নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 02/10/2019
হৃত্বিক বনাম টাইগার! মুক্তি পেল ‘ওয়ার’। ২০১৯ সালের অন্যতম হাইপড সিনেমা। বাজেট, স্টার কাস্ট, লোকেশন, অ্যাকশন, ভিএফএক্স- ট্রেলারে সবটাই দুর্দান্ত মনে হয়েছে। কিন্তু কেমন হতে পারে ‘ওয়ার’ এর গল্প?
ট্রেলার দেখে আপনার মনে পড়ে যাবে জেমস বন্ডখ্যাত পিয়ার্স ব্রসনান অভিনীত ‘দ্যা নভেম্বর ম্যান ২০১৪’ এর কথা। সেখানে পিয়ার্সের কাছ থেকে ট্রেনিং নেওয়া সবচেয়ে সেরা এজেন্ট তাকেই শিকার করার জন্য ধাওয়া করে বেড়ায়! অর্থাৎ, গুরু বনাম শিষ্য লড়াই। ‘ওয়ার’ এর থিমটাও তাই। তবে থিম একই হতেই পারে। তাতে হুবহু কপি ধরে হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই।
পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ এর আগে টম ক্রুজ অভিনীত হলিউড সিনেমা ‘নাইট অ্যান্ড ডে’ এর রিমেক ‘ব্যাং ব্যাং’ করেছিলেন। তাই ‘ওয়ার’ রিমেক হওয়ার সম্ভাবনা একদম ফেলে দেওয়া যায় না। অবশ্য পজেটিভ ব্যাপার, ‘ব্যাং ব্যাং’ রিমেক হলেও ফ্রেম টু ফ্রেম কপি ছিল না। স্রেফ মূল থিমটা এক ছিল। হতে পারে ‘ওয়ার’ তেমন রিমেক বা জাস্ট ইন্সপায়ার্ড।
তবে পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের সিনেমাগুলোর লিস্টের দিকে তাকালে মৌলিক সিনেমার আশা করা কঠিন। তার প্রথম সিনেমা সালাম নমস্তে ছিল আমেরিকান সিনেমা ‘নাইন মান্থস’ এর আনঅফিসিয়াল রিমেক। এভাবে ‘তারা রাম পাম’ টম ক্রুজের ‘ডেস অব থান্ডার’ এর রিমেক। ‘বাচনা অ্যা হাসিনো’ ব্রিট্রিশ আমেরিকান ফিল্ম ‘আলফি’ এর রিমেক। ‘আনজানা আনজানি’ ডাচ সিনেমা ‘ব্লাইন্ড’ এর আনঅফিশিয়াল রিমেক।
‘ওয়ার’ এর গল্পটা কেমন হতে পারে? ট্রেইলার থেকে অনেকেই খুব ক্লিশে, একদম টিপিক্যাল একটা গল্প আন্দাজ করতে পেরেছেন। দেখুন তো সেটা অনেকটা এরকম কিনা:
হৃত্বিক (কবির) এজেন্সির সেরা এজেন্ট। কিন্তু কোনো কারণে সে দলছুট হয়ে দুর্বৃত্তের রূপ নেবে। হানাহানি, খুনোখুনি করবে। তাকে থামানোর জন্য পাঠানো হবে তারই শিষ্য আরেক এজেন্ট টাইগার (খালিদ)কে।
খালিদ হৃত্বিককে থামাতে যাবে, তাদের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হবে, মারপিট হবে। পরে একপর্যায়ে খালিদ জানতে পারবে তার গুরু কবির এসব এমনি এমনি করছে না। এর পেছনে বড় উদ্দেশ্য আছে। হতে পারে কবির কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে শেষ করছে যেটা অফিসিয়াল অনুমতি নিয়ে করা অসম্ভব ছিল।
এটা জানার পরে খালিদ বাইরে বাইরে কবিরকে ধাওয়া করলেও ভেতরে ভেতরে কবিরকে সাহায্য করে যাবে (এটা টুইস্ট হিসেবে পরে রিভিল হতে পারে)। এবং সামনে আরো জানা যাবে এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর হোতা কিংবা সোর্স হিসেবে তাদেরই এজেন্সির কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জড়িত আছে।
ধারণা করা হচ্ছে সেই ব্যক্তিটি হলেন কর্নেল লুথরা (আশুতোষ রানা)। এরপরে কবির ও খালিদ দু’জন মিলে কমন শত্রুর বিরুদ্ধে লড়বে। গ্রান্ড অ্যাকশনের মাধ্যমে ‘ওয়ার’ এর হ্যাপি এন্ডিং হবে।”
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে পরিচালক যা বলেছেন তা অনেকটা এমন- দর্শকরা ভাবছে ‘ওয়ার’ স্রেফ অ্যাকশন আর গ্ল্যামারের সিনেমা। সেভাবে হয়তো কোনো গল্প নেই। কিন্তু গল্পই এই সিনেমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। যেটা আমরা ট্রেইলারে দেখাইনি। সেটা হলের দর্শকদের জন্য সারপ্রাইজ রইল।
এখন দেখার বিষয় গল্পটা কেমন হয়। দর্শকদেরকে কতটা বিনোদন দিতে পারে, সারপ্রাইজড করতে পারে। পারফরমার হিসেবে হৃত্বিক, টাইগার এমনি ভানি কাপুরও সহজেই উতরে যাবে। কিন্তু প্রায় ২০০ কোটি রূপি বাজেটের সিনেমা হিট, সুপার হিট হতে হলে গল্পটাও জরুরি। নইলে এটা হবে আরেকটা ‘সাহো’। আর একই সময়ে রিলিজ পাওয়া শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ‘ শ্রী নরেশ্বমা রেড্ডি’ গল্পটা যদি শক্তপোক্ত হয় তাহলে তো আরো সর্বনাশ হবে। কারণ সেই ছবিতেও স্টারের কমতি নেই। যদিও ছবিটা ভারতের দক্ষিণের।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭