নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২১ এএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২১
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড:
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করেছেন শ্রীলঙ্কার তিলকারত্নে দিলশান। সর্বোচ্চ ৩৫টি ম্যাচ খেলে দিলশান করেন ৮৯৭ রান। এর কারণও আছে। ৬টি বিশ্বকাপের মধ্যে তিনবারই ফাইনাল খেলেছে শ্রীলঙ্কা। আর প্রায় প্রতিবারই লঙ্কান দলটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন দিলশান।
তার পরেই রয়েছেন পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি। আফ্রিদি ৩৪ টি ম্যাচ খেলে ৫৪৬ রান করেন। তৃতীয় স্থানে ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ৩৩ ম্যাচ খেলে ৫২৯ রান করেন। শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার চতুর্থ অবস্থানে আছেন। তিনি ৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান করেন।
তালিকার পঞ্চম অবস্থানে আছেন আরেক শ্রীলংকান খেলোয়াড় লাসিথ মালিঙ্গা। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই বোলার খেলেন ৩১ ম্যাচ।
সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড:
আগের ৬টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ইনিংস ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১২ সালে পাল্লেকেলে মাত্র ৫৮ বলে ১২৩ রান করেন। যেখানে তিনি ৭ টি ছয়ের পাশাপাশিই ১১টি চারের মার মারেন। এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান গেইলের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বাদশাহ বলা হয় গেইলকে। এমনকি এই ফরম্যাটের সেরা ব্যাটসম্যানও মনে করা হয় তাকে। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার বিশালদেহী এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বাইশ গজে বড়ই নির্দয়। বিশাল সব ছয়ে প্রায়ই বল উপড়ে ফেলেন স্টেডিয়ামের বাইরে। গেইল ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গ মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ টি ছক্কার ও ৭টি চারের মাধ্যমে ১১৭ রান করেন। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ১১৬ রানে অপরাজিত থেকে অ্যালেক্স হেলস আছেন তৃতীয়তে। তিনি চট্টগ্রামের মাঠে শ্রীলঙ্কার সাথে এই রান করেন। একই বিশ্বকাপে আহমেদ শেহজাদ ঢাকার মাঠে টাইগারদের বিপক্ষে ১১১ রানে অপরাজিত থেকে তালিকার চতুর্থ নাম্বারে অবস্থান করছেন। তালিকার পঞ্চম অবস্থানে আছেন সব ফরম্যাটের ক্রিকেটেই বাংলাদেশের সেরা রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। প্রায় দেড় দশক ধরে চলমান ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্রতম সংস্করণে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির তালিকা করতে গেলে মিলবে শুধু একটি নাম। তিনি দেশসেরা ওপেনার ও সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। ওমানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিটি করেছেন জাতীয় দলের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত বিশেষ ম্যাগাজিন
সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী:
শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক হিসেবে সবার ওপরে রয়েছেন। মাহেলা জয়াবর্ধনে ৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান করেন। এরপরের অবস্থানেই আছেন ক্রিস গেইল। তিনি ২৮ ম্যাচে ৯২০ রান করেন। তৃতীয় অবস্থানে আছেন আরেক লঙ্কান ব্যাটসম্যান তিলকারত্নে দিলশান। তিনি ৩৫ ম্যাচ ৮৯৭ রান করেন। এই তালিকার চতুর্থ অবস্থানে আছেন বর্তমানে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। কোহলি ১৬ ম্যাচেই ৭৭৭ রান করেন। ৩০ ম্যাচে ৭১৭ রান নিয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্স আছেন পঞ্চম অবস্থানে।
সবচেয়ে মিতব্যায়ী বোলার:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে কৃপণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘূর্ণি বোলার সুনিল নারিন। সবচেয়ে কম ইকনোমি রেট তার। তিনি বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচ খেলে ৪৪.৪ ওভার বল করে ২৩১ রান দিয়ে ১৫ উইকেট নেন। যেখানে বেস্ট বোলিং ফিগার হল ৯ রানে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন আরেক ক্যারিবিয়ান বোলার স্যামুয়েল বদ্রি। তিনি ১৫ ম্যাচে ৫৯ ওভার বল করে ৩২৬ রান দিয়ে ২৪ উইকেট নেন। ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের সেরা বোলিং আঁকেন। তৃতীয় কৃপন বোলারের তালিকায় আছেন কিউই কিংবদন্তী বোলার ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। তিনি বিশ্বকাপের ১৭ ম্যাচে ৬৭.১ ওভার বল করে ৩৯২ রান দিয়ে ২০ উইকেট নেন। ৪/২০ হলো তার সেরা বোলিং ফিগার। আরেক কিউই বোলার নাথান ম্যাককুলাম এই তালিকায় আছেন চতুর্থ অবস্থানে। তিনি ২২ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে ৬৭.১ ওভার বল করে ৩৯৯ রান দিয়ে ২৩ উইকেট নেন। ৩/১৫ রানে সেরা বোলিং ফিগারে জ্বলে উঠেন বিশ্বকাপে। ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন আছেন কিপ্টে বোলারের সেরা পঞ্চম তালিকায়। তিনি ১৫ ম্যাচে ৫৪.০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৩৪ রান দিয়ে ২০ উইকেট নেন। সেরা বোলিং ফিগার ৪/১১
সেরা বোলিং রেকর্ড:
টি-টোয়েন্টিতে একজন বোলার বল করার সুযোগ পান মোটে ৪ ওভার। সেই চার ওভারেই কি না একা ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অজন্তা মেন্ডিস। ২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হাম্বানতোতায় মাত্র ৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট দখল করার কীর্তি গড়েন মেন্ডিস। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে আজও সেরা বোলিং। এক রহস্যময় স্পিনার ছিলেন তিনি। বল করতে গিয়ে তিনি হাত কিভাবে ঘোরাতেন, সেটা আবিষ্কারেই বেশ সময় চলে যায় ব্যাটার কিংবা সংশ্লিষ্ট দলের কোচদের। হাম্বানতোতার মাঠে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪.০ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন এই স্পিন যাদুকর। তার পরের অবস্থানেই আছেন মেন্ডিসের আরেক স্বদেশী রঙ্গনা হেরাথ। তিনি ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামের মাঠে ৩.৩ ওভার বল করে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে নেন। পাকিস্তানের পেসার উমর গুলো আছেন তৃতীয় অবস্থানে। দ্বিতীয় বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্য ওভালের মাঠে ৩.০ ওভার বল করে ৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন। নেদারল্যান্ডস দলের বোলার আশান মালিক ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করেন। বাংলাদেশের কাতার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানও আছে সেরা উইকেট নেওয়ার তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে। ভারতের কলকাতায় ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪.০ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন।
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী:
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। বুমবুম খ্যাত এই ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টির ফরম্যাট আবিষ্কারের পর থেকে ৯৯টি ম্যাচ খেলে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। অলরাউন্দার এই বোলার বিশ্বকাপ খেলেন ৩৪ ম্যাচ। সেখানে তিনি ১৩৫.০ ওভার বল করে ৯০৭ রান দিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৯ উইকেট শিকার করেন। তার পরের অবস্থানেই আছেন লাসিথ মালিঙ্গা। শ্রীলংকান এই বোলার ৩১ ম্যাচ খেলে ১০২.৪ ওভার বল করে ৭৬৩ রান ৩৮ উইকেট শিকার করেন। তৃতীয় অবস্থানেই আছেন আরেক পাকিস্তানি বোলার সাঈদ আজমল। স্পিন যাদুকর এই বোলার ২৩ ম্যাচ খেলে ৮৯.২ ওভার বল করে ৬০৭ রান দিয়ে ৩৬ উইকেট শিকার করেন। স্পিন রহস্য অজন্থা মেন্ডিস সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলারের তালিকায় আছেন চতুর্থ নাম্বারে। তার উইকেট সংখ্যা ৩৫টি। ২৪ ওভারে ৮২.৪ ওভারে ৬০৪রান দিয়ে সমান সংখ্যক ৩৫ উইকেট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছেন উমর গুল।
সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাকিয়েছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সবার প্রথমে আছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার ক্রিস গেইল। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার বিশালদেহী এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বাইশ গজে বড়ই নির্দয়। বিশাল সব ছয়ে প্রায়ই বল উপড়ে ফেলেন স্টেডিয়ামের বাইরে।২৮ ম্যাচে তিনি ৬০টি ছক্কা হাকিয়েছেন।
এরপরের অবস্থানে আছেন ভারতের যুবরাজ সিং। অলরাউন্দার এই ক্রিকেটার ৩১ ম্যাচে ৩৩ ছক্কা হাকিয়েছেন। তৃতীয় অবস্থানে আছেন সাবেক অজি খেলোয়াড় শেন ওয়াটসন। ২৪ ম্যাচে তিনি ৩১ ছক্কা মেরেছেন। তালিকার চতুর্থ অবস্থানে আছেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রী খ্যাত এবিডি ভিলিয়ার্স। তিনি ৩০ ম্যাচে ৩০ ছক্কা মারেন। ৩১ ম্যাচে ২৫ ছক্কা মেরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী ক্রিকেটার মাহেলা জয়াবর্ধনে।
আরও পড়ুন: বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত বিশেষ ম্যাগাজিন
মন্তব্য করুন
হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকদিন। এরপরই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের
সংক্ষিপ্ত সংস্করণের লড়াই। যেখানে চার-ছক্কার জোর যার বেশি, মাঠের লড়াইয়ে দাপটটাও তাদেরই
বেশি। আর এজন্যই অংশগ্রহণকারী প্রায় প্রতিটি দলই নিজেদের সেরা সৈন্যদের নিয়েই সাজিয়েছে
দল।
আগামী ২ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে আয়োজক দেশ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইডিন্জও। আর এই
দুই দেশের ৯ ভেন্যুতে চলবে বৈশ্বিক ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট।
অন্যান্যবার কুড়ি ওভারের এই বিশ্বযজ্ঞে ১০টি দল অংশগ্রহণ করলেও
এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ২০ দল। যেখানে সেরা আট দল বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল আগেই। এর
সঙ্গে অটোমেটিক চয়েজে বিশ্বকাপের টিকিট পায় সেরা র্যাংকিংয়ে অবস্থান করা দুদল এবং
আয়োজকরা। বাকি ৮ দলকে বিশ্বকাপের টিকিট পেতে আঞ্চলিক পর্যায়ে লড়াই করতে হয়েছে। সেই
ধারাবাহিকতায় আফ্রিকা, ইউরোপা, এশিয়া থেকে দুটি করে দল সুযোগ পেয়েছে। সেইসঙ্গে আমেরিকা
এবং ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে একটি করে দল বিশ্বকাপে খেলবে।
আর দল বেশি হওয়ায় এবারের সমীকরণটাও কিছুটা ভিন্ন। নতুন আদলের এবারের
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ভাগ করা হবে চার গ্রুপে। যার মধ্যে প্রতিটি গ্রুপে
থাকবে ৫টি করে দল।
রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতি গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবিলা
করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে
সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ। বৈশ্বিক এই আসরকে
সামনে রেখে ইতোমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ১৯টি দল। ব্যাতিক্রম শুধুমাত্র পাকিস্তান।
তবে জানা গেছে, তারাও শীঘ্রই দল ঘোষণা করবে।
তবে এবার প্রতিটি টি-২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ২০টি দলের মধ্যে
সবচেয়ে বেশি নজরে থাকছে ক্যারিবীয়রা। কারণ ঘরের মাঠে এবার তাদের শক্তির পরীক্ষা। শুধু
তাই নয়, ক্যারিবীয়দের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যেন আরও নজর কেড়েছে ক্রিকেট বোদ্ধাদের।
আর তাইতো বিশ্লেষকদের মতে, এবারের সেমিফাইনাল খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সাবেক কিংবদন্তী মাইকেল ভন, ব্রায়েন লারা, মোহাম্মদ হাফিজদের মতে-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার বিশ্বকাপে ভালো ফলাফল করতে পারে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, প্রথমত
নিজেদের ঘরের মাঠ ও দ্বিতীয়ত তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। সবমিলিয়ে যেন দুইবারের
চ্যাম্পিয়নরা এবার মুখিয়ে রয়েছে মাঠের লড়াইয়ের জন্য।
তবে ক্যারিবীয়দের এবার টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো করার বেশ কয়েকটি কারণ
রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে-
১. আইপিএলের অভিজ্ঞতা
ভারতে চলছে তাদের ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের ১৭তম আসর। যেখানে
অংশ নিয়েছেন টি-২০ বিশ্বকাপ দলে থাকা বেশিরভাগ ক্যারিবীয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম-
আন্দ্রে রাসেল, সিমরন হেটমায়ার, নিকোলাস পুরান। আইপিএলে এবার যে রানবন্যা নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে
চলছে তুমুল সমালোচনা সেই রানবন্যার অন্যতম কারিগর হলেন এই ক্যারিবীয়রা। ১৬০ এর উপরে
স্ট্রাইক রেটসহ চার-ছক্কার যে মারকুটে ব্যাটিং স্টাইল, তা পুরোটাই প্রায় ক্যারিবীয়দের
দখলে।
২. বিধ্বংসী ব্যাটিং
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বরাবরই টি-২০তে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের জন্য সেরাদের
কাতারে শীর্ষে ছিল। ক্রিস গেইল থেকে শুরু করে কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল থেকে ডয়েন
ব্রাভো- প্রতিটা খেলোয়াড়ই যেন এক একসময় নিজেদের দানবীয় রূপে ধরা দিয়েছেন বিভিন্ন সময়।
আর এবার তো নিজেদের ঘরের মাটিতেই খেলা। যার জন্য ক্যারিবীয়দের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের
দ্বারা যেকোন সেরা বোলারও নড়বড়ে অবস্থায় থাকেন।
ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং লাইন-আপে রয়েছেন অভিজ্ঞ শাই হোপ, নিকোলাস
পুরান, ব্রেন্ডন কিং, সিমরন হেটমায়ার ও জনসন চার্লসের মতো বিধ্বংসী ব্যাটাররা।
৩. ট্রিকি বোলিং
ক্যারিবীয় বোলারদের একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে তারা এক একজন ভিন্ন রকমের
এন্টারটেইনিং পার্সোনালিটি মেইনটেইন করে চলে। শুধু তাই নয়, নিজেদের পার্সোনালিটির পাশাপাশি
বল হাতেও নানারকম কারিশমা দেখাতে পারেন তারা। ধরুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোন বোলার ওভারের
প্রথম তিনটি বল ১৪০-১৪৫ কি.মি. গতিতে করল। আর পর পর তিনটি বল এমন গতির দেখে ব্যাটাররা
সাধারণত ধরেই নিবে পরের বলটিও এমন গতিতেই হবে। কিন্তু চতুর্থ বলটি হুট করে বোলার ৯০-৯৫
অথবা ১০০-১১০ কি.মি. গতিতে করলেন। এমন ট্রিকসের ফাঁদে পড়ে যেকোন নামীদামী ব্যাটারই
নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিতে পারেন। আর এই ট্রিকি বোলিংও ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি বড় হাতিয়ার।
৪. অলরাউন্ডারদের দাপট
এবারের বিশ্বকাপে উইন্ডিজ অলরাউন্ডারদের পাল্লা বেশ ভারি। অধিনায়ক
রভম্যান পাওয়েলের সঙ্গে ব্যাট-বল হাতে ছড়ি ঘোরাতে পারেন জেসন হোল্ডার, আন্দ্রে রাসেলরা।
একাদশে সুযোগ পাওয়ার বিবেচনা কিছুটা পিছিয়ে থাকবেন শেরফান রাদারফোর্ড। তবে বোলিংয়ে
দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি কার্যকরী ব্যাটিং করতে পারেন রোমারিও শেফার্ড।
৫. ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস
ক্যারিবীয়দের বোলিং ইউনিটে সবচেয়ে বড় চমক হচ্ছে শামার জোসেফ। অস্ট্রেলিয়ার
গ্যাবায় বল হাতে ঝড় তুলে নিজের অভিষেকের মাসেই প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কার জিতেছিলেন
তিনি। বল হাতে সুইং আর গতির যে কম্বিনেশন তিনি তৈরি করেন তাতে যেকোন বিশ্বমানের ব্যাটারও
নড়বড়ে অবস্থায় চলে যাবে।
সেই সাথে এবার শামার জোসেফের সঙ্গে বল হাতে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের
মনে কাঁপন ধরাতে প্রস্তুত আলজেরি জোসেফও। এছাড়া ঘূর্ণি দেখানোর অপেক্ষায় রয়েছেন রস্টন
চেজ, গুদাকেশ মোতি ও আকিল হোসেনরা।
উল্লেখ্য, আগামী ২ জুন থেকে শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। আসরের উদ্বোধনী
ম্যাচে কানাডাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া দিনের অন্য ম্যাচে
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা পাপুয়া নিউ গিনির মুখোমুখি হবে আরেক স্বাগতিক ওয়েস্ট
ইন্ডিজ। সেই হিসেবে আর ১৩ দিন পর নামতে হবে তাদের। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ সদস্যের দল
ঘোষণা করেছে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা।
আসন্ন বিশ্বকাপ দলে আছেন আলোচিত পেসার শামার জোসেফ। অভিজ্ঞদের মধ্যে
আছেন সিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার এবং আন্দ্রে রাসেলও বিশ্বকাপ দলে আছেন। তবে নেই
আইপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা সুনিল নারিন ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট মাতিয়ে বেড়ানো
কাইল মেয়ার্স। বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আছে
আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি এবং উগান্ডা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ স্কোয়াড:
রভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আলজেরি জোসেফ, জনসন চার্লস, রস্টন চেজ,
সিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, শাই হোপ, আকিল হোসেন, শামার জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, গুদাকেশ
মোতি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফান রাদারফোর্ড, রোমারিও শেফার্ড।
বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইডিন্জ
মন্তব্য করুন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। রোববার মৌসুমের শেষ দিনে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে জিতলেই প্রথম দল হিসেবে টানা চতুর্থবার প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে ম্যানসিটি। এই যাত্রায় দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছেন ফোডেন।
২০২৩-২৪ আসরে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ফোডেনের নাম শনিবার (১৮ মে) ঘোষণা করেছে প্রিমিয়ার লিগ। সেরা হওয়ার পথে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটি সতীর্থ আর্লিং হাল্যান্ড, নিউক্যাসলের আলেক্সান্দার ইসাক, আর্সেনালের মার্টিন ওডেগার্ড ও ডেকলান রাইস, চেলসির কোল পালমার, লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডাইক ও অ্যাস্টন ভিলার ওলি ওয়াটকিন্সকে।
চলতি মৌসুমে পেপ গার্দিওলার আস্থাতেই ছিলেন ফোডেন। আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন। ৩৪ ম্যাচে সিটির জার্সিতে নেমে ২৫ গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন। নিজে গোল করেছেন ১৭টি, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৮টি। মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্সে চলতি মাসে দ্বিতীয়বার সেরার স্বীকৃতি পেলেন ফোডেন। মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডের ফুটবল লেখক সমিতির বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরার স্বীকৃতি পেয়ে গর্বিত ফোডেন। তিনি বলেন, এই পুরস্কার আমার কাছে এমন এক অর্জন, যা নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বের সেরা লিগ হিসেবে সমাদৃত। অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের সঙ্গে মনোনীত হতে পেরে আমি আনন্দিত। সব মিলিয়ে এই মৌসুমে আমি যেভাবে খেলেছি, তাতে খুব খুশি এবং এটা ভেবে খুব আনন্দিত যে মৌসুমজুড়ে গোল করা ও গোলে সহায়তায় অবদান রাখতে পেরেছি। আমি সিটির সব স্টাফ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ, তাদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। যারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরার পুরস্কার এনিয়ে টানা পঞ্চমবার জিতলো সিটির খেলোয়াড়রা। ফোডেনের আগে একবার করে রুবেন দিয়াস ও আর্লিং হাল্যান্ড এবং ডি ব্রুইনে জিতেছেন দুইবার।
ফিল ফোডেন ম্যানচেস্টার সিটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
মন্তব্য করুন
প্রিমিয়ার লিগ শেষ মুহূর্তে এসে জমে উঠলেও শিরোপার সমীকরণ এখনও মেলাতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল। একে অপরকে রীতিমতো টেক্কা দিয়েই চলেছে এই দুই ক্লাব। যদিও গানারদের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়েই আছে সিটিজেনরা।
তবে আজ রাতেই এই লড়াইয়ের মীমাংসা হয়ে যাবে। শিরোপার লড়াইয়ে রাতে আলাদা আলাদা ম্যাচে মাঠে নামবে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। আজ (রোববার) রাত ৯টায় ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। আর অন্য ম্যাচে এভারটনকে চ্যালেঞ্জ জানাবে আর্সেনাল।
লিগে এখন ৩৭ ম্যাচে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে ম্যানসিটি। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট আর্সেনালের। ৭৯ পয়েন্টের অধিকারী লিভারপুল শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকে গেছে আগেই।
প্রায় দুই দশক পর লিগ শিরোপার স্বাদ নিতে এভারটনের বিপক্ষে আর্সেনালের জিততেই হবে, পাশাপাশি ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে হারতে হবে ম্যানচেস্টার সিটিকে। সে তুলনায় ম্যানসিটির সমীকরণটা সহজ, ৩৮তম ম্যাচে জিতলেই আর কিছুর হিসাব মেলাতে হবে না গার্দিওলার শিষ্যদের।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন যেই হোক, কত টাকা পাবে তারা? রানার্সআপদের জন্যই বা বরাদ্দ কত? মার্কার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চ্যাম্পিয়নরা পাবে ৫৭ মিলিয়ন ইউরো, টাকার হিসাবে যা প্রায় ৭২৩ কোটি।
অপরদিকে আর্সেনাল যদি হোঁচট খায়, তবে তারা পাবে ৫২ মিলিয়ন ইউরো। লিভারপুল এরই মধ্যে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করে ফেলেছে। তারা পাবে ৫০ মিলিয়ন ইউরো। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলা পাবে ৪৭ মিলিয়ন ইউরো।
ম্যানচেস্টার সিটি আর্সেনাল প্রিমিয়ার লিগ
মন্তব্য করুন
গত ম্যাচে চোটের কারণে দলের সাথে ছিলেন না লিও মেসি। যার জন্য হেরেছিল তার দল। তবে পরের ম্যাচে যেমনি তিনি দলে ফিরলেন তেমনই জিতল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ১৪ তম ম্যাচডে তে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে মেসির দল।
রোববার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় (বাংলাদেশ সময়) নিজেদের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ডিসি ইউনাইটেডকে আতিথ্য দেয় মায়ামি। ইস্টার্ন কনফারেন্স স্লটের এই ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে মেসি-সুয়ারেজরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই দলগতভাবে ইন্টার মায়ামি দাপট দেখালেও জালে বল পাঠাতে পারছিলেন না কেউই। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হয়তো গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের শেষে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে গোল করে চমক দেখান কাম্পানা। মাঝমাঠ থেকে বুসকেতসের বাড়ানো বলকে দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়ান ইকুয়েডরিয়ান এ ফরোয়ার্ড।
উল্লেখ্য, লিগে ১৫ ম্যাচে ৯ জয় ৪ ড্র ও ২ হারে মায়ামির পয়েন্ট ৩১। এক ম্যাচ কম খেলা সিনসিনাটির পয়েন্ট ৩০। মায়ামির পরবর্তী ম্যাচ আগামী রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায়। সেই ম্যাচে ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে মাঠে নামবে মেসিরা।
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি
মন্তব্য করুন
ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম। এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো।
তবে এখন প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় দলে এই নিয়মের কোন প্রভাব পড়ছে কি না, সেই নিয়ম কি বিপদে ফেলছে ভারতীয় দলকেই, নাকি হচ্ছে সুবিধা? আইপিএলের এই নিয়মটা পছন্দ না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার। সম্প্রতি রোহিত ক্লাব ফ্রেইরে পডকাস্টে বলেছিলেন তার ভাবনার কথা। এবার রোহিতের সঙ্গেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ইস্যুতে নিজের সুর মিলিয়েছেন ভিরাট কোহলি।
কোহলি বলেন, চার-ছক্কা হলেই ম্যাচ জমে না। ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা থাকলেই ক্রিকেট হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক। জিও সিনেমায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ভিরাট। রোহিতের কথায় সমর্থন জানিয়ে কোহলি বলেন, আমি রোহিতের সঙ্গে একমত। খেলার একটা দিক হচ্ছে বিনোদন, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কোনো সমতা থাকছে না। এ অবস্থায় বোলারদের খারাপ লাগারই কথা। আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতি দেখিনি, যেখানে একজন বোলারকে প্রতিটি বলে চার বা ছয় হজমের কথা ভাবতে হচ্ছে। সব দলে তো আর বুমরাহ কিংবা রশিদ খান নেই।
কোহলি আরও বলেন, একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিয়মটা আমি ভালো বলতে পারি। কিন্তু ম্যাচ তো জমজমাট হতে হবে। ক্রিকেটে চার-ছক্কা হলেই যে ম্যাচ জমে ব্যাপারটা এমন না। ১৬০ রান ডিফেন্ড করতে পারলেও কিন্তু ম্যাচ জমে, সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আবহ দর্শকরা উপভোগ করতে পারে।
উল্লেখ্য, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মে আছে, কোনো খেলোয়াড় আউট হয়ে গেলে তার পরিবর্তে নামা কেউ ব্যাট করতে পারবেন। তবে ১১ জনের বেশি ব্যাট করতে পারবেন না। আবার বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও যদি কোনো প্লেয়ারের কোটা শেষ হয়ে যায়, তাহলে বদলি হিসেবে নামা একজন পূর্ণ ৪ ওভার বল করতে পারবেন। মূলত, এই সিস্টেমে ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা কমছে। সুবিধামত সময়ে অতিরিক্ত একজন পূর্ণ ব্যাটার কিংবা বোলার ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন অধিনায়করা।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আইপিএল রোহিত শর্মা ভিরাট কোহলি
মন্তব্য করুন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। রোববার মৌসুমের শেষ দিনে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে জিতলেই প্রথম দল হিসেবে টানা চতুর্থবার প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে ম্যানসিটি। এই যাত্রায় দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছেন ফোডেন।
ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম। এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো।