ইনসাইড ইকোনমি

পেপাল চালু হলে বাড়বে প্রবাসী আয় ও ডিজিটাল লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/10/2017


Thumbnail

অনলাইনে অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যম পেপাল সেবা চালু হলে ডিজিটাল লেনদেন আর ক্যাশলেস সোসাইটির পথে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন, প্রযুক্তিবিদ ও ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এই সেবার ফলে বিশ্ববাজারে বাড়বে কাজের চাহিদা ও প্রবাসী আয়। সেই সঙ্গে কমে যাবে ইকমার্স সাইট আর ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ লেনদেনের বিড়ম্বনা।

দেশে তথ্য প্রযুক্তি খাতে ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ। আর ইকমার্স সাইট আছে প্রায় ৭০০। ফ্রিল্যান্সাররা বলছেন, এতদিন বিদেশ থেকে কাজ পেলেও বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা আনতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হতো। অন্য দেশে ভায়া হয়ে পেপাল ব্যবহার করার ফলে সার্ভিস চার্জও লাগতো দ্বিগুণ। ফলে ছোট প্রতিষ্ঠান কিংবা ফ্রিল্যান্সারদের তেমন কোনো লাভই থাকত না। এছাড়া, আউটসোর্সিংয়ের কাজ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দেশে পেপাল কার্যক্রম থাকার শর্ত থাকায়, হাতছাড়া হয়ে যেত অনেক ভালো কাজ । তাই এই সেবার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষা করেছেন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা। অবশেষে বাজার যাচাইসহ নানা পরীক্ষার পর ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করছে পেপাল।

পেপালের যাত্রা শুরু মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি নজর কেড়েছে উল্লেখ করে বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার বলেন, পেপালের এই আগ্রহ প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের বাজার এখন আর ছোট নয়। বাংলাদেশ এখন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে আনে। পেপালের ফলে ই-কমার্সসহ অন্যান্য ক্ষেত্র গুলোতে দুনিয়া জুড়ে লেনদেন সহজ হবে বলে জানান তিনি।

এমন উদ্যোগে খুশি অনলাইন ব্যবসায়ী নেতারাও। তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে মাসে ৩০০ ডলারের বেশি না পাঠানোর বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি রাজীব আহমেদ। পেপাল ব্যবস্থায় অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে তথ্য প্রযুক্তি খাতে কর্মকর্তাদের নিবন্ধনের পরামর্শও দেন তিনি।

পেপালের কার্যক্রম শুরু হলে যে কেউ অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে নির্ধারিত নয়টি ব্যাংকের ১২ হাজার শাখা থেকে টাকা তুলতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। ব্যাংক কতৃপক্ষ বলছেন, কেবল শহর নয়, এই সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন তারা। এরই মধ্যে শিউর ক্যাশ, বিকাশ ও ডাচ বাংলার সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, অর্থের স্থানান্তর ছাড়াও পেপালের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা, প্লে স্টোর থেকে অ্যাপস ডাউনলোড, আন্তর্জাতিক দাতা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সংগ্রহ ও বিদেশে টাকা পাঠানো যায়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু অর্থ আনার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে অনলাইন আর্থিক লেনদেনের বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় মাধ্যম পেপাল ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা শুরু করে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৯০টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি ।২০১৬ সালে এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০ কোটিরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আর্থিক লেনদেন করেছে। এ ব্যবস্থায় গ্রাহকরা শতাধিক ধরনের মুদ্রায় অর্থ পেয়েছেন, উত্তোলন করেছেন ৫৬ ধরনের মুদ্রায় আর অর্থ জমা রেখেছেন ২৫ ধরনের মুদ্রায়।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭