উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। শুধু কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেই তিনি ক্ষান্ত হননি। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করারও শাস্তিমূলক হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। আর এ কারণে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একের পর এক বৈঠক করছেন এবং মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যাতে উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেন সে জন্য সতর্ক বার্তা ঘোষণা করছেন।
আরো পড়ুন...একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে ধ্বংসের সহজ উপায় কি? এক কথায় এর উত্তর হলো রাজনীতি শূণ্য করা। গণতন্ত্রে রাজনীতি হলো রক্ত সঞ্চালনের মতো। একটি দেহে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ বন্ধ হলে, মৃত্যু অনিবার্য। তেমনি গণতন্ত্রের মৃত্যু হয় বিরাজনীতিকরণে। বাংলাদেশে বিরাজনীতিকরণে চেষ্টা চলছে বহুদিন থেকে। কিন্তু এখন সবাই মিলে আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশকে রাজনীতিহীন করার উৎসবে মেতেছে। রাজনীতি হত্যার উৎসব চলছে দেশে। দেশে এখন কোন রাজনীতি নেই। রাজনৈতিক কর্মসূচী নিয়ে জনগণের হৃদয় জয়ের চেষ্টা নেই। আছে শুধু ‘ব্লেইম গেম’। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির পাল্টাপাল্টি গালাগালি। কুৎসিত, কদর্য কথার খিস্তি।
আরো পড়ুন...দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে শেষ পর্যন্ত যদি স্বজনদেরকে প্রার্থী করেন তাহলে দলের পদ হারাতে পারেন আওয়ামী লীগের দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এ রকম বার্তা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে দলে বিশৃঙ্খলা এবং ভাই, ভাতিজা, শ্যালক, মামাদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী করার তীব্র সমালোচনা করেন। এ ব্যাপারে তিনি কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেন।
আরো পড়ুন...ইরান-ইসরায়েল ইস্যু ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইরান যে কোন সময় ইসরায়েল হামলা করতে পারে। এমন একটি পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব উৎকণ্ঠিত। এক অস্থির যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো জানিয়েছে, ইরানের আক্রমণের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের ভূখণ্ড তারা ব্যবহার করতে দেবে না। সব কিছু মিলিয়ে একটি বিভাজন এবং বৈরি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে অবাক করার ব্যাপার হলো এই বৈরি পরিবেশে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন উদার নৈতিক নেতা নেই যিনি এই পরিস্থিতিতে সকল পক্ষকে আস্থায় নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আর এরকম শূন্যতার মধ্যে শেখ হাসিনাই হতে পারেন আলোকবর্তিকা।
আরো পড়ুন...আওয়ামী লীগে নীরবে নিভৃতে পালাবদল ঘটছে। এক সময় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা মানে ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী। এখন তাদের অধ্যায় আস্তে আস্তে যবনিকা ঘটেছে। শারীরিক ভাবে তারা অনেকেই অসুস্থ। অনেকে এখন রাজনীতিতে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে গেছেন। বরং একটি নতুন প্রজন্মকে আওয়ামী লীগ সভাপতি সামনে নিয়ে আসছেন। তাদেরকে নীতি নির্ধারক হিসেবে জায়গা করে দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের এই পালাবদলটি শেখ হাসিনার দূরদর্শী রাজনীতির একটি অংশ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
আরো পড়ুন...বাংলাদেশে এখন সংবাদপত্রের লোডশেডিং চলছে। গত বুধবার থেকে সংবাদপত্র বের হচ্ছে না। টানা ৬ দিন সংবাদপত্র বন্ধের বিশ্ব রেকর্ড করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। না কোন প্রতিবাদে নয়, দাবী আদায়ের জন্য নয়। ছুটির ফাঁদে সংবাদপত্র বন্ধ আছে। সংবাদপত্রকে বলা হয় জরুরী সেবা। চিকিৎসক, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা যেমন জরুরী সেবা দেন, তেমনি সংবাদকর্মীদের কাজও হলো দেশের মানুষকে সার্বক্ষণিকভাবে সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দেয়া। বিশেষ করে ছুটির সময় এটার প্রয়োজন আরো বেশী। এবার দেশে একটা দীর্ঘ ছুটি। এসময় সংবাদপত্র অনেক জরুরী। আচ্ছা ভাবুন তো, ছয়দিন যদি হাসপাতালে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হতো, কিংবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি বলতো ছয়দিন তারা দায়িত্ব পালন করবে না। তাহলে কি হতো? আমিতো মনে করি, সংবাদপত্র বন্ধ রাখার বিষয়টিও তেমনি আঁতকে ওঠার মতো। কিন্তু সংবাদপত্রের মালিকদের এনিয়ে বিকার নেই।
আরো পড়ুন...প্রথম তিন মাস বর্তমান সরকারের জন্য ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করার ফলে এই নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয়, নির্বাচনের পর কী ধরনের প্রভাব এবং প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় সেটি ছিল সকলের কাছে একটি দেখার বিষয়। তবে সরকার প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট গুলোকে ভালোভাবেই মোকাবেলা করতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত সরকারের চেষ্টা নিয়ে সাধারণ মানুষের কোন রকম অভিযোগ নেই।
আরো পড়ুন...তোফায়েল আহমেদ কি রাজনীতিতে এক অস্তমিত সূর্য? তিনি কি নিভে যাচ্ছেন? বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে তিনি কি নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে অবসরে চলে যাচ্ছেন—এমন প্রশ্নগুলো এখন খুব বড় করে সামনে এসেছে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে যারা তোফায়েল আহমেদকে দেখেছেন তারা আগের তোফায়েল আহমেদের ছায়াকেও দেখতে পারেননি। যে তোফায়েল আহমেদ ছিল সরব, যার ভরাট কণ্ঠস্বরে জাতীয় সংসদ প্রকম্পিত হত, যিনি সবসময় সবাইকে চমকে দিতেন বিভিন্ন দিন তারিখের হিসেব মুখস্থ বলে দিয়ে, যার সবসময় শত শত টেলিফোন নম্বর, বাড়ির ঠিকানা মুখস্থ থাকত, যা স্মৃতিশক্তি নিয়ে সকলে প্রশংসা করত, রাজনীতিতে যিনি একজন যুবরাজের মত পদচারণা করতেন, নানা রকম বিতর্কের পরও তিনি স্বমহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন সেই তোফায়েল আহমেদ এখন কোথায়?
আরো পড়ুন...স্বাধীনতার মাসে জামায়াতে ইসলামী ঢাকার এক পাঁচতারকা হোটেলে জমকালো ইফতার পার্টির আয়োজন করে। ৮ বছর পর গত ৩০ মার্চ ঢাকার প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এই আয়োজন করেছিল জামায়াত। এই ইফতার পার্টিতে স্থায়ী কমিটির দুই সদস্যসহ ১৮ জন বিএনপি নেতা যোগ দেন। এই ইফতার পার্টির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দলটি তাদের অস্তিত্ব নতুন করে জানান দিল। সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের দৃশ্যমান তৎপরতা কারও নজর এড়ায়নি। নির্বাচনের আগে থেকেই জামায়াত গুহা থেকে বের হতে শুরু করে। গত বছর জামায়াত দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্য সমাবেশ করে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কর্মিসভার আদলে এই সমাবেশের মাধ্যমে জামায়াত রাজনীতিতে নতুন করে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করে। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দল জামায়াত দীর্ঘদিন পর মূলধারার রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন শুরু করে। ইদানীং জামায়াত বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা-বিবৃতিও দিচ্ছে।
আরো পড়ুন...অবশেষে সরকারের একটি পদ আমলাদের দখলমুক্ত হল। এই পদটি দীর্ঘদিন প্রকৌশলীদের ছিল। সাম্প্রতিককালে প্রকৌশলীদের হটিয়ে আমলারা এই পদ দখল করেছিলেন। অবশেষে এটি আবার আমলাদের কর্তৃত্ব থেকে কর্তৃত্ব মুক্ত করা হল।
আরো পড়ুন...কথা সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর একটি অসামান্য গ্রন্থ ‘দেশে-বিদেশে’। বলা হয়ে থাকে বাংলা সাহিত্যে এটি প্রথম সার্থক ভ্রমণ কাহিনী। ‘দেশে-বিদেশে’ গ্রন্থে একটি উক্তি অমরত্ব পেয়েছে। এখনও বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এই উক্তিটি বহুল চর্চিত। উক্তিটি হলো-‘কুইনাইন জ্বর সারাবে বটে, কিন্তু কুইনাইন সারাবে কে?’ ম্যালেরিয়া জ্বর নিরাময়ে কুইনাইন বেশ কার্যকর দাওয়াই। কিন্তু কুইনাইনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শরীরকে দুর্বল করে, মুখের স্বাদ নষ্ট করে দেয়। কুইনাইন খেয়ে জ্বর সারলেও তা নতুন এক অসুস্থতা এবং অস্বস্তি তৈরী করে। এই উক্তিটির সঙ্গে এখন আওয়ামী লীগের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। দলকে বিভক্ত করে আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনী কৌশল নিয়েছিল, সেটি এখন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সমস্যা।
আরো পড়ুন...আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক গত মেয়াদে তিনি ছিলেন দলের অন্যতম ক্ষমতাবান ব্যক্তি। একদিকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অন্যদিকে তিনি কৃষিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের আগে আগে নানা বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে তিনি মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। এ বার তিনি মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। প্রেসিডিয়ামেও তিনি কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন। রাজনীতিতেও তিনি নানা রকম চাপের মধ্যে রয়েছেন। সব কিছু মিলিয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক এখন রাজনীতিতে একটি সংকটের সময় কাটাচ্ছেন।
আরো পড়ুন...টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। চতুর্থবার সরকার গঠন করার পর আওয়ামী লীগের বন্ধুর অভাব নেই। আন্তর্জাতিক মহলেও দলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিযোগিতা চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে জাপান, রাশিয়া থেকে শুরু করে ইউক্রেন সকলেই এখন বাংলাদেশের বন্ধু হতে চায়। এর একটি বড় কারণ হলো ভূরাজনৈতিক অবস্থান এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নতি।
আরো পড়ুন...বাংলাদেশ এখন কারা চালাচ্ছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই হয়তো নানা ধরনের মত দেবেন। কেউ বলবেন, এটা আবার কোন ধরনের প্রশ্ন? আওয়ামী লীগই দেশ চালাচ্ছে গত ১৫ বছর ধরে। সামনের পাঁচ বছর আওয়ামী লীগই দেশ চালাবে। আওয়ামীবিরোধী গোষ্ঠীরা বলবে, বিদেশি প্রভুরা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখেছে। আসলে দেশ চালাচ্ছে তারাই। ক্ষমতাহীন রাজনীতিবিদরা বলবেন, দেশ চালাচ্ছেন আমলারা। তাদের হাতেই সব কলকাঠি। মন্ত্রী, এমপিরাই সব অলংকার। আর আমলারা বলবেন, দেশ চালাচ্ছেন চুক্তিতে থাকা এক ডজন আমলা। একটা সিন্ডিকেট। প্রশাসনের সব শীর্ষ পদ এই চুক্তিভিত্তিক আমলারা দখল করেছেন, তারাই দেশ চালান এখন।
আরো পড়ুন...রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র কাওরান বাজারে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল সরকারি মালিকানাধীন একটি হোটেল, যে হোটেলটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত এবং প্যান প্যাসিফিক হোটেলস এন্ড রিসোর্ট এটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। এই হোটেলের যে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে, সেই পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন মোহাম্মদ মোকাম্মেল হোসেন। যিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব। এছাড়াও এই পরিচালনা পরিষদে আছেন এনবিআর-এর চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অর্থ সচিবসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তারা। অর্থাৎ সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং সরকারের মালিকানাধীন এই হোটেলটি।
আরো পড়ুন...আওয়ামী লীগ বিএনপির বাইরে রাজনীতিতে একটি তৃতীয় শক্তি উত্থানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছে পশ্চিমা দেশগুলো এবং বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একাংশ। বিভিন্ন সময় থেমে থেমে এই প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। নির্বাচনের আগে আগে এই ধরনের উদ্যোগ বেশি লক্ষ্য করা যায়।
আরো পড়ুন...‘ইন্ডিয়া আউট’ কর্মসূচী প্রথম শুরু হয়েছিল ২০২১ সালে মালদ্বীপে। মালের সাবেক মেয়র এবং তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা মোহাম্মদ মুইজ্জু এই কর্মসূচীর প্রবক্তা। মুইজ্জুর ‘ভারত বিরোধীতা’ তার মালদ্বীপের প্রতি ভালবাসা থেকে উৎসারিত নয়। দেশপ্রেম থেকেও মুইজ্জু এরকম ঘোষণা দেননি। এর পেছনে ছিলো ক্ষমতায় যাওয়ার কৌশল। মূলত চীনের পৃষ্ঠপোষকতায় মোহাম্মদ মুইজ্জু ‘ইন্ডিয়া আউট’ কর্মসূচী বাজারজাত করেছেন। নির্বাচনে তার জয়ের পিছনে ছিলো সরাসরি চীনের পৃষ্ঠপোষকতা। মালদ্বীপে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে চীন এবং ভারতের লড়াই বেশ পুরনো। সাম্প্রতিক সময়ে এই বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভারত এবং চীনের হস্তক্ষেপে কোন রাখ ঢাক ছিলো না। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রান অফ নির্বাচনে (কোন প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণকে রান অফ বলা হয়) মালদ্বীপের ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহকে পরাজিত করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের মোহাম্মদ মুইজ্জু।
আরো পড়ুন...