ইনসাইড পলিটিক্স

কে হবেন নিক্সনের নেক্সট টার্গেট?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/01/2021


Thumbnail

মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী। ফরিদপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তবে আওয়ামী লীগের টিকেটে নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি আওয়ামী লীগের হেভীওয়েট প্রার্থীকে হারিয়েছেন। একবার নয় দুদুবার। তারপরও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন। তবে রাজনীতিতে নিক্সন চৌধুরী আলোচিত হয়েছেন, নির্মম নিষ্ঠুর ভাষায় প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি তার টার্গেট হয়েছেন। যারা তার টার্গেট হয়েছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা। এদের বিরুদ্ধে কথা বলেই জাতীয় রাজনীতিতে তিনি আলোচনার পাদপ্রদীপে। সাম্প্রতিক সময়ে, তার আক্রমণের লক্ষ্য বস্তু বসুরহাট পৌরসভার সদ্য নির্বাচিত পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। যিনি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

নিক্সন চৌধুরীর প্রথম টার্গেট ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। তার বিরুদ্ধেই ২০১৪ সালে তিনি স্বতন্ত্র দাড়িয়েছিলেন। ঐ নির্বাচন এবং পরবর্তীতে তিনি কাজী জাফর উল্লাহকে রীতিমতো তুলোধুনো করেন। তার আক্রমণাত্মক বক্তব্যেই ফরিদপুরের রাজনীতিতে জাফর উল্লাহ অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে।

নিক্সন চৌধুরীর দ্বিতীয় টার্গেট হন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। কথা যুদ্ধে শাজাহান খানও রণে ভঙ্গ দেন। এরপর জাফর উল্লাহর টার্গেট হন, ফরিদপুরের হেভীওয়েট নেতা, দুবারের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। ফরিদপুরের শুদ্ধি অভিযানের পর ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ ফরিদপুরের রাজনীতিতে এক ভুলে যাওয়া নাম। ইঞ্জিনিয়ার মোশারফের পৃষ্ঠপোষকতায় যারা ফরিদপুরে প্রচণ্ড ক্ষমতাবান ছিলেন, তারা প্রায় সবাই এখন জেলে। ইঞ্জিনিয়ার মোশারফও এলাকায় খুব একটা যান না।

নিক্সনের পরবর্তী টার্গেট হন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় নিক্সন চৌধুরী গায়ে পরে কারো সাথে ঝগড়ায় জড়ান না। যখন আক্রান্ত হন, তখন তার কথামালা হিংস্র রূপ ধারণ করে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭