ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্রীড়াপ্রেমীদের সময় কাটানোর খোরাক হতে পারে সিনেমাগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 04/04/2020


Thumbnail

এই মুহুর্তে করোনাভাইরাসের কারণে থমকে আছে গোটা ক্রীড়াবিশ্ব। সব ধরণের খেলা স্থগিত হওয়ায় ক্রীড়াপ্রেমীদের সময় কাটছে দুর্বিষহভাবে। ঘরবন্দি এই সময় পার করতে মানুষ যখন ব্যস্ত নানান কাজ খোঁজায়, তখন ক্রীড়াপ্রেমীদের সময় কাটতে পারে ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সিনেমা দেখে। করোনার প্রকোপে মস্তিষ্ককে শীতল করতে তাই ‘বাংলা ইনসাইডার’ তুলে এনেছে ইতিহাসের সেরা ১৯ টি ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সিনেমার নাম। বলিউড এবং হলিউডের এই সিনেমাগুলো আপনার সময় পার করে দিতে পারবে আনন্দে, অনায়াসে।

বলিউড

ইকবাল (Iqbal) ২০০৫

কৃষকের ছেলে ইকবাল কথা বলতে বা শুনতে পারে না তথা মূক এবং বধির। তবে এসব সমস্যা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ক্রিকেটের প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসা থেকে খেলাটি শেখার আগ্রহ তৈরি হয় তার মধ্যে। মদ্যপায়ী এক সাবেক ক্রিকেটারকে গুরু মেনে তার কাছে থেকে ক্রিকেট শেখার হাতে-খড়ি হয় তার। তবে স্বপ্নপূরণের দরজা তখনও অনেক দূর। নাগেশ কুকোনুর পরিচালিত সিনেমাটি বাণিজ্যিকভাবে সফল না হলেও সমালোচকদের মন জয় করে নিয়েছে।

আইএমডিবি- ৮.১

লগান (Lagaan) ২০০১

ব্রিটিশ ভারতে করের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ছোট এক গ্রামের বাসিন্দারা ব্রিটিশদের বিপক্ষে এক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেন, সেই ম্যাচের গল্প নিয়েই এগিয়েছে আশুতোশ গোয়ারিকারের এই সিনেমা। ২০০১ সালে অস্কারের “সেরা বিদেশী ভাষার সিনেমা’’ বিভাগে মূল পর্বে মনোনয়ন পেয়েছিল ছবিটি।

আইএমডিবি - ৮.১

চাক দে ইন্ডিয়া (Chak de India) ২০০৭

সাবেক হকি খেলোয়াড় কবির খান সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ভারতীয় নারী দলের কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন। তার লক্ষ্য অবহেলিত নারী হকি দলকে দিয়ে বিশ্বজয় করা, এর মধ্য দিয়েই যে সেরে উঠবে নিজের পুরনো ব্যর্থতার ক্ষত।

আইএমডিবি- ৮.২

ভাগ মিলখা ভাগ (Bhaag Milkha Bhaag) ২০১৫

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের সময় গৃহযুদ্ধ দেখা এবং গণহত্যায় পরিবারকে হারানো ‘ফ্লাইং শিখ’ মিলখা সিংয়ের গল্প ‘ভাগ মিলখা ভাগ’। সব দুঃস্মৃতি কাটিয়ে একসময় মিলখা সিং বিশ্বজয় করেছেন, ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন অলিম্পিকে, সেসব ঘটনাই উঠে এসেছে পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার এই সিনেমায়।

আইএমডিবি- ৮.২

কাই পো চে (Kai Po Che) ২০১৩

এই সিনেমার গল্প পাখা মেলেছে তিন বন্ধুকে ঘিরে, যারা একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমী খোলার চেষ্টা করেন যেখান থেকে গড়ে উঠবে ভারতের প্রতিভাবান সব ক্রিকেটার। কিন্তু আশার ফুল বেড়ে ওঠার আগেই উপস্থিত হয় এক বিশাল প্রতিবন্ধকতা। প্রতিকূল সেই পরিস্থিতি টপকে স্বপ্নপূরণ করতে পারবে কি তারা? জানতে হলে অভিষেক কাপুরের সিনেমাটি দেখার কোনও বিকল্প নেই।

আইএমডিবি- ৭.৬

এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি (M.S Dhoni: The Untold Story) ২০০৬

ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবনের অজানা বিষয়গুলো উঠে এসেছে নীরাজ পাণ্ডে পরিচালিত এই ছবিতে। রেলওয়ে টিকেট কালেক্টর থেকে কিভাবে ‘ট্রফি কালেক্টর’ হয়ে উঠলেন সেই গল্প জানতে হলে ছবিটি অবশ্যই দেখতে হবে আপনাকে।

আইএমডিবি- ৭.৭

হলিউড

দ্য রেসলার (The wrestler) ২০০৮

গল্পটা এক মধ্যবয়সী বক্সারের। বয়স, অসুস্থতাসহ নানা কারণে বক্সিং রিংয়ে তার দিন গত হয়েছে। গ্রোসারি শপে দিন-রাত খেঁটে তার জীবন চলে এখন। তবে এর মধ্যেই হঠাৎ একদিন সেরা সময়ের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আয়াতোল্লাহর সঙ্গে বক্সিং রিম্যাচের প্রস্তাব আসে তার কাছে। সেই ম্যাচ দিয়ে আবারও বক্সিয়ের মূল মঞ্চে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হয় তার সামনে। বক্সিং এবং জীবনের দারুণ সমীকরণ সমৃদ্ধ কাহিনীটিকে সিনেমার রুপ দিয়েছেন পরিচালক ড্যারেন অ্যারনফস্কি।

আইএমডিবি- ৭.৯

রাশ (Rush) ২০১৩

৭০ দশকের ফর্মুলা ওয়ান রেসিং এর নায়ক অস্ট্রিয়ান ড্রাইভার কিংবদন্তী নিকি লাউডা এবং আমেরিকান প্লেবয় জেমস হান্টের রেসিং ট্র্যাক ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিযোগিতার কাহিনী রাশ। রন হাওয়ার্ডের পরিচালনায় তিনটি গোল্ডেন গ্লোবের মনোনয়ন পাওয়া এ ছবিতে দেখবেন দুইজন কিংবদন্তী রেসারের ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ের বিখ্যাত গল্প।

আইএমডিবি- ৮.১

ফোর্ড ভি ফেরারি (Ford v Ferrari) ২০১৯

লে মঁস রেসিং বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত রেসিং চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানে ইউরোপিয়ান গাড়ি নির্মাতা, বিশেষ করে ফেরারিরই রাজত্ব। ব্যবসায় ফোর্ড এগিয়ে থাকলেও এই সম্মানটার জন্য হেনরি ফোর্ড দায়িত্ব দিলেন আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার কেন মাইলস এবং গাড়ি ডিজাইনার ক্যারল শেলবিকে। শেলবি আর মাইলস কি পারবেন ফোর্ডের নাম রক্ষা করতে? 

আইএমডিবি- ৮.১

মিলিয়ন ডলার বেবি (Million Dollar Baby) ২০০৪

নব্য বক্সার ম্যাগি ফিটজেরাল্ড হতে চান চ্যাম্পিয়ন বক্সার, এজন্য তাঁর প্রয়োজন অভিজ্ঞ ট্রেনার ফ্র্যাঙ্কি ডানের সাহায্য। কিন্তু নিঃসঙ্গ জীবনে অভ্যস্ত ফ্র্যাঙ্কি কাউকে ট্রেইন করাতে চান না, কোন মেয়েকে তো নয়ই। ম্যাগি আর ফ্র্যাঙ্কির ক্যারিয়ারের ছবি আঁকা হয়েছে ৪টি অস্কার জিতে নেওয়া মিলিয়ন ডলার বেবি চলচ্চিত্রটিতে। 

আইএমডিবি- ৮.১

রকি (Rocky) ১৯৭৬

আত্মসম্মানের জন্য ছোটখাটো ফাইটে অংশ নেওয়া বক্সার রকিকে লড়তে হয় এক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই কাল্ট-ক্লাসিক সিনেমাটি বিশ্বজুড়েই ব্যাপক সমাদৃত। দর্শক-সমালোচক সবার মন জয় করে নেওয়া ছবিটি অস্কারে সে বছর সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কারও জিতে নিয়েছিল।

আইএমডিবি- ৮.১

১৯৮৩ (1983) (২০১৪)

এই সিনেমার গল্পটা গড়ে উঠেছে এক পাগলা ক্রিকেট ভক্ত রামেশনকে কেন্দ্র করে। নিজে ক্রিকেটে খুব বেশি কিছু করতে না পারলেও ছেলেকে দিয়ে ক্রিকেটে নিজের স্বপ্নপূরণ করার মিশনে নেমেছেন তিনি। ২০১৪ সালে ভারতে মালয়ালম ভাষায় মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে বেশ।

আইএমডিবি- ৭.৭

মন্টেভিডিও, গড ব্লেস ইউ (Montevideo God bless you) ২০১০

উরুগুয়ের রাজধানী মন্টেভিডিওতে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ। সেখানে অংশগ্রহণ করবে অবিভক্ত যুগোস্লাভিয়ার জাতীয় ফুটবল দল। বেলগ্রেডের রাস্তা থেকে উঠে আসা ১১ জন প্রতিভাবান ফুটবলারের প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার কাহিনী নিয়েই এই ছবি বানিয়েছেন সার্বিয়ান পরিচালক দ্রাগান বিয়েলগ্রিচ।

আইএমডিবি- ৮.২

অ্যানি গিভেন সানডে (Any Given Sunday)- ১৯৯৯

পড়তির দিকে থাকা ক্লাব মায়ামি শার্ক। তাদের নতুন তরুণ মালিকেরাও এই পুরনো দল আর পুরনো কোচ টোনির ওপর ভরসা করে উঠতে পারছে না। এমন একটা সময়ে ইনজুরিতে পড়ে যায় তাদের স্টার কোয়ার্টারব্যাক আর তার জায়গায় হুট করে সুযোগ মিলে একদমই নবীন উইলি বিম্যানের। অতীতের খেলা, অতীতের ঐতিহ্যকে ভুলে না গিয়ে নতুনদের সুযোগ করে দেওয়ার গল্প এনি গিভেন সানডে। আল পাচিনো, ক্যামেরন ডিয়াজ, জেমি ফক্স, ডেনিস কুয়েইডের মত অনেক স্টাররা আছেন এখানে। তবে আর কিছু না হলেও এ ছবির শেষে আল পাচিনোর ড্রেসিং রুম স্পিচটার জন্য হলেও মুভিটা দেখতে পারেন।

আইএমডিবি- ৬.৯

শাওলিন সকার (Shaolin Soccer) ২০০১

সাবেক এক ফুটবল খেলোয়াড় নিজের পাঁচ ভাইকে একত্র করে গড়ে তোলেন অদ্ভুত এক ফুটবল দল, যারা ফুটবলটাকে খেলে শাওলিন কুংফুর ধাঁচে। একাধারে ফুটবল এবং মার্শাল আর্টের এই অভিনব মিশেল উপভোগ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে পরিচালক স্টিফেন চৌয়ের এই সিনেমা।

আইএমডিবি- ৭.৩

ইনভিকটাস (Invictus) ২০০৯

সদ্য জেল থেকে মুক্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন নেলসন ম্যান্ডেলা। কিন্তু অ্যাপার্টাইডের রেশ এখনো রক্ত ঝড়াচ্ছে দেশে। জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এক করার জন্য ম্যান্ডেলা ডাকলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় রাগবি দলের অধিনায়ক ফ্রাঁসোয়া পিনারকে। মিশন? ১৯৯৫ সালের রাগবি বিশ্বকাপ।

আইএমডিবি- ৭.৩

দ্য গ্রেটেস্ট গেম এভার প্লেইড (The Greatest Game Ever Played) ২০০৫

চ্যাম্পিয়ন ইংলিশ গলফার হ্যারি তার ‘নিচু জাতের’ তকমা উপেক্ষা করে, শ্রেণি সংগ্রাম আর নাক উঁচু ব্রিটিশ উচ্চ বংশীয়দের সাথে টেক্কা দিয়েই সেরা গলফারের খেতাবটা পেয়েছেন। এবার ইউ এস ওপেনে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ আমেরিকান তরুণ ফ্রান্সিস, যে কিনা তাঁরই বিশাল ভক্ত এবং তাঁর মতো একই সংগ্রামগুলো মোকাবেলা করেই উঠে এসেছে গলফ গ্রিনে। এই ছবি ইউস ওপেনে তাদের দক্ষতার যুদ্ধের সাথে সাথে সমাজের সাথে তাদের প্রতিনিয়ত যুদ্ধেরও গল্প।  

আইএমডিবি- ৭.৪

সাউথপ (Southpaw) ২০১৫

নিজের সেরা সময়ে একের পর এক বিপত্তিতে থমকে যায় চ্যাম্পিয়ন বক্সার বিলি হোপের ক্যারিয়ার। হতাশার কড়াল গ্রাসে খোয়াতে থাকেন সব। তবে যখন মেয়ের কাস্টোডিও তার কাছ থেকে চলে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে, তখন আর হতাশচিত্তে বসে থাকতে পারেননি হোপ, আবারও ফিরেছেন বক্সিং রিংয়ে, হারানো সব জিনিসগুলো ফিরে পাওয়ার আশায়।

আইএমডিবি- ৭.৪

ফিল্ড অফ ড্রিমস (Field of Dreams) ১৯৮৯

কেবল একটা স্বপ্ন দেখে আইওয়ার কৃষক কিনসেলা তার ফসলের মাঠে বানালেন একটা বেসবল মাঠ। তাঁর স্বপ্ন শিকাগো হোয়াইট সক্সের খেলোয়াড়রা সেখানে এসে খেলবেন একটি ম্যাচ। অস্কারে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা চিত্রনাট্য এবং সেরা আবহ সঙ্গীতের মনোনয়ন পাওয়া চলচ্চিত্রে একটি স্বপ্নের পেছনে দৌঁড়ানো মানুষের জীবনের কাহিনী দেখুন।

আইএমডিবি- ৭.৫

দ্য ড্যামড ইউনাইটেড (The Damned United) ২০০৯

ব্রায়ান ক্লাফ যখন ইংল্যান্ডের সেরা ক্লাবগুলির একটা, লিডস ইউনাইটেডের দায়িত্ব পেলেন তখন প্রিমিয়ার লিগের খেলার ধরনেই ছিল মারামারি আর হাতাহাতি। এ ধরনের নোংরা খেলোয়াড়ি মনোভাব থেকে বের হয়ে এসে কীভাবে ইউনাইটেডকে ইতিহাসের পাতায় এবং নিজেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের সেরা ম্যানেজারদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করলেন ক্লাফ, ড্যামড ইউনাইটেড তারই কাহিনী।

আইএমডিবি- ৭.৫

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭