নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০২১
মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী। ফরিদপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তবে আওয়ামী লীগের টিকেটে নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি আওয়ামী লীগের হেভীওয়েট প্রার্থীকে হারিয়েছেন। একবার নয় দুদুবার। তারপরও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন। তবে রাজনীতিতে নিক্সন চৌধুরী আলোচিত হয়েছেন, নির্মম নিষ্ঠুর ভাষায় প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি তার টার্গেট হয়েছেন। যারা তার টার্গেট হয়েছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা। এদের বিরুদ্ধে কথা বলেই জাতীয় রাজনীতিতে তিনি আলোচনার পাদপ্রদীপে। সাম্প্রতিক সময়ে, তার আক্রমণের লক্ষ্য বস্তু বসুরহাট পৌরসভার সদ্য নির্বাচিত পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। যিনি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।
নিক্সন চৌধুরীর প্রথম টার্গেট ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। তার বিরুদ্ধেই ২০১৪ সালে তিনি স্বতন্ত্র দাড়িয়েছিলেন। ঐ নির্বাচন এবং পরবর্তীতে তিনি কাজী জাফর উল্লাহকে রীতিমতো তুলোধুনো করেন। তার আক্রমণাত্মক বক্তব্যেই ফরিদপুরের রাজনীতিতে জাফর উল্লাহ অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে।
নিক্সন চৌধুরীর দ্বিতীয় টার্গেট হন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। কথা যুদ্ধে শাজাহান খানও রণে ভঙ্গ দেন। এরপর জাফর উল্লাহর টার্গেট হন, ফরিদপুরের হেভীওয়েট নেতা, দুবারের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। ফরিদপুরের শুদ্ধি অভিযানের পর ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ ফরিদপুরের রাজনীতিতে এক ভুলে যাওয়া নাম। ইঞ্জিনিয়ার মোশারফের পৃষ্ঠপোষকতায় যারা ফরিদপুরে প্রচণ্ড ক্ষমতাবান ছিলেন, তারা প্রায় সবাই এখন জেলে। ইঞ্জিনিয়ার মোশারফও এলাকায় খুব একটা যান না।
নিক্সনের পরবর্তী টার্গেট হন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় নিক্সন চৌধুরী গায়ে পরে কারো সাথে ঝগড়ায় জড়ান না। যখন আক্রান্ত হন, তখন তার কথামালা হিংস্র রূপ ধারণ করে।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।