নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮
সরকার বিরোধী প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক প্লাটফর্ম জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অভিভাবক হিসেবে ড. কামাল হোসেনের আত্মপ্রকাশ তাঁকে জাতীয় রাজনীতিতে অনেকটাই পাদ-প্রদীপের আলোয় এনেছে। দেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান আইনজ্ঞ হিসেবে তিনি সকলের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গণফোরামের মত রাজনৈতিক দল গঠনের পর জাতীয় রাজনীতিতে তিনি তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। আর নির্বাচনী রাজনীতি বা ভোটের মাঠে ড. কামাল হোসেন বরাবরই পেছনের কাতারে ছিলেন। কিন্তু এবার তিনি সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন। কিন্তু তিনি কোন আসন থেকে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিবেন তা এখনো পরিষ্কার নয়। একটি টেলিভিশনের টক শোতে সুযোগ পেয়ে শ্রদ্ধেয় কামাল হোসেনকে প্রশ্ন করেছিলাম ‘স্যার, আপনি নির্বাচনে কি গণফোরামের প্রতীক উদীয়মান সূর্য নাকি বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবেন?’ তখনো ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেয়নি, কিংবা নির্বাচনী তফসিলও ঘোষিত হয়নি। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন জবাব দিয়েছিলেন ‘এই প্রশ্নের জবাব দেবার সময় এখনো আসেনি।’
এরই মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও তারা নির্বাচনী তফসিল পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দর কষাকষি করছে। কিন্তু এরই মধ্যে এটুকু আভাস পাওয়া গেছে যে গণফোরাম হয়তো নিজস্ব প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়েই ভোট যুদ্ধে নামবে।
২০০৮ সালে সর্বশেষ মোটামুটি সম্ভাব্য বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে ঢাকার কোনো আসনে প্রার্থী হিসেবে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নাম নেই। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মিরপুর থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তখনকার মন্ত্রী ড. কামাল হোসেন। জাসদের শাহজাহান সিরাজকে হারিয়েছিলেন ৫৭৮৮৯ ভোটে। কামাল হোসেন পেয়েছিলেন ৭০০২৬ আর শাহজাহান সিরাজ পেয়েছিলেন ১২১৩৭ ভোট। এরপর ১৯৭৯ সালে নির্বাচন না করলেও ১৯৮৬ মিরপুর থেকে নির্বাচন করে কামাল হোসেন জাতীয় পার্টির এস এ খালেকের কাছে হেরেছিলেন ১১৯৭৯ ভোটে। আর ১৯৯১ সালে বিএনপির হারুন মোল্লার কাছে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন ২১৩৬ ভোটে।
গণফোরামের আরেক প্রভাবশালী নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু। ১৯৮৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তখনকার ঢাকা-৩ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঢাকা মহানগরের তখনকার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুর রহমানকে হারিয়েছিলেন ২২২৭৩ ভোটে। ঐ ভোটে এই আসনে নৌকার ভোট ছিল ৮৩৫৭২ এবং লাঙ্গলের ভোট ৬১২৯৯। ১৯৯১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোস্তফা মোহসীন মন্টু নৌকার প্রার্থী হিসেবে ভোট পেয়েছিলেন ৬৬২২০ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী আমানউল্লাহ আমান পেয়েছিলেন ৯৭২৯৯ । ধানের শীষ প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন ২২২৭৩ ভোটে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা,তখনকার ঢাকা-২ আসনটি এখন ঢাকা-২ ও ঢাকা-৩ আসনে ভাগ হয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুল ইসলামের কাছে হেরেছিলেন বিএনপির মতিউর রহমান । সেই নির্বাচনে আমান উল্লাহ আমান অংশ না নিলেও এবার তিনি এই আসন থেকেই প্রার্থী হবেন। ২০০৮ সালে ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় হেরেছিলেন আওয়ামী লীগের নসরুল হামিদ বিপুর কাছে।এই দুই আসনে ঐক্যফ্রন্টের শরিক হিসেবে মোস্তফা মোহসীন মন্টুর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে ঢাকার কোন আসনে তিনি প্রার্থী হবেন তার আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনো পাওয়া যায়নি।
গণফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী আইন অঙ্গন এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের সুপরিচিতি পেলেও ভোটের মাঠে তার তেমন কোনো প্রভাব নাই। তবে শোনা যাচ্ছে তিনি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থেকে প্রার্থী হতে চান। এই এলাকায় চারবারের সাংসদ অলি আহমেদ আগে বিএনপি করলেও এখন এলডিপির সভাপতি। ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম-১৩ ও চট্টগ্রাম -১৪ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফসার উদ্দিন আহমেদ থেকে ২০৩৯০ বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন। এখানে ঐ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন মিজানুল হক চৌধুরী পেয়েছিলেন ৩৩৩৩৫ ভোট পেয়েছিলেন। চট্টগ্রাম-১৪ থেকে অবশ্য হেরে গিয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আ ন ম শামসুল ইসলামের কাছে। এই আসনে তৃতীয় হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের একে এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী । এই আসন এবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে ছেড়ে দিবেন কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
গণফোরাম থেকে আর কে কে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তা এখনো পরিষ্কার নয় । ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বাদ দিলেও ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে দল হিসেবে গণফোরাম কোনো আলোচনায় ছিল না। কিন্তু এবার গণফোরাম সভাপতি ভোটের মাঠে একটি বড় রাজনৈতিক মোর্চার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফলে গণফোরামও আছে আলোচনায় । আগামী সংসদে এই দলের প্রতিনিধিত্ব কি হয় , আর কামাল হোসেন একাদশ জাতীয় সংসদে কোন পরিচয়ে বসবেন সেটার জন্য আপাতত অপেক্ষা করতে হবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে নির্বাচন কমিশনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আলোচনা আর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ১৪ নভেম্বরের সংঘর্ষের পর রাজনীতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাও দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
১৯৯৮ সাল। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকুরী করি। স্থানীয় চাইনিজ রেস্তোরাতে একটি সেমিনার হবে। ঢাকা থেকে ওষুধ কোম্পানির এক কর্মকর্তা এসেছেন। তিনি একই মেডিকেলে আমার এক বছরের সিনিয়র। বেশ খাতিরের বড় ভাই। তিনি তাঁর ব্যাগ থেকে একটি যন্ত্র বের করলেন। যন্ত্রটি অন করার পর দেখি সেটি একটি কম্পিউটার। কোন তার ছাড়া কম্পিউটার। জিজ্ঞেস করলাম, ভাই কি জিনিস এটা, নাম কি ? বললেন, ল্যাপটপ। জীবনে এই প্রথম আমার ল্যাপটপ দেখা। তবে নাম শুনেছি এর তিন বছর আগে, ১৯৯৫ সালে। যখন নাম শুনেছি, তখন বুঝিনি জিনিসটা কি ?
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।