কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী তান্ডবের সময় মাঠে ছিলেন না আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা। কোথাও কোথাও ছিলেন নীরব দর্শক। সহিংস তান্ডবের সময়ে এমপি-মন্ত্রীদের অনেকেই ছিলেন নিরাপদ আশ্রয়ে। কেউ কেউ নিজ বাসা বা অফিসে বসে টেলিভিশনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। পরিস্থিতি ঘোলাটে দেখে কেউ কেউ অসুস্থতার কথা বলে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে, কেউ ছিলেন হাসপাতালে। পরিস্থিতির অবনতি দেখে কেউ কেউ মন্ত্রীপাড়ার বাসা কিংবা ন্যামভবন থেকে বাইরে বের হননি। রাজধানী, বিভাগীয় শহরসহ সারা দেশেই একই চিত্র পাওয়া গেছে।
আরো পড়ুন...সরকার পতনের একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ডাক দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরো পড়ুন...এখন ষড়যন্ত্র এবং আন্দোলনের দু’টি অংশ হচ্ছে। একটি দৃশ্যমান অংশ যেটি মাঠে হচ্ছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, পেশাদার সন্ত্রাসীরা এক জোট হয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টি করেছে। একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করে সরকারকে হটানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো। অন্যটি সাইবার জগতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আরো পড়ুন...সরকার নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর।
আরো পড়ুন...বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান চলছে। নির্বাচনের আগে ২৮ অক্টোবর বিএনপির তাণ্ডবের পর যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছিল সরকার ঠিক একইভাবে এবারও ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সন্ত্রাস, সহিংসতা হচ্ছে তার হোতাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই সময় নাশকতায় ছাত্রশিবির এবং জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রদল এবং বিএনপি নেতারা সরকার পতনের একটা নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। সেই চেষ্টা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তারা আন্দোলনকে সহিংস এবং নাশকতার পথে নিয়ে যান। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো যেমন বিটিভি, সেতু ভবন ইত্যাদি হামলার পিছনে বিএনপির সরাসরি সম্পৃক্ততার খবর পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এই কারণেই যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন...টানা তিন বারের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। দলে তার কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভাপতির পরপরই। সারাদিনই দলীয় কার্যালয়ে কিছু না কিছু বলেন। সংবাদ সম্মেলন করে নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখাকে তিনি রীতিমতো একটি রেওয়াজে পরিণত করেছেন। কিন্তু সেই ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগে এখন নানা রকম অস্বস্তি এবং প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে।
আরো পড়ুন...কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যারা সহিংসতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো পড়ুন...কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন রাজধানীজুড়ে চলে ভয়াবহ তাণ্ডব-নাশকতা। ভাঙচুর এবং আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা। এরই মধ্যে তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এতে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ এসব সহিংসতার নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের অন্যতম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন।
আরো পড়ুন...কোটাবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে দল ও সহযোগী সংগঠনের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। সেইসঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্বের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। টানা তিন মেয়াদ সরকার পরিচালনার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করলেও দুর্বল হয়েছে দলের সাংগঠনিক অবস্থা। রাষ্ট্রক্ষমতার প্রভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের আদর্শিক দৃঢ়তা ও ত্যাগের মানসিকতায় বড় রকমের ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলেও আলোচনা হচ্ছে।
আরো পড়ুন...সাম্প্রতিক সময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে ঢাকা জুড়ে যে তাণ্ডব এবং নাশকতা হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। আর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারার অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ২৭টি কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন...বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর এলিফেন্ট রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন...জুলাই তাণ্ডবের পর আওয়ামী লীগের যেন হুশ এসেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন আত্মজিজ্ঞাসা করছে, আত্মসমালোচনা করছে। সরকার টানা ক্ষমতায় রয়েছে। তারপরেও কেন আওয়ামী লীগ এ রকম বিপর্যস্ত হল, কোণঠাসা হয়ে পড়ল- সেটি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নানা জনের নানা মত। আর এ নিয়ে এখন আওয়ামী লীগের কার্যালয়গুলোতে চলছে তোলপাড় এবং বিভিন্ন রকমের আলাপ আলোচনা, বিশ্লেষণ।
আরো পড়ুন...তারেক জিয়ার একের পর এক ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে বিএনপিকে। দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি এখন নতুন করে সংকটে পড়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেক নেতাকর্মী এখন ঘর ছাড়া। এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গত ১৭ জুলাই থেকে সংগঠিত নাশকতা, তাণ্ডব এবং অরাজক পরিস্থিতির কারণে। এই সহিংসতার সঙ্গে বিএনপির প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর একারণেই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার কররা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, রুহুল কবির রিজভীসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। গা ঢাকা দিয়েছেন মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ আরও কিছু নেতা। আবার বিএনপি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন...গত সপ্তাহ জুড়ে সারাদেশে যে তাণ্ডব এবং নাশকতা চলেছে তা নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে। আওয়ামী লীগ আত্মসমালোচনায় মুখর। আর এই আত্মসমালোচনায় সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তা হল যুবলীগের কেন এই হাল? বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আওয়ামী লীগের একটি ভ্রাতৃপ্রতিম সহযোগী সংগঠন। কিন্তু আওয়ামী লীগের অন্যতম স্তম্ভ মনে করা হত এই যুব সংগঠনটিকে। এই যুব সংগঠনটি ছিল আওয়ামী লীগের মাঠে শক্তির প্রধান উৎস। এমনকী সংকটকালেও যুবলীগ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিল।
আরো পড়ুন...সহিংসতায় নিহত পরিবারের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশের অর্জন ধ্বংস করার পাঁয়তারা করেছে।
আরো পড়ুন...আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। তারা সারি সারি লাশের ওপর দাড়িয়ে ক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিল।
আরো পড়ুন...সাম্প্রতিক কালে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র সফলভাবে দমন করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিশেষ করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ক্ষয়ক্ষতির দগ্ধ স্মৃতি বহন করে আছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছে এবং সরকার পতনের যে নীলনকশা তা বাস্তবায়ন হতে দেয়নি—এটা যেমন সত্যি সেরকমই সত্যি হলো পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। সামনের দিনগুলোতে আওয়ামী লীগকে অনেকগুলো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে এবং এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করেই টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় থাকা দলটিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আরো পড়ুন...