথ্যউপাত্তে জানা যায়। আর বাড়ন্ত শিশুদের অনুসন্ধিৎসু মনের সুযোগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া শতবাহু বাড়িয়ে অক্টোপাসের মতো পেঁচিয়ে ধরছে তাদের। ফলে বাড়ন্ত শিশুদের হাতে স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়া তাদের উপকার করছে নাকি ঝুঁকিতে ফেলছে তা নিয়ে ভাবতে হবে অভিভাবকদের।

কোন বয়স থেকে শুরু

কোন বয়সে বাচ্চাদের হাতে স্মার্টফোন দিতে হবে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগের সুযোগ দিতে হবে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আমার শিক্ষকতা জীবনে স্কুলের প্রাইমারি সেকশনের সবচেয়ে নিচের ক্লাসের বাচ্চাদের ক্লাসরুম পরিদর্শনকালে বেশ তৃপ্তি নিয়ে পরিদর্শক দলের দলনেতাকে বলেছিলাম- আমরা স্কুলে প্রথমদিন থেকে কম্পিউটার শিখাই। ভিআইপি দলনেতা হেসে বললেন ওরা তো ক্লাসে আসার আগে থেকেই কম্পিউটার চালানো শিখে যায়। হাতে বা চোখের সামনে মোবাইল না থাকলে শিশুরা আজকাল খেতেও চায় না। দাদী, নানী, বোন বা মায়ের মুখের ছড়া, কবিতা, রূপকথার গল্প, ঘুমপাড়ানি গানের বদলে স্থান নিয়েছে মোবাইল সোশ্যাল মিডিয়া। তাই ১৮ বছরের নিচে যারা সাংবিধানিক স্বীকৃতিতে শিশু- তাদের মোবাইলের অপব্যবহার নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

সোশ্যাল মিডিয়া কি প্রয়োজনীয়?

সোশ্যাল মিডিয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা অস্বীকারের উপায় নেই। উঠতি বয়সীরা বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ ও পরিবারের সবার খোঁজ রাখতে এটা ব্যবহার করে। এখানে তারা মনের মতো কারো সন্ধান পায়, যার সঙ্গে মনের সুখ-দুঃখ, অনুভূতি, অর্জন, বিসর্জন, প্রয়োজন সবই শেয়ার করতে পারে। অনুভূতি প্রকাশের এই উপকারিতার কথা সর্বজনবিদিত। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকরা গ্রুপের মাধ্যমে পড়াশোনার কাজেই ব্যবহার করছে সোশ্যাল মিডিয়া। তবে এই স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা আগে যাচাই করা দরকার।

ডিলিটে ডেঞ্জার

মেইল, ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপগুলো থেকে উঠতি শিশুরা কখন কোথায় যোগাযোগ করছে তা খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আবার কিছু অ্যাপস আছে যেখান থেকে কোনো লেখা বা ছবি পাঠানোর পরপরই মুছে যায়। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এই অ্যাপসের ব্যবহার বিপদের কারণও হতে পারে। এমন একটি অ্যাপ ব্যবহার করে অভিভাবকের সচেতনতার পরেও ১৩ বছরের মার্কিন কিশোরী নিকোলী লোভেল তার ২১ বছরের প্রতারক বন্ধু ডেভিডের দ্বারা অন্তঃসত্ত্বা ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে। পরে এই অ্যাপটি কিলার অ্যাপ নামে স্বীকৃত হয়। যেখানে ডিলিট, সেখানে ডেঞ্জার থাকতে পারে, অতএব সাবধান।

নিজেকে আড়াল করছে না তো

অভিভাবকদের বুঝতে হবে যে সোশ্যাল মিডিয়া নিজেকে আড়াল করার একটা অবলম্বন হতে পারে বাড়ন্ত কিশোরকিশোরীদের কাছে। যে কথা বা প্রশ্ন সামনাসামনি করা যায় না, যে ছবি দেখা বা দেখানো যায় না তা অনায়াসে সোশ্যাল মিডিয়ার আড়ালে বলা বা দেখানো যায়। এক্ষেত্রে ছদ্মনামের ব্যবহারও বিচিত্র নয়। ফ্রান্সে একজন ভুক্তভোগী পিতা যখন তার কিশোরী কন্যাকে হারিয়ে ফেলেন, তখন জানা যায় তার স্কুলের এক সিনিয়র ছাত্রী নারী পাচারচক্রের সদস্য হিসেবে গোপনে যোগাযোগ রাখতো তার সঙ্গে। এই হতভাগ্য পিতার উপদেশ তাদেরকে অহেতুক সন্দেহ বা অতিরিক্ত খেয়াল রাখার কথা বললেও অভিভাবকদের হাল ছাড়া চলবে না।

যা নয়, তাও হয়

সোশ্যাল মিডিয়া নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন এবং নিজেকে অন্যের চোখে মূল্যায়নের দরজা খুলে দেয়। আর এমন বহু অ্যাপ রয়েছে, যা ব্যবহার করে ছবিতে নিজের প্রকৃত চেহারাকে বহুগুণে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা যায়। সেখানে অনেক লাইক, কমেন্ট পড়ে। ছবির মতো সুন্দর হতে গিয়ে খাওয়া ছেড়ে দেয় কখনো, কখনো বেশি খায়, কতো প্রসাধনীর ব্যবহার করে। বাস্তবে তেমন সুন্দর না হলে হতাশায় ভোগা, পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া, এমনকি আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয়। আমার শিক্ষকতা জীবনে পৃথক দুটি ঘটনায় একজন কিশোরী আত্মহত্যার প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করেছি, যার নেপথ্যে ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব। এখানের সব সত্যি নয়, তা বুঝাতে হবে।

মিথ্যা বলার প্রবণতা

বাড়ন্ত ছেলেমেয়েদের পক্ষে মিথ্যা বলাটা নতুন কিছু নয়। ওয়াশিংটন পোস্ট ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক ফিচারে প্রকাশ করে যে, কোনো ঝামেলা এড়াতে, নিষিদ্ধ কিছু করতে, নিজেকে বা নিজের ভাইবোন বা বন্ধুদের বাঁচাতে বা তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে সন্তানেরা মিথ্যা বলে থাকে। তবে এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতা হলো নিজের গোপনীয়তা বজায় রাখতে মিথ্যা বলা। অভিভাবকরা হয়ত মনে করে শাস্তির ভয়ে তার একান্ত বাধ্য সন্তান হয়ত মিথ্যা বলছে। বাস্তবে তা নাও ঘটতে পারে। যারা সন্তানের সঙ্গে একান্ত বন্ধুবৎসল, সন্তানকে শাস্তি দেওয়ার বিপক্ষে তাদের সন্তানও মিথ্যা বলতে পারে। কারণ এর পিছনে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ও সোশ্যাল লাইফ। এই মিডিয়া বিভিন্ন চিন্তার জন্ম দেয়, যা মিথ্যাকে উৎসাহিত করে। আমার সামাজিক জীবন একান্তই আমার, সময় কাটানো আর বিনোদনের কৌশল আমিই ঠিক করবো- এই চিন্তাগুলো কিশোরদের মিথ্যা বলতে বাধ্য করে। কারণ সচেতন বাবা-মা তাদের এই চেতনার সঙ্গে একমত হতে পারেনা।

আসক্তি বোঝার উপায়

আজকাল ১৮ বছর হওয়ার আগেই সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন বা ট্যাব অভিভাবকরাই তুলে দেন। কিছুক্ষেত্রে টাকা জমিয়ে বা নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে স্মার্টফোন হাতে পায় বাড়ন্ত বাচ্চারা। যাইহোক, নিচের এক বা একাধিক লক্ষণ দেখলে অভিভাবক হিসেবে বিষয়টিকে যুগের হাওয়া বলে অবহেলা করা চলবে না-

* মাত্রাতিরিক্ত সময় ফোন, অ্যাপস, ডিভাইস নিয়ে কাটানো।

* ফোন নিয়ে মেতে থেকে সময়ের কাজ সময়মতো করতে না পারা।

* চেহারা বা আচরণে ভয়, দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা প্রকাশ করা।

* বন্ধু বা নিকটাত্মীয়দের এড়িয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকা।

* মোবাইলের চার্জ বা নেটওয়ার্ক না থাকলে উৎকণ্ঠা বা বিরক্তি প্রকাশ করা।

* নতুন মোবাইল বা ডিভাইস কিনে দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি বা জিদ করা।

* সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে যেতে না চাওয়া।

* ব্যক্তিগত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে অবহেলা।

* বইপড়া, টিভি দেখা, খেলাধুলা করার মতো বয়সোচিত বিনোদন কর্মকাণ্ডে অংশ না নেওয়া।

* ঘুম, নামাজ ইত্যাদির প্রতি অবহেলা।

অভিভাবক চাইলে তালিকাটা আরও বড় করতে পারবেন। কারণ পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় স্মার্টফোন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তরা যে ঠিক কি আচরণ করবে তা আগে থেকে ধারণা করা কঠিন। বাড়ন্ত শিশুরা খুব আবেগী, অভিমানী, জেদী, কল্পনাপ্রবণ, ভাবুক, নির্জিব, লাজুক, আত্মকেন্দ্রিক বা মিথ্যাবাদী হওয়াটা বিচিত্র কিছু না।

হতাশ হবেন না

সন্তানকে এইসব আসক্তি থেকে বাঁচানোর প্রথম শর্ত হলো হতাশ না হওয়া, যুগের হাওয়া বলে অবহেলা না করা। মনে রাখতে হবে এই সমস্যা শুধু আপনার ঘরেই নয়, মোটামুটি প্রতিটি ঘরেই। ইউরোপের তুলনায় আমরা স্মার্টফোন ব্যবহারের দিক থেকে একেবারে পিছিয়েও নেই। ইউরোপে এই সমস্যার একটা চিত্র তুলে ধরেছে শিশুদের জন্য নিরাপদ প্রযুক্তি ও নিরাপদ মিডিয়া নিয়ে কাজ করা একটি এনজিও কমনসেন্স মিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়-

স্মার্টফোন ও আসক্তি বিষয়ক ভাবনা

শিশু

অভিভাবক

সন্তানের আসক্তি আছে ভাবেন

 

৫৯%

শিশুদের হাতে বিভিন্ন কারণে স্মার্টফোন থাকা জরুরি মনে করেন

৭২%

৪৮%

প্রতিঘণ্টায় স্মার্টফোন চেক করেন

৭৯%

৬৯%

সন্তানের ক্ষতি করছে বলে ভাবেন

 

৭৭%

নিজেকে আসক্ত ভাবেন

৫০%

 

মোবাইলকে কেন্দ্র করে সন্তান ও অভিভাবকের মধ্যে প্রতিদিন ঝগড়া হয় বলে ভাবেন

৩২%

৩৬%

গাড়ি চালানোর সময়ে স্মার্টফোন চেক করেন বলে স্বীকার করেন

 

৫৬%

অভিভাবককে গাড়ি চালানোর সময়ে চেক করতে দেখেন

৫১%

 

প্রথমেই সমঝোতা

অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে, ‘প্রতিরোধ প্রতিষেধকের চেয়ে উত্তম’ (Prevention is better than cure)। সুতরাং শিশুর হাতে স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার আগে তার সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিন। কখন বা কতক্ষণ ব্যবহার করা যাবে, রাতে ও স্কুলের সময়ে ফোনটি কোথায় থাকবে, লক সিস্টেম বাবা-মা জানবে কিনা, কোন কোন অ্যাপ ব্যবহার করবে, অনিয়মের কি প্রতিফলন হবে ইত্যাদি বিষয়ে আলাপ শেষে মোবাইল দেওয়াই ভালো। আর শিশুদের বয়সবৃদ্ধি, পড়ালেখার কাজে প্রয়োজনীয়তা, বাজারে নতুন অ্যাপের আগমন- এসব বিষয় বিবেচনা করে নিয়মনীতি পরিবর্তন করতে হবে। প্রথমে শর্ত না দিলে পরবর্তীতে শর্তারোপ বেশি কঠিন।

নিজে না পারলে অন্যের সাহায্য

নজর দিন শিশুদের ফোন ব্যবহারের ওপর। কখন, কোথায়, কতক্ষণ তারা ফোনে সময় কাটাচ্ছে তা খেয়াল রাখুন। এতে গোপনীয়তা ভঙ্গের প্রসঙ্গ আনাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে সবকিছু। তারা সর্বদা বাবামায়ের কথা নাও শুনতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাদের গোপনীয়তা বজায় রাখবে এমন কারো সাহায্য নিন। প্রয়োজনে মনোবিজ্ঞানীদের কাছে যান।

রাতে সাবধান

ব্রডব্র্যান্ড বা রাউটারের নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে রাখুন। নির্দিষ্ট সময় পর বিশেষত রাতে ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে ঘুমাতে যান। তারপরও খেয়াল রাখুন অন্যভাবে মোবাইলটি ব্যবহার করছে কিনা। রাতে কখন ঘুমাতে হবে, সকালে কখন উঠতে হবে, পড়া, হোমওয়ার্ক, খাওয়া, অন্যকিছু শেখা- এসবের সময় ঠিক করে নিন সমঝোতার মাধ্যমে। জোর করে চাপিয়ে দেবেন না কোনোকিছু। মনোবিজ্ঞানী লেরি রোজেন এক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর আগে শিশুদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

নিজেই হোন রোল মডেল

শিশুদের এই আসক্তি থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের সন্তানের সামনে অনুকরণীয় রোল মডেল হতে হবে। অভিভাবক নিজেই যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত থাকেন, বাচ্চারা তো সুযোগ পাবেই। আসক্ত সন্তানদের সামনে অন্য আত্মীয়স্বজন ও পারিবারিক বন্ধুদেরও মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকতে নিষেধ করুন।

বিকল্প তৈরি করুন

এই আসক্তি থেকে শিশুদের দূরে রাখতে তার পছন্দের কিছু দিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, সাতার, জুডো, কারাত অনুশীলন, শরীরচর্চা, বইপড়া, বাগান করা, সেলাই বা রান্না- এমন অনেককিছু নিয়ে ভাবতে হবে যা আপনার সন্তান ভালোবাসে।

আপনিও স্মার্ট হোন

প্রযুক্তির এই যুগে আপনাকেও হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। সন্তানের সোশ্যাল মিডিয়ার আইডি সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। তার একাধিক আইডি আছে কিনা খোঁজ নিন। বন্ধুসুলভ আচরণ করে সবকিছু আপনার সঙ্গে আলোচনায় উৎসাহিত করুন। ফোনের পাসওয়ার্ড ও সেফটি লক সম্পর্কে জানুন। নিত্যনতুন উপকারী অ্যাপস সম্পর্কে জানুন যা নির্দিষ্ট সময়ের পর নেট বন্ধ করে দিতে পারে। আপত্তিকর ভিডিওক্লিপ ব্লক করে রাখার পদ্ধতিও রয়েছে। এগুলো শিখে নিন।

পুরস্কৃত করুন

আপনার উপদেশ ও রুটিন মেনে চললে এবং স্মার্টফোন, ডিভাইস ও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকে দূরে থাকলে সন্তানকে পুরস্কৃত করুন। তাকে সময় দিন, বিনোদনের সুযোগ দিন। বিকল্প ছাড়া এই আসক্তি থেকে সন্তানকে দূরে রাখা অসম্ভবই বটে। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে আমরা যে স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি তা আজকের পৃথিবীতে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া যদি আমাদের ব্যবহার করে তবে তা সবার জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

লেখক: কলামিস্ট ও গবেষক। সেনাবাহিনী ও কর্পোরেট জগতে চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। বিদেশে স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এক দশক।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭