নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
রাজনৈতিক সমঝোতা হলে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করবেন, এর মধ্যে বাংলাদেশ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে নির্বাচনে বিএনপি বেগম জিয়া ও তারেক জিয়া ছাড়া অংশগ্রহণ করবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং কয়েকটি প্রভাবশালী বন্ধু রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সূত্রে এ খবর জানা গেছে। তবে সরকারের একজন শীর্ষ কর্তা বলেছে, এটি খুবই প্রাথমিক অবস্থায় থাকা একটি সমঝোতা প্রস্তাব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বেগম জিয়ার আত্মীয় স্বজন আশঙ্কা করছেন যে, বেগম জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ হতে পারে। তিনি এমনিতেই বৃদ্ধ এবং অসুস্থ। এ কারণেই, বেগম জিয়ার দুই আত্মীয় তাঁর মুক্তি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। ওই দুজন সদস্যই বিএনপি চেয়ারপারসন কারান্তরীণ হবার পর অন্তত তিনবার দেখা করেছেন। তাঁদের ধারণা, সরকার চায় না বেগম জিয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করুক। এজন্যই তাঁকে জেলে রেখে নির্বাচন সারতে চায় সরকার। এর ফলে, অসুস্থ বিএনপি প্রধান আরও আসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এই কারণেই ‘বেগম জিয়ার সুস্থতা’র স্বার্থে তাঁরা একটি সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে। সূত্র মতে, এই প্রস্তাব একটি প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকদের কাছে, বেগম জিয়ার ভাই প্রথমে দেন। যাতে বলা হয়েছে, বেগম জিয়া প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করবেন, একই সঙ্গে বর্তমান মামলায় তাঁকে জামিন দেওয়া হবে। প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন। দীর্ঘদিন সেখানেই অবস্থান করবেন। ফলে, আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি (বেগম জিয়া) অংশ নেবেন না।
প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকের প্রস্তাবটি পছন্দ হয়েছে। তিনি দুজন সরকারি প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়াকে আটকে রাখার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো হাত নেই। এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। আদালতেই নির্ধারিত হবে তিনি জামিন পাবেন কিনা। তবে সরকার থেকে বলা হয়েছে, যদি তিনি প্যারোল চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বিবেচনা করে দেখবে।
উল্লেখ্য, যেকোনো বন্দীকে জরুরি বিবেচনায় প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আছে।
অবশ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দ এটাকে অবাস্তব এবং মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়নেরই কৌশল হিসেবে মনে করছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের প্যারোল চাইবো কেন? আইনি লড়াই এবং রাজপথের আন্দোলনেই তাঁকে আমরা মুক্ত করে আনবো। তিনি বলেন, ‘ সরকার বেগম জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য নানা চেষ্টা করছে। এই সব গুজব সেই চেষ্টারই অংশ।‘
কিন্তু বিএনপি সূত্রে বলা হয়েছে, বেগম জিয়ার পরিবার দলীয় সিদ্ধান্তের আলোকে চলছে না। পরিবার দেখছে, বেগম জিয়ার সুস্থতা ও শান্তি । নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁর একজন আত্মীয় বলেছে, ‘এভাবে একটা মানুষ কষ্ট পেতে পারে না। এ বয়সে কোথায় তাঁর নাতিনীদের সঙ্গে আরাম আয়েশে জীবন কাটানোর কথা সেখানে তিনি জেলে তিল তিল করে মরছেন।‘ ওই আত্মীয় এটাও বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া বিএনপির জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন। নিজের জীবনের সব সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর দুঃসময়ে বিএনপি উল্লেখ করার মতো কিছুই করতে পারে নি।‘
সূত্র মতে, কূটনৈতিক মধ্যস্থতায় সরকার রাজি হলেই কেবল আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারোল প্রস্তাব দেওয়া হবে। তবে, রাজনৈতিক সমঝোতার যোগসূত্রকারীরা বলেছে, এটাই এই মুহূর্তে সবার জন্য সম্মানজনক সমাধান।
Read In English: http://bit.ly/2sVKehk
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।