ইনসাইড এডুকেশন

‘যোগ্যতা ও মেধা থাকলে কেউ আটকিয়ে রাখতে পারবেনা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৪৭ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

আমাদের শিক্ষার্থীরা জিপিএ ৫ পাচ্ছে, ভাল ফলাফল করছে কিন্তু সে কি সৎ মানুষ হচ্ছে, সে কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হচ্ছে? লাখো শহিদের রক্তে ভেজা এই মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে, সে কি সেই দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো ঠিকমত পালন করছে? তাঁরা যদি সেই দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন থাকত, তাহলে আমাদের (সকলেই না) ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষকদের মধ্যে এত অনৈতিকতা, এত লোভ কেন? 

চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে কেউ কেউ আবার অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির উপায় খোঁজে। তাই ভর্তিকে কেন্দ্র করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে নানা সংশয় দেখা দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিকে কেন্দ্র করে সংশয়, আশঙ্কা ও বাস্তবতার বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারকে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা অহিদ। তাঁর সাক্ষাতকারটি নিন্মে তুলে ধরা হল বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্যে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আসন পেতে শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। প্রতিযোগিতার এই বিষয়টিকে সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? 

উচ্চ শিক্ষার দ্বার বিশ্বের অন্যান্য দেশে অনেক সীমিত। তবে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের দ্বার অবারিত। সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যানুযায়ী, সামাজিক ভাবে যদি একটি পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, সেই পরিবারের সন্তানটি যদি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়, তবে সেই পরিবারটিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। এখানে শিক্ষা হচ্ছে একটি সামাজিক মই, যেটা বেয়ে বেয়ে একটি শিক্ষার্থী এবং সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারও এগিয়ে যায়। শিক্ষাই আমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যায়। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও শিক্ষা একটি বড় বিষয়। আবার উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা সম্পদশালী একটি পরিবারে সন্তানও যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনা না পেরোয় তাহলে সেই পরিবারটির সামাজিকভাবে মর্যাদা অনুজ্জ্বল হয়ে যায়। এছাড়াও আমাদের দেশে শিক্ষার অবাধ সুযোগ থাকায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার জন্যে ধনী-গরীব, ধর্ম-বর্ণ, শহর-গ্রাম সকল অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এইসব কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আসন পেতে এমন তীব্র থেকে তীব্রতর প্রতিযোগিতা বিরাজ করে।

আমাদের আগামী প্রজন্মকে আমরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি কতটা মানবিক চেতনাবোধ ও সামাজিক দায়িত্ববোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারছি? 

এখানে একটি বিষয় হচ্ছে, বেঁচে থাকার সংগ্রাম, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার সংগ্রাম, সমাজে সামাজিক মর্যাদা পাবার সংগ্রাম। এজন্য আমাদেরকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। এটা হচ্ছে কঠিন বাস্তবতা। আরেকটি বিষয় হচ্ছে মানুষের মানবিক গুণাবলি, চেতানাবোধ। এগুলোও শিক্ষার অমূল্য অনুষঙ্গ। একটা সময় আমরা শুনতাম লেখাপড়া করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে, এখন কিন্তু এই বিষয়টা আর সত্য না। অনেক শিক্ষিত মানুষের সামাজিক অবস্থানও এখন অনেক নাজুক দেখা যায়। আবার অন্যদিকে লেখাপড়া না করেও, দুর্নীতি, অসততা ও রাজনৈতিক জগতে দুর্বৃত্তায়ন করে অনেক টাকা পয়সা অর্জন করে কেউ কেউ। আমাদের সমাজে তাদেরকেই মানুষ সালাম ঠুকছে। যেগুলোকে আমরা মানবিক গুণ বলি, সততার সঙ্গে চলা, জীবন জগত আলোকিত করা, নিজেকে ভোগবিলাস ও লোভ-লালসা থেকে দূরে রাখা, নিজেকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা এগুলোইতো শিক্ষার মুল লক্ষ্য। আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই জায়গায় আমরা দিনে দিনে হেলে পরছি, দুর্বল হয়ে পরছি, মানবিক গুণাবলির স্থানগুলো আমরা ধরে রাখতে পারছি না।

আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রকৃত মানুষ গড়ে তোলার জন্য আমাদের করণীয় কি?

আমাদের শিক্ষার্থীরা জিপিএ ৫ পাচ্ছে, ভাল ফলাফল করছে কিন্তু সে কি সৎ মানুষ হচ্ছে, সে কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হচ্ছে? লাখো শহিদের রক্তে ভেজা এই মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে, সে কি সেই দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো ঠিকমত পালন করছে? তাঁরা যদি সেই দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন থাকত, তাহলে আমাদের (সকলেই না) ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষকদের মধ্যে এত অনৈতিকতা, এত লোভ কেন? দেশপ্রেমের চেতনা, ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষা, সমাজকে ভালবাসার শিক্ষা, সবার সঙ্গে সহযোগিতা মূলক আচরণের শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষার কারিকুলামেই থাকা প্রয়োজন। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষায় এই বিষয়গুলো এখন একেবারেই অনুপস্থিত। ছোট বেলা থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের এই বিষয়গুলোর প্রতি জোড় দেওয়া উচিৎ।  

অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদেরকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যরিষ্টার হওয়ার জন্য বাড়তি চাপ দেয়। এই বিষয়ে আপনার মতামত কি?  

অভিভাবকদের নিকট আমার অনুরোধ যে, আপনারা আপনাদের সন্তানকে জানুন, তাদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিন। বাচ্চাদের মনস্তত্ত্বে হিমালয় পর্বতের মত বোঝা মাখিয়ে দিয়েন না। আমাদের সমাজে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টারের যেমন প্রয়োজন আছে, তেমনি আমাদের খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক কর্মী বা অন্যান্য সেক্টরের লোকও প্রয়োজন আছে। ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার না হলে যে মানসম্মান থাকবে না বিষয়টা এমন না। প্রতিটি শিশুর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিভা আছে, তাঁর সেই প্রতিভাকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দিন। তাদেরকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দিকে নজর দিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আপনার পরামর্শ বা উপদেশ কি?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ না পেলে, বা অন্য কোন স্থানে ভর্তি হতে না পারলে, হতাশ হওয়ার কিছু নাই। বর্তমান সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে দিয়েছেন, এগুলোতেও ভালো মানের লেখাপড়ার সুযোগ আছে। সুতরাং কোন একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে হেরে যাওয়ার কিছু নাই, সবকিছু হারিয়ে ফেলারও কোনো কারণ নাই। কারোও মধ্যে যদি কোন যোগ্যতা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা বা মেধা থাকে, সে যেখানেই থাকুক, যে বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ুক না কেন, সে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেই আজ অথবা কাল। তাঁকে কেউ আটকিয়ে রাখতে পারবে না।


বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি আজ

প্রকাশ: ০৮:৫৫ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৪৬তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। 

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এরপর কাউকে পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হবে। এছাড়া সকাল ১০টায় বিতরণ করা হবে প্রশ্নপত্র। দুপুর ১২টার আগে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বের হতে পারবেন না।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা

পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রী নিয়ে কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হবেন।

পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

পিএসসি সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ১৪০ জন নিয়োগ দিতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ হাজার ১৪০ পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে ৯২০ জন।

এ ছাড়া বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪ জনকে, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেয়া হবে।


বিসিএস   পরীক্ষা   ক্যাডার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

অবশেষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খুলেছিল না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষের বাইরের সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত  আগামী  শনিবারেও (৪ মে) শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে।

এদিকে নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিনদিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।


এইচএসসি পরীক্ষা   ফরম পূরণ   সোনালী সেবা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে ক্লাস বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।

মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।


তীব্র তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা। তিন ইউনিটে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার 'সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার আসন রয়েছে। এই আসনের বিপরীতে এবার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন