প্রকাশ: 29/11/2021
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
(ডব্লিউএইচও) মতে ‘উদ্বেগজনক’ ভ্যারিয়েন্ট বলে স্বীকৃতি পাওয়া করোনার নতুন দক্ষিণ আফ্রিকান
ধরনটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। মারাত্মক এই সংস্করণটি যাতে দ্রুত
ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য বিশ্বের অনেক দেশের মত আমাদের দেশেও নেওয়া হয়েছে নানা সতর্কতামূলক
ব্যবস্থা। তবে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত রোগীদের শরীরে
তেমন উপসর্গ দেখা যায় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার ধরনগুলোর মধ্যে ওমিক্রন সবচেয়ে
বেশি মিউটেট (রূপান্তর) হয়েছে।
করোনার নতুন এই সংস্করণটি
মূলত ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা হতে। রোগীর দেহে নতুন এই সংস্করণটি সবার প্রথম সন্দেহ
করেন এবং পরীক্ষার মাধ্যমে তা নিশ্চিত হন দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান
ডা. অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি।
ডা. অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি
রয়টার্সকে বলেন, ‘আমার কাছে চিকিৎসা নেওয়া বেশকিছু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত রোগীর
শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখেছি। হাসপাতালে ভর্তি ছাড়াই তারা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ
হয়ে উঠছেন।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৮ নভেম্বর
আমার ক্লিনিকের সাতজন রোগীর মধ্যে অপরিচিত উপসর্গ ছিল। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ধরনের
থেকে যার পার্থক্য খুবই কম। ওইদিন একজন রোগী আমাকে অত্যন্ত ক্লান্তি অনুভব করার কথা
জানান। তার শরীরে ও মাথায় হালকা ব্যথা অনুভব করছেন বলেও উল্লেখ করেন।’
ডা. কোয়েটজি বলেন, ‘রোগীদের
মধ্যে যে উপসর্গ ছিল, তা সাধারণ ভাইরাল সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে যেহেতু আমরা
বিগত ৮-১০ সপ্তাহ করোনার সংক্রমণ সেভাবে পরীক্ষা করে দেখিনি, তাই তাৎক্ষণিক আমরা তাদের
নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তাতে ওই রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের পজিটিভ
রিপোর্ট আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একই দিনে
আমরা একই উপসর্গের আরও কিছু রোগী পেয়েছিলাম। তখনি আমরা ভেবেছিলাম, ভিন্ন কোনও কিছু
দেখতে যাচ্ছি আমরা। সেদিন আমি নতুন এ ধরনে সংক্রমিত দুই থেকে তিনজন রোগী দেখেছিলাম।’
অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি বলেন,
‘ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগই পুরুষ, যাদের বয়স ৪০ বছরের নিচে। আক্রান্ত পুরুষদের
মধ্যে অর্ধেকই করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন। তরুণ রোগীদের ক্ষেত্রে ওমিক্রন খুবই
অস্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে। তাদের সতর্ক হওয়া জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘করোনার তৃতীয়
ঢেউয়ের সময়ে আমরা অসংখ্য ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিত রোগী দেখেছিলাম। তবে নতুন এ ধরনটি
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্লিনিক্যাল যে চিত্র, তার সঙ্গে তেমন মিল নেই। ওমিক্রন আক্রান্তদের
অধিকাংশই অতি মৃদু উপসর্গে ভুগছেন। আক্রান্তদের পেশীতে মৃদু ব্যথা, গলায় খুসখুস ভাব
এবং শুকনো কাশি হচ্ছে। অল্প কয়েকজনের শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বেশি পাওয়া গেছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কমিউনিক্যাবল ডিজিজ (এনআইসিডি) জানিয়েছে, দেশটির কয়েকটি ল্যাবরেটরিতে গত ১৪ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনায় ওমিক্রন ধরনটি শনাক্ত হয়। যাচাই শেষে ২৫ নভেম্বর নতুন ধরন হিসেবে নিশ্চিত হওয়া যায়।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭