এডিটর’স মাইন্ড


সংকেত কি বুঝতে পেরেছে আওয়ামী লীগ

অবশেষে কারফিউ জারি করা হলো। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামানো হলো সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার ঢাকা সহ সারাদেশে যে তান্ডব হয়েছে তার প্রেক্ষিতে সরকারের সামনে কোন বিকল্প ছিলো না। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির এই আন্দোলন ছিনতাই করে। যেভাবে সরকারী স্থাপনা গুলো আক্রমণ করা হয়েছে, জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে তা মধ্য যুগীয় পৈশাচিকতা। যারা বাংলাদেশের অস্তীত্ব বিশ্বাস করেনা, এদেশের অগ্রযাত্রায় যারা ঈর্ষান্বিত, এটি তাদের পক্ষেই করা সম্ভব। এটা কোন আন্দোলন না রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। এটি কঠোর ভাবে দমন করতেই হবে। কিন্তু পরিস্থিতি এমনটি হবার কথা ছিলো না। কেন এমন সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো?

আরো পড়ুন...
এই তাণ্ডবের ‘গড ফাদার’ কে?

১৭ জুলাই থেকে দেশে যা হয়েছে তা কোনো আন্দোলন না। এ ঘটনাকে এক কথায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করা যায়। আমি মনে করি, এটি উন্নয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ধ্বংসস্তূপে ঢেকে দেওয়ার পরিকল্পিত সন্ত্রাস। কোনো শিক্ষার্থী তো নয়ই, ন্যূনতম বিবেকবান মানুষের পক্ষে এ ধরনের বীভৎসতা ঘটানো সম্ভব নয়। যারা এটা করেছে তাদের লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশকে ধ্বংস করা। প্রশ্ন হলো, কারা এটা করতে চায়? এটি কি শুধু স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গি এবং বিএনপির নাশকতা? আমি অন্তত তা মনে করি না। বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-ছাত্রশিবির, জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো অবশ্যই এই জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু হুট করে তারা এত ক্ষমতাবান কীভাবে হলো? কোথায় এত টাকা-পয়সা, অস্ত্রশস্ত্র পেল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে নির্মোহভাবে। আর সে কারণেই এ আন্দোলনের শুরু থেকে এর গতি প্রবাহ এবং সময়কাল বিশ্লেষণ জরুরি।

আরো পড়ুন...
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার এবং দুঃসময়ের যোদ্ধারা

১৬ জুলাই আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি দিন। ২০০৭ সালের এই দিনে মিথ্যা-ভিত্তিহীন মামলায় শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ধানমন্ডির ‘সুধা সদন’ থেকে। বাংলাদেশে বিরাজনীতিকরণ বাস্তবায়নের জন্য এবং গণতন্ত্রকে চিরস্থায়ীভাবে বিদায় দেয়ার জন্যই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ এবং মইন-উ আহমেদের নেতৃত্বে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশকে ঘিরে একটি নতুন নীল নক্সা প্রণয়ন করেছিলেন। গণতন্ত্রহীন করে রাখতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন...
কেরানি হওয়ার আন্দোলনে তরুণরা

বাংলাদেশের তরুণ সমাজ এখন আন্দোলনে। গত ১ জুলাই থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়েছে। আন্দোলন এখন ঢাকা থেকে সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রধান দাবি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার। কোটা সংস্কার করা উচিত কি না বা কোটা নিয়ে বর্তমানে যে সংকট, তার সমাধান কে করবে, তা নিয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত। বর্তমান কোটাব্যবস্থা ভালো না মন্দ, তা নিয়েও বিতর্ক আছে। কোটা বিতর্কে বুঁদ হয়ে আছে দেশ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, বন্যাদুর্গত মানুষের আহাজারি—সবকিছু ছাপিয়ে কোটা সংস্কার এখন জাতির সামনে সবচেয়ে বড় ইস্যু।

আরো পড়ুন...
সরকারের প্রথম ছয় মাস: স্বস্তির চেয়ে শঙ্কা বেশি

টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম ৬ মাস অতিবাহিত হলো। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। গঠন করেন নতুন মন্ত্রিসভা। সেই চতুর্থ মেয়াদের সরকারের ৬ মাস পূর্তি হয়েছে। যদিও ৬ মাস একটি সরকারের মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট সময় নয়। বরং এটি সূচনা মাত্র। তবে আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থ বারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। তাই একটি নতুন সরকার বলতে যা বোঝায় সেইরকম কোন অবস্থা আওয়ামী লীগের জন্য প্রযোজ্য নয়। টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারকে নতুন সরকার বলা যায় না। এটি ধারাবাহিকতা। সে কারণে এই সরকারের জন্য অপেক্ষাকালীন সময় নেই।

আরো পড়ুন...

কোটা আন্দোলনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা নীরব কেন?

কোটা আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের এক ধরনের নীরবতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই কথা বলেছেন। বিশেষ করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রতিদিনই তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে যে সমস্ত কথাবার্তা বলছেন তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং দায়িত্বশীল। এবং সরকারের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী। তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে চমৎকার ভাবে সার্বিক বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন। জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও কোটা আন্দোলন নিয়ে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। কিন্তু কোটা আন্দোলনের বিষয়টি শুধু সরকারের বিষয় নয়, এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়। এতে একটি রাজনীতিকরণ ঘটেছে। এবং এই রাজনীতিকরণের ফলে এর একটি রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে।

আরো পড়ুন...
সরকারের প্রথম ছয় মাসে আলোচিত ৬ মন্ত্রী

টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার তার ৬ মাস পূর্ণ করেছে আজ। এই ৬ মাসে সরকারকে নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হয়েছে অনেকগুলো সাফল্য অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ জানুয়ারী নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করেন। পরবর্তীতে তিনি আরও ৭ জন প্রতিমন্ত্রিকে নিয়ে মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণ করেন। কিন্তু এই ৬ মাসে সব মন্ত্রী একই সুরে এগোতে পারেননি। সব মন্ত্রীর সাফল্য ইতিবাচক নয়। যদিও ৬ মাস সময় একজন মন্ত্রী বা সরকারকে মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু সকালের সূর্য সারা দিনের আভাস দেয়। সেই বিবেচনায় ৬ মাসে যে সমস্ত মন্ত্রীরা স্ব-প্রতিভ, আলোচিত এবং উজ্জ্বল ছিলেন তাদেরকে নিয়েই এই প্রতিবেদন।

আরো পড়ুন...
কর্তারা করেন দুর্নীতি, দোষ হয় রাজনীতির

দুর্নীতি নিয়ে দেশে এখন তোলপাড় চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। সে যে-ই হোক, দুর্নীতি করলে কারও রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে, তাদেরই আমরা ধরব।’ প্রধানমন্ত্রীর এই অনুশাসনের পর একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, দুর্নীতির ক্ষেত্রে অতীতের সংস্কৃতি থেকে আওয়ামী লীগ সরকার বেরিয়ে আসতে চাইছে। অতীতেও আমরা লক্ষ করেছি, বড় দুর্নীতি হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। সরকারের মদদে। সব সরকারের আমলেই সরকারের ছত্রছায়ায় কিছু ব্যক্তি ভয়াবহ দুর্নীতিবাজ হয়ে উঠেছিলেন। রাষ্ট্র তাদের সহযোগিতা করেছে। কাউকে আইনের আওতায় আনা হয়নি কিংবা বিচারও হয়নি। একটি অস্বীকার করার সংস্কৃতিকে লালন করা হয়েছে। কিন্তু এবার সরকারের ভেতর যারা প্রভাবশালী, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত, সরকারের সঙ্গে যাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা সবাই জানত। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সরকার বিষয়টি অস্বীকার করেনি। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

আরো পড়ুন...
কার ‘পুতুল’ বেগম জিয়া

বেগম জিয়ার ডাক নাম ‘পুতুল’। একসময় আপোষহীন নেত্রীর খেতাব পাওয়া এই রাজনীতিবিদ এখন নিজেই যেন ‘পুতুল’ হয়ে গেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছে বিএনপি। সপ্তাহ জুড়ে বিএনপির বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচী ছিলো। শনিবার ঢাকায় সমাবেশ করেছে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। পহেলা জুলাই মহানগরগুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। আর ৩ জুলাই জেলায় জেলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এসমস্ত সমাবেশ কতটা আন্তরিক বা কতটা আত্মরক্ষার কৌশল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। বেগম জিয়া কি বিএনপির আন্দোলনের একমাত্র অস্ত্র? এই আন্দোলন করে কি বেগম জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব?

আরো পড়ুন...
কঠিন হয়ে গেল তারেকের যুক্তরাজ্যে থাকা

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় হয়েছে লেবার পার্টির। দীর্ঘ ১০ বছর পর লেবার পার্টি সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। লেবার পার্টির এই সরকার গঠনের ফলে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার যুক্তরাজ্যে থাকা কঠিন হয়ে পড়লো। লেবার পার্টি দীর্ঘদিন ধরেই তারেক জিয়ার যুক্তরাজ্যে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসছিল। রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা কোন ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে বসে রাজনীতি করতে পারে কিনা এই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে লেবার পার্টির একাধিক পার্লামেন্টইন এর পক্ষ থেকে।

আরো পড়ুন...
উপসর্গ পুরোনো, লক্ষণ ভালো নয়

বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের আগে দুর্নীতি নিয়ে হৈচৈ একটি প্রচলিত পদ্ধতি। ক্ষমতার পালাবদলের আগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে হাহাকার হয়। জনগণের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে একটি অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়। সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করার একটা চেষ্টা চলে। আন্দোলন বা ষড়যন্ত্র যেভাবেই সরকার বদল হোক, তার আগে দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য সন্ত্রাস ইত্যাদি ইস্যু বড় হয়ে সামনে আসে।

আরো পড়ুন...
ধৈর্যের পরীক্ষায় শামীম

এনামুল হক শামীম কঠিন সময়ে প্রতিকূল রাজনৈতিক বাস্তবতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ভিপি হয়েছিলেন। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন এই তরুণ ছাত্রনেতা। তিনি ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ঐতিহাসিকভাবে মনে করা হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বিকাশের সূতিকাগার হলো ছাত্রলীগ। আজ যারা ছাত্রলীগের নেতা আগামী দিনেই তারাই আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব দিবেন। এটিই বাস্তবতা। সেই ধারায় মোটামুটি আছে।

আরো পড়ুন...
অভিযান শুরু হলেই, দুর্নীতিবাজরা ‘নিখোঁজ’ হয়

ছোট বেলায় অনেকগুলো প্রবাদের সাথে আমরা পরিচিত ছিলাম। ইংরেজি অনুবাদ করার জন্য কিছু পরিচিত বাক্য দেয়া হতো। সে বাক্যগুলো ছিলো বেশ মজার। ছোট বেলার দুষ্টুমি ভরা অবসরে সে বাক্যগুলো নিয়ে নানারকম চর্চা হতো। ‘ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেল’ এমন বাংলার ইংরেজি কি হবে তা নিয়ে শিক্ষকের কানমলা খায়নি এমন বালক খুবই কমই ছিলো আমাদের সময়। সেসময় বিভিন্ন প্রবাদের সঙ্গেও আমাদের পরিচিত ঘটেছিল। প্রবাদগুলোর মধ্যে আজ একটি বেশ মনে পড়ছে। প্রবাদটি হলো ‘চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে’। তবে, এখন যদি কেউ প্রবাদ-প্রবচন লেখেন তাহলে লিখতে পারেন ‘অভিযান শুরু হলেই দুর্নীতিবাজরা নিখোঁজ হয়।’

আরো পড়ুন...
লিটন কেন বিতর্কে?

খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র‌। তার চেয়েও বড় পরিচয় হলো তিনি জাতীয় ৪ নেতার অন্যতম এ এইচ এম কামরুজ্জামানের সন্তান।

আরো পড়ুন...
চীন কি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও জড়াচ্ছে?

আগামী ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন। নানা কারণে এই চীন সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যতিক্রমী একটি রাষ্ট্র, যারা চীন এবং ভারতের সঙ্গে সমান্তরালভাবে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। গত এক যুগে দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্কের পরিধি উত্তরোত্তর বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন যে, সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও সাথে বৈরিতা নয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির এই মৌলিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই বাংলাদেশ সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করার নীতিতে অটল রয়েছে।

আরো পড়ুন...
আমলাদের দুর্নীতি কেন হিসেবের বাইরে?

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ফিরিস্তি প্রকাশিত হচ্ছে, তাদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের বিবরণ দেখিয়ে জনগণ শীর্ষে উঠছে। সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ, এনবিআরের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দুর্নীতির বিবরণে মানুষ হতবাক। তাদের যে অঢেল সম্পদ রয়েছে সেই সম্পদের হিসেব কষতে কষতে মানুষ যেন অঙ্কই ভুলে গেছে। এরকম বাস্তবতায় প্রশ্ন উঠেছে যে, সরকারি কর্মচারী বা সরকারি চাকরি কি তাহলে সোনার হরিণ? সরকারি চাকরি পেলেই কি তাহলে আলাদিনের চেরাগ পাওয়া যায়?

আরো পড়ুন...
আবার চুক্তির হিড়িক: প্রশাসনে অস্বস্তি

টানা চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সংস্কৃতি থেকে সরে এসেছিল। বেশ কয়েক জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অবসরের পর তাদের স্থলে নতুন সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সংস্কৃতিতে ফিরে গেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। চলতি মাসে অন্তত দুটি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। আরেকটি প্রজ্ঞাপন খুব শিগগিরই জারি হবে বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন...