ইনসাইড বাংলাদেশ

আ. লীগ প্রযোজিত, শেখ হাসিনা পরিচালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০১৮


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলন কি তাহলে আওয়ামী লীগ প্রযোজিত, শেখ হাসিনা পরিচালিত একটি সাজানো নাটক ছিল? যে নাটকের পরিণতি একটাই বিএনপির ট্রাজেডি। বিএনপি এখন মূল্যায়নে বসতেই পারে যে, কোনটা তাদের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল? ১. ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচিতে সমর্থন দেওয়া ২. ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না যাওয়া ৩. কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেগম জিয়ার সাক্ষাৎ না করা, নাকি ৪. কোটা সংস্কার আন্দোলনে ষড়যন্ত্র করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা করা?

এই প্রশ্নের উত্তর বিএনপি নেতারাই খুঁজছেন। বিএনপি বার বার কেন অন্যের উপর ভর করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়, সেটাও এক অমীমাংসিত ইস্যু। কারণ দল হিসেবে বিএনপি শক্তিশালী, তাঁদের সমর্থক সংখ্যাও কম না। সেরকম একটি দল কেন অন্যের আন্দোলনের ফলাফলের অপেক্ষা করবে?  অন্যকে দিয়ে আন্দোলন করার ষড়যন্ত্র করবে?

তারেক জিয়ার সঙ্গে অধ্যাপক মামুন আহমেদের কথোপকথনের পর এটা বুঝতে কারও অসুবিধা হবার কথা না যে বিএনপি এই আন্দোলনকে উসকে দিতে চেয়েছিল। আন্দোলন শুরু হবার পরপরই তারেক জিয়া তাঁর নিজস্ব ক্যাডারদের দিয়ে আন্দোলনকে অন্যখাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছিল। ভিসির বাসভবনের হামলার মধ্যে দিয়ে তারেক জিয়া ঘটনাকে সহিংস দিকে নিয়ে যায়। সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও তারেক জিয়া প্রাথমিক সাফল্য পেয়েছিল। বিএনপির পরিকল্পনা ছিল খুবই সাদামাটা এবং পরিষ্কার। বিএনপি চেয়েছিল, ছাত্রদের উস্কে দিয়ে একটি বিস্ফোরণ মুখ পরিস্থিতি তৈরি করা, যাতে পরে অন্যরাও যুক্ত হবে এবং একপর্যায়ে সরকারের পতন হবে। কিন্তু শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা এবং সাহসী সিদ্ধান্তে আন্দোলন শেষ হয়। তারেক জিয়া ভিলেন হিসেবে আবির্ভূত হলেন আর শেখ হাসিনা হলেন, ‘মাদার অফ এডুকেশন’। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী যে কোটা বাতিলে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন, আগের দিন পর্যন্ত বিএনপি তা চিন্তাও করেনি। বরং বিএনপি আন্দোলনের কোন স্পটে কে যাবে তা ঠিক করছিল। বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচির সঙ্গে তাদের একাত্মতা ঘোষণা করার কথা ছিল। প্রদীপ নেভার আগে যেমন দপ করে জ্বলে ওঠে তেমনি আন্দোলন শেষ হওয়ার আগে বুধবার জ্বলে উঠেছিল। আর  এই আলোতেই ষড়যন্ত্রকারীদের চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত হলো। তারেক জিয়ার নেতৃত্ব বিএনপির যে ‘খারাপ মতলব’ ছিল তা বেরিয়ে আসে।

এটা কি কাকতালীয় নাকি, সরকারের ফাঁদে বিএনপি পা দিয়ে ধরা পড়ল? এ প্রশ্ন অনেকের। অনেক বিশ্লেষকরা মনে করেন, কোটা সংস্কারে আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই গড়ে উঠেছিল। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল দুপক্ষের শিক্ষার্থীরাই এতে ছিল। সোমবার রাতে ছাত্রদল এবং শিবির আন্দোলনের নেতৃত্ব নেয়। এরাই উপাচার্যের বাসায় ভাংচুর করে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, উপাচার্যের বাসভবনে হামলার পরপরই, সরকার বুঝতে পারে এর পেছনে বিএনপি এবং জামাতের হাত আছে। একারণেই সোমবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পাদকের বৈঠকের পরও সরকার আন্দোলনকে পুরোপুরি বন্ধ হতে দেয়নি। মঙ্গলবার থেকে যে আন্দোলন তা সম্ভবত ছিল আওয়ামী লীগ প্রযোজিত। এই আন্দোলনের নেপথ্যে কারা, কারা কি ফায়দা লুটতে চায় এবং উপাচার্যের বাড়িতে হামলার ব্লু প্রিন্ট কার? এসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আন্দোলনটা চালিয়ে নেওয়া দরকার ছিল।  

দ্বিতীয় ভাগের আন্দোলনে বিএনপির আসল লক্ষ্য, তারেকের এবং অন্যান্য বিএনপি নেতাদের তৎপরতা সব নজরে আসে। ষড়যন্ত্রকারীরা প্রকাশ্য হয়ে যায়। আর তখনই প্রধানমন্ত্রী আরেকটি চ্যালেঞ্জ নেন। আরেকটি সাহসী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী জানতেন, ভবিষ্যতে বিশেষ করে নির্বাচনের আগে বিএনপি জামাত এরকম চক্রান্ত আরও করবে। তাই এবার তিনি হাতেনাতে ধরার জন্যই বড় ঝুঁকি নিয়েছিলেন। জয় সবসময় সাহসীদের হয়। শেখ হাসিনারও জয় হলো। শেষটা এমন হলো- চোরও ধরা পড়ল, আন্দোলনও থেমে গেল।সিনেমার দৃশ্যে যেমন দেখা যায়, একটা জায়গায় টাকা রেখে ভিলেনকে ডাকা হয়। ভিলেন টাকা নিতে এসে নায়কের কাছে মার খায়।পাঠক দেখুন তো সিনেমার দৃশ্যের সঙ্গে ঘটনাটা মেলে কিনা? সরকার পতন ঘটাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কাজ করার ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে ধরা খেলেন ভিলেন তারেক। আন্দোলনও শেষ হলো। বিএনপি কি ভবিষ্যতে এরকম সত্যিকার আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার সাহস পাবে?



Read in English- https://bit.ly/2qpaVaK

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৪৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থে সবসময় মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। কিন্তু ছোট দেশগুলোকে তারা সবক দিতে থাকে, নিজেদের দিকে কখনও তাকায় না। যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বুধবার (৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী  বলেন, বাংলাদেশে হিরো আলমকে ঘুষি মারলেও যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতি দেয়। অথচ ফিলিস্তিন ইস্যুতে তারাই হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির সরকার কী বলবে, তা আমরা জানতে চাই।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গাজা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের মতবিরোধ থাকলেও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ।

এ সময় মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-র ঢাকা সফরের বিষয়েও কথা বলেন ড. হাছান। বলেন, মূল ইস্যু রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার করতে আলোচনা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর নিয়েও কথা বলেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, সীমান্তে বেসামরিক মানুষ হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, এটি বন্ধ করতে একযোগে কাজ করছে ঢাকা-দিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরে এ নিয়ে আলোচনা হবে।

এদিকে, ব্রিটেনের ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী অ্যান-মেরি ত্রিভেলিয়নের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী জানান, ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ব্রিটেন।

মন্ত্রী জানান, ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে। এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরে গুরুত্ব পাবে সীমান্তের নিরাপত্তা ও প্রাণহানির বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্র   মানবাধিকার   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে শেষ হলো ২ উপজেলার ভোটগ্রহণ, জাল ভোটের অভিযোগে সহকারী প্রিসাইডিং আটক


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের ২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা। এই দুই উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কমলনগর উপজেলায় জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে মেহেদী হাসান নামে একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া রামগতি উপজেলার এক প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে জাল ভোট প্রদানে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

 

বুধবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের হাজিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। মেহেদী হাসান ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি কমলনগর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

 

এদিকে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুই উপজেলার ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে, এখন চলছে ভোট গণনা।

 

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ইউএনও।’ 

 

এদিকে রামগতি উপজেলার পূর্ব চর মেহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জাল ভোটে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে। 

 

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কমলনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এ ছাড়া এ উপজেলায় ৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন। এখানে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৭ জন।

 

এদিকে রামগতি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এ উপজেলায় ১০ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। এখানে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২২ জন।


উপজেলা নির্বাচন   ভোট গ্রহণ   জাল ভোট   প্রিজাইডিং অফিসার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে কম ভোট পড়ার কারণ জানালেন সিইসি

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। এতে ভোট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। অপেক্ষাকৃত কম ভোট পড়ার কারণ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম হওয়ার কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। 

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সিইসি বলেন, বর্ষার কারণে অনেকে ভোট সেন্টারে আসতে পারেননি। এছাড়া এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। এ কারণেও ভোট কম পড়েছে। আমাদের কাছে এটাই মনে হয়।

তিনি বলেন, কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। তেমন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন   ভোট   সিইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহজাদপুরে কাছারিবাড়িতে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail মঙ্গল ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে শাহজাদপুরে কাছারিবাড়িতে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন

বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে তিন দিনব্যাপী উৎসব শুরু হয়েছে।

 

বুধবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় মঙ্গল ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাধান চন্দ্র চন্দ। রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মীর মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। 

 

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.শাহ আজম। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পরা সংগীত পরিবেশন করে।

 

জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সকাল থেকেই দর্শনার্থী ও রবীন্দ্র ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কবির স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়ি প্রাঙ্গণ। 

 

তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, নৃত্যানুষ্ঠান, আবৃত্তি, নাটক। জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানকে ঘিরে পুরো শাহজাদপুরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।'

 

নাটোরের রানী ভবানীর জমিদারীর একটি অংশ শাহজাদপুরের জমিদারী নিলামে উঠলে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকনাথ ঠাকুর ১৮৪০ সালে মাত্র ১৩ টাকা ১০ আনায় শাহজাদপুরের এই জমিদারী কিনে নেন। ১৮৯০ থেকে ১৮৯৭ এই ৮ বছর কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের জমিদারী দেখাশোনার জন্য এখানে আসতেন এবং সাময়িকভাবে বসবাসও করতেন। 

আর এখানে বসেই কবি রচনা করেছেন কবিতা সোনারতরী, চিত্র, চৈতালী, কল্পনা, ছোটগল্প পোষ্ট মাষ্টার, রাম কানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা, ব্যবধান, তারা প্রসন্নের কীর্তি, ছুটি, সমাপ্তি, ক্ষুধিত পাষাণ, অতিথি, ৩৮ টি ছিন্ন পত্রাবলী, প্রবন্ধ ও গীতাঞ্জলীর অংশ বিশেষ, নাটক বিসর্জন এর মত সাহিত্য কর্ম।


রবীন্দ্র জয়ন্তী   কাছারিবাড়ি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

অনুমতি ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার জেরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছেন সাংবা‌দিকরা। বুধবার (৮ মে) দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা তা বয়কট করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সাংবাদিকরা জানতে চান, তথ্য সংগ্রহে বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সুরাহা হয়েছে কি না। এর সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকে আগে সাংবাদিক প্রবেশে বিধিনিষেধ ছিল না। তবে কিছুদিন ধরে তাদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বিভিন্ন মহল তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে।

এরই মধ্যে টিআইবি, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ, ইআরএফ, ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফইউজে নিন্দা জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে এ নিষেধাজ্ঞা স্বাধীন সাংবাদিকতা, গণতন্ত্র এবং মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি বলে মনে করছে সংগঠনগুলো।

বাংলাদেশ ব্যাংক   সংবাদ সম্মেলন   বয়কট   সাংবাদিক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন