ইনসাইড এডুকেশন

উপাচার্য বৃত্তান্ত!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২০


Thumbnail

মাহমুদ হুসাইন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম উপাচার্য ছিলেন তিনি। এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের মধ্যে তিনিই প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার ভাই শিক্ষাবিদ ড.জাকির হুসাইন ছিলেন ভারতের প্রথম মুসলিম রাষ্ট্রপতি। মাহমুদ হুসাইন উপাচার্য থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ছিল। পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর উপাচার্যকে চিঠি দিলেন। চিঠিতে উপাচার্যকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা দিতে বলেন। কিন্তু মাহমুদ হুসাইন গভর্নরের চিঠির কড়া জবাব দিয়েছিলেন। পাল্টা চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, আমি থানার ওসি নই যে, আপনার হুকুম তামিল করব। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। তিনি শুধু তালিকা দিতেই অপরাগতা প্রকাশ করেননি, বরং দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাকিস্তান সরকার উপাচার্যের অনুমতি ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। আর এর প্রতিবাদে মাহমুদ হুসাইনও উপাচার্যয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন।

১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ঘটনা। তৎকালীন উপাচার্য আবু সাঈদ চৌধুরী জেনেভায় বসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু সংবাদ শুনেছিলেন। এটা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর আগের ঘটনা। আর এই ঘটনার পর ২৫শে মার্চ দূতাবাসের মাধ্যমে পাকিস্তান প্রাদেশিক শিক্ষা সচিবের কাছে একটিপত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি। পত্রে তিনি লিখেছিলেন, নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর পর আমার ভাইস চ্যান্সেলর থাকার কোন যুক্তিসংগত কারণ নেই। তাই আমি পদত্যাগ করলাম।

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বা একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কেমন হয় বা হতে পারে, তার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। এখানে কেবল দু’জনের কথা উল্লেখ করলাম। একজন উপাচার্যের যোগ্যতা বা আচরণ কেমন হতে পারে তা নিয়ে বঙ্গবন্ধু একটি সুন্দর কথা বলেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ’৭৩ এর অধ্যাদেশ করার জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছে গেলে তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকদের জন্য আবার কিসের আইন? শিক্ষকরা চলবে বিবেক দিয়ে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কথার প্রতিফলন হয়তো আইন তৈরি পরও হতে পারত। বিবেক আর নৈতিকতা দিয়ে ব্যক্তিত্বের অনন্য নজির স্থাপন করতে পারত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। যাদের ছাত্ররা অনুসরণ করতে পারত, আদর্শ হিসেবে মানতে পারত। কিন্তু এমনটা প্রত্যাশা কড়া যেন অরণ্যে রোদন করার সমান।

শুধু উন্নত বিশ্বে নয়, বাংলাদেশেও একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হতো একাডেমিক যোগ্যতা ও ব্যক্তিত্ববোধ দেখে। কিন্তু এখন যেন এসবের বালাই নেই। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শব্দচয়ন ও উচ্চারণে এখনো আঞ্চলিকতার দোষ কাটিয়ে উঠতে পারেননি। অন্য আরেকজন উপাচার্য তো ঘোষণাই দিয়েছিলেন যে, কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ ছেড়ে দিবেন। ঢাকার অন্য আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।

রাজধানী ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অবস্থা আরও শোচনীয়। কয়েক সপ্তাহ আগে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরও ওই উপাচার্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। পৃথিবীর সভ্য দেশগুলোতে যখন অনিয়মের অভিযোগ উঠলে সবাই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন, আমাদের দেশে এমনটা প্রত্যাশা করা যেন ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখার মতো। এখানে শত শত অভিযোগ, বিক্ষোভ, আন্দোলনের পর প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে চান না। উপাচার্যের চেয়ারে বসে নিজ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সহকর্মীদের অভিযোগকেও আমলে নেন না। দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের কমিটি নিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগই যেন এখনকার উপাচার্যদের যোগ্যতা। অভিযোগ নেই বর্তমানে এমন উপাচার্য পাওয়া সত্যিই বিরল। শিক্ষকতার শেষ পর্যায়ে এসে একটু সম্মান আর অসঙ্গায়িত প্রাপ্তির আশায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বেশিরভাগ উপাচার্য অভিযোগ বাণে নাস্তানাবুদ। উপাচার্যের পদ আর চেয়ারের কাছে মান-সম্মান, নীতি-নৈতিকতা কিংবা আত্মসম্মানবোধ সকল কিছুই যেন তুচ্ছ। ছাত্রদের কাছ থেকে পাওয়া ‘স্যার’ সম্বোধন, কর্মচারী আর বাইরের মানুষের কাছ থেকে পাওয়া ‘স্যার’ সম্বোধনের তুলনায় যেন গরল। আর তাইতো ধরাকে সরা জ্ঞান করে, কানে তুলো এঁটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ শিক্ষা পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ঠিকাদার, কর্মচারী আর ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন উপাচার্যরা। বর্তমান উপাচার্যদের কার্যক্রম আহমদ ছফার ‘গাভী বৃত্তান্ত’ কে ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, জানায়নি মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ০৭:২৬ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে বুধবার (১ মে) বিকেল পর্যন্ত লিখিত আদেশ পায়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীনের এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা খোলা থাকবে কি না, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো প্রশাসনিক আদেশ দেয়নি। ফলে তা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।

এর আগে, চলমান তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনির উদ্দিন। এই গরমের মধ্যে স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এমন ঝুঁকির মধ্যে আছেন বলে আদালতকে জানান তিনি।

পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এ ছাড়া যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলেও আদেশে বলা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত

প্রকাশ: ০৮:৩৬ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় ৪৪তম বিসিএস সাধারণ ক্যাডারে উত্তীর্ণদের জন্য মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করেছে। ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী সাধারণ ক্যাডারে মৌখিক পরীখ্ষা ৮ মে শুরু হবে এবং পর্যায়ক্রমে শেষ হবে ৩১ জুলাই।

সম্প্রতি এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষা, ২০২১ এর লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ ক্যাডারের পদসমূহের জন্য সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, যুক্তিসংগত কারণে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলে, কমিশন তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে।

কমিশনের ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট http://bpsc.teletalk.com.bd -এ তথ্য পাওয়া যাবে।

২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়, আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। এরপর ২০২২ সালের ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী পাস করেন। ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন।

৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।


৪৪তম   বিসিএস   মৌখিক পরীক্ষা   সময়সূচি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পেছানোর নির্দেশ ইসির

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। এদিনের সকল পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে পাঠিয়েছে ইসি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ (নিয়মিত, অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। আগামী ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

একই দিনে ভোটগ্রহণ ও উল্লিখিত পরীক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয় বলে উক্ত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে ৮ মে এর পরিবর্তে অন্য কোনো (২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন ব্যতীত) তারিখে নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এই অবস্থায়, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়   ইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

বিদ্যালয় বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশে নাখোশ শিক্ষামন্ত্রী, আপিলের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুরো দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। টানা ২৮ দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে ইতিহাসের ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছে দেশবাসী। দফায় দফায় হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতেও ঈদুল ফিতরের ছুটির পর গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

তবে খোলার একদিনের মাথায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে।

গরমের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা নিয়ে হাইকোর্টের এমন আদেশের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন- সংবাদমাধ্যমে আসা এমন খবর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা অসুস্থ হয়েছেন তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাকি অন্যত্র ছিলেন তাও দেখার বিষয়।

মন্ত্রী বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়? যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই।

এর আগে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর ছুটি ঘোষণা নির্বাহী এখতিয়ার। কদিন ছুটি থাকবে বা থাকবে না এটা একটা বিশেষায়িত বিষয়। এটা উচ্চ আদালতের এখতিয়ার নয়।


বিদ্যালয় বন্ধ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষামন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

মঙ্গলবার ২৭ জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ

প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র দাবদাহের কারণে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ১৮ জেলা, ঢাকা বিভাগের ৬ জেলা, রংপুরের ২ জেলা এবং বরিশালের এক জেলাসহ মোট ২৭ জেলার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান আবহাওয়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা এবং রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলায় মঙ্গলবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এদিকে আগামী ২ মে পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়।

স্কুল-কলেজ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র দাবদাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন