ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রেকর্ড কর্নার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/10/2021


Thumbnail

সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড:

সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করেছেন শ্রীলঙ্কার তিলকারত্নে দিলশান। সর্বোচ্চ ৩৫টি ম্যাচ খেলে দিলশান করেন ৮৯৭ রান। এর কারণও আছে। ৬টি বিশ্বকাপের মধ্যে তিনবারই ফাইনাল খেলেছে শ্রীলঙ্কা। আর প্রায় প্রতিবারই লঙ্কান দলটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন দিলশান।

তার পরেই রয়েছেন পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি। আফ্রিদি ৩৪ টি ম্যাচ খেলে ৫৪৬ রান করেন। তৃতীয় স্থানে ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ৩৩ ম্যাচ খেলে ৫২৯ রান করেন। শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার চতুর্থ অবস্থানে আছেন। তিনি ৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান করেন।

তালিকার পঞ্চম অবস্থানে আছেন আরেক শ্রীলংকান খেলোয়াড় লাসিথ মালিঙ্গা। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই বোলার খেলেন ৩১ ম্যাচ।

সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড:

আগের ৬টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ইনিংস ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১২ সালে পাল্লেকেলে মাত্র ৫৮ বলে ১২৩ রান করেন। যেখানে তিনি ৭ টি ছয়ের পাশাপাশিই ১১টি চারের মার মারেন। এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান গেইলের।  টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বাদশাহ বলা হয় গেইলকে। এমনকি এই ফরম্যাটের সেরা ব্যাটসম্যানও মনে করা হয় তাকে। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার বিশালদেহী এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বাইশ গজে বড়ই নির্দয়। বিশাল সব ছয়ে প্রায়ই বল উপড়ে ফেলেন স্টেডিয়ামের বাইরে। গেইল ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গ মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ টি ছক্কার ও ৭টি চারের মাধ্যমে ১১৭ রান করেন।  ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ১১৬ রানে অপরাজিত থেকে অ্যালেক্স হেলস আছেন তৃতীয়তে। তিনি চট্টগ্রামের মাঠে শ্রীলঙ্কার সাথে এই রান করেন। একই বিশ্বকাপে আহমেদ শেহজাদ ঢাকার মাঠে টাইগারদের বিপক্ষে ১১১ রানে অপরাজিত থেকে তালিকার চতুর্থ নাম্বারে অবস্থান করছেন। তালিকার পঞ্চম অবস্থানে আছেন সব ফরম্যাটের ক্রিকেটেই বাংলাদেশের সেরা রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। প্রায় দেড় দশক ধরে চলমান ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্রতম সংস্করণে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির তালিকা করতে গেলে মিলবে শুধু একটি নাম। তিনি দেশসেরা ওপেনার ও সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। ওমানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিটি করেছেন জাতীয় দলের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক।

আরও পড়ুন: বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত বিশেষ ম্যাগাজিন

সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী:

শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক হিসেবে সবার ওপরে রয়েছেন। মাহেলা জয়াবর্ধনে ৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান করেন। এরপরের অবস্থানেই আছেন ক্রিস গেইল। তিনি ২৮ ম্যাচে ৯২০ রান করেন। তৃতীয় অবস্থানে আছেন আরেক লঙ্কান ব্যাটসম্যান তিলকারত্নে দিলশান। তিনি ৩৫ ম্যাচ ৮৯৭ রান করেন। এই তালিকার চতুর্থ অবস্থানে আছেন বর্তমানে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। কোহলি ১৬ ম্যাচেই ৭৭৭ রান করেন। ৩০ ম্যাচে ৭১৭ রান নিয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্স আছেন পঞ্চম অবস্থানে।

সবচেয়ে মিতব্যায়ী বোলার:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে কৃপণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘূর্ণি বোলার সুনিল নারিন। সবচেয়ে কম ইকনোমি রেট তার। তিনি বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচ খেলে ৪৪.৪ ওভার বল করে ২৩১ রান দিয়ে ১৫ উইকেট নেন। যেখানে  বেস্ট বোলিং ফিগার হল ৯ রানে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন আরেক ক্যারিবিয়ান বোলার স্যামুয়েল বদ্রি। তিনি ১৫ ম্যাচে ৫৯ ওভার বল করে ৩২৬ রান দিয়ে ২৪ উইকেট নেন। ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের সেরা বোলিং আঁকেন। তৃতীয় কৃপন বোলারের তালিকায় আছেন কিউই কিংবদন্তী বোলার ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। তিনি বিশ্বকাপের ১৭ ম্যাচে ৬৭.১ ওভার বল করে ৩৯২ রান দিয়ে ২০ উইকেট নেন। ৪/২০ হলো তার সেরা বোলিং ফিগার। আরেক কিউই বোলার নাথান ম্যাককুলাম এই তালিকায় আছেন চতুর্থ অবস্থানে। তিনি ২২ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে ৬৭.১ ওভার বল করে ৩৯৯ রান দিয়ে ২৩ উইকেট নেন। ৩/১৫ রানে সেরা বোলিং ফিগারে জ্বলে উঠেন বিশ্বকাপে। ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন আছেন কিপ্টে বোলারের সেরা পঞ্চম তালিকায়। তিনি ১৫ ম্যাচে ৫৪.০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৩৪ রান দিয়ে ২০ উইকেট নেন। সেরা বোলিং ফিগার ৪/১১

সেরা বোলিং রেকর্ড:

টি-টোয়েন্টিতে একজন বোলার বল করার সুযোগ পান মোটে ৪ ওভার। সেই চার ওভারেই কি না একা ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অজন্তা মেন্ডিস। ২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হাম্বানতোতায় মাত্র ৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট দখল করার কীর্তি গড়েন মেন্ডিস। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে আজও সেরা বোলিং। এক রহস্যময় স্পিনার ছিলেন তিনি। বল করতে গিয়ে তিনি হাত কিভাবে ঘোরাতেন, সেটা আবিষ্কারেই বেশ সময় চলে যায় ব্যাটার কিংবা সংশ্লিষ্ট দলের কোচদের। হাম্বানতোতার মাঠে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪.০ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন এই স্পিন যাদুকর। তার পরের অবস্থানেই আছেন মেন্ডিসের আরেক স্বদেশী রঙ্গনা হেরাথ। তিনি ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামের মাঠে ৩.৩ ওভার বল করে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে নেন। পাকিস্তানের পেসার উমর গুলো আছেন তৃতীয় অবস্থানে। দ্বিতীয় বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্য ওভালের মাঠে ৩.০ ওভার বল করে ৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন। নেদারল্যান্ডস দলের বোলার আশান মালিক ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করেন। বাংলাদেশের কাতার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানও আছে সেরা উইকেট নেওয়ার তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে। ভারতের কলকাতায় ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪.০ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন।

সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী:

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। বুমবুম খ্যাত এই ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টির ফরম্যাট আবিষ্কারের পর থেকে ৯৯টি ম্যাচ খেলে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। অলরাউন্দার এই বোলার বিশ্বকাপ খেলেন ৩৪ ম্যাচ। সেখানে তিনি ১৩৫.০ ওভার বল করে ৯০৭ রান দিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৯ উইকেট শিকার করেন। তার পরের অবস্থানেই আছেন লাসিথ মালিঙ্গা। শ্রীলংকান এই বোলার ৩১ ম্যাচ খেলে ১০২.৪ ওভার বল করে ৭৬৩ রান ৩৮ উইকেট শিকার করেন। তৃতীয় অবস্থানেই আছেন আরেক পাকিস্তানি বোলার সাঈদ আজমল। স্পিন যাদুকর এই বোলার ২৩ ম্যাচ খেলে ৮৯.২ ওভার বল করে ৬০৭ রান দিয়ে ৩৬ উইকেট শিকার করেন। স্পিন রহস্য অজন্থা মেন্ডিস সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলারের তালিকায় আছেন চতুর্থ নাম্বারে। তার উইকেট সংখ্যা ৩৫টি। ২৪ ওভারে ৮২.৪ ওভারে ৬০৪রান দিয়ে সমান সংখ্যক ৩৫ উইকেট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছেন উমর গুল।

সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাকিয়েছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সবার প্রথমে আছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার ক্রিস গেইল। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার বিশালদেহী এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বাইশ গজে বড়ই নির্দয়। বিশাল সব ছয়ে প্রায়ই বল উপড়ে ফেলেন স্টেডিয়ামের বাইরে।২৮ ম্যাচে তিনি ৬০টি ছক্কা হাকিয়েছেন।

এরপরের অবস্থানে আছেন ভারতের যুবরাজ সিং। অলরাউন্দার এই ক্রিকেটার ৩১ ম্যাচে ৩৩ ছক্কা হাকিয়েছেন। তৃতীয় অবস্থানে আছেন সাবেক অজি খেলোয়াড় শেন ওয়াটসন। ২৪ ম্যাচে তিনি ৩১ ছক্কা মেরেছেন। তালিকার চতুর্থ অবস্থানে আছেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রী খ্যাত এবিডি ভিলিয়ার্স। তিনি ৩০ ম্যাচে ৩০ ছক্কা মারেন। ৩১ ম্যাচে ২৫ ছক্কা মেরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী ক্রিকেটার মাহেলা জয়াবর্ধনে।

আরও পড়ুন: বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত বিশেষ ম্যাগাজিন



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭