নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৯ পিএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২০
এই মুহুর্তে করোনাভাইরাসের কারণে থমকে আছে গোটা ক্রীড়াবিশ্ব। সব ধরণের খেলা স্থগিত হওয়ায় ক্রীড়াপ্রেমীদের সময় কাটছে দুর্বিষহভাবে। ঘরবন্দি এই সময় পার করতে মানুষ যখন ব্যস্ত নানান কাজ খোঁজায়, তখন ক্রীড়াপ্রেমীদের সময় কাটতে পারে ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সিনেমা দেখে। করোনার প্রকোপে মস্তিষ্ককে শীতল করতে তাই ‘বাংলা ইনসাইডার’ তুলে এনেছে ইতিহাসের সেরা ১৯ টি ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সিনেমার নাম। বলিউড এবং হলিউডের এই সিনেমাগুলো আপনার সময় পার করে দিতে পারবে আনন্দে, অনায়াসে।
বলিউড
ইকবাল (Iqbal) ২০০৫
কৃষকের ছেলে ইকবাল কথা বলতে বা শুনতে পারে না তথা মূক এবং বধির। তবে এসব সমস্যা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ক্রিকেটের প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসা থেকে খেলাটি শেখার আগ্রহ তৈরি হয় তার মধ্যে। মদ্যপায়ী এক সাবেক ক্রিকেটারকে গুরু মেনে তার কাছে থেকে ক্রিকেট শেখার হাতে-খড়ি হয় তার। তবে স্বপ্নপূরণের দরজা তখনও অনেক দূর। নাগেশ কুকোনুর পরিচালিত সিনেমাটি বাণিজ্যিকভাবে সফল না হলেও সমালোচকদের মন জয় করে নিয়েছে।
আইএমডিবি- ৮.১
লগান (Lagaan) ২০০১
ব্রিটিশ ভারতে করের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ছোট এক গ্রামের বাসিন্দারা ব্রিটিশদের বিপক্ষে এক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেন, সেই ম্যাচের গল্প নিয়েই এগিয়েছে আশুতোশ গোয়ারিকারের এই সিনেমা। ২০০১ সালে অস্কারের “সেরা বিদেশী ভাষার সিনেমা’’ বিভাগে মূল পর্বে মনোনয়ন পেয়েছিল ছবিটি।
আইএমডিবি - ৮.১
চাক দে ইন্ডিয়া (Chak de India) ২০০৭
সাবেক হকি খেলোয়াড় কবির খান সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ভারতীয় নারী দলের কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন। তার লক্ষ্য অবহেলিত নারী হকি দলকে দিয়ে বিশ্বজয় করা, এর মধ্য দিয়েই যে সেরে উঠবে নিজের পুরনো ব্যর্থতার ক্ষত।
আইএমডিবি- ৮.২
ভাগ মিলখা ভাগ (Bhaag Milkha Bhaag) ২০১৫
১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের সময় গৃহযুদ্ধ দেখা এবং গণহত্যায় পরিবারকে হারানো ‘ফ্লাইং শিখ’ মিলখা সিংয়ের গল্প ‘ভাগ মিলখা ভাগ’। সব দুঃস্মৃতি কাটিয়ে একসময় মিলখা সিং বিশ্বজয় করেছেন, ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন অলিম্পিকে, সেসব ঘটনাই উঠে এসেছে পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার এই সিনেমায়।
আইএমডিবি- ৮.২
কাই পো চে (Kai Po Che) ২০১৩
এই সিনেমার গল্প পাখা মেলেছে তিন বন্ধুকে ঘিরে, যারা একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমী খোলার চেষ্টা করেন যেখান থেকে গড়ে উঠবে ভারতের প্রতিভাবান সব ক্রিকেটার। কিন্তু আশার ফুল বেড়ে ওঠার আগেই উপস্থিত হয় এক বিশাল প্রতিবন্ধকতা। প্রতিকূল সেই পরিস্থিতি টপকে স্বপ্নপূরণ করতে পারবে কি তারা? জানতে হলে অভিষেক কাপুরের সিনেমাটি দেখার কোনও বিকল্প নেই।
আইএমডিবি- ৭.৬
এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি (M.S Dhoni: The Untold Story) ২০০৬
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবনের অজানা বিষয়গুলো উঠে এসেছে নীরাজ পাণ্ডে পরিচালিত এই ছবিতে। রেলওয়ে টিকেট কালেক্টর থেকে কিভাবে ‘ট্রফি কালেক্টর’ হয়ে উঠলেন সেই গল্প জানতে হলে ছবিটি অবশ্যই দেখতে হবে আপনাকে।
আইএমডিবি- ৭.৭
হলিউড
দ্য রেসলার (The wrestler) ২০০৮
গল্পটা এক মধ্যবয়সী বক্সারের। বয়স, অসুস্থতাসহ নানা কারণে বক্সিং রিংয়ে তার দিন গত হয়েছে। গ্রোসারি শপে দিন-রাত খেঁটে তার জীবন চলে এখন। তবে এর মধ্যেই হঠাৎ একদিন সেরা সময়ের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আয়াতোল্লাহর সঙ্গে বক্সিং রিম্যাচের প্রস্তাব আসে তার কাছে। সেই ম্যাচ দিয়ে আবারও বক্সিয়ের মূল মঞ্চে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হয় তার সামনে। বক্সিং এবং জীবনের দারুণ সমীকরণ সমৃদ্ধ কাহিনীটিকে সিনেমার রুপ দিয়েছেন পরিচালক ড্যারেন অ্যারনফস্কি।
আইএমডিবি- ৭.৯
রাশ (Rush) ২০১৩
৭০ দশকের ফর্মুলা ওয়ান রেসিং এর নায়ক অস্ট্রিয়ান ড্রাইভার কিংবদন্তী নিকি লাউডা এবং আমেরিকান প্লেবয় জেমস হান্টের রেসিং ট্র্যাক ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিযোগিতার কাহিনী রাশ। রন হাওয়ার্ডের পরিচালনায় তিনটি গোল্ডেন গ্লোবের মনোনয়ন পাওয়া এ ছবিতে দেখবেন দুইজন কিংবদন্তী রেসারের ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ের বিখ্যাত গল্প।
আইএমডিবি- ৮.১
ফোর্ড ভি ফেরারি (Ford v Ferrari) ২০১৯
লে মঁস রেসিং বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত রেসিং চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানে ইউরোপিয়ান গাড়ি নির্মাতা, বিশেষ করে ফেরারিরই রাজত্ব। ব্যবসায় ফোর্ড এগিয়ে থাকলেও এই সম্মানটার জন্য হেনরি ফোর্ড দায়িত্ব দিলেন আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার কেন মাইলস এবং গাড়ি ডিজাইনার ক্যারল শেলবিকে। শেলবি আর মাইলস কি পারবেন ফোর্ডের নাম রক্ষা করতে?
আইএমডিবি- ৮.১
মিলিয়ন ডলার বেবি (Million Dollar Baby) ২০০৪
নব্য বক্সার ম্যাগি ফিটজেরাল্ড হতে চান চ্যাম্পিয়ন বক্সার, এজন্য তাঁর প্রয়োজন অভিজ্ঞ ট্রেনার ফ্র্যাঙ্কি ডানের সাহায্য। কিন্তু নিঃসঙ্গ জীবনে অভ্যস্ত ফ্র্যাঙ্কি কাউকে ট্রেইন করাতে চান না, কোন মেয়েকে তো নয়ই। ম্যাগি আর ফ্র্যাঙ্কির ক্যারিয়ারের ছবি আঁকা হয়েছে ৪টি অস্কার জিতে নেওয়া মিলিয়ন ডলার বেবি চলচ্চিত্রটিতে।
আইএমডিবি- ৮.১
রকি (Rocky) ১৯৭৬
আত্মসম্মানের জন্য ছোটখাটো ফাইটে অংশ নেওয়া বক্সার রকিকে লড়তে হয় এক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই কাল্ট-ক্লাসিক সিনেমাটি বিশ্বজুড়েই ব্যাপক সমাদৃত। দর্শক-সমালোচক সবার মন জয় করে নেওয়া ছবিটি অস্কারে সে বছর সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কারও জিতে নিয়েছিল।
আইএমডিবি- ৮.১
১৯৮৩ (1983) (২০১৪)
এই সিনেমার গল্পটা গড়ে উঠেছে এক পাগলা ক্রিকেট ভক্ত রামেশনকে কেন্দ্র করে। নিজে ক্রিকেটে খুব বেশি কিছু করতে না পারলেও ছেলেকে দিয়ে ক্রিকেটে নিজের স্বপ্নপূরণ করার মিশনে নেমেছেন তিনি। ২০১৪ সালে ভারতে মালয়ালম ভাষায় মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে বেশ।
আইএমডিবি- ৭.৭
মন্টেভিডিও, গড ব্লেস ইউ (Montevideo God bless you) ২০১০
উরুগুয়ের রাজধানী মন্টেভিডিওতে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ। সেখানে অংশগ্রহণ করবে অবিভক্ত যুগোস্লাভিয়ার জাতীয় ফুটবল দল। বেলগ্রেডের রাস্তা থেকে উঠে আসা ১১ জন প্রতিভাবান ফুটবলারের প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার কাহিনী নিয়েই এই ছবি বানিয়েছেন সার্বিয়ান পরিচালক দ্রাগান বিয়েলগ্রিচ।
আইএমডিবি- ৮.২
অ্যানি গিভেন সানডে (Any Given Sunday)- ১৯৯৯
পড়তির দিকে থাকা ক্লাব মায়ামি শার্ক। তাদের নতুন তরুণ মালিকেরাও এই পুরনো দল আর পুরনো কোচ টোনির ওপর ভরসা করে উঠতে পারছে না। এমন একটা সময়ে ইনজুরিতে পড়ে যায় তাদের স্টার কোয়ার্টারব্যাক আর তার জায়গায় হুট করে সুযোগ মিলে একদমই নবীন উইলি বিম্যানের। অতীতের খেলা, অতীতের ঐতিহ্যকে ভুলে না গিয়ে নতুনদের সুযোগ করে দেওয়ার গল্প এনি গিভেন সানডে। আল পাচিনো, ক্যামেরন ডিয়াজ, জেমি ফক্স, ডেনিস কুয়েইডের মত অনেক স্টাররা আছেন এখানে। তবে আর কিছু না হলেও এ ছবির শেষে আল পাচিনোর ড্রেসিং রুম স্পিচটার জন্য হলেও মুভিটা দেখতে পারেন।
আইএমডিবি- ৬.৯
শাওলিন সকার (Shaolin Soccer) ২০০১
সাবেক এক ফুটবল খেলোয়াড় নিজের পাঁচ ভাইকে একত্র করে গড়ে তোলেন অদ্ভুত এক ফুটবল দল, যারা ফুটবলটাকে খেলে শাওলিন কুংফুর ধাঁচে। একাধারে ফুটবল এবং মার্শাল আর্টের এই অভিনব মিশেল উপভোগ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে পরিচালক স্টিফেন চৌয়ের এই সিনেমা।
আইএমডিবি- ৭.৩
ইনভিকটাস (Invictus) ২০০৯
সদ্য জেল থেকে মুক্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন নেলসন ম্যান্ডেলা। কিন্তু অ্যাপার্টাইডের রেশ এখনো রক্ত ঝড়াচ্ছে দেশে। জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এক করার জন্য ম্যান্ডেলা ডাকলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় রাগবি দলের অধিনায়ক ফ্রাঁসোয়া পিনারকে। মিশন? ১৯৯৫ সালের রাগবি বিশ্বকাপ।
আইএমডিবি- ৭.৩
দ্য গ্রেটেস্ট গেম এভার প্লেইড (The Greatest Game Ever Played) ২০০৫
চ্যাম্পিয়ন ইংলিশ গলফার হ্যারি তার ‘নিচু জাতের’ তকমা উপেক্ষা করে, শ্রেণি সংগ্রাম আর নাক উঁচু ব্রিটিশ উচ্চ বংশীয়দের সাথে টেক্কা দিয়েই সেরা গলফারের খেতাবটা পেয়েছেন। এবার ইউ এস ওপেনে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ আমেরিকান তরুণ ফ্রান্সিস, যে কিনা তাঁরই বিশাল ভক্ত এবং তাঁর মতো একই সংগ্রামগুলো মোকাবেলা করেই উঠে এসেছে গলফ গ্রিনে। এই ছবি ইউস ওপেনে তাদের দক্ষতার যুদ্ধের সাথে সাথে সমাজের সাথে তাদের প্রতিনিয়ত যুদ্ধেরও গল্প।
আইএমডিবি- ৭.৪
সাউথপ (Southpaw) ২০১৫
নিজের সেরা সময়ে একের পর এক বিপত্তিতে থমকে যায় চ্যাম্পিয়ন বক্সার বিলি হোপের ক্যারিয়ার। হতাশার কড়াল গ্রাসে খোয়াতে থাকেন সব। তবে যখন মেয়ের কাস্টোডিও তার কাছ থেকে চলে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে, তখন আর হতাশচিত্তে বসে থাকতে পারেননি হোপ, আবারও ফিরেছেন বক্সিং রিংয়ে, হারানো সব জিনিসগুলো ফিরে পাওয়ার আশায়।
আইএমডিবি- ৭.৪
ফিল্ড অফ ড্রিমস (Field of Dreams) ১৯৮৯
কেবল একটা স্বপ্ন দেখে আইওয়ার কৃষক কিনসেলা তার ফসলের মাঠে বানালেন একটা বেসবল মাঠ। তাঁর স্বপ্ন শিকাগো হোয়াইট সক্সের খেলোয়াড়রা সেখানে এসে খেলবেন একটি ম্যাচ। অস্কারে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা চিত্রনাট্য এবং সেরা আবহ সঙ্গীতের মনোনয়ন পাওয়া চলচ্চিত্রে একটি স্বপ্নের পেছনে দৌঁড়ানো মানুষের জীবনের কাহিনী দেখুন।
আইএমডিবি- ৭.৫
দ্য ড্যামড ইউনাইটেড (The Damned United) ২০০৯
ব্রায়ান ক্লাফ যখন ইংল্যান্ডের সেরা ক্লাবগুলির একটা, লিডস ইউনাইটেডের দায়িত্ব পেলেন তখন প্রিমিয়ার লিগের খেলার ধরনেই ছিল মারামারি আর হাতাহাতি। এ ধরনের নোংরা খেলোয়াড়ি মনোভাব থেকে বের হয়ে এসে কীভাবে ইউনাইটেডকে ইতিহাসের পাতায় এবং নিজেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের সেরা ম্যানেজারদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করলেন ক্লাফ, ড্যামড ইউনাইটেড তারই কাহিনী।
আইএমডিবি- ৭.৫
বাংলা ইনসাইডার/এসএম
মন্তব্য করুন
২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।
আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম চূড়ান্ত হতেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তারা। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার আশা, ‘সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।’
শুক্রবার (১৭ মে) ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ১১৯টি ভোট পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে, যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানির ভাগে পড়ে ৭৮টি ভোট। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।
এর নেপথ্য কারণ, টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের সম্ভাব্যতা, বাণিজ্যিক বিষয়াদি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সুযোগসুবিধা ও আবাসনের মতো বিষয়। এ ছাড়া ২০১৪ পুরুষ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১০টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।
২০২৭ নারী বিশ্বকাপ ফুটবল ব্রাজিল
মন্তব্য করুন
লম্বা-ভ্রমণের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গণমাধ্যমে পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়, হিউস্টেনের জর্জ বুশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
প্রতিবারই বড় স্বপ্ন আর প্রত্যাশা নিয়ে ইন্টারন্যাশনার ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসির বৈশ্বিক আসর খেলতে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পেছনে থাকে ১৭ কোটি মানুষের আশা-ভালোবাসা আর প্রার্থনা। এবারও সেই একই ভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
গত বুধবার (১৫ মে) মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বিশ্বকাপের জন্য শেষবারের মতো অনুশীলন করে চন্ডিকা হাতুরুসিংহের শিষ্যরা। এরপর অংশ নেয় অফিসিয়াল ফটোশ্যূটে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে পুরো দলের ছবি তোলার পর শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা।
বিশ্বকাপ শুরু আগে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। হিউস্টনে ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে ম্যাচগুলো।
পরে আগামী ১ জুন নিউইয়র্কে বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে গ্রুপপর্বের প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে ডালাস ও নিউইয়র্কে। ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন। এরপর ১০ জুন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর গ্রুপপর্বের বাকি দুই ম্যাচ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবেন শান্তরা। সেখানে সেন্ট ভিনসেন্টে ১৩ জুন টাইগারদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। আর ১৭ জুন একই ভেন্যুতে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ লড়বে নেপালের বিপক্ষে।
বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্র শান্ত তাসকিন
মন্তব্য করুন
গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিতে হয়েছিল নাজমুলকে, সেই সূত্রে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেও তিনিই এলেন। পুরো আসরে বাংলাদেশ দলের ৯ ম্যাচের ৭টিতেই হেরে যাওয়ার পেছনে টপ অর্ডারে ব্যাপক মাত্রার অদলবদলের প্রশ্নে নাজমুলের জবাবে ছিল দায় স্বীকারের প্রকাশ, ‘অনেক বেশি হয়ে গেছে। না করলেই ভালো।’
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ছয় মাস পর সেটি টি-টোয়েন্টির
সংস্করণের বাংলাদেশ দল যখন আরেকটি বিশ্বকাপের সামনে দাঁড়িয়ে, তখন আবারও আলোচনায় ব্যাটিং
অর্ডারের অদলবদল প্রসঙ্গ। এবারও কি ব্যাটিংয়ের ওপরের দিকে, বিশেষ করে ৩ নম্বর পজিশনে
ওলট-পালট চলবে? এটা স্পষ্ট যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই ব্যবস্থা কাজে দেয়নি, নাজমুলও এর
প্রবল সমর্থক ছিলেন না। তবু প্রশ্নটা উঠছে ৩ নম্বর পজিশনে গত দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
অভিজ্ঞতা ও কন্ডিশন এবং সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট পার্থক্যের কারণে। অর্থাৎ সাবেক অধিনায়ক
সাকিব আর বর্তমান অধিনায়ক নাজমুলের ৩ নম্বরে ব্যাটিং-খতিয়ানই তুলছে প্রশ্নটা।
নাজমুল তার ৩৬ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে
১৮টি ম্যাচই খেলেছেন ৩ নম্বরে। এর বেশির ভাগই গত এক বছরের মধ্যে। কিন্তু মার্চে শ্রীলঙ্কা
ও চলতি মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে খুব একটা ছন্দে দেখা যায়নি তাকে। জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৩৬ রানের পরও সিরিজের চার ইনিংসে রান মোটে ৮১। কম রানের পাশাপাশি
নাজমুলের ব্যাটিংয়ে অস্বস্তির আরেক দিক—স্ট্রাইক রেটের দুর্দশা। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে ৮১ রান করতে খেলেছেন ৭৮ বল, স্ট্রাইক রেট ১০৩.৮৪। শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজে নয়,
নাজমুলের টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেটই দৃষ্টিকটু রকমের কম (১১১.১৬)। এবারের বিশ্বকাপে
খেলতে যাওয়া ২০ অধিনায়কের মধ্যে যা ১৯তম।
নাজমুলের আগে অধিনায়ক থাকার সময় সাকিবও তিনে ব্যাট করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটে সবচেয়ে বেশি রানও এ পজিশনেই—৪২ ইনিংসে ১০৮৫। ক্যারিয়ারের ১২ ফিফটির ৭টিও করেছেন তিনে নেমে। সাকিব তিনে খেলে হাজারের বেশি রান করেছেন ২৯.৩২ গড় আর ১২৩.১৫ স্ট্রাইক রেটে। অবশ্য শুধু স্ট্রাইক রেট বিবেচনা করলে সাকিবের সেরা পজিশন ৪ নম্বর। এখন পর্যন্ত ৪৫ ইনিংসে চারে ব্যাট করে ১২৭.১৬ স্ট্রাইকে ৮৮০ রান তাঁর (৬ নম্বরে নেমে ৬ ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ১৩০)। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচ ছাড়া বাকিগুলোতে ৪ নম্বর পজিশনেই ব্যাট করেছেন ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
তবে মোটের ওপর রানসংখ্যা, গড় ও স্ট্রাইক রেট বিবেচনায় সাকিব তিনেই বেশি সফল। এবারের
বিশ্বকাপের দুই ভেন্যু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর পারফরম্যান্স তো ক্যারিয়ার–গড়ের
চেয়েও বেশি। ক্যারিবীয় অঞ্চলে খেলা ৭ ইনিংসে সাকিবের গড় ৩৫.৫০ (মোট ২১৩ রান), স্ট্রাইক
রেট ১৩৭.৪১। আর যুক্তরাষ্ট্রে খেলা দুই টি-টোয়েন্টিতে ৪২ গড় ও ১৪০ স্ট্রাইক রেটে রান
৮৪।
নির্দিষ্ট কন্ডিশন ও ৩ নম্বরের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যে সাকিবই যে এগিয়ে, সেটি এসব পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। তবে এসব বিবেচনায় নিয়ে সাকিবকে তিনে ফেরানো মানে আবারও ব্যাটিং অর্ডারে অদলবদল। সেটার সম্ভাবনা কেমন, বিশেষ করে গত বছর ভারত বিশ্বকাপে তেতো অভিজ্ঞতার পর—এমন প্রশ্নই উঠেছিল দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ দলের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে।
মজার বিষয় হচ্ছে, কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তো বটেই, অধিনায়ক নাজমুলও এই বিশ্বকাপে আরেকটি
ওলট-পালটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। হাথুরুর জবাব ছিল সোজাসাপটা, ‘হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টি
ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তিত হবে। এটা ক্রিকেটে স্বাভাবিক ব্যপার। এটা আসলে আপনি
কোথায় ব্যাট করছেন এবং কতটা সেরা ব্যাটিং করছেন, তার ওপর নির্ভর করে।’
আর অধিনায়ক নাজমুল, যিনি নিজেই ওয়ানডে
বিশ্বকাপে ওলট-পালট বেশি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার জায়গায়
তিনে সাকিবের খেলার সম্ভাবনায় দিয়েছেন কূটনৈতিক জবাব, ‘এটা নির্ভর করবে কন্ডিশন এবং
প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার ওপর।’
যার অর্থ, আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে অদলবদলের সম্ভাবনা ভালোভাবেই থাকছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নাজমুল হাসান শান্ত সাকিব আল হাসান
মন্তব্য করুন
আর মাত্র ১৫ দিন। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হবে ব্যাটে-বলের সেই লড়াই। যেখানে চার-ছক্কার জোর যার বেশি, দাপটটাও তাদেরই বেশি। আর তাই এবার আসন্ন এই টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রতিটি দলই তাদের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই দল সাজিয়েছে।
ইতোমধ্যেই প্রায় প্রতিটি দল তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে ১৯তম দল হিসেবে গত মঙ্গলবার দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ। যেখানে অভিজ্ঞদের সাথে তারুণ্যের মিশেলে সাজানো হয়েছে এবারের স্কোয়াড। বাংলাদেশও রয়েছে সেই তালিকায়।
তবে এবারের টাইগারদের বিশ্বকাপ দলের কিছু প্লেয়ারের জন্য হতে চলেছে নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। যেমন, দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনই হয়তো বাংলাদেশের জার্সিতে নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে চলেছেন এটা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
যার জন্য ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে প্রায় সবখানেই চলছে এ নিয়ে আলোচনা। অনেকে বলছেন, পঞ্চপাণ্ডব যুগের অবসান ঘটতে চলেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক কোন ট্রফি না জেতায় অনেকে আবেগী পোস্ট ও করেছেন।
শুধু তাই নয়, অধিনায়ক শান্তও বলেছেন যে, ধারণা করা হচ্ছে এটাই তাদের শেষ বিশ্বকাপ। শান্তর ভাষ্য, ‘আমি নিশ্চিত নই, এটা সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর শেষ বিশ্বকাপ কি না; কিন্তু এটি ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তারা। এজন্য আমরা তরুণ খেলোয়াড়রা তাদের ভালো কিছু উপহার দিতে চাই। এটা অবশ্যই তরুণ খেলোয়াড়দের গুরুদায়িত্ব।’
তবে আসন্ন এই বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে দেশের ক্রিকেটের এই দুই মহাতারকা কিছু রেকর্ড ও গড়ছেন। যেমন, সাকিব আল হাসান। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই তারকা। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ফরম্যাটের সব বিশ্বকাপেই ছিলেন সাকিব। এমনকি ২০১০ এবং ২০২২ আসরে পালন করেছেন অধিনায়কের দায়িত্বও।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আরেক তারকা খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটা আসর বিরতি দিয়ে আবারও ফিরেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে। তবে ২০২২ সালের আসরে অংশগ্রহণ না করায় সাকিবের সঙ্গে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিতে পারেননি তিনি। তাই এবার ক্রীড়াঙ্গন জুড়ে প্রশ্ন উঠেছে তবে কি বিশ্বকাপের এই স্কোয়াড দেখে কিঞ্চিৎ আক্ষেপ করছেন মাহমুদউল্লাহ?
এদিকে সাকিব ছাড়া এমন রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন কেবল রোহিত শর্মা। কারণ ৯ বিশ্বকাপের ৯ টিতেই ছিলেন বাংলাদেশ এবং ভারতের শুধু এই দুই তারকাই।
অন্যদিকে তাদের চেয়ে মাত্র একটা বিশ্বকাপ কম খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন রিয়াদ। আর ২০২১ সালে খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে।
নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে দায়িত্ব পেলেও, বৈশ্বিক পর্যায়ে এটাই তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। আর তাসকিন আহমেদ চলতি বছরের বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক হয়েছিলেন। সেটাও অবশ্য কয়েক ম্যাচ যাওয়ার পর।
তাই বলা যায় এই বিশ্বকাপে তারুণ্য নির্ভর দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। এমনকি এই তারুণ্যের মিছিলে আছেন এমন ৬ মুখ যারা কখনোই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাননি। তারা হলেন- ওপেনিং ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম, ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়, উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক, দুই স্পিনার তানভীর ইসলাম ও রিশাদ হোসেন এবং পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
এই তরুণ ক্রিকেটারের মধ্যে তানজিদ তামিম গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন সবকটি ম্যাচ। তানজিম সাকিব সুযোগ পেয়েছিলেন দুই ম্যাচে। তাওহীদ হৃদয় বিগত দুই বছরে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত পারফর্মার। ২০২৩ বিশ্বকাপেও ছিলেন তিনি। তবে বাকি তিনজনের এটাই দেশের জার্সিতে প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট।
দ্বিতীয়বারের মতো ২০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী হাসান। লিটন দাস ও শরীফুল ইসলাম খেলতে যাচ্ছেন নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ। আর সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজের জন্য এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ।
এদিকে অধিনায়ক হিসেবে শান্তর এটাই প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। আর সহ-অধিনায়ক হিসেবে তাসকিনের প্রথম টুর্নামেন্ট এটি। তবে খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৪ সাল থেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিয়মিত মুখ তিনি।
মন্তব্য করুন
আগামী জুনে বসছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। স্বাগতিক দেশ হওয়ায় জার্মানিকে এবারের ইউরোর বাছাই পর্ব খেলতে হয়নি। তাই প্রীতি ম্যাচ খেলেই নিজেদের প্রস্তুতি সেরেছে তিনবারের ইউরোপসেরারা।
আসন্ন ইউরোতে চতুর্থ শিরোপার সন্ধানেই মাঠে নামবে ডাইমানশ্যাফট খ্যাত দলটি। এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে ২৭ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন জার্মান কোচ নাগেলসম্যান।
নাগেলসম্যানের দলে সুযোগ হয়নি বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা ম্যাট হ্যামেলস, জুলিয়ান ব্রান্ডট, করিম আদেয়েমি ও নিকোলাস সুলের। এমনকি জায়গা পাননি বায়ার্ন মিউনিখের মিডফিল্ডার লিওন গোরেৎস্কাও।
নাগেলসম্যান ইউরোর দলে ডাকার ক্ষেত্রে বুন্দেসলিগার চলতি মৌসুমের পারফরম্যান্সকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। দলে ডাক পেয়েছেন ভিএফবি স্টুটগার্টের ফরোয়ার্ড দেনিজ উন্দাভ ও টিএসজি হফেনহেইমের ম্যাক্সিমিলান বেইয়ের। কোচের অনুরোধে অবসর ভেঙে ফেরা রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার টনি ক্রুস আছেন ইউরোর দলে।
জার্মানির ইউরো স্কোয়াড
গোলরক্ষক: ম্যানুয়েল ন্যুয়ার, টার স্টেগান, অ্যালেক্সান্ডার নুবেল, অলিভার বাউম্যান। ডিফেন্ডার: নিকো স্ক্লটারব্যাক, জোনাথান টাহ, রবিন কচ, ম্যাক্সিমিলান মিটেলস্ট্যাড, জশুয়া কিমিখ, অ্যান্টনি রুডিগার, ডেভিড রাম, ভালদেনার আন্টন, বেঞ্জামিন হেনরিখস।
মিডফিল্ডার: আলেকসান্ডার প্যাভলোভিচ, রবার্ট আন্ডরিচ, প্যাসকাল গ্রব, ইলকায় গুন্দোয়ান, ফ্লোরিয়ান রিটজ, জামাল মুসিয়ালা, টনি ক্রুস। ফরোয়ার্ড: নিকলাস ফুলক্রুগ, কাই হাভার্টজ, লেরয় সানে, দেনিজ উন্দাভ, টমাস মুলার, ম্যাক্সিমিলান বেইয়ের।
জার্মানি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল
মন্তব্য করুন
২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।
গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিতে হয়েছিল নাজমুলকে, সেই সূত্রে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেও তিনিই এলেন। পুরো আসরে বাংলাদেশ দলের ৯ ম্যাচের ৭টিতেই হেরে যাওয়ার পেছনে টপ অর্ডারে ব্যাপক মাত্রার অদলবদলের প্রশ্নে নাজমুলের জবাবে ছিল দায় স্বীকারের প্রকাশ, ‘অনেক বেশি হয়ে গেছে। না করলেই ভালো।’