ইনসাইড থট


কর ফাঁকি দেয়ার সংস্কৃতির প্রবর্তক ড. ইউনূস

নিয়মিত কর দেয়া বা কর ফাঁকি না দেয়ার দিক থেকে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের মানসিকতা। কর দেয়ার মত মানসিকতা আমাদের মধ্যে এখনও গড়ে উঠেনি। আরেকটি কারণ হলো যাদের মাধ্যমে আমরা কর প্রদান করি তারা আমাদের বুঝায় যে, কিভাবে কর ফাঁকি দেয়া যায় বা কর কম দেয়া যায়। আর এর সাথে তো দুর্নীতির বিষয়টি জড়িত আছেই। সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ড. ইউনূস কর ফাঁকির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং তাকে কর পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অথচ তিনি একজন শান্তিতে নোবেলজয়ী। সুতরাং এটা পরিষ্কার যে, ড. ইউনূসের মত আরও রাঘববোয়াল কর ফাঁকি দিয়েছেন এটা নিশ্চিত।

আরো পড়ুন...
দ্য শেখ হাসিনা এন্ড দ্য উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট

আজ ৮ মার্চ ২০২৪ সাল। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও নারী দিবস পালন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নারী জাগরণে যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন, নারীদেরকে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে এসেছেন তারা আজ ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন। তারা মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। আজ নারী দিবসে আমি এমনই একজন নারীর কথা উল্লেখ করতে চাই। আর তিনি হলেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। দার্শনিক শেখ হাসিনা নারীদের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্র যেভাবে প্রশস্ত করেছেন আমার মনে হয় এটা বিশ্বে আর কেউ করতে পারেননি। বিশ্বে এমন উদাহরণ পাওয়া দুষ্কর। তিনি সেটা করতে পেরেছেন কারণ তিনি দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশ পরিচালনা করছেন। যার জন্য আজ তিনি সারা বিশ্বে ব্রান্ডিং হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

আরো পড়ুন...
সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে ৭ই মার্চের ভাষণ

যেসব সাফল্য গাঁথা ইতিহাসের পাতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অনন্য উচ্চতায় ঠাই করে দিয়েছে, তার অন্যতম ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকাস্থ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সরোয়ারদী উদ্যানে) প্রদত্ত এক অনবদ্য ও ঐতিহাসিক ভাষণ। ইতিহাসের গতি পাল্টে দেয়া সেই ভাষণে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, স্বায়ত্ব শাসন, রাজনীত, অর্থনীতি ও কূটনীতিসহ নানা বিষয় ঠাঁই পেয়েছিল। এসব বিষয় নিয়ে বহুমাত্রিক গবেষণা, বিশ্লেষণ ও আলোচনা হয়েছে, যা আজও বহমান এবং ভবিষ্যতেও হতে থাকবে। তবে সেই অসাধারণ ভাষণের সামরিক গুরুত্ব খুব একটা আলোচনায় আসেনি। অথচ সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষণটির কিছু অংশ বিশ্লেষণ করলেই বঙ্গবন্ধুর মাঝে একজন পরিপক্ক সমর দার্শনিক ও সামরিক নেতার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন...
মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট এবং কিছু অনাকাঙ্খিত অভিজ্ঞতা

ওপরের কথাগুলো কোন ধাঁধাঁ নয়। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে কথাগুলো বলেছিলেন নেপালের প্রাক্তন পরিবেশ সচিব ড. শীতল বাবু রিগমি। আমি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে ২০০৯-২০১০ সালে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ড. শীতল বাবু রিগমির সাথে একাধিকবার দেখা হয়। ভদ্রলোক কোলকাতায় পড়াশুনা করেছেন। কাজেই ভালোই বাংলা জানেন। কনফারেন্সের ফাঁকে সুযোগ পেলেই তিনি আমাদের সাথে কথা বলতে আসতেন।

আরো পড়ুন...
বিএসএমএমইউ'র নতুন উপাচার্য: চ্যালেঞ্জ ও আমাদের প্রত্যাশা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন দেশের প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক। যিনি এর আগে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ছিলেন এবং তার সময়ে অন্ধত্ব নির্বারণের অনেকগুলো মৌলিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই সাথে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটা এখনও চলমান রয়েছে। আন্তর্জাতিক ভাবে ডা. দ্বীন মোহাম্মদ এটা করতে সক্ষম হয়েছেন। এরপর তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। সেখানেও তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন।

আরো পড়ুন...

সামন্ত লাল-রোকেয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজাতে সক্ষম

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সত্যিকারের নতুন যাত্রা শুরু হল। প্রথমে ডা. সামন্ত লাল সেন টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেছিলেন পরবর্তীতে ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করলেন। এই দুজনের অতীত ব্যক্তিগত ভাবে আমার জানা। তারা অন্তত সৎ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে তারা ঢেলে সাজাতে সক্ষম। তবে ডা. সামন্ত লাল সেনের তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি তার সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে ভালো করে নিজস্ব ধারণা থাকা সম্ভব নয়। তিনি ১০ বেড থেকে ৫০০ বেডের বিরাট শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট করেছেন। এটা একটা বিরাট সাফল্য। বার্ন চিকিৎসা বাংলাদেশে উপেক্ষিত ছিল। বলা যায় ডা. সামন্ত লাল সেন এই চিকিৎসার জনক। এটা বাংলাদেশের চিকিৎসার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ইতিহাসের একটি অংশ। এটা অস্বীকার করা যাবে না। তার সততা এবং তার কর্ম ক্ষমতা দেখেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়গুলো বুঝা শুরু করেছেন।

আরো পড়ুন...
জান্তা সরকার নাকি আরাকান আর্মি, কাকে সমর্থন করবে বাংলাদেশ?

মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ নতুন মোড় নিয়েছে গত বছর। দেশটির জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একজোট হয়েছে। তিনটি বৃহৎ সশস্ত্র সংগঠন- মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (MNDAA), তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (TNLA), এবং আরাকান আর্মি (AA) একত্র হয়ে তৈরি করেছে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। গত বছরের ২৭ অক্টোবর মিয়ানমার সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অপারেশন ১০২৭ শুরু করে এই সম্মিলিত জোট।

আরো পড়ুন...
ইফতার পার্টি না করতে শেখ হাসিনার নির্দেশ: নেপথ্যে দার্শনিক ভিত্তি

রমজান মাস হলো সংযমের মাস। সংযম হিসেবেই আমরা রোজা রাখবো আর ইফতারের নামে ইফতার বিলাশ করবো এটা একটা আরেকটার সাথে বিশেষ করে বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক বিচারে মানায় না। সম্প্রতি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বড় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। কি জন্য বারবার তাকে দার্শনিক বলি এটাই হচ্ছে তার বড় প্রমাণ। তিনি দেখলেন যে, যদি ইফতার বিলাশ বন্ধ না করা যায় তাহলে দুটি দিক ক্ষতি হবে। একটি হচ্ছে রোজার মাসে যে সংযম করার কথা সেটা হবে না। অন্যটি হলো ইফতার বিলাশের আড়ালে অপচয় হবে। ইফতার পার্টি না করলে অপচয় রোধ হবে। এই অপচয়কে রোধ করতে না পারলে সমস্ত জিনিসের দাম বাড়বে। আপাতত দৃষ্টিতে দার্শনিক শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তটিকে ছোট মনে হলেও এর বিশাল একটা দার্শনিক ভিত্তি আছে।

আরো পড়ুন...
পিলখানা ট্র্যাজেডি ও শেখ হাসিনার নেতৃত্ব

আজ থেকে ১৫ বছর আগে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি (২০০৯) বিডিআর সদর দফতর পিলখানায় ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। এটি ছিল জাতির জীবনের অন্যতম কলঙ্কিত অধ্যায়। সেসময় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দৃঢ় ও সাহসী ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ কঠিন সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃসহ অত্যাচার, অনাচার এবং দুর্নীতির প্রেক্ষাপটে দেশের মানুষ নিজের অধিকার আদায়ের জন্য নিরপেক্ষ-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সর্বজন প্রশংসিত নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৯ সালে মহাজোটকে দেশ পরিচালনার ম্যান্ডেট দেয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করার মাত্র ৪৭ দিনের মাথায় পিলখানার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ওই বীভৎস ঘটনায় সর্বমোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। যার মধ্যে ৫৭ জন ছিলেন দেশের মেধাবী সেনা কর্মকর্তা। এটি সহজে অনুমান করা যায় যে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী অপশক্তি নতুন সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্যই এ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল।

আরো পড়ুন...
সিডেশনে মৃত্যু : করণীয় কি?

সুন্নতি খৎনা ও এন্ডোস্কোপি করতে যেয়ে গত দেড় মাসে খোদ ঢাকা শহরে মারা গেছে তিনজন। অনেকে বলছেন, খৎনায় মৃত্যু, এন্ডোস্কোপিতে মৃত্যু, গ্যাপ কোথায়? এ ব্যাপারে আমার মতামত হচ্ছে, হাসপাতাল গুলোতে সিডেশন গাইডলাইন না থাকাটাই একটি বড় গ্যাপ।

আরো পড়ুন...
'কুই' ভাষা কই?

দেশে মাত্র চারজন বয়স্ক লোক এখন 'কুই' ভাষায় কথা বলে। এদের মৃত্যুর সাথে সাথে দেশ থেকে এ ভাষার মৃত্যু হবে। মার্তৃভাষার দাবিতে যে দেশের সূর্যসন্তানেরা আত্মাহুতি দিয়েছেন, সে দেশে অযত্ন, অবহেলায় একটি ভাষার মৃত্যু কোন ভাবে মেনে নেয়া যায় না।

আরো পড়ুন...
আমাদের নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই

আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে নিবেদিতপ্রাণ ও একজন সৎ ব্যক্তিকে বেছে নিয়েছেন। আমরা সকল জনস্বাস্থ্য পেশাদার এবং সহায়তা গোষ্ঠী আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাই এবং আসুন আমরা কোনো স্বার্থ ছাড়াই সকল প্রকার সহায়তার হাত বাড়াই। কয়েক দশক ধরে বড় সাফল্যের সাথে বাংলাদেশে একটি চিত্তাকর্ষক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে – স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলি এখন মাঠ পথের সম্প্রদায় থেকে সর্বোচ্চ স্তরের এমনকি তৃতীয় স্তর পর্যন্ত সকলের জন্য আজ উপভোগ করা সম্ভব। সরকারি, অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা এবং ক্রমবর্ধমান বেসরকারি সব খাতই আজ বাংলাদেশের জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা উপলব্ধ করতে অবদান রাখছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, ক্রয়ক্ষমতা এবং মান উন্নত হওয়ার সাথে সাথে, আজ (২০২০ সালের পরিসংখ্যান), বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী গড় ব্যক্তি ৭২ বছরেরও বেশি বয়সে বেঁচে থাকার আশা করতে পারেন, যা ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি - এই ক্রমবর্ধমান আয়ুর একক সূচক বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য উন্নত মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার প্রমাণ প্রদান করে।

আরো পড়ুন...
বঙ্গবন্ধুর ২১ শে ফেব্রুয়ারি

২১ ফেব্রুয়ারির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম নিবিড়ভাবে জড়িত, সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সঙ্গেও।১৯৫৬, ১৯৬২ এবং ১৯৭২ সালের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা দিয়ে গেছেন তিনি।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে মাতৃভাষা বাংলায় বক্তৃতা করেছিলেন ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনের সেই দিনটি ছিল বুধবার।আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওই ঘটনা সদ্য স্বাধীন একটি দেশের মর্যাদাকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করে বাংলাতেই একযুগ ধরে ভাষণ দিচ্ছেন।উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য রাষ্ট্ররূপে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।এটি শোনার পর বঙ্গবন্ধু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘আমি সুখী হয়েছি যে, বাংলাদেশ জাতিসংঘে তার ন্যায্য আসন লাভ করেছে।

আরো পড়ুন...
‘প্রয়োজনে শেষ বয়সে এসেও যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত আছি’

দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক যতদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন এবং দেশ পরিচালনা করছেন, ততদিন বাংলাদেশে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার সম্পূর্ণভাবে আছে। এটা বাংলাদেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষের অধিকাংশের ধারণা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতাও তা-ই বলে। অল্প কিছু মানুষের কাছে এটা বিশ্বাসযোগ্য না। তারা এর বিপরীত কথা বলেন। এরা কারা? এরা হচ্ছেন বুদ্ধিজীবী। আরও পরিষ্কারভাবে বলার সময় এসেছে। এরা হচ্ছে ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো কর্তৃক তৈরি বুদ্ধিজীবী। কারণ উদাহরণ হিসেবে একটা আর্টিকেল পরে দেখলাম। আনু মুহাম্মদ একজন ভাল ইকনমিস্ট এবং দেশের জন্য খুব চিন্তা করেন। তার ব্যবহার খুবই ভাল। অনেকদিন আগে বিবিসি বাংলা সার্ভিসে আমি তার সাথে আলাপ করেছিলাম। সে জায়গায় আমি খুব কঠিন একটি কথা বলেছিলাম। যখন পরিচালক বললেন যে, এই আনু মুহাম্মদ একজন ইকনমিস্ট এবং এই ব্যাপারে জানেন।

আরো পড়ুন...
শাহজালালে ঘুরে বেড়াচ্ছে সুরত মিয়ার আত্মা

ব্যক্তিগত কাজে কয়েকদিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলাম। দুবাই বিমানবন্দরে ফ্লাইটের অপেক্ষা করছি। সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ ঘরে ফিরছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে। আমাকে দেখে অনেকে এগিয়ে এলেন। কথা বললেন। ছবি তুললেন কেউ কেউ। তারা ভালো আছেন কি না জানতে চাইলাম। সবাই মাথা নাড়লেন। তারপর একজন বললেন, ভাই বাহরাইন থেকে এসেছি। ভয়ে থাকি দেশে ফেরার সময়। জানতে চাইলাম কীসের ভয়? কার ভয়? সবই তো ঠিক আছে। সমস্যা হলে জানাবেন।

আরো পড়ুন...
‘ড. ইউনূসের বিষয়গুলো স্বচ্ছতায় আনতে হবে’

শান্তিতে নোবেল প্রাইজ বিজয়ী ড. ইউনুস বিশ্বে খুবই পরিচিত এবং অধিকাংশ লোকের কাছে শুধু সম্মানিত না একজন প্রিয় ব্যক্তিও বটে। অথচ তিনি বাংলাদেশের সিটিজেন হলেও আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে চলেছেন। যেহেতু তিনি বাংলাদেশের এখনও একজন সিটিজেন, এই কারণে তাকে বাংলাদেশের আইনে যেকোনো বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে, কোনও বিচারের আশা করলে বাংলাদেশের কোর্টে যাওয়া উচিত। তিনি অবশ্য তার যে কোনও প্রয়োজন থাকলে বাংলাদেশের কোর্টে যান। যেমন সরকার যখন তাকে একটি সরকারি ব্যাংকের এমডির পদে বয়স পার হয়ে যাওয়ায় তাকে সরিয়ে দেন, তিনিও আইনের আশ্রয় নেন। এদেশের কোর্ট তাকে চেয়ারম্যান থাকতে আর এমডি থাকতে পারেন না বলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন।

আরো পড়ুন...
বিদেশী সিঙ্গারা, দেশি পাউরুটি ও একটি দোকান

পনেরো বছর আগে যখন প্রবাসী হই, তখন এক সিঙ্গাপুর বা ব্রুনাই ডলারে পাওয়া যেত ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ব্রুনাইতে তখন একটি সিঙ্গারা পাওয়া যেত ৫০ সেন্টে। মানে একটি সিঙ্গারার দাম দাঁড়ায় প্রায় ২৫ টাকা। দেশে তখন একটি সিঙ্গারার দাম দু টাকা। দু একটি দামি রেস্তোরায় দাম বোধ করি পাঁচ টাকা ছিল। দেশের তুলনায় এত দাম দেখে প্রায় ছ'মাস কোন সিঙ্গারা খাইনি। অথচ দেশে থাকতে সিঙ্গারা ছিল অপারেশনের বিরতিতে আমাদের প্রধান খাদ্য। বলাবাহুল্য, এবার দেশে যেয়ে প্যারাসিটামল এর চেয়ে দশগুন বড় আকৃতির একটি সিঙ্গারা খেয়ে এলাম ৫ টাকা দামে। অবশ্য, ব্রুনাইতে এখন একটি সিঙ্গারার দাম ৯০ থেকে ৯৫ টাকা ।

আরো পড়ুন...